a
সংগৃহীত ছবি
শাটডাউনের ঘোষণা আসবে এমন খবর শুনেই রাজধানী ছাড়ছেন মানুষ। শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় সকালে ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে মানুষের ঢল নামে।
চলাচলে বাস বন্ধ থাকায় কয়েক ধাপে ভেঙ্গে ভেঙ্গে কয়েকগুণ ভাড়া বেশি দিয়ে গন্তব্যে ছুটছে সাধারণ মানুষ। প্রতিটি গাড়িকেই পুলিশের তল্লাশি চৌকি পার হতে হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো গাড়িকেই ঢাকায় ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। এতো কিছুর পরও ঠেকানো যাচ্ছেনা মানুষের ঢলকে।
সকালে ঢাকায় প্রবেশ ও বাহিরের অন্যতম সড়ক গাবতলী এলাকা, ঢাকা- মাওয়া রোড, ঢাকা-চট্টগ্রাম রোড। সবকিছু উপেক্ষা করেই ছুটছে সাধারণ মানুষ। শাটডাউনের কথা শুনেই আগে আগে রাজধানী ছাড়ার চেষ্টা করছে।
এমন পরিস্থিতিতে যানবাহন না পেয়ে অনেকেই আবার কাভার্ডভ্যান, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন বিকল্প যানবাহনে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে বাড়ি যাচ্ছে।
ফাইল ছবি
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলির পণ্য বয়কটের ঘোষণা দেওয়া শুরু করেছে সাধারণ জনগন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক টুইটারে সকলেই পণ্য বয়কটের আন্দোলন শামিল হচ্ছে। ইসরায়েল রাষ্ট্র একের পর একে ফিলিস্তিনি নিরীহ মানুষের উপর হামলা করছে। যুগে যুগে যখন মুসলমানদের উপর বিভিন্ন অত্যাচার হচ্ছে সেখানে অত্যাচারিত জাতির পাশে দাঁড়িয়েছে সকল মুসলিম দেশ। এছাড়া মুসলিম না হয়েও অনেকে তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। ইহুদিরা বর্তমানে মুসলমানদের পবিত্র আল আকসা মসজিদকে কেন্দ্র করে নিরীহ মানুষের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালাচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের জমি ও বাড়িঘর ধ্বংস করে দিচ্ছে। এমতাবচ্ছায় বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে পণ্য বয়কটের ঘোষণা দিচ্ছে, যারা দখলদারদের পণ্য ক্রয় করে বা বাজারজাত করে তারা একই অপরাধে পাপী হিসেবে স্বীকৃত।
টানা ষষ্ঠ দিনের মত ইসরাইলি হামলায় এখন পর্যন্ত ১৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।এছাড়া আহত হয়েছেন হাজারেরও বেশি মানুষ। পাশাপাশি বহু ফিলিস্তিনি নরনারীদের গ্রেফতার করেছে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েল বাহিনী। যতই দিন যাচ্ছে ততই ভয়ংকরভাবে মুসলমানদের উপর আক্রমণ করতেছে ইহুদি এ রাষ্ট্রটি। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের দেশের পণ্য বয়কট করে বিকল্প পণ্য ব্যবহারে ঘোষণা দিচ্ছে অনেকে। অনেকে মনে করেন পণ্য বয়কট একটি মনস্তাত্ত্বিক বিষয়। এক্ষেত্রে ইসরায়েল রাষ্ট্র কিছুটা হলেও অর্থনৈতিকভাবে বেকায়দা পড়েবে।
বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ইসরাইলি পণ্যের মধ্যে আছে কোমল পানীয় পেপসি, সেভেন আপ, স্প্রাইট, মিরিন্ডা, মাউন্টেড ডিউ, ফান্টা, একুয়াফিনা। এছাড়া আছে তাজা চা পাতা, ট্যাং,নাইকি, নেস্টলে লেভিসসহ বহুজাতিক পণ্য যা আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য হিসেবে ব্যবহার করে আসছি।
ফাইল ছবি
সামরিক শক্তিতে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে চীন। নতুন আরও ১১০টি ক্ষেপণাস্ত্র সাইলো নির্মাণ করেছে দেশটি। যা পারমাণবিক অস্ত্রের জন্য ব্যবহৃত হবে। এমন খবরে উদ্বেগ জানিয়েছেন পেন্টাগন কর্মকর্তা এবং রিপাবলিকান দলের কংগ্রেস সদস্যরা।
আমেরিকান ফেডারেশন অব সায়েন্টিস্টসের (এএফএস) একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন তাদের সিনজিয়াং অঞ্চলের পূর্বে হামির কাছে সাইলোর একটি নতুন ক্ষেত্র নির্মাণ করছে। স্যাটেলাইটে এমন ছবিই ধরা পড়েছে।
জানা যায়, চীনের দক্ষিণপূর্বে ৩৮০ কিলোমিটার দূরে ইউমেনে একটি মরু এলাকায় প্রায় ১২০টি সাইলো নির্মাণের কাজ করছে বেইজিং।
রয়টার্স জানায়, সাইলো হল একটি ভূগর্ভস্থ স্থাপনা, যেখানে বোমা বহনকারী নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ছোড়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়।
চীনের এই পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ বাড়ানোর পদক্ষেপকে জুলাইয়ের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর উদ্বেগজনক আখ্যা দিয়ে বলে, পারমাণবিক অস্ত্রের নূন্যতম মজুদ বজায় রাখার দীর্ঘদিনের নীতি থেকে দূরে সরে আসছে বেইজিং।
রিপাবলিকান দলের কংগ্রেস সদস্য মাইক টার্নার বলেন, চীনের পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ উদ্বেগজনক। তারা এটাও স্পষ্ট করেছে, সেগুলো মোতায়েন করা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাষ্ট্র মিত্র দেশগুলোকে হুমকি দেওয়ার জন্য। সূত্র: রয়টার্স।