a
সংগৃহীত ছবি
দেশে বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপপ্রবাহ এবং বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পূর্বাভাস বলেছে, আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কয়েকটি জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোনো কোনো এলাকায় মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, যশোর ও খুলনা অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আরও বাড়তে পারে পারে। সারা দেশে তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বর্ধিত পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। পরের দুই দিন বৃষ্টিপাত কমতে পারে।
গতকাল শুক্রবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া দেশের সর্বাধিক তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মোংলায় ৩৬ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশাপাশি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১৯ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ছবি :মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুরো জেলা মাদকে সয়লাভ হয়ে উঠছে। দেশের মানুষ এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে চেনে মাদকের আখড়া হিসেবে। আর মাদকের মাতৃভূমি হিসেবে ইতিমধ্যে আখ্যা পেয়েছে এই জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন।
গত ১২ই এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখে সিঙ্গারবিল ইউনিয়নে মাদক বিরোধী অভিযানে প্রায় ৫০৩ বোতল নিষিদ্ধ ভারতীয় এসকাপ সিরাপ, ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয় এবং কুখ্যাত ও চিহ্নিত ১২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করা হয়। জেলার বিজয়নগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং ২৫ বিজিবি সিঙ্গারবিল বিওপি'র সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স টীম বিজয়নগরে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এই অভিযানে ১২ কুখ্যাত ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মাদকদ্রব্য আইন, ২০১৮ অনুযায়ী মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিদিন বিকেলে ও সন্ধ্যার সময় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মোটর সাইকেল যোগে অনেক যুবক শ্রেণীর মানুষ নলগড়িয়া গ্রামে আসে। তারা ফেন্সিডিল, নিষিদ্ধ ভারতীয় এসকাপ সিরাপ ও গাঁজা সেবন ও ক্রয় করতে আসে। এলাকার রাস্তার পাশের বাগান এবং পবিত্র কবরস্থানে খাবার পর খালি বোতল ফেলে রেখে চলে যায়। এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে বহিরাগত মাদক সেবীদের কারনে। কিন্তু প্রশাসন একদম নিরব ভুমিকা পালন করছেন। অনেকেই মনে করছেন প্রশাসনের নাকের ডগায় চড়ে কিভাবে মাদকসেবীরা দিনের পর দিন এই কাজ করতে পারে?
এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে কোন পোস্টার বা ব্যানার লাগানো যায় না। রাতের আঁধারে ছিঁড়ে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। বিজয়নগর থানা এবং চম্পকনগর পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এলাকার জন্য পুলিশ বা প্রশাসনকেন্দ্র অনেক দূরে। তাই এলাকাবাসী মনে করছেন সিঙ্গারবিল, কাশিনগর, নোয়াবাদি বা মেরাসানির আশেপাশে পুলিশ ফাঁড়ি হওয়া প্রয়োজন।
এর আগে বহুল প্রচারিত দৈনিক মানবজমিন এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর প্রতিনিধি আমিরজাদা চৌধুরীর বরাত দিয়ে জানা যায় আরও ভয়ংকর চিত্র। মানবজমিনে প্রকাশিত হয় মাদক নিয়ে এই এলাকার ভয়ংকর তথ্য চিত্র।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর সীমান্ত দিয়ে দিন দিন বাড়ছে মাদক চোরাচালান। এ অঞ্চলের ৩১ কিলোমিটার সীমান্তের ১৫টি স্পট দিয়ে নিয়মিত মাদক পাচার চলছে। অন্তত ৬ শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী সক্রিয় রয়েছে। অথচ মাদক মামলায় আসামি হয় মাত্র ৩-৪ জন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর তাদের নামে মামলা দিয়েই দায়িত্ব খালাস করছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ভারতের ত্রিপুরার মধুপুর পাহাড়ে উপজাতিরা গাঁজা চাষ করে। সেখান থেকে আগরতলার বামুটিয়া ও বিমানবন্দর থানার বগাদী নারায়ণপুরের ভাগলপুর নরসিংগর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর সিংগারবিল ইউনিয়নের নলগুড়ীয়া, কাশিনগর, নোয়াবাদী, মেরাশানী, বিষনপুরের কালাছড়া, কাশীমপুর, পাহাড়পুর ইউনিয়নের বামুটিয়া, চানপুর, ধোড়ানাল, শিয়ালউড়ী, ছড়ারপাড়, শানিপুর মকন্দপুর কামাল মুড়া, লেজামুড়া দিয়ে মাদক চালান আসে। প্রতি রাতে অন্তত ৫-৭ হাজার কেজি গাঁজা প্রতিকেজি কেনার পর বাংলাদেশি টাকায় ৫০০০ টাকা কেজি।
এসব কর্মকাণ্ড থেকে এলাকাবাসী কবে মুক্তি পাবে সেই প্রশ্নের উত্তরে নীরব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রশাসন। এলাকাবাসী এর আসু প্রতিকার চান।
ফাইল ছবি
বাহুবলে লাইসেন্সবিহীন সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে বাহুবল বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মহুয়া শারমিন ফাতেমা। অভিযানে সহযোগিতায় ছিল বাহুবল মডেল থানার পুলিশের একটি টিম।
অভিযানকালে সিএনজি চালক শাহজাহান মিয়া ও তোফাজ্জল হোসেনকে ২ হাজার টাকা করে মোট ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ইউএনও।