a নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জে আগুনে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু: ফায়ার সার্ভিস
ঢাকা রবিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জে আগুনে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু: ফায়ার সার্ভিস


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শুক্রবার, ০৯ জুলাই, ২০২১, ০৩:৪৬
নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জে আগুনে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু: ফায়ার সার্ভিস

সংগৃহীত ছবি

নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে আগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৯ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের কারখানার দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা সাংবাদিকদের জানান, তৃতীয় তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। পরে তা খুব দ্রুতই আগুন ছড়িয়ে পড়ে ৬ তলা ভবনজুড়ে। তখন ভবনের বিভিন্ন তলায় কর্মচারী ও কর্মকর্তারা আটকা পড়ে। কেউ কেউ প্রাণ বাঁচাতে লাফিয়ে নিচে পড়ে আহত হয়।
 
ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট একেক করে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। কিন্তু বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে সময় লাগে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন ও মেইনটেনেন্স বিভাগের উপপরিচালক দেবাসীস রঞ্জন।

নিখোঁজদের স্বজনরা জানান, সন্ধ্যার পর থেকে কারো সাথে কোন যোগাযোগ হয় নাই।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

চট্টগ্রামে ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে আটকে মারধর, ২ জন সিএমএইচে


নিউজ ডেস্ক:
শুক্রবার, ২৬ মার্চ, ২০২১, ৯:৩০
চট্টগ্রামে ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে আটকে মারধর, ২ জন সিএমএইচে

সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্ররা থানা কার্যালয়, ভূমি অফিস ও ডাক বাংলোতে ভাংচুর চালায়। তাছাড়া মাদ্রাসাছাত্রদের বিরুদ্ধে অস্ত্র লুট ও ভূমি অফিসে অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগ উঠেছে। তারা চার পুলিশ কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে মারধর করেছে। তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় দুইজনকে সিএমএইচে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের বিরোধিতা করে মোদিবিরোধী বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনার জের ধরে হাটহাজারীতে সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্রদের বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এতে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাটহাজারী মাদ্রাসার তিন ছাত্র ও একজন পথচারী নিহত হয়েছে। এছাড়া পুলিশ ও মাদ্রাসা ছাত্রদের দফায় দফায় সংঘর্ষের মাদ্রাসার ছাত্র, পথচারী, সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী, থানা পুলিশ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে শুক্রবার জুমার নামাজের পর দুপুর আড়াইটার দিকে হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্ররা মাদ্রাসার সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি মাদ্রাসা এলাকা অতিক্রম করার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বাঁধা এড়িয়ে হাটহাজারী থানার সমানে গেলে তারা ফের বাঁধার সম্মুখীন হয়।

এ সময় উত্তেজিত মাদ্রাসাছাত্ররা থানা কার্যালয় লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের (মাদ্রাসা ছাত্র) ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ছুঁড়লে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদের মধ্যে তিন ছাত্র ও একজন পথচারীসহ চারজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দীন তালুকদার। তিনি জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় আহত অনেককে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

নিহতরা হলেন- হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্র কুমিল্লা জেলার মো. রবিউল ইসলাম, মাদারীপুর জেলার মো. মেহরাজুল ইসলাম, ময়মনসিংহ জেলার মো. আব্দুল্লাহ মিজান এবং পথচারী হাটহাজারী উপজেলার মো. জসিম।

মাদ্রাসা ছাত্র ও পথচারীসহ ৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ মাদ্রাসাছাত্ররা চার পুলিশ কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে মারধর করেছে। তাদের মধ্যে এএসপি (শিক্ষানবীশ) প্রবীর ফারাবী ও এসআই মেহেদী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সিএমএইচে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) শাহাদাৎ হোসেন।

তিনি বলেন, হঠাৎ থানায় হামলা করা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। তবে মাদ্রাসার বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের সামনে অবস্থান নেওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ভূমি অফিসের একটি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয়ায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন। তিনি বলেন, আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের হামলাকারীরা ভূমি অফিসে প্রবেশে বাধা দেয়। তারা শুধু ভূমি অফিস নয়, উপজেলার ডাক বাংলোতে ঢুকেও ব্যাপক ভাংচুর করেছেন হামলাকারীরা। প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মছিউদ্দৌল্লাহ রেজা বলেন, মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে ছাত্ররা বিনা উস্কানিতে থানায় হামলা চালায়। তারা থানা কম্পাউন্ডে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।

ঘটনার ব্যাপারে জানতে হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সদস্য মাওলানা ইয়াহিয়ার মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি অসুস্থ আছেন বলে জানান। তিনি কথা বলতে রাজি হননি।

