a
ফাইল ছবি
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ৪টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ চলছে। বুধবার সকাল ৮টার দিকে ভোটগ্রহণ শুরু হয় এবং তা একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এই পৌরসভাগুলো হলো— যশোর ও ঠাকুরগাঁও সদর এবং মাদারীপুরের কালকিনি ও চাঁপাইনাবগঞ্জের শিবগঞ্জ। এই চার পৌরসভার দুটি সাধারণ ও বাকি দুটি ওয়ার্ডে উপনির্বাচন হচ্ছে।
গত বছর করোনা সংক্রমণের কারণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ বেশ কয়েকটি নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল।
আজ যশোর সদর পৌরসভা নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। প্রতীক বরাদ্দের পর বিএনপি প্রার্থী মারুফুল ইসলাম সরে দাঁড়ালেও ব্যালটে ধানের শীষের প্রতীক থাকছে। ফলে মেয়র পদে তিন প্রার্থী লড়ছেন। তবে অনেকটা ফাঁকা মাঠেই গোল দেওয়ার অবস্থা নৌকার প্রার্থী হায়দার গণি খান পলাশের।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে মাঠে আছেন ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখার প্রতীকের মোহাম্মদ আলী। এখানে ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানা গেছে। ভোটকেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তার ঘিরে সহিংসতার শঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভোট হচ্ছে। এর পরের নির্বাচনগুলোর বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
সোমবার করোনা সংক্রমণ বাড়ায় সরকারের পক্ষ থেকে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়। এর পর পরই সিইসির নেতৃত্বে কমিশনের এক অনির্ধারিত বৈঠক হয়।
দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছানোয় ১৮ দফা নির্দেশনা নিয়ে সেখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
বৈঠক সূত্র জানায়, আজকের ভোট স্থগিত নিয়েও আলোচনা হয়। তবে ব্যালট পেপার ছাপাসহ অন্য সব কার্যক্রম ইতোমধ্যে শেষ হওয়ায় এবং নির্বাচনের সংখ্যা কম হওয়ায় ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।
করোনা সংক্রমণ শুরুর পর গত বছর সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে পরবর্তী ৯০ দিনে করেছে ইসি। স্থানীয় সরকারের নির্বাচনও স্থগিত করা হয়। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় নভেম্বর থেকে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন শুরু হয়।
১১ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় লক্ষ্মীপুর-২ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন, প্রথম ধাপের ৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) এবং ষষ্ঠ ধাপের ১১টি পৌরসভাসহ আরও কয়েকটি নির্বাচন স্থগিত হতে পারে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার কমিশনসভায় এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
ফাইল ছবি
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লহ আল মামুন জানিয়েছেন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে যারা অপরাধ সংঘটিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিজি চৌধুরী আবদুল্লহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, সড়কে যানবাহন চলাচলে র্যাব কর্তৃক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, টহল ও তল্লাশী জোরদার করা হয়েছে, যাতে কোরবানির পশু পরিবহনকারী কোনো যানবাহনে চাঁদাবাজি না হয়।
পশু পরিবহনে ব্যাপারিরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো হাটে নামাতে পারেন। এ বিষয়ে কোনো সমস্য হলে র্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এর জন্য ব্যাপারিদের বলতে চাই, যানবাহনের সামনে গন্তব্যস্থলের নাম ব্যানারের মাধ্যমে উল্লেখ করুন। এতে সবার বুঝতে সুবিধা হবে। মাঝপথে কেউ আটকে হয়রানি করতে চাইলে র্যাব কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
রাজধানীর ৩০০ ফুট পূর্বাচল এলাকায় অবস্থিত কোরবানীর অস্থায়ী পশুর হাটের নিরাপত্তা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন শেষ সাংবাদিকদের রবিবার (১৮ জুলাই) এসব কথা জানান তিনি।
র্যাব ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন সাংবাদিকদের বলেন, এবছর ঈদুল আজহায় অনলাইনে প্রচুর গরু বিক্রি হচ্ছে। সেখানে যাতে কেউ প্রতারিত না হয় সেজন্য ভার্চুয়াল জগতেও র্যাবের নজরদারি ও পেট্রোলিং অব্যাহত রয়েছে। এরপরও কেউ যদি প্রতারিত হন, তবে র্যাবের সহায়তা গ্রহণ করুন। যাতে করে প্রতারকদের আমরা গ্রেফতার করতে পারি।
