a ১২ ঘন্টা তান্ডব চালাতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‌‍‌‌‍‌‌'ইয়াস'
ঢাকা সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

১২ ঘন্টা তান্ডব চালাতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‌‍‌‌‍‌‌'ইয়াস'


আবহাওয়া ডেস্ক:
সোমবার, ২৪ মে, ২০২১, ০৫:২৯
১২ ঘন্টা তান্ডব চালাতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‌‍‌‌‍‌‌ইয়াস

ফাইল ছবি

 

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। রাতে এটা নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে ধারণা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গত (২২ মে) শনিবার উত্তর আন্দামান সাগর এবং আশেপাশের এলাকায় ওই লঘুচাপ তৈরি হয়। এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘ইয়াস’।

রোববার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ একেএম রুহুল কুদ্দুস গণমাধ্যমকে বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িষ্যা ও বিহার উপকূলীয় এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে। বাংলাদেশের খুলনা উপকূলেও এটি আঘাত হানতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ টানা ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা তাণ্ডব চালাতে পারে। এ সময় বাতাসের গতি ঘণ্টায় গড়ে ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের পর্যবেক্ষণ ও তথ্য সংগ্রহ করার জন্য কন্ট্রোল রুম চালু করেছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।

আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেছেন, আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি, রোববার সন্ধ্যা বা রাত নাগাদ এটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তখন সেটির কেন্দ্র, গতি বা কোনদিকে যাচ্ছে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। নিম্নচাপে পরিণত হলে ২৫ বা ২৬ তারিখে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান।

নিম্নচাপটি দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৬২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা বন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা বন্দর থেকে ৬৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে।

অনলাইনে যুক্ত হয়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতির আহ্বান জানিয়ে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক বলেন, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা আমাদের জন্য নতুন নয়। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাঁধ মনিটরিংসহ জরুরি কাজের জন্য পর্যাপ্ত জিও ব্যাগ প্রস্তুত রাখা রয়েছে। সেইসঙ্গে প্রকৌশলীদের কাছে আক্রান্তদের জন্য মাস্ক, স্যালাইনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

মাঠপর্যায়ে সবার উপস্থিতি নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়ে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, জরুরি ভিত্তিতে লোকবল নিশ্চিত করাসহ সার্বক্ষণিক যোগাযোগ নিশ্চিত করতে হবে। দুর্যোগ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ স্টেশন ত্যাগ করতে পারবে না। কোথাও বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫১৭ আশ্রয় কেন্দ্র। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ঘূণিঝড়ের সময় করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রায় ৩ লাখ লোকের থাকাসহ গবাদিপশুও রাখা যাবে। একই সাথে এসব আশ্রয় কেন্দেরাখা হয়ে হ্যান্ড সেনিটাইজার, মাস্কসহ পর্যাপ্ত পানি ও সেনিটেশনের ব্যবস্থা। জেলা সদরসহ জেলার ৯টি উপজেলাসহ পুলিশ, মোংলা বন্দর কর্তপক্ষ, কোস্টাগার্ড, নৌবাহিনী, রেডক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিস ও পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ জরুরী সেবা দিতে কন্টোল রুম খুলেছে।
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

দেশের ৭ জেলায় তীব্র ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে


আবহাওয়া ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর, ২০২৩, ১০:৪৮
দেশের ৭ জেলায় তীব্র ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে

ফাইল ছবি

দেশের ৭ জেলার ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়া অফিসের দেয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
 
আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
 
সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ট্রাম্প ইসরায়েলের বিরোধিতা সত্ত্বেও সৌদিকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দিচ্ছে


আরাফাত, বিশেষ প্রতিনিধি
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ০৫:৫২
ট্রাম্প ইসরায়েলের বিরোধিতা সত্ত্বেও সৌদিকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দিচ্ছে

ছবি সংগৃহীত

 

নিউজ ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত সৌদি আরবকে এফ-৩৫ স্টেলথ যুদ্ধবিমান বিক্রি করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে রয়েছে, যা মধ্যপ্রাচ্যের সামরিক ভারসাম্যে নতুন মাত্রায় যুক্ত হবে।

ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের ভাষ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবকে বশে আনতে এ ধরনের শক্তিশালী বিমান বিক্রি একটি কৌশলগত চাল এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করার একটি অংশ।

তবে এই উদ্যোগে এক বড় বাধা আসে — ইসরায়েলের “গুণগত সামরিক সুবিধা” (Qualitative Military Edge, QME)। আমেরিকা পুরনো রাজনৈতিক দায়িত্ব হিসেবে নিশ্চিত করে ইসরায়েলকে বলেছে যে ইসরায়েল তার প্রতিবেশীদের তুলনায় প্রযুক্তিগতভাবে সব সময় এগিয়ে থাকবে, যা তাদের নিজস্ব নিরাপত্তার একটি মূল ভিত্তি।

অনেক বিশ্লেষক বলছেন, সৌদিকে এফ-৩৫ দেওয়া হলে ইসরায়েলের এই কৌশলগত অগ্রাধার্য হুমকির মুখে পড়তে পারে।

