a
ফাইল ছবি
জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার তারাকান্দিতে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ দানাদার ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখনায় উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে।
গতকাল শনিবার (২৯ মে) দিবাগত রাত ৯ টার সময় ইউরিয়া প্লান্টে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হঠাৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
জানা গেছে, ত্রুটি মেরামত করে দ্রুত কারখানাটি উৎপাদনে যেতে না পারলে বার্ষিক উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবেনা। ফলে কৃষকের কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসি।
এ বিষয়ে যমুনা সার কারখানার জিএম অপারেশন অশ্বিনী কুমার জানান, ইউরিয়া প্লান্টের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে রাত ৯টার দিকে কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে ত্রুটি মেরামত করে পুনরায় কারখানার চালু করার সব ধরণের চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে (১৫) দিনের পর দিন সৎ ভাই মেহেদি হাসানের (২২) কাছে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিল। এতে পর পর দুবার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে সে। ঘটনা কাউকে জানালে তাকে ও তার বাবাকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সৎ ভাই মেহেদি হাসান (২২) ওই স্কুলছাত্রীকে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করে। এতে প্রথমেও একবার অন্তঃসত্ত্বা হয় সে। সন্তান প্রসবের পর মেহেদি তাকেও হত্যা করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগী মেয়েটি সংবাদ মাধ্যমকে জানায়, তাদের মা বিষয়টি জানার পর তার পায়ে পড়ে মাফ চেয়ে এমন কাজ দ্বিতীয়বার না করার কথা দেয় সে। কিন্তু দ্বিতীয়বারও বোনকে জোর করে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করে মেহেদি। এতে করে ফের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ভুক্তভোগী।
এমন ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ভুক্তভোগীর বাড়ি গিয়ে কথা হলে মেহেদির বাবা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ১২ বছর আগে পাঁচ মেয়ে ও দুই ছেলে রেখে মারা যান তার স্ত্রী। পরে তিনি পাশের ইউনিয়নের এক বিধবা নারীকে বিয়ে করেন। সেই নারীর একটি মেয়ে (ভুক্তভোগী) থাকায় তাকেসহ বাড়িতে তোলেন তিনি।
ছেলেটির বাবা আরও জানান, পাঁচ মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। তারা শ্বশুরবাড়ি থাকেন। বড় ছেলে তাবলীগ জামায়াতে থাকায় দুটি ঘরের একটি বাড়ি বানিয়ে সেখানে বসবাস শুরু করেন তারা। একটি ঘরে স্ত্রীসহ তিনি এবং অন্য ঘরে থাকত মেহেদি ও তার এই বোন (ভুক্তভোগী)। দুজনই শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে মেহেদি কলেজছাত্র ও ভুক্তভোগী নবম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী।
ভুক্তভোগী ওই মেয়ে জানিয়েছে, ইংরেজিতে পারদর্শী হওয়ায় বড় ভাইকে মাঝে মাঝে পড়াতো সে। একসাথে পড়তে বসায় মেহেদি তার দিকে কুনজর দিতো। পড়ার সময় মজার ছলে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিতো। একদিন কুপ্রস্তাব দেয় সে। রাজি না হলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় মেহেদি।
ওই স্কুল ছাত্রী মেয়ে বলে, ‘একদিন মেহেদি আমাকে কু প্রস্তাব দেয়। রাজি না হলে বাবাকে মেরে ফেলে মায়ের কাঁধে দোষ চাপানোর কথা বলে। এই ভয়ে আমি কিছু বলতে পারতাম না। বিভিন্ন সময় শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতো মেহেদি। একদিন ঘরে কেউ না থাকায় জোর করে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করে আমাকে।’
ওই স্কুল ছাত্রী জানায়, এরপর থেকে লাগাতার তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করত মেহেদি। বাবাকে হত্যা করা ছাড়াও বিভিন্ন হুমকি দেওয়ায় নির্যাতন মুখ বুঝে সহ্য করত। এর মধ্যে একবার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে সে। মেহেদি তার পেটের বাচ্চা নষ্ট করার জন্য বিভিন্নরকম ওষুধ খাওয়াতো। একদিন তাদের মা বিষয়টি বুঝতে পেরে মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তখন সে মাকে পুরো বিষয়টি খুলে বলে। ছেলেকে প্রশ্ন করতেই মায়ের পা ধরে নিজের ভুল শিকার করে মেহেদি। তার মেয়েকে বিয়ে করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেয় মেহেদি।
