a
ফাইল ছবি
মাদারীপুরের শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-রুটে কাঁঠালবাড়ি ঘাট (পুরাতন ফেরিঘাট) এলাকায় বালু বোঝায় কার্গোর সাথে স্পিডবোটের সংঘর্ষের হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন। নৌ পুলিশের টিম উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
কাঁঠালবাড়ি ঘাট নৌপুলিশের বরাতে জানা গেছে, আজ (সোমবার) সকাল পৌনে ৭টায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে যাত্রী বোঝাই করে একটি স্পিডবোট বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসছিল। সে সময় কাঁঠালবাড়ি ঘাট সংলগ্ন নদীতে নোঙর করে রাখা একটি বালুবোঝাই বাল্কহেডের সাথে দ্রুতগামী স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়।
খবর পাওয়ার সাথে সাথেই কাঁঠালবাড়ি নৌপুলিশ সেখানে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরো বেশ কয়েকজন নিখোঁজ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে তাই এখনও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ইজারাদার মেসার্স মনির এন্টারপ্রাইজ এর মুন্সিগঞ্জ সদর ভাষানচর বালুমহল এর উপরে চাঁদপুর অঞ্চলের নৌ- প্রশাসন কর্তৃক বার বার হয়রানি এবং সন্ত্রাসী ও ষড়যন্ত্রকারী অসৎ উদ্দেশ্যে ভাষানচর বালুমহল, সরকারী রাজস্ব বন্ধের পায়তারা, গত ১২/১১/২০২৫ ইং তারিখে মতলব উত্তর থানা, চাঁদপুরে ষড়যন্ত্র ও হয়রানী মূলক মিথ্যা মামলায় ভাষানচর বালুমহল পরিচালনাকারী মেসার্স সূচনা এন্টারপ্রাইজ এর মালিক মোঃ গোলাম কিবরিয়া মিয়াজীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আজ ১৪/১১/২০২৫ইং সকাল ১০:৩০ ঘাটিকায় ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ব্যবসায়ী সমাজ।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে মেসার্স সূচনা এন্টারপ্রাইজ এর সমন্বয়কারী মোঃ মোস্তাফিজুল করিম মজুমদার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, মেসার্স মনির এন্টারপ্রাইজ ও সূচনা এন্টারপ্রাইজর আয়োজনে আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে আমরা জানাচ্ছি যে গত ১৮ই মে ২০২৫ ইং তারিখে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কর্তৃক ৬ কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টাকার মূল্যে ভাষানচর বালু মহল মনির এন্টারপ্রাইজ এর নামে ইজারা পাই।
আমাদের সরকার কর্তৃক ইজারাকৃত মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার ভাষানচর বালু মহলটি বুঝিয়ে পাওয়ার পরে তাহা বন্ধের জন্য একটি সন্ত্রাসী গুষ্টি আমাদের ব্যাবসায়ীক প্রতিপক্ষ চাঁদপুর অঞ্চলের নৌ-প্রশাসনকে ভুল তথ্য দিয়ে বারবার হয়রানি ও বালু মহলটি বন্ধের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
আমরা উক্ত বিষয়টি মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ করার পরেও তাদের হয়রানি বন্ধ হচ্ছে না। মহল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান সূচনা এন্টারপ্রাইজের কর্মকর্তা কর্মচারিচারীদের উপরে প্রায় সময়ে সশস্ত্র অবস্থায় হামলা চালায়। বালুরমহলে থাকা ড্রেজার ও বাল্কহেড উপর হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে । ইহাতে আমাদের কোম্পানি ও বাল্কহেড ড্রেজার ব্যবসায়ীগণ মারাত্মকভাবে যান মালের ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
আমরা ইজারাকৃত সরকারি রাজস্ব সরকারের কোষাগারে জমা দানে মারাত্মক ভাবে বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছি। উল্লেখ থাকে যে গত ১২ই নভেম্বর ২০২৫ ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ১০.৩০ ঘটিকার সময়ে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড চাঁদপুর জোন এর একটি টহল টিম মহনপুর মতলব উত্তর লঞ্চ ঘাট সংলগ্ন হইতে একটি স্পিডবোর্ডে অবস্থান করা পাঁচ জন ব্যক্তিকে সন্দেহ মূলক ভাবে আটক করে, যাহা আমাদের বালু মহলের সীমানায় কয়েক কিলোমিটার বাহিরে।
আটককৃত ব্যক্তিদের নামে মতলব উত্তর থানা চাঁদপুর ১২/১১/২০২৫ ইং তারিখে কোস্ট গার্ড মোহনপুর আউট পোস্ট মোহনপুর বাংলাদেশ কোর্ড গার্ড এর সদস্য সানোয়ার হোসেন (৪৭) পিও এফসি -অন একটি মামলার রুজু করে।উক্ত মামলায় ভাষান চর বালুমহল মুন্সিগঞ্জ এর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সূচনা এন্টারপ্রাইজ এর মালিক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক জনাব গোলাম কিবরিয়া মিয়াজীকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আসামি করা হয়। যাহাতে আমরা গভীর উদ্বেগ ও জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ফাইল ছবি
খুব সকালে যখন ঘুম থেকে উঠি, তখন আমরা সবাই দেখে থাকি যে সূর্যের রঙ হলুদ বর্ণের। ধীরে ধীরে যখন বেলা বাড়তে থাকলে সূর্যের রঙ পরিবর্তন হয়ে কমলা রং ধারণ করে। আর দিনের শেষসময়ে সূর্য হয়ে উঠে একদম টাটকা লাল।
সূর্যের এ রঙ বদলানো নিয়ে আমরা কি চিন্তা করেছি কখনো? কেন এমনটা হয়? সূর্য আসলে কোন রঙের- লাল, হলুদ নাকি কমলা, নাকি অন্য কোনো রঙের! আমরা জানি সূর্য একটা নক্ষত্র, আর সব নক্ষত্রেরই কোনো না কোনো রঙ আছে। রঙগুলো হলো রেড জায়ান্ট, রেড ডোয়ার্ফ, ব্লু জায়ান্ট, সুপার জায়ান্ট ইত্যাদি।
নক্ষত্রের রঙ কেমন হবে তা সাধারণত তার তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে থাকে। একটি নক্ষত্রের ভেতর থেকে ফোটন বের হয়ে তা মহাশূন্যে হারিয়ে যায়, ফলে ফোটন থেকে বের হওয়া শক্তির পরিমান আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। এসব কারণে দেখা যায় একটি নক্ষত্র ইনফ্রারেড, আল্ট্রাভায়োলেট, লাল অথবা নীল রঙের আলোকরশ্মির বিকিরণ ঘটাচ্ছে একই সময়ে। এমনকি সেখানে বিদ্যমান থাকতে পারে এক্স ও গামা রশ্মিও।
নক্ষত্রের রঙের বিভিন্ন পরিবর্তন এর জন্য বিশেষ কিছু কারণ রয়েছে,একটি নক্ষত্রের তাপমাত্রা যদি হয় সাড়ে পঁয়ত্রিশ হাজার কেলভিনের কম হয় তবে তার রঙ হবে লাল। আবার কোনো নক্ষত্রের তাপমাত্রা যদি দশ হাজার কেলভিনের উপরে হয় তবে তা নীল রঙের হবে। সূর্যের তাপমাত্রার পরিমাণ প্রায় ছয় হাজার কেলভিনের মতো। এ তাপমাত্রার নক্ষত্রগুলো সাধারণত হয়ে থাকে সাদা রঙের। সেক্ষেত্রে সূর্যের আসল রঙ হলো সাদা।
কি অবাক হচ্ছেন? হ্যাঁ, সূর্যের রং আসলেই সাদা রঙের। আসলে মহাশূন্যে গিয়ে যদি আমরা সূর্যকে স্বচক্ষে দেখে আসতে সক্ষম হতাম, তবে ১০০ ভাগ নিশ্চিত হোমার যে সূর্যের রঙ আসলে একেবারে সাদা। সূর্য ও সূর্যলোকের রঙ সাদা। তাহলে প্রশ্ন হলো সূর্যকে বিভিন্ন সময় লাল, হলুদ বা কমলারঙে দেখি কেনো? এর পিছনে বিশেষ কারণ হলো বায়ুমণ্ডলে সূর্যরশ্মির বিচ্ছুরণ ঘটে। ছোট ছোট তরঙ্গদৈর্ঘের নীল ও বেগুনি আলোকরশ্মি অপসারিত হয়ে যায়। সূর্য থেকে আসা আলোক বর্ণালির এ দুটো রঙ সরে গেলে তা অনেকটা হলুদের মতো হয়ে যায়। সূর্যকে আমরা তখন হলুদ দেখি। অন্যান্য রঙের বেলায়ও এ ঘটনা ঘটে।
এভাবে সূর্যের আলো যখন বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে পৃথিবীতে আসে তখন তার রঙ বদলে হলুদ, কমলা বা ম্যাজেন্টা রঙ ধারণ করে। তবে আরেকটি প্রশ্ন হলো সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় সূর্যের রঙ লাল হয়ে যায় কেন? সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় ভাসমান ধূলিকণা ও বাতাসের অন্যান্য উপাদান সূর্যরশ্মির নীল প্রান্তের কম তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের বর্ণকে বেশি বিক্ষিপ্ত করে ও লাল প্রান্তের বেশি তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের বর্ণকে কম বিক্ষিপ্ত করে। ফলে সূর্য লাল বর্ণ ধারণ করে থাকে।