a আজ শনিবার থেকে দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ, রাতে চলবে পণ্যবাহী পরিবহন
ঢাকা শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩২, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

আজ শনিবার থেকে দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ, রাতে চলবে পণ্যবাহী পরিবহন


আরাফাত, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
শনিবার, ০৮ মে, ২০২১, ১২:৪৫
আজ শনিবার থেকে দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ, রাতে চলবে পণ্যবাহী পরিবহন

সংগৃহীত ছবি

 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে শনিবার থেকে দিনের বেলায় শিমু‌লিয়া-বাংলাবাজার ও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরি চলাচল একেবারে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি। তবে সন্ধ্যার পর থেকে সীমিত পরিসরে জরুরি প্রয়োজনে কয়েকটি ফেরি চলবে। রাতে চলা ফেরিগুলো শুধুমাত্র জরুরি প্রয়োজনে আসা যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স ও পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করা হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়াত আহম্মেদ। শুক্রবার রাতে তিনি জানান, ‘ঈদ ঘিরে দিনের বেলায় ফেরিতে ঘরমুখী যাত্রীর চাপ খুব থাকে। আপাতত কাল (শনিবার) সকাল থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে।

বিআইডব্লিউটিসি ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে সাধারণত ১৬টি যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে পারপার হয়। কিন্তু লকডাউন থাকায় ১৪ এপ্রিল থেকে সীমিত করা হয় ফেরি চলাচল। লকডাউনের শুরুতে দিনের বেলায় ২ থেকে ৩টি ফেরি ছাড়া হলেও শুক্রবার থেকে যাত্রী ও জরুরি প্রয়োজনে আসা যানবাহনের চাপ বেশি থাকা প্রায় সব কয়টি ফেরি চলাচল করে আগের মতো।

এসব ফেরিতে সাধারণ যাত্রীরাই বেশি পারাপার হতে দেখা যায়। এ কারণে বিআইডব্লিউটিসির পক্ষ থেকে শনিবার সকাল থেকে দিনের বেলায় ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ফেরিঘাট সূত্রে জানা যায়, যাত্রীদের চাপের কারণে শিমুলিয়া থেকে ফেরিটিতে কোনো গাড়ি উঠতে পারেনি। প্রায় ১২০০ যাত্রী নিয়ে ফেরিটি যাত্রা করে। হাজার হাজার মানুষ ফেরিতে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়েই পদ্মা নদী পারি জমান।

এসময় অধিকাংশের মুখে ছিল না মাস্ক। আবার কারও মাস্ক থাকলেও নামানো ছিল থুতনিতে। ফেরিতে গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়িয়ে পার হয়েছেন নদী। এসব পরিস্থিতি দেখে করোনা সংক্রমণ আরো বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

দেশজুড়ে সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের ঘোষণার পর বাস-ট্রেন-লঞ্চে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ



রবিবার, ০৪ এপ্রিল, ২০২১, ০৮:২০
বাস-ট্রেন-লঞ্চে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ

লঞ্চে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ

করোনায় চাকরি গিয়েছিল পোশাককর্মী হামিদা খাতুনের। তবু তিনি ঢাকা ছাড়েননি। সেলাইয়ের কাজ করেই সংসার চালিয়েছেন। হামিদার স্বামী নয়ন হোসেনের পোশাক কারখানার চাকরি অবশ্য এখনো আছে। কিন্তু স্বামীর সামান্য আয়ে তো ঢাকায় সংসার চালানো কঠিন। এবারের লকডাউনের ঘোষণায় স্বামীকে রেখেই সন্তান নিয়ে গ্রামে চলে যাচ্ছেন হামিদা।

দেশজুড়ে সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের ঘোষণার পর হামিদার মতো অনেকেই ঢাকা ছাড়ছেন। সকাল থেকে রাজধানীর দুটি আন্তজেলা বাস টার্মিনাল ও কমলাপুর রেলস্টেশনে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষের ভিড় দেখা গেছে। টার্মিনাল কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতিবছর ঈদের ছুটিতে যাত্রীদের যেমন চাপ থাকে, আজও তেমনই। সবাইকে টিকিট দেওয়া যাচ্ছে না। অনেকে টার্মিনালে এসে ফিরে যাচ্ছেন।