ভুক্তভোগী ছাত্রী জানায়, বাচ্চা নষ্ট হয়েছে ধারণা ছিল মেহেদির। কিন্তু গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে প্রসব ব্যাথা ওঠে তার। রাতেই নিজের ঘরে একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেয় সে। এদিকে সন্তান জন্ম নেওয়ায় বিপাকে পড়ে মেহেদি। পরে মায়ের কোল থেকে সন্তানকে কেড়ে নিয়ে যায় সে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ‘তার সন্তানকে হত্যা করেছে মেহেদি।’
ওই ভুক্তভোগী আরও জানান, মাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মোতাবেক তাকে বিয়ে করবে দোহাই দেখিয়ে আবারও তার সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করে মেহেদি। বর্তমানে সে দুমাসের অন্তঃসত্ত্বা। এই খবর পেয়ে পালিয়ে যায় মেহেদি। অজ্ঞাত স্থান থেকে বিভিন্ন নম্বারের মাধ্যমে কল দিয়ে ঘটনা কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে ভুক্তভোগীকে হুমকি দিচ্ছে সে।
বিষয়টি নিয়ে মেহেদির বড় বোনের সাথে কথা বলতে তার মুঠোফোনে কল করা হলে রাগান্বিত হয়ে তিনি বলেন, ‘কে আপনি? আপনি এত কিছু জানেন কীভাবে?’ এরপর সাংবাদিক পরিচয় দিলে ফোন কেটে দেন তিনি।
এ বিষয়ে মেহেদির বাবা সংবাদ মাধ্যম জানান, তিনি ঘটনাটি জানেন। এ কারণে ছেলের সাথে তার তেমন সম্পর্ক নেই।
ছেলেটির বাবা বলেন, ‘এমন কুলাঙ্গার ছেলে যেন কারও ঘরে জন্ম না নেয়। সে আমাকেও মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমি আইনের আশ্রয় নেব।’
বিষয়টি নিয়ে রাজামেহার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা আমার ইউনিয়নে হচ্ছে আমার জানা নেই। আমি খোঁজ-খবর নিচ্ছি। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীকে যেকোনো সহায়তা করা হবে।’
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল আনোয়ার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ভুক্তভোগীকে যেকোনো আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।’
ফাইল ছবি
ইসরায়েলি একটি স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের স্মার্টফোনে আড়িপাতার ঘটনা ফাঁস হয়েছে। ‘পেগাসাস’ নামে একটি স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে এই আড়ি পাতার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১৮ জুলাই) গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘পেগাসাস’ নামক স্পাইওয়্যারটি ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপের তৈরি। আর এর মাধ্যমেই বিম্বের বিভিন্ন দেশের সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবী, এমনকি কোনো দেশে ক্ষমতাসীন পরিবারের সদস্যদের ওপরও আড়ি পাতা হয়েছে।
মূলত কর্তৃত্ববাদী দেশগুলোর সরকার আড়ি পাতার কাজে এই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করেছে। জানা গেছে, পেগাসাস হলো একটি ম্যালওয়্যার (বিশেষ ধরনের ভাইরাস)। এর মাধ্যমে আইফোন ও অ্যানড্রয়েড ফোনের সব মেসেজ, ছবি, ই–মেইল, কল রেকর্ড বের করা যায়। এই ম্যালওয়্যার ফোন ব্যবহারকারীর অজ্ঞাতেই মাইক্রোফোন চালু করে দেয়।
গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ৫০ হাজারের বেশি ফোন নম্বরের একটি তালিকা ফাঁস হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৬ সাল থেকে এনএসওর গ্রাহকেরা এসব নম্বরে আড়ি পেতেছে। প্যারিসভিত্তিক অলাভজনক সংবাদ সংস্থা ফরবিডেন স্টোরিজ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল প্রথম এই তালিকা হাতে পায়। পরে তা অন্যান্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দেয়।
গার্ডিয়ান–এর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া তালিকায় যাদের নম্বর রয়েছে, তা ভবিষ্যতে প্রকাশ করা হবে। এই ব্যক্তিদের মধ্যে শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, একাডেমিক, এনজিও কর্মী, সরকারি কর্মকর্তা, মন্ত্রীসভার সদস্য, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীরা রয়েছেন।