a কবিতার ছুটি
ঢাকা মঙ্গলবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২, ২৪ জুন, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

কবিতার ছুটি


কবি শহীদুল্লাহ আনসারী, কবি ও লেখক, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ১২ ফেরুয়ারী, ২০২৫, ০১:২৮
কবিতার ছুটি

ছবি সংগৃহীত

কবিতার ছুটি

 কবি শহীদুল্লাহ আনসারী

 

ভাষা আর আশা নিয়ে আজ বড় দৌড় ঝাঁপ বর্ণের
হাতে মহা—ধন ইমিটেশন চকচকে ঠিক যেন স্বর্ণের।
কেউ দেখেন স্বপ্নের বালিহাঁস বালিঘাটে সারারাত
নিঘুর্ম—ভাবনায় হিরে—মতি—জহরত পাওয়া যেন ডালভাত।

ডিম পাড়ে হিমশীতে ঘর বাঁধে বালুময় নির্জলা ব—দ্বীপে
সুর বাজে জাহাজের মাস্তুলে মগ্নতায় রংময় সে শিপে,
রাতারাতি বড় হবার অসম মাতামাতি দেখে কাঁপে বুকটা
চারিদিকে হানাহানি কানাকানি কীভাবে সারাবে এ রোগটা!

কারও আজ মন নেই, সত্য ও সুন্দর পুজারির ধন নেই
কবিতারা মার খায় সবখানে, কোথাও বা পারখায় শুরুতেই,
সত্য ও সুন্দরের কথা বলে। বিবেকের দংশনে রাতারাতি
মরে কেউ। আবার মতের বিভেদ নিয়ে লেগে যায় হাতাহাতি।

কবিতার রাজ্যে অরাজকতা দেখে কেউ মরে যায় লজ্জায়
কেউ কেউ মানসিক রোগি হয়, পঁচে গলে মিশে রোগ—শয্যায়,
ছন্দের দ্বন্দ্বে কাঁটাঘার গন্ধে কবিতাকে কবিতাই চেপে ধরে টুটি
দেখে শুনে গদ্যের বীজ বুনে মঞ্জুর করে দিলাম কবিতার ছুটি।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

কবির গভীর অভিমান


ফেসবুক ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ০১ জুন, ২০২১, ১১:৫৮
কবির গভীর অভিমান

ফাইল ছবি। কাজী নজরুল ইসলাম

 
কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে বিদ্রাহী কবি বিশেষণটি না দিলে মন ভরে না। এই মহান কবিকে আমরা এখনও বিদ্রোহী বলে জানি এবং সেভাবেই জানতে ও ভাবতে আমরা বেশি পছন্দ করি। যৌবনের কবিও বলা হয়। যে কবি যৌবনের তার বিদ্রোহী হতে কোনো বাধা নেই। একালের কবিও তো সে কথাই বলেন। ‘এখন যৌবন যার , যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়' " (হেলাল হাফিজ)। যুদ্ধ আর বিদ্রোহের মধ্যে ব্যবধান আছে। সব যুদ্ধ বিদ্রোহ নয়। পক্ষান্তরে বিদ্রোহ থেকে যুদ্ধ উৎপন্ন না হয়েই পারে না। সে যুদ্ধ  হতে পারে সশস্ত্র , হতে পারে সামাজিক প্রতিরোধ কিংবা সাংস্কৃতিক লড়াই। বাংলাদেশের মানুষ তো বটেই, গোটা উপমহাদেশের জনগণ দু’শ বছর লড়াই করেছেন্। বুকের ভেতর দ্রোহের আগুন জ্বেলে তারা ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। সেই সংগ্রামের বিচিত্রতা ও বহুমাত্রিকতার ইতিহাস কমবেশি আমরা সবাই জানি। দুই শতাব্দির লালিত দ্রোহে ভাষা দিলেন কাজী নজরুল ইসলাম।

সেই সংগ্রাম আবারও আমরা প্রত্যক্ষ করেছি পাকিস্তানের তেইশ বছরের দুঃশাসনের মধ্যে। একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে  নজরুলের কবিতা ও গান আমাদের সাহস জুগিয়েছে, প্রাণিত করেছে যুদ্ধের ময়দানে, অবরূদ্ধ জনপদে। তবু, বিদ্রোহ বা যুদ্ধ প্রৌঢ়- প্রাচীনের জন্য সহজ নয়। নজরুল যখন বলেন, আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল, আমি দ’লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙঙ্খল!’Ñতখন বিচলিতবোধ করেন শান্তিপ্রিয় কোনো কোনো প্রৌঢ়বোদ্ধা।  কিন্তু ক্ষুব্ধ তরুণ বলেন, এই তো  আমার প্রাণের কথা। অতঃপর বিদ্রোহ আর যৌবনকে সমান্তরাল বলে ভেবে নেয়া যায় বৈ কি!
 
