a
ফাইল ছবি: কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী নেতৃবৃন্দ
নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত ও এক দফা দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের প্লাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’।
গতকাল বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।
বিবৃতিতে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সোয়াটের ন্যক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত ও এক দফা দাবিতে ১৮ জুলাই সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করছি।'
তিনি আরো বলেন, 'বৃহস্পতিবার শুধু হাসপাতাল ও জরুরি সেবা ব্যতীত কোনো প্রতিষ্ঠানের দরজা খুলবে না, অ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত সড়কে কোনো গাড়ি চলবে না। সারা দেশের প্রতিটি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছি, কর্মসূচি সফল করুন।'
অভিভাবকদের উদ্দেশে আসিফ মাহমুদ বলেন, 'আমাদের অভিভাবকদের বলছি, আমরা আপনাদেরই সন্তান। আমাদের পাশে দাঁড়ান, রক্ষা করুন। এই লড়াইটা শুধু ছাত্রদের না, দলমত নির্বিশেষে এদেশের আপামর জনসাধারণের।' ছাত্রদের ডাকে অনেকে সাড়া দিয়ে রাস্তা গাড়ি বের করছেননা। অনেকে পায়ে হেঁটেই অফিসে যাচ্ছেন। দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা ছাত্রদের প্রোগ্রামের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে হাসিমুখে তারা পথ হাটছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
সংগৃহীত ছবি
দেশে বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপপ্রবাহ এবং বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পূর্বাভাস বলেছে, আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কয়েকটি জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোনো কোনো এলাকায় মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, যশোর ও খুলনা অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আরও বাড়তে পারে পারে। সারা দেশে তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বর্ধিত পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। পরের দুই দিন বৃষ্টিপাত কমতে পারে।
গতকাল শুক্রবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া দেশের সর্বাধিক তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মোংলায় ৩৬ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশাপাশি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১৯ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস।
লিওনেল মেসির খেলা গোটা দুনিয়া মুগ্ধ নয়নে দেখে। এমনকি তাঁর খেলা দেখার লোভ সামলাতে পারেন না সতীর্থরাও। ইন্টার মায়ামিতে মেসির কানাডিয়ান সতীর্থ কামাল মিলার নিজেও বলেছেন, মেসির খেলা দেখতে গিয়ে তিনি নিজের খেলা মনোযোগ দিতে পারেন নাই।
মেসিকে দেখে মুগ্ধতার কথা জানাতে গিয়ে কামাল আরও বলেছেন, ‘মেসি মাঠে না থাকলে আমরা বুঝে যাই নিজেদের খেলার মানটা বাড়াতে হবে। সে মাঠে থাকলে আমরা ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে নিই এবং জায়গা তৈরি করি। ম্যাচটা তখন যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রণ করাই হয় আমাদের কাজ। (মাঠে) কখনো কখনো নিজের দায়িত্ব ভুলে মেসিকে দেখি। তার খেলা উপভোগ না করাটা খুব কঠিন, আর এর চেয়েও কঠিন হলো মাঠে তার মতো কেউ উপস্থিত থাকতে নিজের খেলায় মনোযোগ দেওয়া।’
মেসি যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর থেকেই তো চলছে ‘মেসিম্যানিয়া’। মায়ামির প্রতি ম্যাচেই টিকিটের দাম ওঠে আকাশচুম্বী। যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) অভিষেকেই গোল করা মেসি প্রতিদানও কম দিচ্ছেন না। মায়ামির হয়ে এ পর্যন্ত ৯ ম্যাচে করেছেন ১১ গোল। জিতিয়েছেন লিগস কাপের শিরোপাও।
এরপরও মেসিকে দেখে সতীর্থ কামাল মিলারের এতটুকু মনে হচ্ছে না, আর্জেন্টাইন তারকার আগমনে তাঁরা সবাই ঢাকা পড়েছেন। বরং কিংবদন্তির খেলায় অবদান রাখতে পেরে মেসির মায়ামি-সতীর্থরাও খুশি।
কামাল মিলারের কথায় তা–ই মনে হবে। এমএলএসে নিউইয়র্ক রেড বুলসের বিপক্ষে জয়ের পর মেসির নেতৃত্বগুণ এবং খুব কাছ থেকে তাঁর খেলা দেখা নিয়ে কথা বলেছেন কানাডার এই ডিফেন্ডার। আর্জেন্টাইন তারকা এখন মায়ামিতে তাঁর বাকি সতীর্থদের নিয়ন্ত্রণ করছেন—নিন্দুকেরা এর আগে এমন মন্তব্যও করছেন।
সংবাদমাধ্যমে তার জবাবে কামাল মিলার বলেছেন, ‘মেসি যে দলে খেলবে, সে দলকেই নেতৃত্ব দেওয়ার সামর্থ্য রাখে। তাই লোকে যখন বলে সে আমাদের পরিচালিত করছে, সেটা আমাদের জন্য মোটেও অপমানজনক কিছু নয়।’ সূত্র: প্রথম আলো