a
ফাইল ছবি
নাটোরের গুরুদাসপুরে পিকআপ উল্টে নারীসহ ৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো ৩ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি পাঠানো হয়েছে।
রোববার দুপুর ২টার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলার কাছিকাটা মোড় এলাকায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিকআপটি উল্টে যায়।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক গণমাধ্যমকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ফাইল ছবি
ভারতের বর্ধিত শুল্কারোপের পেঁয়াজ দেশে আসার আগেই ব্যবসায়ীরা মূল্য বাড়িয়ে অস্থির করে তুলেছে বাজার। গত দু’দিনে আমদানি পর্যায়ে ১০ টাকা এবং খুচরায় কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত এর মূল্য বাড়ানো হয়। অতিমুনাফার লোভে অসাধু ব্যবসায়ীরা কাজটি করেছে।
স্থলবন্দরগুলোর কাস্টমসের তথ্য মতে, ভারতের রফতানি শুল্ক বাড়ানোর কোনো পেঁয়াজ এখন পর্যন্ত দেশে প্রবেশ করেনি। মূল্য বৃদ্ধির পরিস্থিতি সামাল দিতে দিনাজপুরে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
অপর দিকে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, চীন, জাপান, ইরান, মিসর ও তুরস্কসহ যে কোনো দেশ থেকে পেঁয়াজ আনতে চাইলে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে। সোমবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে আলাপ করেছি। তারা বলেছে আমরা বিষয়টি বিবেচনা করছি।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ আগস্ট শনিবার ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্কারোপ করেছে ভারত। অভ্যন্তরীণ বাজারে ক্রমবর্ধমান দাম নিয়ন্ত্রণে একটি ব্যবস্থা হিসাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সংবাদের পরপর বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দামে অস্থিরতা দেখা দেয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে পেঁয়াজের মূল্য দাঁড়িয়েছে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা কেজি। বেনাপোলের আমদানিকারক জান্নাত এন্টারপ্রাইজের মালিক আল মামুন গণমাধ্যমকে জানায়, সবশেষ ভারত থেকে ৩৮ থেকে ৪৬ টাকায় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। বর্ধিত শুল্কারোপের পর পেঁয়াজ আমদানি করলে তার মূল্য পড়বে কেজি প্রতি ৫৩ থেকে ৬৫ টাকা পর্যন্ত। অথচ পুরোনো আমদানিকৃত পেঁয়াজই বিক্রি হচ্ছে শতটাকা কেজি।
প্রশ্ন উঠেছে বাজার মনিটরিং দুর্বল ব্যবস্থা নিয়েও। এ প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, মনিটরিং দুর্বল না। আসলে খোলা বাজার অর্থনীতি। সেখানে বাজার কতটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কাজেই ইচ্ছা করলেই বাজার মনিটরিং করে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। বিষয়টি নির্ভর করছে চাহিদা ও সরবরাহের ওপর। আমরা কেন সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছি না। আসলে সিন্ডিকেট ভাঙা অনেক কঠিন। তবে পেঁয়াজ সেলফলাইফ বাড়াতে পারলে ভবিষ্যতে এ নিয়ে সমস্যা থাকবে না।
রাজধানীর পাইকারি আড়ত শ্যাম বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা। যা দুই দিন আগে ৬০-৬৫ টাকা ছিল। বিদেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬৫ টাকা, যা আগে ৪৫-৫৫ টাকা ছিল।
রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা। আর পাড়া-মহল্লার দোকানে ১০০ টাকা। গত দুই দিন আগেও ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর
ঢাকা জেলায় যে পরিমাণ টাকা আছে, সারা দেশ মিলিয়েও তা নেই। আবার ঋণ ও আমানতের পরিমাণের দিক দিয়ে সবচেয়ে পিছিয়ে বরিশাল। রংপুরের মানুষেরা ব্যাংকে যতটুকু আমানত রেখেছে, তার চেয়ে তাদের ঋণ বেশি। এ হিসাব বাংলাদেশ ব্যাংকের।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ব্যাংকগুলোর ঋণ ও আমানতের অঞ্চলভিত্তিক একটি চিত্র তুলে ধরে। দেখা যায়, দারিদ্র্যপ্রবণ বিভাগ রংপুরে মানুষের মাথাপিছু আমানত সবচেয়ে কম। মাথাপিছু আমানত বেশি ঢাকায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেশের ব্যাংকগুলোতে আমানত ছিল প্রায় ১০ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। পাঁচ বছর আগে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে আমানতের পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকা। বাজারে ব্যাংকের দেওয়া ঋণের পরিমাণ ৮ লাখ ৫৯ হাজার কোটি টাকা, যা পাঁচ বছর আগের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি।