এদিকে সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ঘরমুখী প্রচুর মানুষ যানবাহনের জন্য করছিলেন। গাটরি-বোঁচকা, ব্যাগ, লাগেজ প্রভৃতি নিয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। সড়কে দূরপাল্লার বাহন, নগরীর গণপরিবহন, মাঝারি ও ছোট আকারের বাহনের চাপ ছিল। এ সময় যানজটে বসে অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের।

হামিদার সঙ্গে আজ রোববার দুপুরে কথা হয় গাবতলী বাস টার্মিনালে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘লকডাউন যে কত দিন থাকবে, জানি না। ঢাকায় সংসার চালাতে অনেক খরচ। তাই মাদারীপুরে গ্রামের বাড়ি চলে যাচ্ছি।’

গাবতলী বাস টার্মিনালে সকালে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীর চাপে টার্মিনালগুলোতে দূরপাল্লার বাসের টিকিটে টান পড়েছে। একাধিক বাসের কাউন্টার ঘুরেও কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের টিকিট পাচ্ছিলেন না অনেকে। তাৎক্ষণিক মুঠোফোনে টিকিটের সংকটের বিষয়টি জানিয়ে দিচ্ছিলেন ফোনের অন্য প্রান্তে থাকা স্বজন কিংবা সঙ্গীকে। কী করবেন, কীভাবে বাড়ি ফিরবেন, সেই উপায় কিংবা পরামর্শও জানতে চাচ্ছিলেন কেউ কেউ।

গত শুক্রবার মেডিকেলে ভর্তির পরীক্ষা দেন শিক্ষার্থী মাহমুদ হাসান। ভেবেছিলেন ঢাকায় থেকেই অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেবেন। কিন্তু লকডাউনের ঘোষণায় তিনি গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর পাংশায় চলে যাচ্ছেন এখন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘লকডাউনের কারণে সময়তো আর পরীক্ষা হবে না। এ জন্য বাড়ি চলে যাচ্ছি। সবকিছু স্বাভাবিক হলে আবার ঢাকায় আসব। কিন্তু এখন তো সময়মতো টিকিট পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়েছে।’

গাবতলী বাস টার্মিনালের ইজারাদার রাফি ট্রেডার্সের প্রতিনিধি আবদুল আহাদ বলেন, শনিবার বিকেল থেকেই যাত্রীর চাপ বাড়তে থাকে। টিকিট না পেয়ে রাতে প্রায় দেড় হাজার যাত্রী টার্মিনালেই রাতযাপন করেন। রোববার সকাল থেকে যাত্রীর চাপ আরও বেড়েছে বলে জানান তিনি।

লকডাউনের ঘোষণায় গাবতলী বাস টার্মিনালে বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড়। আজ বিকেলে

ছবি: হাসান রাজা

এদিকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালেও সকাল থেকেই দূরপাল্লার বাসগুলোতে যাত্রীর চাপ ছিল। কাউন্টারে এসে অনেকেই টিকিট না পেয়ে বিভিন্ন পিকআপ ও ট্রাকে করে বাড়ি ফিরেছেন। যাত্রাবাড়ীতে এমনই একটি পিকআপে প্রায় ১৫ জন কুমিল্লার উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। প্রত্যেকের কাছ থেকে ১৫০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছিল। পিকআপের চালক মো. রাসেল প্রথম আলোকে বলেন, ‘মালামাল পৌঁছে দিতে ঢাকায় আসছি। এখন খালি গাড়ি নিয়ে কুমিল্লা ফিরতে হবে। এর জন্য যাত্রী নিয়ে যাচ্ছি।’

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি বলছে, দূরপাল্লার বাসগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা বেশি। তবে ঢাকা মহানগরের অভ্যন্তরের চলাচল করা বাসগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানা যাচ্ছে না। ঢাকার বেশ কয়েকটি স্থানে গতকাল সকালে অফিসগামী যাত্রীরা বাসে উঠতে না পেরে ক্ষোভে কয়েকটি বাস ভাঙচুরও করেন।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, লকডাউনের খবর শুনে সকাল থেকে টার্মিনালগুলোতে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। তবে ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা রাখতে গিয়ে সবাইকে টিকিট দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। দৈনিক প্রায় ১০ হাজার বাস রাজধানী থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যায়। স্বাস্থ্যবিধি কতটুকু মানা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দূরপাল্লার বাসগুলোতে আসন ফাঁকা রাখা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার অনেকটাই মানা হচ্ছে। তবে ঢাকা নগরীর ভেতরে বাসগুলোতে এটি মানা যাচ্ছে না। মহানগরীর বাসগুলো একটু পরপরই থামে। তা ছাড়া যাত্রীরাও খুব একটা সচেতন নন।