নিশ্চয়ই কবি  জানতেন যে, লোকে তাঁকে বিদ্রোহী বলেই বেশি ভালবাসেন। তাসত্তে¡ও মাঝে মাঝে মনেহয়, তিনি নিজেও এই অভিধায় বিব্রতবোধ করতেন। সে জন্যে তিনি কৈফিয়ৎ দিতেও কুণ্ঠিত হননি। চির-বিদ্রোহী কবিতায় তিনি বলছেন,
‘বিদ্রোহী করেছে মোরে আমার গভীর অভিমান।
তোমার ধরার দুঃখ কেন
আমায় নিত্য কাঁদায় হেন?
বিশৃঙ্খল সৃষ্টি তোমার, তাই তো কাঁদে আমার প্রাণ!
বিদ্রোহী করেছে মোরে আমার গভীর অভিমান।’
বোঝাই যায়, অভিমানী কবির এই কৈফিয়ৎ কোনো মানুষের কাছে নয়, এই কৈফিয়ৎ ;নাকি জিজ্ঞাসা তাঁর স্রষ্টার কাছে । অন্তর্যামীর প্রতি কতটা গভীর ভালবাসার দাবি বুকের ভেতর লালন করলে পরে এমন উদ্ধত ভাষাভঙ্গি প্রয়োগ করা যায়, তা সহজেই অনুমেয়।  এ-ও একধরণের সমর্পণ। রবীন্দ্রনাথও সমর্পিত কবি। কিন্তু দু’জনের প্রকাশভঙ্গি আলাদা। একজন রাগী , অভিমান ক্ষুব্ধ, আরেকজন বিনীত, মার্জিত প্রার্থনায় আনত।

নজরুল বিদ্রোহী। তিনি দার্শনিকও বটে। তিনি যখন বলেন, আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে? Ñ তখন চট করে মাথায় প্রশ্ন এসে যায়, সকাল হলে মানুষ জাগে নাকি মানুষ জাগলে সকাল হয়? প্রশ্নটি খুবই জটিল নিঃসন্দেহে। একজন কিশোর পাঠক যখন কবিতাটি পাঠ করে, তখন তার মনে কোনো প্রশ্নের উদ্রেক নাও হতে পারে। তার কাছে এ শুধু একটি ভাললাগার পদ্য। কিন্তু প্রাপ্তমনস্ক মানুষ আপনমনে প্রশ্নবিদ্ধ হতেই পারেন। এই জিজ্ঞাসার জবাব খুঁজতে গেলেই আমরা মুখোমুখি হই কঠিনতর জীবন সত্যের। রাত পোহালে , সূর্য উঠলেই সকাল হয়। ভোরের আলো ফোটে। আলো ফুটলেও সব সময় কিন্তু সে আলোতে জীবনের অন্ধকার ঘুচে যায় না। মানুষ জাগলে, তার দীর্ঘ, দীর্ঘতর সংগ্রামের মধ্য দিয়েই আলোকমন্ডিত হয় জীবন। কাল হতে কালান্তরের, দেশ হতে দেশান্তরের ইতিহাসের পাতায় পাতায় তার প্রমাণ রয়েছে। সেই সত্যেরই প্রতিধ্বনি করেন বিদ্রোহী কবি।  উষার দুয়ারে আঘাত হেনে তিমির রাত টুটাবার আহবান শুনি আমরা তাঁর  কণ্ঠে। তিনি ভীত- সন্ত্রস্ত মানুষকে শোনান অভয়ের বাণী, মাভৈঃ,মাভৈঃ। তাঁর অভয় মন্ত্র;
ওরে    যে যায় যাক সে, তুই শুধু বল ‘আমার হয়নি লয়’।
বল    আমি আছি, আমি পুরুষোত্তম, আমি চির দুর্জয়!
বল    নাহি ভয়, নাহি ভয়,
বল    মাভৈঃ মাভৈঃ, জয় সত্যের জয়।’

এ হলো আত্মশক্তি উদ্বোধনের গান। ব্যক্তি বা  জাতির সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে তার নিজের মনের শক্তি। ইংরেজিতে একে বলা হয়, পাওয়ার অব পজেটিভিটি। মানুষ যতদিন নিজেকে ভয় থেকে মুক্ত করতে না পারে, ততদিন তার মুক্তি নাই। ভয়ের হাত ধরেই আসে পরাজয়। ভয় থেকে পলায়ন করার সুযোগ নেই বরং জয় করতে হয়, জয় করতে হবে। একে জয় না করে স্বাধীনতাও আসে না। আবার সমাজে ভয় কায়েম রেখে স্বাধীনতা পূর্ণতা পায় না। রুজভেল্টের ফোর ফ্রিডম তত্তে¡ও বলা হয়েছে একই কথা। নজরুল তাই সবসময় প্রাসঙ্গিক এবং সর্বজনীন। তিনি দূত মানবমুক্তির।

 

--------- ফাইজুস সালেহীন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ লেখক-সাংবাদিক ফাউন্ডেশন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

হারিকেন হেনরি আঘাত হেনেছে যুক্তরাষ্ট্রে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ২৩ আগষ্ট, ২০২১, ১০:২৮
হারিকেন হেনরি আঘাত হেনেছে যুক্তরাষ্ট্রে

ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ডে আঘাত হেনেছে হারিকেন হেনরি। এই অঞ্চলে এক লাখ ২০ হাজারের বেশি বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ক্যাটাগরি ওয়ান হারিকেনের শক্তি নিয়ে আঘাত করা হেনরির গতি ছিল ৯৫ কিলোমিটার ঘণ্টায়।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি সোমবার (২৩ আগস্ট) এসব তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, লং আইল্যান্ড এবং দক্ষিণ নিউ ইংল্যান্ড জুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে উপকূলীয় ঢেউ, বন্যা এবং উপড়ে পড়া গাছপালার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া টেনেসিতে হঠাৎ বন্যায় অন্তত ২১ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

ন্যাশভিল থেকে ৯০ কিলোমিটার পশ্চিমে ওয়েভারলি শহরে এবং আশপাশে কয়েক ডজন মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। ক্রমবর্ধমান জল বিশাল গাছ উপড়ে ফেলে, ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলে এবং গাড়ি ভাসিয়ে দেয়। 

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন যে দুর্যোগ কর্মকর্তারা যেখানে প্রয়োজন সেখানে সহায়তা দেয়া হবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়