a
সংগৃহীত ছবি
শাটডাউনের ঘোষণা আসবে এমন খবর শুনেই রাজধানী ছাড়ছেন মানুষ। শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় সকালে ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে মানুষের ঢল নামে।
চলাচলে বাস বন্ধ থাকায় কয়েক ধাপে ভেঙ্গে ভেঙ্গে কয়েকগুণ ভাড়া বেশি দিয়ে গন্তব্যে ছুটছে সাধারণ মানুষ। প্রতিটি গাড়িকেই পুলিশের তল্লাশি চৌকি পার হতে হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো গাড়িকেই ঢাকায় ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। এতো কিছুর পরও ঠেকানো যাচ্ছেনা মানুষের ঢলকে।
সকালে ঢাকায় প্রবেশ ও বাহিরের অন্যতম সড়ক গাবতলী এলাকা, ঢাকা- মাওয়া রোড, ঢাকা-চট্টগ্রাম রোড। সবকিছু উপেক্ষা করেই ছুটছে সাধারণ মানুষ। শাটডাউনের কথা শুনেই আগে আগে রাজধানী ছাড়ার চেষ্টা করছে।
এমন পরিস্থিতিতে যানবাহন না পেয়ে অনেকেই আবার কাভার্ডভ্যান, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন বিকল্প যানবাহনে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে বাড়ি যাচ্ছে।
ছবি: সংগৃহীত
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে গোমতী নদীর বাঁধ ভাঙ্গনের ফলে এ উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পুরোপুরি তলিয়ে যায়। যার ফলে এসব এলাকার বানভাসি পরিবারগুলো ঠিকানা হয় এ উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়ণ কেন্দ্রগুলোতে।
এসব কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেওয়া অসহায় মানুষগুলোর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে কাজ করছেন সরকারি, বেসরকারিসহ বিভিন্ন সংগঠন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে অনেকে এগিয়ে এসেছেন এসব বন্যাদুর্গত মানুষের সহায়তায়। তাদেরই একজন বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এ টি এম মিজানুর রহমান।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, তিনি একাই নিজস্ব অর্থায়ন ও জনবল দিয়ে বন্যা কবলিত বুড়িচং উপজেলার ২৭টি আশ্রয়ণ কেন্দ্রের অন্তত ১০ হাজার মানুষকে খাদ্য, চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এজন্য তিনি রান্নার কাজে অর্ধশতাধিকের বেশি বাবুর্চি এবং শতাধিক স্বেচ্ছাসেবীদের এসব আশ্রয়ণ কেন্দ্রে রেখেছেন।
এছাড়াও তিনি তার আপন নিজ ভাই ডা. নাজমুল হাসান সাঈদসহ একাধিক চিকিৎসকের সমন্বয়ে কয়েকটি মেডিকেল টিম গঠন করেছেন। এ টিমগুলো প্রতিদিনই দুর্গতদের মাঝে চিকিৎসা সেবা দিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন।
বন্যার প্রথম দিনে শুকনো খাবার বিতরণ করলেও দুর্গত মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে মিজানুর রহমান ২৪ আগস্ট থেকে খাবারের তালিকায় দুপুর ও রাতে খিচুড়িসহ ভারি খাবার সরবরাহ শুরু করেন। এজন্য ২৭টি আশ্রয় কেন্দ্রের প্রত্যেকটিতে পৃথক বাবুর্চি ও সহযোগীসহ খাবার সরবরাহের জন্য অন্তত ২ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছে।
এদিকে নির্ধারিত আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি বাইরেও তাদের মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে জানান সাবেক এই চেয়ারম্যান।
বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সবাই শুকনো চিড়া, মুড়ি, বিস্কুট দিলেও মিজানুর রহমান আশ্রিতদের জন্য বাবুর্চি এনে রান্না করাচ্ছেন। এতে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বয়স্ক, শিশুসহ সব শ্রেণির মানুষের সুবিধা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিজানুর রহমান বলেন, আমি এ উপজেলার দুর্গত মানুষের সেবায় কোনো স্বার্থের মোহে কাজ করছি না। আগে করোনাসহ বিভিন্ন সময়ে আমি মানুষের পাশে ছিলাম। এবারও আছি। যতদিন আল্লাহ সামর্থ্য রাখবেন ততদিন অসহায়, সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যাব।
তিনি আরও বলেন, আমার মেডিকেল টিম ৫-৭ সদস্য বিশিষ্ট। প্রতিটি টিমে আলাদা চিকিৎসক রয়েছেন। যখন যেখানে প্রয়োজন সেখানেই যাচ্ছেন তারা। ঔষধ, স্যালাইনসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন তারা।
তিনি বলেন, বন্যা পরবর্তী দুর্গতদের পুনর্বাসন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রশাসন, এনজিও, রেডক্রিসেন্ট, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবীমূলক প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল, রেমিট্যান্স যোদ্ধাসহ সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
এছাড়া পর্যায়ক্রমে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের তালিকা তৈরি করে পুনর্বাসন কাজ এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি: ড. ইউনুস ও কেনেডির মেয়ে
শান্তিতে নোবেলজয়ী বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ওপর অত্যাচার বন্ধের দাবি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট আইনজীবী, লেখক ও মানবাধিকারকর্মী কেরি কেনেডি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এক পোস্টে তিনি এ দাবি জানান।
কেরি কেনেডি বিশ্বখ্যাত মানবাধিকারবিষয়ক সংগঠন রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটসের প্রেসিডেন্ট। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সিনেটর রবার্ট এফ কেনেডির মেয়ে এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাতিজি।
ড. ইউনূসকে নিজের প্রিয় বন্ধু সম্বোধন করে কেরি কেনেডি লেখেন- ‘আমার প্রিয় বন্ধু এবং নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের ওপর অত্যাচার বন্ধ করতে হবে! আমিসহ ১৬০ জনের বেশি বিশ্বনেতা (তার প্রতি) ন্যায়বিচারের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের আচরণের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলাচিঠি লিখেছিলেন রাজনীতি, কূটনীতি, ব্যবসা, শিল্পকলা ও শিক্ষাক্ষেত্রের ৪০ জন বিশ্বনেতা। তাদের মধ্যে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসন, প্রয়াত মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডির ছেলে টেড কেনেডি জুনিয়রের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্বরা।
ওই খোলা চিঠির ধারাবাহিকতায় এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর ১০০ জনেরও বেশি নোবেল বিজয়ীসহ ১৬০ জনেরও বেশি বিশ্বনেতা একটি নতুন চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, পূর্বতিমুরের প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস-হোর্তা, আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসন, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুনের মতো ব্যক্তিত্ব। ওই চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের একজন, রেজাল্টস অ্যান্ড সিভিক কারেজের প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ডেলি-হ্যারিস এক বিজ্ঞপ্তিতে চিঠিটি প্রকাশ করেছেন। সূত্র: যুগান্তর