a
ফাইল ছবি
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে উজানে ভারতের গাড়ো পাহাড় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল, বর্ষণ, নদ-নদীর পানি হু হু করে বৃদ্ধি ও নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে তীর ব্যাপক ভাঙনের কারণে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
চিকাজানী ইউপির দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ী সড়কের মন্ডল বাজারের পশ্চিমাংশে ৩০০ মিটার সড়ক যমুনা নদীর ভাঙনে এরই মধ্যে বিলীন হয়েছে। ফলে শুক্রবার থেকে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় এই সড়কে।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন চলাচল করতো ওই সড়কে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ভাঙ্গনস্থল পরিদর্শনে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম আব্দুল্লাহ বিন রশীদ ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এনামুল হাসান।
গত এক সপ্তাহ ধরে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুক্রবার পাউবো সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছাকাছি পানি। সদরসহ আট ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে রোপা ধান, বীজতলা, শাকসবজির বাগান ও অন্যান্য ফসল তলিয়ে গেছে। শুক্রবার সকালে চিকাজানী ইউপির মন্ডল বাজার সড়কের ৩০০ মিটার ভেঙে গেছে।
এতে পশ্চিমের খোলাবাড়ী, চর বাহাদুরাবাদ, ফারাজীপাড়া, নয়াগ্রাম, ডাকাতিয়া, হাজারিগ্রাম, এরেন্ডাবাড়ীসহ অন্তত ১০ গ্রামের মানুষের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
এদিকে হাতিভাঙ্গা ইউনিয়নের কাঠার বিল ব্রীজসংলগ্ন প্রধান সড়কের বেশির ভাগ ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপক্রম হয়েছে বলে জানা গেছে।
ছবি :মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুরো জেলা মাদকে সয়লাভ হয়ে উঠছে। দেশের মানুষ এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে চেনে মাদকের আখড়া হিসেবে। আর মাদকের মাতৃভূমি হিসেবে ইতিমধ্যে আখ্যা পেয়েছে এই জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন।
গত ১২ই এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখে সিঙ্গারবিল ইউনিয়নে মাদক বিরোধী অভিযানে প্রায় ৫০৩ বোতল নিষিদ্ধ ভারতীয় এসকাপ সিরাপ, ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয় এবং কুখ্যাত ও চিহ্নিত ১২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করা হয়। জেলার বিজয়নগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং ২৫ বিজিবি সিঙ্গারবিল বিওপি'র সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স টীম বিজয়নগরে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এই অভিযানে ১২ কুখ্যাত ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মাদকদ্রব্য আইন, ২০১৮ অনুযায়ী মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিদিন বিকেলে ও সন্ধ্যার সময় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মোটর সাইকেল যোগে অনেক যুবক শ্রেণীর মানুষ নলগড়িয়া গ্রামে আসে। তারা ফেন্সিডিল, নিষিদ্ধ ভারতীয় এসকাপ সিরাপ ও গাঁজা সেবন ও ক্রয় করতে আসে। এলাকার রাস্তার পাশের বাগান এবং পবিত্র কবরস্থানে খাবার পর খালি বোতল ফেলে রেখে চলে যায়। এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে বহিরাগত মাদক সেবীদের কারনে। কিন্তু প্রশাসন একদম নিরব ভুমিকা পালন করছেন। অনেকেই মনে করছেন প্রশাসনের নাকের ডগায় চড়ে কিভাবে মাদকসেবীরা দিনের পর দিন এই কাজ করতে পারে?
এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে কোন পোস্টার বা ব্যানার লাগানো যায় না। রাতের আঁধারে ছিঁড়ে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। বিজয়নগর থানা এবং চম্পকনগর পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এলাকার জন্য পুলিশ বা প্রশাসনকেন্দ্র অনেক দূরে। তাই এলাকাবাসী মনে করছেন সিঙ্গারবিল, কাশিনগর, নোয়াবাদি বা মেরাসানির আশেপাশে পুলিশ ফাঁড়ি হওয়া প্রয়োজন।
এর আগে বহুল প্রচারিত দৈনিক মানবজমিন এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর প্রতিনিধি আমিরজাদা চৌধুরীর বরাত দিয়ে জানা যায় আরও ভয়ংকর চিত্র। মানবজমিনে প্রকাশিত হয় মাদক নিয়ে এই এলাকার ভয়ংকর তথ্য চিত্র।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর সীমান্ত দিয়ে দিন দিন বাড়ছে মাদক চোরাচালান। এ অঞ্চলের ৩১ কিলোমিটার সীমান্তের ১৫টি স্পট দিয়ে নিয়মিত মাদক পাচার চলছে। অন্তত ৬ শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী সক্রিয় রয়েছে। অথচ মাদক মামলায় আসামি হয় মাত্র ৩-৪ জন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর তাদের নামে মামলা দিয়েই দায়িত্ব খালাস করছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ভারতের ত্রিপুরার মধুপুর পাহাড়ে উপজাতিরা গাঁজা চাষ করে। সেখান থেকে আগরতলার বামুটিয়া ও বিমানবন্দর থানার বগাদী নারায়ণপুরের ভাগলপুর নরসিংগর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর সিংগারবিল ইউনিয়নের নলগুড়ীয়া, কাশিনগর, নোয়াবাদী, মেরাশানী, বিষনপুরের কালাছড়া, কাশীমপুর, পাহাড়পুর ইউনিয়নের বামুটিয়া, চানপুর, ধোড়ানাল, শিয়ালউড়ী, ছড়ারপাড়, শানিপুর মকন্দপুর কামাল মুড়া, লেজামুড়া দিয়ে মাদক চালান আসে। প্রতি রাতে অন্তত ৫-৭ হাজার কেজি গাঁজা প্রতিকেজি কেনার পর বাংলাদেশি টাকায় ৫০০০ টাকা কেজি।
এসব কর্মকাণ্ড থেকে এলাকাবাসী কবে মুক্তি পাবে সেই প্রশ্নের উত্তরে নীরব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রশাসন। এলাকাবাসী এর আসু প্রতিকার চান।
ফাইল ছবি
২০২১ আর্চারি বিশ্বকাপ স্টেজ-২’ এর রিকার্ভ মিশ্র ইভেন্টে ফাইনাল নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশের রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকী। বৃহস্পতিবার (২০ মে) সুইজারল্যান্ডের লুজানে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে কানাডাকে ৫-৩ সেটে পরাজিত করেন বাংলাদেশের এই দুই খ্যাতিমান আর্চারি খেলোয়াড়।
আগামী রবিবার (২৩ মে) স্বর্ণ জয় করতে হলে সানা-সিদ্দিক জুটিকে নেদারল্যান্ডসের বাধা টপকাতে হবে।
রিকার্ভ মিশ্র ইভেন্টের প্রথম রাউন্ডে ৫-৩ সেটে ইরানকে হারায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় রাউন্ডে শক্তিশালী জার্মানি পাত্তাই দেয়নি লাল-সবুজের টিমটি। ৫-১ সেটে হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নেয় বাংলাদেশ।
কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেনকে ৫-৪ সেটে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে কানাডার বিপক্ষে দাপটের সঙ্গে জয় তুলে ফাইনালের মঞ্চ আলোকিত করার অপেক্ষায় রোমান-দিয়া আর্চারি জুটি। তাদের এমন অর্জনে ক্রীড়াঙ্গনে প্রশংসায় ভাসছে বাংলাদেশ আর্চারি টিম।