a
ফাইল ছবি
বরগুনার পাথরঘাটা থেকে দক্ষিণ পশ্চিম সুন্দরবন এলাকায় বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে ১০টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে ২৫ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।
তিনি জানান, নিখোঁজ জেলের বাড়ি বরগুনা, পিরোজপুর, বাগেরহাট ও পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন এলাকায়। ডুবে যাওয়া ট্রলারের মধ্যে এফবি মায়ের দোয়া, এফবি আনিছ ও এফবি ইলিয়াসের নাম জানা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে।
মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার লুৎফর রহমান জানান, নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারের জন্য ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় কোস্টগার্ডের উদ্ধার টিম পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জ শহরে রান্না ঘরে গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দুই নৈশপ্রহরী দগ্ধ হয়েছেন।
রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে চাষাঢ়ায় প্রেসিডেন্ট রোডে জি এম গার্ডেন নামে একটি আবাসিক ভবনের আট তলায় এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধ দুজন হলেন- নৈশপ্রহরী উজ্জল ও মানিক।
ওই ভবনের আরেক নৈশপ্রহরী মোহাম্মদ আলী জানান, জিএম গার্ডেনের আট তলায় কমিউনিটি সেন্টার আদলে কয়েকটি কক্ষ ছিল। ভবনের বাসিন্ধানের কোনো অনুষ্ঠান হলে সেখানে আয়োজন করা হতো।
আগে থেকেই আট তলায় গ্যাস লাইনের সমস্যা ছিল। এজন্য মিস্ত্রি এসে সেটা মেরামত করে এক পর্যায়ে তারা নিচে নেমে যায়। সেসময় রান্না ঘরের দরজা জানালা বন্ধ ছিল। ফলে রান্না ঘরে গ্যাস জমে থাকে বলে অনুমান করা হয়।
পরর্তীতে দুই জন নৈশপ্রহরী সিগারেট হাতে নিয়ে ওই কক্ষে প্রবেশের সাথে সাথেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দুজনই দগ্ধ হন।
দগ্ধ নৈশ প্রহরীদের প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ও পরে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
ফাইল ছবি
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, আফগানিস্তানের অস্থিতিশীল অবস্থার অবসানে তিনি তালেবান নেতার সাথে সাক্ষাতে প্রস্তুত রয়েছেন। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনের তুর্কি বিভাগকে দেয়া এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, ‘আফগান জনসাধারণের সাম্প্রতিক অগ্রগতি ও পরিস্থিতি প্রকৃতপক্ষেই বিপর্যয়কর।’
পরিস্থিতির উন্নতিতে তালেবানের সাথে তুর্কি কর্মকর্তাদের আলোচনার প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হয়তো আমিও এমন অবস্থানে যেতে পারি যে তাদের (তালেবান) নেতার সাথে সাক্ষাৎ করবো।’
এরদোগান বলেন. ‘কেননা যদি আমরা এই গুরুতর পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণ নিতে না পারি, তবে আফগানিস্তানে এই মুহূর্তে শান্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।’
এদিকে বুধবার আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির সাথে প্রেসিডেন্ট এরদোগান ফোনালাপ করেন বলে তুর্কি প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, তুরস্ক-আফগানিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে দুই নেতা আলোচনা করেন। এরদোগান আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়ায় তুরস্কের অব্যাহত সমর্থন থাকবে বলে ফোনালাপে জানান।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর সৈন্য প্রত্যাহারের মধ্যেই দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করে তালেবান। ইতোমধ্যেই তারা নয় প্রাদেশিক রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট এরদোগান এর আগে জানিয়েছিলেন, তুরস্ক আফগান রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব অব্যাহত রাখার বিষয়ে আগ্রহী এবং আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়ায় তালেবানের সাথে আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
গত ছয় বছর কাবুল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর পরিচালনায় তুরস্ক নিরাপত্তা ও লজিস্টিক সহায়তা দিয়ে আসছে।
সূত্র : ডেইলি সাবাহ