ট্রেনের চাপ বিকেলে

এদিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে সকাল থেকেই ঘরমুখী যাত্রীদের ভিড় ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই ভিড় কিছুটা কমে আসে। রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, বিকেলের পর ভিড়টা আবার বেড়েছে।

লকডাউনের কারণে অনেকেই ছেড়ে যাচ্ছেন রাজধানী। কমলাপুর রেলস্টেশনে মানুষের বাড়তি ভিড় নিয়ন্ত্রণে নেই দৃশ্যমান পদক্ষেপ। বাড়ছে করোনা ঝুঁকি

আজ দুপুরে কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, টার্মিনালের কাউন্টারে টিকিট কাটার জন্য শ খানেক মানুষের দীর্ঘ লাইন। স্টেশনে মাইকিং করে স্বাস্থ্যবিধি মানতে সচেতন করা হচ্ছে। প্ল্যাটফর্মে ঢোকার আগেই প্রত্যেকের টিকিট চেক করা হচ্ছে। তবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা শরীরের তাপমাত্রা মাপার কোনো ব্যবস্থা নেই। প্ল্যাটফর্মগুলোতে ঢুকে যাত্রীরা অপেক্ষা করছেন। ট্রেন এলেই তাঁরা উঠে পড়ছেন। তবে ট্রেন ছাড়ার আগে জীবাণুনাশক ছিটানোর কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।

দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বেলা তিনটা ২০ মিনিট পর্যন্ত পাঁচটি ট্রেন স্টেশন ছেড়ে যায়। রাজশাহী কমিউটার, বনলতা এক্সপ্রেস, কালিয়াকৈর কমিউটার, কালনী এক্সপ্রেস ও উপকূল এক্সপ্রেস—পাঁচটি ট্রেনের একটিও স্টেশন ছাড়ার আগে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়নি। ট্রেনের বগিগুলোতে আসন ফাঁকা রাখার কথা। তাপানুকূল (এসি) বগিতে সেই চিত্র দেখা গেছে। তবে শোভন চেয়ার ও শোভন বগিগুলোতে আসন ফাঁকা দেখা যায়নি। বনলতা এক্সপ্রেস, কালনী এক্সপ্রেসের অন্তত সাতটি বগির প্রায় প্রতিটি আসনই পূর্ণ ছিল।

চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী বনলতা এক্সপ্রেসের যাত্রী রবিউল ইসলাম। তিনি তাঁর পরিবারের চার সদস্যকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যাচ্ছেন। একটি বেসরকারি আইটি ফার্মের এই কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, স্টেশনে ঢোকার সময় স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। ট্রেনের ভেতরেও সব কামরায় লোকজন স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসন ফাঁকা রেখে বসছেন না।

কমলাপুর স্টেশন কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছে, যাত্রা শুরুর আগে প্রতিটি ট্রেনের বগিগুলোকে জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করা হয়। এ ছাড়া স্টেশনে তিন ফুট দূরত্বে দাঁড়ানোর জন্য দাগ দেওয়া হয়েছে।

কমলাপুর স্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. মাসুদ সারোয়ার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, স্টেশনে বিকেলে এসে চাপটা আরও বেড়েছে। অফিস ছুটি হওয়ার পর মানুষ বাড়িতে যেতে চাচ্ছে। স্টেশনে আজ সারা দিনে ৭২টি ট্রেন ছেড়ে যাবে এবং আসবে। যেসব ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে, তার অধিকাংশই যাত্রীতে ঠাসা।


কয়েকটি ট্রেনে যাত্রী পূর্ণ থাকা ও স্বাস্থ্যবিধি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাসুদ সারোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ২৮ মার্চ সরকারি নির্দেশনা ঘোষণা করার আগেই এসব টিকিট বিক্রি হয়েছে। তাই অনেকে পাশাপাশি আসনে বসে ভ্রমণ করছেন। তবে সরকারি নির্দেশনা আসার পর থেকে পাশাপাশি আসনের টিকিট বন্ধ আছে। তাঁর দাবি, কমলাপুর স্টেশনে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য হ্যান্ড স্যানিটইজার, সাবানপানির ব্যবস্থা রাখা আছে।

