a
ফাইল ছবি
দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সকালেই চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার, ফেনী ও নোয়াখালীতে বৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আস্তে আস্তে রাজধানীসহ সারাদেশে বৃষ্টি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক জানান, বৃষ্টি হচ্ছে অনেক জায়গায়, আগে যেমন শুধু সিলেটে হচ্ছিল সেটা এখন চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহে ছড়িয়ে পড়েছে। আস্তে আস্তে সারাদেশে এটি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভোর থেকেই নোয়াখালীর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। সকাল ৮টার দিকে কয়েকটি স্থানে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর তা মাঝারি আকার ধারণ করে। এতে মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।
একইভাবে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। তবে স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৩ মিনিট। সামান্য এ বৃষ্টির দেখা পেয়েও জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। সামনে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে আশা স্থানীয়দের।
আবহাওয়া অফিসও জানায়, বৃষ্টিপাতের এ ধারা আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। এরপর আবার তাপপ্রবাহ বাড়তে পারে।
এছাড়া সকালে বান্দরবানে থেমে থেমে বজ্রপাত ও বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং বৃষ্টি হয়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামও। সেখানেও ভোর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় বজ্রপাতের খবরও পাওয়া গেছে। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
কয়েক দিন ধরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলছে টানা বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, সোমবার থেকে বৃষ্টিপাত কমতে পারে। সেই সঙ্গে বাড়তে পারে গরম। গতকাল রাজধানীতে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। সকালে বৃষ্টির মাত্রা কম থাকলেও আকাশে ছিল মেঘ। দুপুরের পর আকাশ অন্ধকার করে নামে মুষলধারে বৃষ্টি; যা প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা স্থায়ী ছিল। টানা বৃষ্টির কারণে তলিয়ে গেছে রাজধানীর অলিগলি থেকে শুরু করে প্রধান সড়কও।
বিভিন্ন অঞ্চলের অলিগলিতে জমে যায় হাঁটুপানি। অনেক বাসার সামনে পানি জমে থাকায় ঘর থেকে বের হওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। ফলে ঈদের ছুটিতে যারা পরিবার নিয়ে ঘুরতে বের হওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন, তাদের অনেককেই সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
এদিকে টানা ছুটি শেষে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন চাকরিজীবীরা। পরিবার নিয়ে ঢাকায় ফেরা কর্মব্যস্ত মানুষের অনেকেই বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় ঢাকামুখী যাত্রীর অনেককে ভিজেই বিভিন্ন পরিবহনে ওঠানামা করতে দেখা যায়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৯১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এ বৃষ্টির ফলে রামপুরা অঞ্চলের অধিকাংশ গলিতেই প্রায় হাঁটুসমান পানি জমে রয়েছে। এমনকি বেশ কিছু বাসাবাড়িতেও বৃষ্টির পানি ঢুকে যেতে দেখা গেছে। মিরপুর অঞ্চলের বিভিন্ন গলিতেও পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। গলিতে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে বাড্ডা, মালিবাগ, খিলগাঁও, রাজারবাগ অঞ্চলেও।
জানা গেছে, টানা বৃষ্টির কারণে পুরান ঢাকার বংশাল, নাজিমুদ্দিন রোড পানির নিচে তলিয়ে গেছে। জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে ধানমন্ডি, মিরপুর ১৩, হাতিরঝিলের কিছু অংশে। আগারগাঁও থেকে জাহাঙ্গীর গেট যেতে নতুন রাস্তায়, খামারবাড়ি থেকে ফার্মগেট, ফার্মগেট-তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডসংলগ্ন এলাকা, মোহাম্মদপুরের কিছু অংশ, মেরুল বাড্ডা, ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকা, গুলশান লেকপাড় এলাকার সংযোগ সড়কের কয়েকটি স্থানে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
পুরান ঢাকার বংশাল, নাজিমুদ্দিন রোডের জলাবদ্ধতা ছিল বলে জানান গাড়িচালক জাকির হোসেন। তিনি বলেন, গাড়ি নিয়ে পুরান ঢাকায় গিয়েছিলাম। ফেরার পথে পুরো সড়ক-অলিগলিতে জলাবদ্ধতা দেখেছি। কোথাও কোথাও আবার হাঁটুপানিও জমে ছিল। গতকাল আবহাওয়াবিদ শাহীনুর রহমান জানিয়েছেন, সোমবার থেকে বৃষ্টিপাত কমতে পারে। সেই সঙ্গে বাড়তে পারে তুলনামূলক গরম। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
প্রতিকী ছবি:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট বাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। আজ ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বসুরহাট পৌর এলাকায় ১৪৪ধারা জারি করা হয়েছে। গতকাল সংঘর্ষের ঘটনায় রাত থেকে এখন পর্যন্ত ২৮ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি মীর জাহিদুল হক।
এদিকে সকাল থেকে বসুরহাট বাজার সংলগ্ন এলাকা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বাজারে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় র্যাব-পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।
উল্লেখ্য, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট বাজারে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার (৯ মার্চ) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জিয়াউল হক মীর। এর আগেও গত ২২ ফেব্রুয়ারি বসুরহাট পৌর এলাকায় ১৪৪ধারা জারি করা হয়েছিল দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচীর কারণে।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিরহাট বাজারে আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের গোলাগুলিতে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির নিহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদল একই স্থানে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী ঘোষণা করার কারণে আইন শৃঙ্খলার অবনতির আশংকায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি সোমবার বসুরহাটে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল প্রশাসন।