a
সংগৃহীত ছবি
ডিম ফুটে ২৮টি অজগরের বাচ্চা বেরিয়ে এলো চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়। প্রায় ৬৭ দিন ধরে কৃত্রিম পরিবেশে ইনকিউবেটরে রাখা হয়েছিল ৩১টি ডিম। সেখান থেকে মঙ্গলবার ২৮টি বাচ্চা ফুটেছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
আজ বুধবার (২৩ জুন) চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ও চিকিৎসক শাহাদাৎ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, চিড়িয়াখানায় অজগররা খাঁচায় ডিম পাড়ার কারণে অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়। তাই চিড়িয়াখানার একটি অজগরের সেই ৩১টি ডিম খাঁচা থেকে সংগ্রহ করা হয়। এর পর হাতে তৈরি ইনকিউবেটরে ৬৭ দিন ধরে বিভিন্ন তাপমাত্রায় রাখা হয়। তার মধ্যে ২৮টি ডিম ফুটে বাচ্চা হয়েছে। আর তিনটি ডিম নষ্ট হয়।
শাহাদাৎ হোসেন বলেন, সাপের বাচ্চাগুলোকে চামড়া বদল না করা পর্যন্ত রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে ইনকিউবেটরে রেখেই। চামড়া বদল বা খোলস পরিবর্তনের পর এগুলোকে খাবার দিতে হবে। এর পর বাচ্চাগুলোর ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সঙ্গে পরামর্শ করে বন্য পরিবেশে ছাড়া হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের জুনে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় হাতে তৈরি ইনকিউবেটরে ডিম থেকে অজগরের ২৫টি বাচ্চা ফোটানো হয়, পরে সেগুলোকে বন্য পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়েছিল।
ফাইল ছবি
জাতীয় সংসদকে খাটো করতে বিএনপি মো. আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমকে উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছিল বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দিয়েছেন। তার এ বক্তব্যকে ‘ঘৃণ্য মন্তব্য’ দাবি করেছেন বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে অল্প ভোটে হেরে যাওয়া এই স্বতন্ত্র প্রার্থী (একতারা প্রতীক)।
শনিবার রাত ৯টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন তিনি।
হিরো আলম বলেন, 'আমার কথা আমাকে বিএনপি কেন দাঁড়িয়ে দিবে? তাহলে তো আমি বিএনপির সাইনবোর্ড নিয়ে ভোট করতাম। ভোটকেন্দ্রে দেখছেন বিএনপির কোন নেতা আমাকে সাহায্য করেছে। তারা কি মাঠে আমার পাশে ছিল? ছিলনা। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করেছি। আমাকে কিন্তু বিএনপি ভোটে দাঁড় করিয়ে দেয়নি।'
তিনি আরও বলেন, 'ওবায়দুল কাদের বলেছেন হিরো আলম জিরো হয়েছেন। এটা তিনি ভুল বলেছেন। হিরোকে কেউ কোনদিন জিরো বানাতে পারে না। হিরো হিরোই থাকে। কারণ আমাকে জিরো কেউ বানাতে পারেনি, পারবেও না। হিরোকে যারা জিরো বানাতে এসেছে তারাই জিরো হয়েছে।'
বিএনপির কাঁধে ভর করে হিরো আলম এসেছেনে এ কথাও ওবায়দুল কাদেরের ভুল বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, হিরো আলম কারো কাঁধে ভর করে চলে না।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বলেন, 'এই সরকার অসহায় হয়েছে কিনা তা আমি জানিনা। কিন্তু হিরো আলম অসহায় হয়েছে।'
