a
ঈদুল ফিতরে এবার প্রায় ৬৫ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। দেশের একটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এবারের ঈদে প্রায় ৬৫ লাখ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন।
ওই মোবাইল কোম্পানির অপারেটর তাদের তথ্যভান্ডার ও কল প্রবণতা বিশ্লেষণ করে এ হিসাব গণমাধ্যমকে জানিয়েছে। সংখ্যাটি ‘ইউনিক ইউজার’ ধরে। এর মানে হলো, এক ব্যক্তির একাধিক সিম থাকা সত্ত্বেও তাকে একজন গ্রাহক হিসেবেই গণ্য করা হয়েছে।
এর আগে (১২ মে) বুধবার ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ৪ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত একটি হিসাব তুলে ধরে তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন।
এতে তিনি লেখেন, করোনার সামনের দিনের সম্ভাব্য কিছু ভয়ংকরতার তথ্য তুলে ধরছি। গত ৪ থেকে ১১ মে পর্যন্ত ঢাকা থেকে ঢাকার বাইরে গেছে ৬০ লাখ ৭২ হাজার ১৭৮ জন মানুষ। এর মধ্যে গ্রামীণের সিম ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪৯ লাখ ২৪ হাজার ৯৯২ জন। রবি সিম ব্যবহারকারী মানুষের সংখ্যা ৫ লাখ ২৮ হাজার ৩৯৩ জন, বাংলালিংক সিম ব্যবহারকারী মানুষের সংখ্যা ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৯১৩ এবং টেলিটক সিম ব্যবহারকারী মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮০৩ জন।
তবে মোবাইল ফোন বা ফোনের সিম ব্যবহার ধরে তৈরি করা এই হিসাবের আওতায় মুঠোফোন ব্যবহার করেন না, এমন মানুষ ও শিশুদের হিসেব করা যায়নি। আবার এক ব্যক্তির একাধিক মোবাইল ফোন থাকতে পারে, সে ক্ষেত্রেও এই হিসাবে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য যে, এবার ঢাকা ছাড়ে যাওয়া মুঠোফোন গ্রাহকের সংখ্যাটি গত বছরের করোনা ঠেকাতে দেওয়া সাধারণ ছুটির সময়কার তুলনায় কম। করোনা সংক্রমণরোধে গত বছর ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ১ কোটি ১০ লাখ মুঠোফোন ব্যবহারকারী মানুষ ঢাকা ছেড়ে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
ফাইল ছবি
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেছেন, এখন যারা নতুন করে করোনা পজিটিভ হবেন তাদের বাড়িতে লাল পতাকা উড়াতে হবে এবং হোম কোয়ারেন্টিন করতে হবে।
রোববার বিকালে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে শর্তসাপেক্ষে সার্বিক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ওপর আলোচনা সভায় মোবাইল ফোনে যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসজনিত রোগ বিস্তার রোধে শর্তসাপেক্ষে ১৮টি নির্দেশনা দিয়েছেন। এ নির্দেশনা সবাইকে মানতে হবে।
নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করলে আমরা আবারও করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে আসতে পারব।
ফাইল ছবি
চীন বাংলাদেশকে আরও ৬ লাখ ডোজ করোনার ভ্যাকসিন উপহার হিসেবে দিচ্ছে। এই টিকা বাংলাদেশকে দেওয়া চীনের এই টিকা দ্বিতীয় উপহার। শুক্রবার (২১ মে) ঢাকার চীনা দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের কাছে টিকার জন্য কূটনৈতিক পত্র দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ টেলিফোনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনকে বাংলাদেশেকে ছয় লাখ টিকা উপহার দেওয়ার কথা জানান চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
চীনের দূতাবাস থেকে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশের করোনা মহামারির সর্বশেষ পরিস্থিতির দিকে চীন গভীর নজর রাখছে। মহামারির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের লড়াইয়ের গুরুত্বপূর্ণ এ সময়ে টিকা জরুরি প্রয়োজন সম্পর্কে উদ্বিগ্ন চীন।
দূতাবাস সূত্রে জানায়, বাংলাদেশে উপহারের প্রথম চালানের ৫ লাখ টিকা আসার ৯ দিনের মাথায় আরও ৬ লাখ টিকা উপহারের ঘোষণা দিয়েছে চীন। এতে প্রমাণিত হয় চীন বাংলাদেশের সঙ্গে তার বন্ধুত্বের সম্পর্ক কত গভীর! চীন বিশ্বাস করে, চীনের দ্বিতীয় ধাপের উপহারের টিকা বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাড়তি শক্তি হিসেবে কাজে দেবে।
ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে মহামারির বিরুদ্ধে চীন অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। চীন বাংলাদেশের সঙ্গে মহামারি বিরোধী সহযোগিতা আরও জোরদার করবে এবং দুই দেশের জনগণের স্বাস্থ্য ও জীবন নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় সব ধরণের সহযোগিতা করে যাবে চীন।