a
ফাইল ছবি
আগামী রবিবার (২ মে) গণপরিবহন চালুসহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ করবে পরিবহন শ্রমিকরা। শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলী তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, রমজান মাস প্রায় শেষের দিকে। সামনে ঈদ। এই অবস্থায় সড়ক পরিবহন এর প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক কর্মহীন অবস্থায় থাকায় তাদের জীবিকা নির্ভর অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে।
এই অবস্থায় সড়ক পরিবহন শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে আসলে তার দায়দায়িত্ব বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন বহন করবে না। এই প্রেক্ষিতে আমাদের তিন দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের দাবিও কর্মসূচি হলো;
১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহনও পণ্য পরিবহন চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।
২. সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করতে হবে।
৩. সারা দেশে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলোতে পরিবহন শ্রমিকদের জন্য ১০ টাকায় ওএমএস এর চাল বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলী আরও বলেন, আমাদের এই তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে আগামী ২ মে রবিবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল এবং ৪ মে মঙ্গলবার সারাদেশে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আরও বলেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকার কথা থাকলেও আমরা লক্ষ্য করেছি যাত্রীরা অটোরিকশা, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও মিনি ট্রাক মোটর সাইকেলে স্বাস্থ্যবিধি নামেনি যাত্রী পরিবহন করছে। এমনকি নদীপথে স্পিডবোর্ড ও ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ধারণক্ষমতার চেয়ে চার গুণ বেশি যাত্রী এবং অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে যাত্রী বহন করা হচ্ছে।
যাত্রীরা দূর-দূরান্তে চলাচলের জন্য করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এবং অতিরিক্ত অর্থব্যয় করে নানান হয়রানির শিকার হয়ে যাতায়াত করছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালু করা হলে যাত্রীরা সব ধরনের ঝুঁকি ছাড়াই চলাচল করতে পারবেন। আমরা গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। শুধুমাত্র গণপরিবহন বন্ধ রেখে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণ হবে না।
ফাইল ছবি । নিশতিয়াক আহমেদ রাখি
ঢাকা ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মাদারবক্স হলের সাবেক এজিএস নিশতিয়াক আহমেদ রাখি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
মাত্র ৫২ বছর বয়সে আজ ভোর ৭টায় গ্রীন লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে জানান তার পরিবার।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন রাখি। তিনি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক পদে দায়িত্ব পালন করেন। তার মৃত্যুতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাবেক সংসদ সদস্য নাদিম মোস্তফা প্রমুখ শোক প্রকাশ করেছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার ডেঙ্গজ্বরে আক্রান্ত হয়ে স্ত্রী, দুই ছেলেমেয়েসহ গ্রীন লাইফ হাসপতালে ভর্তি হন। গতকাল অবস্থা খারাপ হলে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। আজ সকাল ৭টায় তার মৃত্যু হয়।
নিশতিয়াক আহমেদ রাখির বাবা হামিদ সাহেব ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ব্যক্তি জীবনে নিশতিয়াক আহমেদ রাখি অনেক সহজ সরল ও বন্ধু-বৎসল ছিলেন। এলাকায় সকল ধরণের মানুষের সাথে তার উঠাবসা ছিল। গরীব, অসহায় ব্যক্তিদের তিনি উদারহস্তে সাহায্য করতেন।
১/৬, পূর্ব বাসাবো পৈত্রিক বাসার পাশে কদমতলা স্কুল এন্ড কলেজের সন্নিকটে নিজ ফ্লাটে বসবাস করছিলেন। তার স্ত্রী সরকারি স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক এবং দুই মেয়ে ও ৪ বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
ফাইল ছবি
বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর বেশি মানুষের মৃত্যু হয় হৃদরোগে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানুষ যখন বার্ধক্যের দিকে যায় তখন শরীরচর্চার অভাব এই ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়। অথচ সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, দৈনিক মাত্র ২০ মিনিটের শরীরচর্চাও ৭০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে হৃদরোগের আশঙ্কা কমিয়ে দিতে পারে অনেকটাই।
এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, যদি আগে থেকে শরীরচর্চার অভ্যাস না থাকে তবুও বার্ধক্যে পৌঁছে শুরু করা যেতে পারে শরীরচর্চা। শুধু শারীরিক কসরতই নয়, সুফল মিলবে নিয়মিত হাঁটা, বাগানের পরিচর্যা করা, সাইকেল চালানো কিংবা সাঁতার কাটার মতো কাজেও।
শরীরচর্চা যে হৃদরোগের বিরুদ্ধে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার তা জানা ছিল আগে থেকেই, কিন্তু বেশি বয়সে গিয়ে শরীরচর্চা শুরু করলে তা আদৌ কতটা কার্যকরী হতে পারে সেটি নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন না বিশেষজ্ঞরা।
দুই হাজার ৭৫৪ জন ব্যক্তির ওপর করা এই গবেষণা বলছে, এই গবেষণা চলাকালীন সময়ে এক হাজার ৩৭ জনের মধ্যে কোনও না কোনও হৃদযন্ত্রের সমস্যা দেখা গিয়েছে। কিন্তু নিয়মিত কাজকর্ম ও শরীরচর্চা করা মানুষদের ক্ষেত্রে সংবহনতন্ত্রের রোগের ঝুঁকি ছিল অনেকটাই কম।
দেখা গেছে, যারা এই ধরনের কোনও শরীরচর্চা করেন না তাদের তুলনায় শরীরচর্চা করা ব্যক্তিদের রোগের ঝুঁকি প্রায় ৫২ শতাংশ কম। সব মিলিয়ে গবেষকদের পরামর্শ, যদি আগে থেকে শরীরচর্চা করার অভ্যাস না থেকে থাকে, তবুও সুস্থ থাকতে বার্ধক্যে পৌঁছে অবশ্যই শুরু করা উচিত নিয়মিত শরীরচর্চা। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান