a
ফাইল ছবি
দিনাজপুরে বজ্রপাতে চার কিশোরসহ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। বজ্রপাতের ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দিনাজপুর সদর উপজেলার শেখপুরা ৮নং উপশহর এলাকায় এবং চিরিরবন্দর উপজেলার সুখদেবপুর এলাকায় এই বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলে উপশহরের ৮নং ফুটবল মাঠে ফুটবল খেলছিলেন কিশোররা। এ সময় বৃষ্টিপাতের সাথে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটলে ঘটনাস্থলেই ৩ জন মারা যান। বাকিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে আরও ১ জন মারা যায়।
এছাড়া দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সুখদেবপুর এলাকায় বাড়ির পাশে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু হয়।
দিনাজপুর কোতয়ালী থানার ওসি বলেন, আহতদের মধ্যে ২ জন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।
ফাইল ছবি
পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে আবারও ধাক্কা দিয়েছে ফেরি। শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সকাল পৌনে ৭টার দিকে বাংলাবাজার ঘাট থেকে শিমুলিয়া ঘাটে আসার পথে কাকলি নামে একটি ফেরি পিলারটিতে ধাক্কা দেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কাকলির চালক মো. বাদল হোসেন। এসময় তিনি এ ঘটনায় কোনও ক্ষতি হয়নি বলেও জানান।
তিনি আরও জানান, ফেরিটি পদ্মা সেতুর ১১-১২ পিলারের মধ্য দিয়ে আসার কথা। কিন্তু নদীর প্রচণ্ড স্রোত ও বাতাসের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়। এতে ফেরিটির র্যাম্পের একটু ক্ষতি হয়। এছাড়া আর কিছু হয়নি। পানির স্তরের উপরে থাকায় ফেরিতে পানিও ওঠেনি। পদ্মা সেতুর পিলারেরও কোনও ক্ষতি হয়নি। ধাক্কা লাগার পর ফেরিটি নিয়ে নিরাপদে শিমুলিয়া ঘাটে আসতে পেরেছি। কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কার ঘটনা ঘটলো। এর আগেও চার বার বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসার পথে পদ্মা সেতুর পিলারে আঘাত করে ফেরি।
গত ৬, ২০, ২৩ জুলাই ১৭, ১৬, ১৭ নম্বর পিলারে এবং ৯ আগস্ট পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে আঘাত করে এবং সর্বশেষ আজ আবার ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দিলো। এসব ঘটনায় থানায় জিডি, তদন্ত কমিটি গঠন ও ফেরি চালকদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এদিকে, দেশবাসীর প্রাণের পদ্মাসেতুর পিলারে বারবার ধাক্কা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এর স্থায়ী সমাধানের দাবি সচেতন মহলের এবং এসব ঘটনা নিছক দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত তা ক্ষতিয়ে দেখার দাবি উঠেছে।
বায়তুল মোকাররমে মুসল্লি-পুলিশ তুমুল সংঘর্ষ
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে মুসল্লিদের একাংশের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে। এই সংঘর্ষে সময় সংবাদের চিত্রসাংবাদিকসহ অনেক সাংবাদিক আহত হয়েছেন। পোড়ানো হয়েছে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুঁড়ছে। জলকামানও ব্যবহার করা হচ্ছে। থেকে থেকে সংঘর্ষ চলছে। এই ঘটনায় সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজে থাকা আহতরা জানান, দেখেই মনে হচ্ছিলো তারা আগেই প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে ঢুকেছে। নামাজ শেষ হতেই ব্যাগ থেকে লাঠিসোঠা ইট পাটকেল বের করে অতর্কিতে হামলা শুরু করে।
সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। ভেতর থেকে ইটপাটকেল ছোঁড়া থেমে নেই।
শুক্রবার (২৬ মার্চ) জুমার নামাজের পর এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।