কোন বিভাগে কত
বিভাগ হিসেবে আমানত ও ঋণ ঢাকায় বেশি। ঢাকা বিভাগের ব্যাংকের শাখাগুলোতে মোট আমানত এসেছে ৬ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা, যা দেশের মোট আমানতের প্রায় ৬১ শতাংশ।
এর পরে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। সেখানে আমানতের পরিমাণ ২ লাখ ২৮ হাজার কোটি টাকা, যা মোট আমানতের প্রায় ২২ শতাংশ। আমানতের দিক দিয়ে এর পরের অবস্থানে রয়েছে খুলনা। ওই বিভাগে আমানতের পরিমাণ ৪৩ হাজার কোটি টাকা।
এ ছাড়া সিলেটে ৪২ হাজার কোটি, রাজশাহীতে ৪০ হাজার কোটি, রংপুরে ২০ হাজার কোটি, বরিশালে সাড়ে ১৯ হাজার কোটি ও ময়মনসিংহে ১৫ হাজার কোটি টাকার আমানত রয়েছে।
আরো পড়ুন: হার্ট অ্যাটাক করে হাসপাতালে ভর্তি সৌরভ গাঙ্গুলি
ঋণ বিতরণের দিক দিয়েও ঢাকা স্বাভাবিকভাবেই এগিয়ে। এই বিভাগে দেশের ব্যাংক-ব্যবস্থার মোট ঋণের ৬৭ শতাংশ বিতরণ করা হয়েছে। পরিমাণের দিক থেকে তা ৫ লাখ ৭৯ হাজার কোটি টাকা।
চট্টগ্রামে ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা, যা মোট ঋণের প্রায় ১৯ শতাংশ। ঋণ বিতরণে এর পরে রয়েছে খুলনা, পরিমাণ প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা।
এ ছাড়া রাজশাহীতে প্রায় ৩৩ হাজার কোটি, রংপুরে ২০ হাজার কোটি, ময়মনসিংহে ১২ হাজার কোটি, সিলেটে ১০ হাজার কোটি ও বরিশালে ৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।
মাথাপিছু আমানতে পিছিয়ে রংপুর
বিভাগের আকার ও জনসংখ্যার কারণে পরিমাণগত দিক বিবেচনায় সঠিক চিত্র না-ও পাওয়া যেতে পারে। মাথাপিছু হিসাবই আসল চিত্র দেয়। সেদিক দিয়েও এগিয়ে ঢাকা। এই বিভাগে মানুষের মাথাপিছু আমানতের পরিমাণ দেড় লাখ টাকার মতো।
চট্টগ্রামে এর পরিমাণ ৭০ হাজার টাকা। এ ছাড়া সিলেটে মাথাপিছু আমানত ৩৭ হাজার, খুলনায় ২৪ হাজার, বরিশালে ২১ হাজার, রাজশাহীতে ১৯ হাজার, ময়মনসিংহে ১১ হাজার ও রংপুরে ১১ হাজার টাকার কিছু কম।
মাথাপিছু ঋণও ঢাকায় বেশি। এই বিভাগে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৩৯ হাজার টাকার মতো। চট্টগ্রামে মাথাপিছু ঋণ ৪৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া খুলনায় ১৯ হাজার, রাজশাহীতে ১৫ হাজার, রংপুরে ১১ হাজার, ময়মনসিংহে ১০ হাজার, বরিশালে ৯ হাজার ৭০০ ও সিলেটে ৯ হাজার টাকার মাথাপিছু ঋণ রয়েছে।
ব্যবসা-বাণিজ্য ঢাকাকেন্দ্রিক
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন জেলায় কলকারখানা ও ব্যবসা করলেও ঋণ নিয়েছেন রাজধানীর ব্যাংকের শাখাগুলো থেকেই। বেশির ভাগ চাকরিজীবী ঢাকায় অবস্থান করায় আমানতও এখানেই বেশি জমা পড়ছে।
এ জন্যই ঢাকায় বড় বড় করপোরেট শাখা খুলেছে ব্যাংকগুলো। আর এলাকার চেয়ে ঢাকার শাখাগুলোতে মিলছে অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা।
এদিকে চট্টগ্রাম বিভাগে বড় বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থাকলেও আমানত ও ঋণ সেভাবে নেই। গত পাঁচ বছরে ঋণও সেভাবে বাড়েনি। চট্টগ্রাম বিভাগের ২ লাখ ২৭ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা আমানতের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলার আমানতই ১ লাখ ৫১ হাজার ৬১০ কোটি টাকা।
আর বিভাগের ১ লাখ ৬০ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে ১ লাখ ৩৭ হাজার ২২০ কোটি টাকা ঋণই চট্টগ্রাম জেলায়। ২০১৩ সালে শুধু চট্টগ্রাম জেলায় আমানত ও ঋণ ছিল যথাক্রমে ৭৭ হাজার ৯৫৩ কোটি ও ৭৪ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা।
চট্টগ্রামে কর্মরত ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, বড় ব্যবসায়ীদের বড় অংশই ঢাকার প্রধান শাখা বা করপোরেট শাখার সঙ্গে লেনদেন করে। তাই ঋণও ওই শাখায়।
আর চট্টগ্রামের সব শাখার ঋণ দেওয়ার সীমাও বেশি নয়। চট্টগ্রামে যা ঋণ রয়েছে, তার বড় অংশই আবার খাতুনগঞ্জ, আগ্রাবাদ শাখায়।