a
ফাইল ছবি
বরগুনার পাথরঘাটা থেকে দক্ষিণ পশ্চিম সুন্দরবন এলাকায় বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে ১০টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে ২৫ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।
তিনি জানান, নিখোঁজ জেলের বাড়ি বরগুনা, পিরোজপুর, বাগেরহাট ও পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন এলাকায়। ডুবে যাওয়া ট্রলারের মধ্যে এফবি মায়ের দোয়া, এফবি আনিছ ও এফবি ইলিয়াসের নাম জানা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে।
মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার লুৎফর রহমান জানান, নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারের জন্য ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় কোস্টগার্ডের উদ্ধার টিম পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ছবি সংগৃহীত: যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক
দলের মর্যাদা, দেশের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয় এমন কোনো কাজ করা যাবেনা, করলে তাকে কোনভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন।
রবিবার দিনব্যাপী গাইবান্ধার সাদুল্ল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট, সাদুল্ল্যাপুর উপজেলার শহীদ মিনার এলাকা এবং পলাশবাড়ী উপজেলার বন্দর এলাকাসহ বিভিন্ন প্রান্তে ‘ধানের শীষ’ সম্বলিত লিফলেট এবং রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগকালে এক পথসভায় এসব কথা বলেন নয়ন।
এ সময় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানুষের ওপর কোনো প্রকার অন্যায়-অত্যাচার বা জুলুম করা যাবে না । বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ যেমনটি মানুষের সাথে করেছে। সে সকল কর্মকাণ্ড মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।
নয়ন বলেন, ‘২০১৪ সাল থেকে ২০২৪ সাল মানুষ ভোট দিতে পারেনি। তারা ১৬ বছর গুম, খুন, রাহাজানিসহ বাংলাদেশের হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। আজ তাদের পতন হয়েছে।
বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা, তারা (জনগণ) গত ১৫ বছর ধরে ভোট দিতে পারে নাই। জনগণ এখন ভোট দিতে চায়। তাই দ্রুত সময়ের ভিতরে একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন, জনগণকে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিন, জনগণের ভোটেই দেশে একটা নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশে নানারকম ষড়যন্ত্র চলছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেইসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।
এ সময় গাইবান্ধা জেলা যুবদলের সভাপতি রাগিব হাসান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক ভুট্টু সহ গাইবান্ধা জেলা যুবদলের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ছুটে আসা নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
সংগৃহীত ছবি
দেশে প্রবণতা বাড়ছে ভূমিকম্পের। সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার মধ্যে রয়েছে সিলেট। গত কয়েকদিনে উল্লেখযোগ্যহারে সিলেটে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। সিলেটের ঘন ঘন ভূমিকম্প আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সারাদেশে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, বড় ধরনের ভূমিকম্পের আগে বা পরে এমন ছোট ছোট ভূকম্পন অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পের অন্যতম প্রধান কারণ হলো ভূত্বকীয় পাত (টেকটনিক প্লেট)। বাংলাদেশ তিনটি প্লেটের সংযোগস্থলে রয়েছে। বার্মিজ ও ইন্ডিয়ান প্লেটের মধ্যে অবস্থান করছে সিলেট। সিলেটের উত্তরে রয়েছে ডাউকি ফল্ট। টেকটনিক প্লেটগুলোতে প্রচুর পরিমাণে শক্তি জমা হচ্ছে এবং এই জমে থাকা শক্তিই ভূমিকম্পের মাধ্যমে বের হয়ে আসে।
নেচার জিওসায়েন্স জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশে বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশে ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার মানচিত্র অনুযায়ী, সিলেট ও চট্টগ্রাম উচ্চ ঝুঁকিপ্রবণ অঞ্চল।
বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরের গবেষকরা বলছেন যে, কক্সবাজার, সিলেট, রাঙামাটি, বান্দরবান, ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ এবং পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল সর্বাপেক্ষা কম ঝুঁকিপূর্ণ। ডাউকি ফল্ট বা সিলেট থেকে চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চল গত ৫০০ থেকে এক হাজার বছরে বড় ধরনের কোনো ভূমিকম্প হয়নি। যার ফলে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পগুলো বড় ধরনের ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ মে সাতবার এবং ৩০ মে একবার সিলেটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সোমবার (৭ জুন) দেড় মিনিটের মধ্যে দুই দফা ভূমিকম্প অনুভূত হয়।