তবে হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া নোমান ফয়েজী জানান, জুমার নামাজের পর মাদ্রাসার ছাত্ররা এ বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই ছাত্রদের ওপর গুলি ছুঁড়ে। এতে চারজন নিহত হয়। পরে পুলিশের সঙ্গে ছাত্ররা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ঘটনার খরব পেয়ে হাটহাজারীর এমপি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম রশিদুল হকসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্য ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।

চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, আমরা এ রকমের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। কারণ তারা প্রায়ই মিছিল করে। কিন্তু তারা আজ হঠাৎ থানা কার্যালয় লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করায় আমরা হতভম্ব। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

হাটহাজারীর এমপি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এ ঘটনায় যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী সঙ্গে কথা হয়েছে। ওনি চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে হাটহাজারীতে আসলে আমরা এ ব্যাপারে আলোচনায় বসবো।

এদিকে এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা হাটহাজারী মাদ্রাসার সামনে অবস্থান নিয়ে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। সন্ধ্যা নাগাদ পুলিশের সঙ্গে ফের সংঘর্ষে জড়ালে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। এছাড়া ঘটনাস্থলের আশেপাশে প্রচুর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়নের পাশাপাশি হাটহাজারী থানার সামনে প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন এবং একটি এপিসি ও একটি ওয়াটার ক্যানন মজুদ রাখা হয়েছে। হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ডে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়।

অন্যদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হাটহাজারীর এমপি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বে  হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষক ও হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মুফতি জসিম উদ্দিন, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব নাসির উদ্দিন মুনির, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইদরিসসহ একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের একটি বৈঠক চলছে বলে খবরে জানা গেছে। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

সিলেটে আবারও ভূমিকম্প অনুভূত


কাজল, সিলেট প্রতিনিধি:
রবিবার, ৩০ মে, ২০২১, ১০:৩৫
সিলেটে আবারও ভূমিকম্প অনুভূত

ফাইল ছবি

 

আবারও সিলেটে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রবিবার (৩০ মে) ভোর ৪টা ৩৫ মিনিট ৭ সেকেন্ডে দুই দশমিক ৮ মাত্রার এ ভূ-কম্পন অনুভূত হয়।

সিলেট আবহাওয়া ও ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাহমুদুল হাসান সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভূমিকম্পটি খুবই মাইনর ছিল। তাই এটি আমাদের ওয়েবসাইটে দেয়া হয়নি।

এর আগে শনিবার (২৯ মে) দেশের ইতিহাসে প্রথম একই অঞ্চলে একদিনে ৪ দফা ভূ-কম্পন অনুভূত হয়।

আবহাওয়া ও ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, শনিবার সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৩ মাত্রার, সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ৫৩ সেকেন্ডে ৪ দশমিক ১ মাত্রার, ১১টা ২৯ মিনিট ৫১ সেকেন্ডে ২ দশমিক ৮ মাত্রার এবং ১টা ৫৮ মিনিটে ৪ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল সিলেটের জৈন্তাপুর ও এর আশপাশে ছিল।
 
এর আগে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে একই এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ২০২০ সালের এপ্রিলে সিলেট অঞ্চলে আরেকটা ভূমিকম্প হয়। এগুলো ছোটমাত্রার ভূমিকম্প ছিল।

শনিবার (২৯ মে) সন্ধ্যায় ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকেবলেছিলেন, ‘সিলেট অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরেই ভূমিকম্পের ঝুঁকির মধ্যে। বিশেষ করে তিনটি প্লেটের সংযোগস্থলে বাংলাদেশ। সিলেটের জৈন্তায় আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। তবে সবগুলোই ছোটো ধরনের ভূমিকম্প।’

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ভূমিকম্পের প্রি-শক ও আফটারশক থাকে। অনেক সময় বড় ভূমিকম্পের আগে ছোট কম্পন হয়। আবার বড় ভূমিকম্প হলে তারপর ছোট ছোট কম্পন হয়। যেহেতু সিলেট অঞ্চল ভূমিকম্পপ্রবণ সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। তাছাড়া ওই অঞ্চলে বড় ভূমিকম্পের ইতিহাস আছে।’

এদিকে শনিবারের ভূমিকম্পে সিলেট নগরের পনিটুলার দুটি বহুতল ভবনে হেলে পড়েছে। রাতে ওই স্থান পরিদর্শন করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। পরে তিনি ওই বাসার সবাইকে রাতের মধ্যে সরিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানান।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - সারাদেশ