হিরো আলম বলেন, 'আমার যে ভোট, ভোটের ফলাফল যে কেড়ে নেওয়া হল সেই বিচার আমি কার কাছে দিবো? প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি বিচার দিলাম, আমার ভোট সুষ্ঠুভাবে হলো কিন্তু আমার ভোটের ফলাফল সুষ্ঠুমতো দেওয়া হলো না কেন।'
তিনি বলেন,'অনেকে বলছেন, পার্লামেন্টকে ছোট করা হবে, হিরো আলম নির্বাচন করলে...। তাহলে পার্লামেন্টে যেতে হলে কিছু আইন করতে হবে। যার যোগ্যতা নেই সে যেতে পারবে না। যার লেখাপড়া নেই সে সংসদে যেতে পারবে না।'
তিনি বলেন, 'আর একটা বিষয়ে আইন করছেন। যারা ভোট করবে স্বতন্ত্রভাবে তাদের ১ শতাংশ ভোটার তালিকা লাগবে। যদি তাই হয়, তাহলে দলীয়ভাবে যারা করবে তাদের ১ শতাংশ লাগে না কেন? আইন সবার জন্য সমান। তাহলে আইন চেঞ্জ করতে হবে। যারা দলীয়ভাবে বা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবেন, তাদের সবার ১ শতাংশ ভোটার তালিকা দিতে হবে। না হলে ১ শতাংশ তুলে দিতে হবে।'
লাইভে হিরো আলম সবার উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। তিনি বলেন, ‘আমি হিরো আলম চ্যালেঞ্জ করছি সুষ্ঠু নির্বাচন দেন। প্রতি সেন্টারে সিসি ক্যামেরা দেন। বুথে সিসি ক্রামেরা দেন। ইভিএম দিবেন না। কারণ ইভিএম হলো চোর। বাইরের দেশে ইভিএম ডাস্টবিনে ফেলে দিছে। সেটা আমাদের দেশ কুড়িয়ে নিয়ে এসে ভোট করছে। এখানেও কারচুপি হয়। ইভিএমের টিপি মারলে একটায় যায় আরেকটায়।’
লাইভের শেষের দিকে তিনি বলেন, ‘আমি হিরো আলম কোনো দলের সাথে জড়িত না। না বিএনপি, না আওয়ামী লীগ, না অন্য কোনো দল। তাই আপনারা আমাকে নিয়ে কোনো মাখামাখি করবেন না। আপনারা একজন আরেকজনকে দোষ দিবেন না আমাকে নিয়ে।’ সূত্র: সমকাল
ফাইল ছবি
রাজ্যে শেষ হয়েছে ভোটগ্রহণ পর্ব। এইবার পুরো রাজ্য তাঁকিয়ে আছে ২ মে’র দিকে। এদিকে শুক্রবার দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক সারলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তাদেরকে একাধিক পরামর্শ দিলেন তৃণমূল নেত্রী।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা দলীয় কর্মীদের বললেন, ‘ভোট গণনার শুরু থেকেই শেষ পর্যন্ত সেই কেন্দ্রে থাকতে হবে, কোনও অবস্থাতেই গণনাস্থল ছেড়ে বেরিয়ে আসা যাবে না, টেবিল আঁকড়ে শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে।’ ভোট গণনা কেন্দ্রে অন্য দলের কারও কাছ থেকে কোনও রকম খাবার না নেওয়ারও কথা বলেন তিনি।
আজ শুক্রবার বেলা ৩ টার আগে কালীঘাটে শুরু হওয়া বৈঠকে সেই কথা মাথায় রেখেই দলীয় প্রার্থী ও এজেন্টদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘কোনও অবস্থাতেই গণনা কেন্দ্র ছেড়ে যাবেন না’। এদিনের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও বলেন, একাধিক সংবাদমাধ্যমের সাথে বোঝাপড়া হয়েছে গেরুয়া শিবিরের (BJP)।
তাই ভোট গণনার শুরু থেকেই হয়ত এটা দেখা যাবে যে, বিজেপি এগিয়ে। মমতা বলেন,চিন্তার কোনও বিষয় নেই। দিনের শেষে তৃণমূলই জিতবে। তাঁর কথায়, ভোট গণনা কেন্দ্র ছেড়ে যাওয়া মানে ময়দান ছেড়ে দেওয়া। মমতা জোর দিয়ে বলেন, ‘নিশ্চিত যে আমাদের প্রচুর আসন আসবে।’