ইসরায়েলের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, ট্রাম্প প্রশাসন এই বিক্রয়কে সৌদির সঙ্গে স্বীকৃতি ও স্বাভাবিকীকরণের প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করুক। বিশেষ করে তারা চায় যে সৌদি আরব যদি ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় — যেমন আব্রাহাম অ্যাকর্ডস — তাহলে এফ-৩৫ বিক্রয় অনুমোদন করুক।

তারা যুক্তি দেয় যে শুধুমাত্র অস্ত্র বিক্রি করা হলে এটি “বিরূপ ফল” হতে পারে এবং একটি কূটনৈতিকভাবে এটি ইসরায়েল যেন হুমকির মধ্যে না পড়ে।

আরেকটি বড় উদ্বেগ হলো প্রযুক্তির দিক: পেন্টাগন এবং গোয়েন্দা মহল সতর্ক করেছেন যে, অত্যাধুনিক এফ-৩৫ প্রযুক্তি সৌদির সঙ্গে গভীর সম্পর্ক এবং তাদের বৈদেশিক অংশীদারিত্বের কারণে চীনের হাতেও পড়তে পারে।

এমন উদ্বেগ অন্যবারও এসেছে, যখন মধ্যপ্রাচ্য দেশগুলোর জন্য স্টেলথ বিমান বিক্রির প্রতিপাদ্য ছিল — কারণ ফাইভ্থ জেনারেশন বিপ্লবী সেন্সর, স্টিলথ এবং নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি রয়েছে।


ট্রাম্পের এই দাবি কূটনৈতিকভাবেও বড় তাৎপর্য বহন করে: তিনি সৌদিকে এফ-৩৫ বিক্রি করার বিনিময়ে ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিকীকরণের এক পথ তৈরি করার পরিকল্পনা করছেন বলে কিছু বিশ্লেষক দেখছেন।

ট্রাম্প একাধিক বার ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি সৌদি-ইস্রায়েল নর্মালাইজেশনকে উৎসাহিত করতে চান, এবং এফ-৩৫ বিক্রয় তার সেই কূটনীতি পরিকল্পনার একটি অংশ হতে পারে।

সৌদি আরবের দৃষ্টিকোণ থেকেও এটি মর্যাদাপূর্ণ এবং শক্তিশালী অবস্থান গড়ার সুযোগ। তারা স্বাধীনভাবে অত্যাধুনিক ও স্টেলথ প্রযুক্তি পায় এবং এফ-৩৫-এর মাধ্যমে তাদের এয়ার ফোর্স সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। এটি তাদের কৌশলগত প্রতিযোগিতায় — বিশেষ করে ইরান ও অন্য প্রতিবেশী শক্তিগুলোর সঙ্গে — বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

তবে, সৌদির স্বীকৃতি ও নর্মালাইজেশনের ইস্যু তাদের ফিলিস্তিনি অবস্থানের সঙ্গে জড়িত। সৌদি আরব দীর্ঘকাল ধরে আরব শান্তি পরিকল্পনা (Arab Peace Initiative) জোর দিয়েছে, যেখানে তারা বলে যে ইস্রায়েলকে স্বীকৃতি দেবে শুধুমাত্র যদি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের দিকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়।

এমন স্বীকৃতি এবং রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি না পেলে, ইসরায়েল চুক্তিতে আরও কড়া শর্ত আরোপ করতে পারে — যেমন এমন এলাকা যেখানে বিমান স্থাপিত হতে পারবে না বা সীমাবদ্ধ সংখ্যক বিমান বিক্রি।

আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও এফ-৩৫ বিক্রয় মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ দৃষ্টিকোণ থেকে সুগভীর প্রশ্ন তোলে। একদিকে, এটি মার্কিন-সৌদি সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করে এবং সৌদির প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করতে পারে; অন্যদিকে, এটি ইসরায়েলের নিরাপত্তা উদ্বেগ, অঞ্চলীয় শীতলীকরণ এবং সেন্সর-স্টিলথ প্রযুক্তি লিকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।

সবমিলিয়ে, ট্রাম্পের এফ-৩৫ বিক্রয় পরিকল্পনা কেবল একটি সামরিক চুক্তি নয়, বরং এটি মধ্যপ্রাচ্যের কূটনীতি, নিরাপত্তা ভারসাম্য এবং শক্তি ভবিষ্যতের একটি প্রতীকী চেয়ে বেশি: এটি একটি কৌশলগত বাজি, যেখানে অস্ত্র বিক্রয়, সম্পর্ক স্বীকৃতি এবং প্রযুক্তিগত নিয়ন্ত্রণ একসাথে যুক্ত হচ্ছেতেই। তবে প্রক্রিয়াটি কতটা সফল হবে, তা এখনও ওপেন প্রশ্ন — বিশেষ করে যদি কংগ্রেসের বাধা, ইসরায়েলের চাহিদা এবং প্রযুক্তি লিকের ঝুঁকিগুলো প্রকট হয়ে ওঠে। সূত্রঃ আল জাজিরা

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - কৃষি ও আবহাওয়া