কোরবানির পশুর চামড়া ক্রয়-বিক্রয় প্রসঙ্গে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, একটি মুনাফালোভী চক্র চামড়ার ব্যবসায় ধস নামাতে নানা কার্যক্রম চালায়, তাদের বিরুদ্ধে র্যাবের কঠোর নজরদারি রয়েছে। দেশে কোরবানির চামড়া যাতে টেনারিমুখী হয় সেজন্য র্যাবের নজরদারি ও নিরাপত্তা অব্যাহত রয়েছে৷
র্যাব ডিজি বলেন, ঈদের ছুটিতে যে কোনো ধরনের অপরাধ দমনে র্যাব তৎপর থাকবে৷ যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা নিয়ন্ত্রণে র্যাব তৎপর থাকবে।
র্যাব ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন জানান, রাজধানীসহ সারাদেশে যেকোনো ঘটনায় হটলাইনে র্যাবের কাছে অভিযোগ জানানো যাবে। ঘটনা ও এলাকা ভেদে সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়নকে সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেয়া হবে। (হটলাইন নম্বর - ০২৫৫৬৬৯৯৯৯; ০১৭৭৭৭২০০২৯)। এছাড়াও র্যাবের ফেসবুক পেইজ, মিডিয়া সেল রয়েছে। কেউ অভিযোগ জানালে তাৎক্ষণিকভাবে র্যাব ব্যবস্থা নেবে।
র্যাব ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, গত বছর ও এবছর ভিন্ন পরিবেশে বৈশ্বিক মহামারির (করোনা ভাইরাস) মধ্য দিয়ে ঈদুল আজহা উদযাপন করছি। কোরবানির পশুর হাটে বিগত সময় র্যাবের পক্ষ থেকে যে ব্যবস্থা থাকতো, এবারও একই ব্যবস্থা থাকছে। তবে এর মাত্রা একটু ভিন্ন ধরনের হবে।
র্যাব ডিজি বলে, সাধারণত মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি, পশুর চামড়ার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়, চামড়া যাতে পাচার না হয় সে বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। এছাড়াও সাধারণ মানুষের গ্রামের বাড়িতে যাতায়াতের বিষয়ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর একটু ভিন্ন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে পশুর হাটে আগত ক্রেতা-বিক্রেতাদের সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। দেশে ক্রমবর্ধমান করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার থেকে দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ, মাস্ক পরিধান, নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। ইতিমধ্যে মাঠে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় শুরু হয়েছে। পর্যাপ্ত পশু (গরু-ছাগল) আছে। ক্রেতারাও আসছেন।
র্যাব ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, উৎসবগুলোতে দেখা যায়, কোরবানির পশুর হাটে জালনোটের ছড়াছড়ি হয়। এক শ্রেণির প্রতারক চক্র সাধারণ মানুষকে ঠকানোর চেষ্টায় লিপ্ত থাকে। রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে জালনোটের শনাক্তকরণ মেশিন রয়েছে। র্যাবের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় এই বুথ স্থাপন করা হয়েছে। কারও কোনো সন্দেহ হলে আমাদের সহযোগীতা গ্রহণ করুন। নিজে সচেতন হোন এবং প্রতারকদের হাত থেকে সাবধানে থাকুন।
র্যাব ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আরও বলেন, ইতিমধ্যে র্যাব অভিযানে বাড্ডা, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, চট্টগ্রাম, রাজশাহীর নাটোরে প্রচুর পরিমাণ জালনোট উদ্ধার করা হয়েছে। এই সময় সবাই সচেতনতার সঙ্গে টাকা লেনদেন করুন। প্রতারিত হওয় থেকে নিজে সচেতন হোন। জনসমাগমে চুরি, ছিনতাই করতে অপরাধীরা চেষ্টা চালায়। এই কারণে হাটকেন্দ্রিক বিভিন্ন স্থানে অজ্ঞানপার্টি, মলমপার্টি চোর-ছিনতাইকারীসহ অপরাধীদের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযানে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন অপরাধীকেও আমরা গ্রেফতার করেছি।
ফাইল ফটো: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
ভারতে করোনা সংক্রমণের হার উত্তরোত্তর বেড়ে যাওয়ায় সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল বৈঠক ডেকেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআই এর খবর মতে, আগামীকাল বুধবার দুপুরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
গত জানুয়ারি মাসে করোনার টিকা কর্মসূচি শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদি মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে বৈঠক করেছিলেন। তার আগে করোনা মহামারী শুরুর পর নিয়মিতভাবে বৈঠক করতেন তিনি।
উল্লেখ্য, ভারতের করোনার সংক্রমন সবচেয়ে বেশি রাজ্যগুলো হচ্ছে মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, কর্নাটক, গুজরাট, তামিলনাড়ু। করোনার ভয়াবহতার কারণে অনেক অনেক রাজ্যগুলোতে নতুন করে লকডাউন আরোপ করা হয়েছে।