a
ফাইল ছবি
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় তিন দিনে ৬৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ১০ জনের বেশি।
মঙ্গলবার পঞ্চগড়ের এসপি এসএম সিরাজুল হুদা গনমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার ভোরবেলা থেকে আউলিয়াঘাটে পুনরায় উদ্ধারকাজ শুরু করেন ডুবুরি, ফায়ার সার্ভিসকর্মী ও স্থানীয়রা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মঙ্গলবার আরও ১৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ৪৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান দীপঙ্কর রায় বলেন, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে মরদেহ সৎকারের জন্য ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বোদার মাড়েয়া ইউনিয়নের করতোয়া নদীর অপরপাড়ে বদেশ্বরী মন্দিরে মহালয়া পূজা উপলক্ষ্যে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ধর্মসভার আয়োজন করা হয়। রোববার দুপুরের দিকে মূলত ওই ধর্মসভায় যোগ দিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নৌকাযোগে নদী পার হচ্ছিলেন। তবে ৫০-৬০ জনের ধারণক্ষমতার নৌকাটিতে দেড় শতাধিক যাত্রী ছিল। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে নদীর মাঝপথে নৌকাটি ডুবে যায়। অনেকে সাঁতরে তীরে আসতে পারলেও সাঁতার না জানা লোকজন এবং নারী ও শিশুরা পানিতে ডুবে যায়। ধারণা করা হচ্ছে— স্রোতের কারণে অনেক মরদেহ পানিতে ভেসে গেছে।
এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুদিনের উদ্ধার করা মরদেহের তালিকা থেকে জানা গেছে, অজ্ঞাত এক মরদেহ বাদে ৫০ মরদেহের মধ্যে ১৫ পুরুষ, ২৮ নারী, শিশু ১৮টি ও অজ্ঞাত তিন জন। বোদা উপজেলার ২৯ জন, দেবীগঞ্জের ১৮ জন এবং আটোয়ারী উপজেলা, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় সদরের একজন করে মারা গেছেন। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
চলতি মাসের ৩০ তারিখ থেকে বিদেশি টিভি চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপনমুক্ত (ক্লিন ফিড) সম্প্রচার বাস্তবায়নের কথা জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পাশাপাশি ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম শহর এবং ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সকল বিভাগীয় ও মেট্রোপলিটন শহর এবং দিনাজপুর, বগুড়া,কুষ্টিয়া, কুমিল্লা, রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজারে টেলিভিশন ক্যাবল নেটওয়ার্ককে ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনার সিদ্ধান্তও জানান তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার (০২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-এটকো, ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-কোয়াব, স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল ডিস্ট্রিবিউটর এবং ডাইরেক্ট টু হোম-ডিটিএইচ সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের একথা জানান। প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এবং সচিব মো. মকবুল হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, আইন অনুযায়ী আমাদের দেশে সকল বিদেশি টিভি চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপনমুক্ত (ক্লিন ফিড) সম্প্রচারের নিয়ম পালন, টিভি ক্যাবল নেটওয়ার্ককে ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনা এবং সংশ্লিষ্ট অসংগতি দূর করার উদ্দেশ্যে আমরা করোনা মহামারি শুরুর আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। যেহেতু দেশে স্রষ্টার কৃপায় এবং প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গণটিকার কার্যক্রমে ধীরে ধীরে করোনার প্রকোপ কমছে, সেই প্রেক্ষাপটে আজকে আমরা আগের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন এবং বর্তমান প্রেক্ষিত নিয়ে পুরো বিষয়টা আলোচনার জন্য বসেছি।
ড. হাছান জানান, ক্লিন ফিড বাস্তবায়নে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি ক্যাবল নেটওয়ার্ককে ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনার জন্য গ্রাহকদের অবহিত করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ দেশ ডিজিটাল হয়েছে কিন্তু এই ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি হওয়ার প্রয়োজন ছিল সেটি হয়নি, সেটি হতে হবে।
এছাড়া, ইন্টারনেটে ভিডিও স্ট্রিমের মাধ্যমে অনুমোদনহীন টিভি দেখানো, অবৈধ ডিটিএইচ সংযোগ, ক্যাবল নেটওয়ার্কে অবৈধ সিনেমা বা বিজ্ঞাপন প্রচার, একজনের এলাকার মধ্যে আরেকজনের অনুপ্রবেশ, লাইসেন্স ছাড়া ক্যাবল নেটওয়ার্ক পরিচালনা এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যেই পরপর দু’বছর নবায়ন না করায় ১২০০ কেবল অপারেটিং এবং ফিড লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রচার) মো. মিজান-উল-আলম, এটকোর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোজাম্মেল হক বাবু, জাদু ভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাভিদুল হক, ন্যাশনওয়াইড মিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফখরুদ্দিন মিয়া, কোয়াব প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তফা জামাল হায়দার, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রুজিনা সুলতানা, আইন কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান গাজী, ক্যাবল অপারেটরদের প্রতিনিধি এস এম আনোয়ার পারভেজ, এ বি এম সাইফুল হোসেন, এম ওমর ফারুক, মোহাম্মদ নাজমুদ্দোহা, বেক্সিমকো কমিউনিকেশনের প্রতিনিধি মো. মুসা আমিন, মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ বৈঠকে অংশ নেন।
ফাইল ছবি: ফাঁসির আসামি নূর হোসেন
গত ৫ জানুয়ারি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর কনডেম সেল থেকে নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার ফাঁসির আসামির নূর হোসেনের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর কনডেম সেলে বসেই সে মোবাইল চালাতো।
শুক্রবার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার আব্দুল জলিল বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং বলেন কনডেম সেলে নূর হোসেনসহ তিনজন বন্দি রয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার ফাঁসির আসামির সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন। আমরা জানতে পারি, নূর হোসেন কনডেম সেলে বসে গোপনে ফোন ব্যবহার করছেন। পরে তার কনডেম সেলে গত ৫ জানুয়ারি অভিযান চালানো হয়। সে সময় ওই কনডেম সেল থেকে একটি বাটন মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। ৭ খুন মামলায় নূর হোসেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
জেল সুপার আরও বলেন, কারাগারে মোবাইল ব্যবহারের অপরাধে তার নামে কারাবিধি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কীভাবে কারাগারের ভেতর মোবাইল আনা হয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকা থেকে নাসিকের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাত জনকে অপহরণের তিনদিন পর তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও তার চার সহকর্মী হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি মামলা করেন এবং সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়ির চালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে একই থানায় আরো একটি মামলা দায়ের করেন। সূত্র: বিডি নিউজ