a
সংগৃহীত ছবি
আগামী ১৬ থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৫টি ওয়ার্ডে এডিস মশার প্রজননস্থল নির্মূল ও ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের।
তিনি জানান, আগামীকাল দক্ষিণ সিটির ৬ নম্বর, ১৭ অক্টোবর ২ নম্বর, ১৮ অক্টোবর ৩ নম্বর, ১৯ অক্টোবর ৫৬ নম্বর এবং ২০ অক্টোবর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে দিনব্যাপী এ বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। চিরুনি অভিযানে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে সকালের লার্ভিসাইড কার্যক্রমে ১৩ জন ও বিকেলের অ্যাডাল্টিসাইডিং (পরিণত মশার কীটনাশক) কার্যক্রমে ১৩ জন মশককর্মী অংশ নেবেন।
এ ছাড়া স্ব স্ব ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এ কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেবেন। আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তা ও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আঞ্চলিক পর্যায়ে এ কার্যক্রম সমন্বয়, পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করবেন। সংস্থার প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কেন্দ্রীয়ভাবে পুরো কার্যক্রমটি সমন্বয় করবেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘মিরপুরের বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) অফিসটি এডিস মশার লার্ভা উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে। অফিসটির ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় কোটি কোটি লার্ভা দৃশ্যমান রয়েছে বলেই এর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বিআরটিএ যানবাহনের লাইসেন্স দেওয়ার পাশাপাশি এডিস মশার লাইসেন্সও দিচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক।’
আজ শনিবার মশা নিধনে মিরপুর এলাকায় সচেতনতা কার্যক্রমে গিয়ে বিআরটিএ-এর পরিবেশ দেখে এসব কথা বলেন তিনি। মেয়র আতিক বলেন, ‘ব্যক্তিগত, সরকারি কিংবা বেসরকারি যেকোনো ভবনেই এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে জরিমানাসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নিজেদের বাসাবাড়ি কিংবা অফিস কোথাও যাতে তিনদিনের বেশি পানি জমে না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এডিস মশার ঘনত্ব বিবেচনায় ডিএনসিসির ১০, ১১, ১৪, ১৭, ২০ ও ৩৫ নম্বর—এই ৬টি ওয়ার্ডে স্থানীয় কাউন্সিলর ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে মশা নিধনে আজ থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযান আগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। যে বাড়িতে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে সেই বাড়িসহ তার আশপাশে এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে কার্যকর ওষুধ স্প্রে করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
মেয়রের পরিদর্শনকালে বিআরটিএ অফিসের পেছনে সেনপাড়া পর্বতা এলাকায় ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানপাট স্থানীয় জনগণের সহায়তায় বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, ইরানের নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনায় অন্তর্ঘাতমূলক হামলা যুদ্ধাপরাধের শামিল। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, এই হামলায় আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বা আইএইএ’র তত্ত্বাবধানে থাকা একটি স্থাপনাকে টার্গেট করা হয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে লেখা এক চিঠিতে এ মন্তব্য করেন। জারিফ কয়েকটি টুইটার বার্তায় ওই চিঠির মূল বিষয়বস্তু উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আইএইএ’র তত্ত্বাবধানে থাকা পরমাণু স্থাপনাটিতে হামলার ফলে সেখান থেকে পারমাণবিক নিঃসরণ ছড়িয়ে পড়তে পারত যা পরমাণু সন্ত্রাসবাদ ও যুদ্ধাপরাধের শামিল।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকা যদি এই অর্থহীন জুয়া খেলার ক্ষতিকর প্রভাব ঠেকাতে চায় তাহলে তাকে অবিলম্বে তেহরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসতে হবে।
গুতেরেসকে লেখা চিঠিতে জারিফ আরও বলেন, আমেরিকা কার্যকরভাবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলে ইরানও তার প্রতিশ্রুতিতে ফিরে যাবে। তা না হলে নাতাঞ্জে যে হামলা হয়েছে তার জের ধরে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচির গতি বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে।
রবিবার সকালে ইরানের নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনার বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দেয়। ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান আলী আকবর সালেহি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, তার দেশের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ব্যবস্থায় যে হামলা হয়েছে তা থেকে বোঝা যায় পরমাণু শিল্পে ইরানের সাফল্য অনেকের নিকট ভাল লাগছে না।
ইতিপূর্বে নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনায় আমেরিকা ও ইসরায়েল যৌথভাবে সাইবার হামলা চালিয়েছিল।