a শাটডাউন ঘোষণার আগেই রাজধানী ছাড়ছে মানুষ
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২০ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

শাটডাউন ঘোষণার আগেই রাজধানী ছাড়ছে মানুষ


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শুক্রবার, ২৫ জুন, ২০২১, ০৮:১০
শাটডাউন ঘোষণার আগেই রাজধানী ছাড়ছে মানুষ

সংগৃহীত ছবি

শাটডাউনের ঘোষণা আসবে এমন খবর শুনেই রাজধানী ছাড়ছেন মানুষ। শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় সকালে ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে মানুষের ঢল নামে।

চলাচলে বাস বন্ধ থাকায় কয়েক ধাপে ভেঙ্গে ভেঙ্গে কয়েকগুণ ভাড়া বেশি দিয়ে গন্তব্যে ছুটছে সাধারণ মানুষ। প্রতিটি গাড়িকেই পুলিশের তল্লাশি চৌকি পার হতে হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো গাড়িকেই ঢাকায় ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। এতো কিছুর পরও ঠেকানো যাচ্ছেনা মানুষের ঢলকে।

সকালে ঢাকায় প্রবেশ ও বাহিরের অন্যতম সড়ক গাবতলী এলাকা, ঢাকা- মাওয়া রোড, ঢাকা-চট্টগ্রাম রোড। সবকিছু উপেক্ষা করেই ছুটছে সাধারণ মানুষ। শাটডাউনের কথা শুনেই আগে আগে রাজধানী ছাড়ার চেষ্টা করছে।

এমন পরিস্থিতিতে যানবাহন না পেয়ে অনেকেই আবার কাভার্ডভ্যান, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন বিকল্প যানবাহনে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে বাড়ি যাচ্ছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

চুনারুঘাটে স্বামীর খোঁজে পাকিস্তানি নারী


মুজিবুর, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০৯:১০
চুনারুঘাটে স্বামীর খোঁজে পাকিস্তানি নারী

ছবি: মাহা বাজোয়ার

.
বাংলাদেশি স্বামীর খোঁজে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ছেলের বাড়িতে এসে হাজির হয়েছেন এক পাকিস্তানি নারী। তার নাম মাহা বাজোয়ার (৩০)। পাকিস্তানের লাহোরের বাসিন্দা মকসুদ আহমেদের মেয়ে তিনি। মাহার স্বামীর নাম সাজ্জাদ হোসেন মজুমদার (৩৫)।

চুনারুঘাট পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর বড়াইল এলাকার শফি উল্লা মজুমদারের ছেলে তিনি।  শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) স্বামীর খোঁজে চুনারুঘাট এসেছেন মাহা। সেখানে সাজ্জাদের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। এদিকে বিদেশি বধূ আসার খবরে আশপাশের এলাকা থেকে উৎসুক জনতা ওই বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন।

জানা গেছে, দশ বছর আগে দুবাইয়ে সাজ্জাদের পরিচয় হয় পাকিস্তানি নারী মাহার। পরে তারা বিয়েও করেন। কিন্তু এক পর্যায়ে মাহাকে ডিভোর্স দেন সাজ্জাদ। কিন্তু সেই ডিভোর্স মেনে নেননি মাহা। স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে চান।  

তাই জানা গেছে, গত ১৭ নভেম্বর পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে আসেন মাহা। শুক্রবার রাতে তিনি উত্তর বড়াইল গ্রামে সাজ্জাদের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন।

সাজ্জাদের ভাই স্বপন মজুমদার জানান, ২০১৪ সালে পাকিস্তানের লাহোরে ওই পাকিস্তানি তরুণীকে বিয়ে করেন সাজ্জাদ। এরপর পর সাজ্জাদ তাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন এবং পরে পুনরায় পাকিস্তান চলে যান। সাজ্জাদ ১৭ নভেম্বর পুনরায় দেশে ফেরেন; একই দিনে বাংলাদেশে ফেরেন মাহাও।

এ বিষয়ে সাজ্জাদের ভাই স্বপন বলেন, দুবাইয়ের একটি নাইট ক্লাবে সাজ্জাদ চাকরি করতেন। সেখানেই মাহার সঙ্গে তার পরিচয়। পরে তারা বিয়ে করেন। এক পর্যায়ে তাদের সংসারে ভাঙন ধরে। সাজ্জাদ দেশে ফিরলে মাহাও বাংলাদেশে এসে হাজির হয়েছেন। এ মুহূর্তে সাজ্জাদ উপস্থিত নেই বাড়িতে। সে এলে এলাকার মুরুব্বীদের নিয়ে বসে বিষয়টির সুরাহা করা হবে।

পাকিস্তানের ওই নারী বর্তমানে তার আতিথেয়তায় রয়েছেন বলেও স্বপন জানান।

হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ২০১৮ সালে মাহা ও সাজ্জাদের তালাক হয়। কিন্তু মাহা তা মেনে নিচ্ছেন না। তিনি স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে চান।

এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হক জানান, মাহা ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ এসেছেন। কিন্তু এদেশে অবস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় নিয়মাবলি তিনি অনুসরণ করেননি। ওই নারী থানায় এসেছিলেন এবং পরবর্তীতে আবার আসবেন বলে চলে যান।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

অসহায় ক্ষতিগ্রস্ত এসব নারী পুরুষের কান্নার দায় নিতে হবে নাজরান বিডিকে


সাইফুল আলম, ঢাকা প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ০৮:২৯
অসহায় ক্ষতিগ্রস্ত এসব নারী পুরুষের কান্নার দায় নিতে হবে নাজরান বিডিকে