আজ রোববার বেলা দুইটার পর থেকে ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনালে লঞ্চযাত্রীদের চাপ বেড়েছে। দুপুরে ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনাল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, প্রবেশপথে গাদাগাদি করে যাত্রীরা টার্মিনালে প্রবেশ করছেন। লঞ্চের ডেকে যাত্রীরা গাদাগাদি-ঠাসাঠাসি করে বসে আছেন। লঞ্চের বেশির ভাগ যাত্রী মাস্ক পরা অবস্থায় ছিলেন না। ঢাকায় ফেরা লঞ্চগুলো থেকে যাত্রীরা স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই নামছিলেন।

ঢাকা নদীবন্দরের নৌযান পরিদর্শক দিনেশ কুমার সাহা বলেন, রোববার বেলা দুইটা পর্যন্ত সদরঘাট টার্মিনাল থেকে ২৯টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে; আর সদরঘাটে লঞ্চ এসেছে ৬৭টি। ঈদ ছাড়া এ সময়ে টার্মিনালে যাত্রীদের এত ভিড় দেখা যায় না।

কাউখালীগামী বন্ধন-৫ লঞ্চের যাত্রী জুবায়ের হাসান বলেন, ‘গাদাগাদি করে যেভাবে লঞ্চের যাত্রীরা যাতায়াত করছেন, এতে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। আমরা যাত্রীরা সচেতন হলেই করোনার সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব। কিন্তু লঞ্চের বেশির ভাগ যাত্রী ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।’

অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার ঢাকা নদীবন্দরের আহ্বায়ক মামুন আল রশীদ বলেন, যাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় লঞ্চে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই লঞ্চে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, লঞ্চের ভেতর গাদাগাদি করে না বসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসার জন্য যাত্রীদের সতর্ক করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ রোধে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চমালিকদের যাত্রী পরিবহনের জন্য সতর্ক করা হয়েছে। লঞ্চঘাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের ব্যাপারে আমরা সার্বক্ষণিক চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে পুলিশের গুলিতে পুলিশ সদস্য নিহত


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
রবিবার, ০৯ জুন, ২০২৪, ০৮:২২
ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে পুলিশের গুলিতে পুলিশ সদস্য নিহত

ছবি সংগৃহীত

 

রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে পুলিশের গুলিতে আরেক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহত পুলিশ সদস্যের নাম মনিরুল ইসলাম। শনিবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। খবর শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, নিহত কনস্টেবল মনিরুল ও কাউসার আহমেদ ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে কর্তব্যরত ছিলেন। হঠাৎ তারা নিজেদের মধ্যে বাক-বিতন্ডায় ঝড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে কনস্টেবল কাউসার নিজের সঙ্গে থাকা রাইফেল দিয়ে গুলি করেন কনস্টেবল মনিরুলকে। গুলির বিকট শব্দে ডিপ্লোমেটিক এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।  ঘটনাস্থলেই মনিরুলের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এছাড়া জাপান অ্যাম্বাসির ড্রাইভার সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হন এবং তিনি বর্তমানে ইউনাইটেড হসপিটালে চিকিৎসাধীন আছেন।

ফিলিস্তিন দূতাবাসের এক নিরাপত্তারক্ষী বলেন, ঘটনার সময় আমরা দূতাবাসের ভেতরে ছিলাম। হঠাৎ ৭ থেকে ৮ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনে আমরা বাইরে আসি। বাইরে আসার পর কাউসারকে দেখি ফিলিস্তিনি দূতাবাসের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আর একটু দূরেই পড়ে ছিল মনিরুলের মরদেহ। তখন আমরা কাউসারকে জিজ্ঞেস করি, কী হয়েছে। তখন তিনি বলেন ‘শালা (মনিরুল) নাটক করতাছে এমনি মাটিতে পড়ে আছে।’ এই কথা বলে কাউসার দূতাবাসের বিপরীত পাশে রোডে চলে যায়‌। এরই মধ্যে সবাই বুঝে যায়, কাউসারই মনিরুলকে গুলি করেছে। এরপর ঘটনাস্থলে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা কাউসারকে আটক করেন এবং দায়িত্বরত পুলিশ বলছেন আক্রমণকারী কনস্টেবলকে নিরস্ত্র করা হয়েছে। বিস্তারিত ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে জানানো হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - সারাদেশ