a
সংগৃহীত ছবি
আগামী রবিবার (১ আগস্ট) থেকে রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
শুক্রবার বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১ আগস্ট সকাল ৬টা থেকে রফতানিমুখী সব শিল্পকারখানা বিধিনিষেধের আওতা বহির্ভূত রাখা হলো।
করোনা মহামারি রোধে ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করার পর থেকেই সব শিল্প-কলকারখানা বন্ধ রাখা হয়। আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত এই বিধি-নিষেধ চলাকালে শিল্প-কলকারখানা বন্ধ রাখার কথা ছিল।
তবে গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে এক বৈঠকে চলমান সর্বাত্মক লকডাউনের মধ্যেই পোশাক শিল্পসহ সব ধরনের কারখানা খুলে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানান বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমইএ, ঢাকা চেম্বার ও এফবিসিসিআইয়ের নেতারা।
ফাইল ছবি
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস পুকুরে পড়ে ঘটনাস্থলেই নারী ও শিশুসহ ৭জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৪জন।
রোববার সকাল ১০টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার কমিশনার পাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা হয়।
নিহতরা হলেন- চকরিয়ার ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী হাজেরা বেগম (৪০), কক্সবাজারের কোনাপাড়া এলাকার প্রদীপের স্ত্রী পূর্ণিমা (৩৫), তার চার বছরের ছেলে স্বার্থক, চকরিয়ার রাম মাস্টারের ছেলে রতন বিজয় (৫০), তার স্ত্রী মধুমিতা (৪৫) ও কক্সবাজারের কোনাপাড়ার মৃত সঙ্করের স্ত্রী রানি রুদ্র (৬৫)। এছাড়া আনুমানিক ২৫ বছর বয়সী মৃত আরেক নারী রয়েছেন। তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের সহায়তায় হতাহতদের উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। নিহতদের লাশ সেখানে রাখা হয়েছে। তবে আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা: ফয়সাল এ তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কক্সবাজার থেকে যাত্রী নিয়ে মাইক্রোবাসটি চট্টগ্রাম যাচ্ছিল। সড়ক ১০টার দিকে চকরিয়ার পৌরসভার কমিশনার পাড়া এলাকায় এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে গেলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ছবি সংগৃহীত: উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ
নিউজ ডেস্ক: অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি এবং বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ ২০ ডিসেম্বর, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান। তাঁর মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনুস। আজ বাদ এশা ধানমন্ডিতে প্রথম ও আগামীকাল হাইকোর্টে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এ এফ হাসান আরিফের এসোসিয়েটস আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান গণমাধ্যমকে জানান, হাসান আরিফ স্যার অসুস্থতাবোধ করলে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ল্যাবএইড হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি ইন্তেকাল করেছেন।
এছাড়াও উপদেষ্টা হাসান আরিফের ছেলে মুয়াজ আরিফ বলেন, বিকেল ৩টার দিকে বাবা বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মেঝেতে পড়ে গেলে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি মারা গেছেন বলে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন।
গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন এ এফ হাসান আরিফ। একই দিনে ৯টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস শপথ গ্রহণ করেন।
এ এফ হাসান আরিফ ২০০১ থেকে ২০০৫ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
এ এফ হাসান আরিফ ১৯৪১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর স্নাতক এবং এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টে ১৯৬৭ সালে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশে হাইকোর্টে কাজ শুরু করেন।