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাইফুল আলম, ঢাকা:  পনের হাজার বিনিয়োগকারীর প্রায় ৮০০ কোটি টাকার লোপাট করে আত্মগোপনে আছেন নাজরান ফিশারিজ এন্ড এগ্রো বিডি প্রা: লিমিটেড এর চেয়ারম্যান মোঃ মোশারফ হোসেন মৃধাসহ সকল কর্মকর্তারা। প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ চেয়ে ভুক্তভোগী এই পরিবার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মালেক মিয়া হলে গতকাল ১৮ই মে বিকালে এই সংবাদ সম্মেলনে কান্না ঝড়ানো কন্ঠে এই নারীরা ব্যক্ত করেছেন কিভাবে তারা পুঁজি হারিয়েছেন | ১৫ হাজার সদস্যরা কিভাবে তারা পুঁজি হারিয়েছেন, হয়েছেন নিঃস্ব। নাজরান ফিশারিজ এন্ড এগ্রো বিডি প্রা: লিমিটেড এর ৮০০ কোটি টাকার প্রতারণার শিকার নাজরান বিডি প্রাইভেট লিঃ কোম্পানীর ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীদের আন্দোলন ঐক্য পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জনাব তোফাজ্জল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক- গণঅধিকার পরিষদ, বিশেষ অতিথি এস.এম.ইকবাল হোসেন, সভাপতি- ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেন্টর এসোসিয়েশন। মঞ্চে উপস্থিত আরো ছিলেন বিনিয়োগকারী আন্দোলন ঐক্য পরিষদের সভাপতি- জনাব মিজানুর রহমান। এছাড়া মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অন্যন্য বক্তা ও ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারী ভাই ও বোনেরা। এছাড়া জনাব মোঃ নূরুল হক নূর, সভাপতি- গণঅধিকার পরিষদ ও সাবেক ভিপি- ডাকসু আসার কথা থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ কাজে তিনি আসতে পারেননি।

সংবাদ সম্মেলনের মূল বক্তব্যে তারা বলেন, আমরা এখন আমাদের পুঁজি উদ্ধারের জন্য রাজপথে নেমেছি। তাহলে আমাদের টাকা আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। আজকে বাংলার মানুষ জানবে প্রতারক চক্রের গড ফাদার হলেন এই ০৪ (চার) জন ১। মোঃ মোশারফ হোসেন মৃধা, ২। আবুল হোসেন জীবন চৌধুরী, ৩। মোঃ আতাউর রহমান, ৪। মোঃ খান আসাদুজ্জামান লাভলু। এই ০৪ (চার) জন প্রতারক চক্রের গড ফাদার। নাজরান বিডি প্রাইভেট লিঃ কোম্পানী থেকে ১৫ হাজার মানুষের কাছ থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়। বন্ধুগণ ওনারা বর্তমানে দেশের ভেতরেই অবস্থান করিতেছে ও আত্মগোপনে রয়েছে। প্রতারকেরা গ্রহকদেরকে এমনভাবে মগজ ধোলাই করেছিলো তার ফলে প্রত্যেকটি সদস্যের সারা জীবনের যে যতটুকু টাকা কামাই করেছিলো সমস্ত টাকা কোম্পানীতে বিনিয়োগ করে দেয়। কোম্পানীর সদস্য তখন নিস্ব্য হয়ে পড়ে। তারপর যখন সদস্যা শুনতে পায় আমাদের টাকা প্রতারণা হয়ে গেছ। এই খবর শোনার পর অনেক সদস্য স্ট্রোক করে মৃত্যু বরণ করে। বন্ধুগন আমি আপনাদের বর্তমান হাল হকিকত জেনে, শুনে, বুঝে প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে। 

বাংলার মাটিতে কোন প্রতারকের ঠাই নাই। তাদের বিরুদ্ধে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে এই পর্যন্ত ১০টি মামলা হয়েছে। র‍্যাব- ১ প্রতারণামূলক দুইটি মামলা হয়েছে । বর্তমানে আমাদের এই কয়টি মামলা চলমান রয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় প্রতারক চক্র বার বার কিভাবে জামিন পায়? বর্তমান সরকারের কাছে সকল ভুক্তভোগী সদস্যদের চাওয়া-পাওয়া একটাই প্রতারকদেরকে আইনের আওতায় এনে তাদের স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ও প্রয়োজনবোধে বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্থ সদস্যদেরকে সুষ্ঠু বন্টন করে দেওয়া হোক। বন্ধুগন আমাদের এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। বর্তমানে সরকারের শরনাপন্ন হবো। প্রতারক চক্রকে এমন শাস্তি প্রদান করিতে হইবে তা যেন হয় বাংলাদেশে নজির বিহীন। উনারা যতদিন বেচে থাকবে মানুষের টাকার দিকে যেন দৃষ্টি না দেয়।
বাংলার মাটিতে এত বড় প্রতারণা সত্যিই অনেক বেশি কষ্টদায়ক। এই সমস্ত বয়স্ক নারীদের কান্নার দায় কে নেবে? উপস্থিত অনেক নারী এবং পুরুষ তাদের দুঃখের কথা এবং কষ্টের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। যারা এই ধরনের প্রতারণা করেছে তাদের বাংলার মাটিতে উপযুক্ত বিচার হওয়া উচিত।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - সারাদেশ