a
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
হবিগঞ্জ জেলা সদরের সুতাং নদীতে প্রাণ আর এফ এল কোম্পানীর ফেলানো বর্জ্যে এতই দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে যে, ঐ এলাকার জনজীবন হুমকির সম্মুখীন। লোক মুখে শোনা যায় যে, সুতাং নদীর বিষাক্ত পানিতে মাছ পর্যন্ত টিকছেনা।
মুক্তসংবাদ প্রতিদিনের হবিগঞ্জ জেলার প্রতিনিধি শেখ আব্দুল কাদির কাজল সরোজমিনে সুতাং নদীর তীরে সাধুর বাজারে গেলে, সেখানকার বাতাসে নদীর দূর্গন্ধযুক্ত হাওয়া নাকে লাগলে- তাৎক্ষণিক হাঁচি উঠে এবং সেখানে টিকে থাকা বড়ই কষ্টকর বলে জানান।
কেমিক্যাল এর পঁচা দূর্গন্ধযুক্ত বাতাস জনজীবনে মহাবিপর্যয় ঘটবে বলেই আশংকা করছেন স্থানীয় লোকজন। তাই এ বিষাক্তযুক্ত পানি নিষ্কাশনে বিকল্প ব্যবস্থা না করলে এখানকার আশে পাশে লোকজন বসবাস করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
তাই পরিবেশ অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার নিকট জোর দাবী, অতি সত্বর এখানকার বিষাক্ত পানিকে নিষ্কাষনের ব্যবস্থা করা এবং ভবিষ্যতে কোন কোম্পানির কেমিক্যালের দুর্গন্ধযুক্ত পানি সুতাং নদীর সাথে সংযোগ স্থাপন না করা হয়।
ফাইল ছবি
মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। আগের মতো ফেরি চলাচলের ঘোষণার পর মঙ্গলবার থেকে ঘাটে মানুষের চাপ বেড়ে যায়। গতকাল রাত পর্যন্ত ঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ অনেক বেশি ছিলো। কোন ফেরি আসার সাথে সাথে ফেরিতে লোকজন উঠার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে।
আজ বুধবার সকাল হতে শিমুলিয়া ঘাটে লোকজন আরও বেড়ে যায়।
আইন-শৃংখলা বাহিনী বিগত কয়েকদিনের ন্যায় আজও শিমুলিয়া ঘাটের প্রবেশ মুখে ব্যারিকেট দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। তারপরও প্রায় ১ কিলোমিটার পায়ে হেটে যাত্রীরা ঘাটে প্রবেশ করছে। অনেকে পরিবার পরিজন ও মালপত্র নিয়ে পায়ে হেটে ঘাটে পৌঁছাতে হাফিয়ে উঠছে। আবার ঘাটে এসে যাত্রীদের ফেরিতে উঠতে আরেক যুদ্ধ করতে হয়।
শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসির সহকারি উপমহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘাটে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। বাংলাবাজার ঘাট হতে যখন কোন ফেরি ভিড়ছে, তখনি যাত্রীরা সবাই একসঙ্গে উঠার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। যাত্রীদের চাপে ফেরির যানবাহনগুলো ঠিকমতো নামাতে পারছে না। আর এরফলে ধীরগতিতে যানবাহন নামিয়ে ফেরি ছাড়তে দেরি হচ্ছে।
আগের ন্যায় ঘাটে ফেরি সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে ১৩-১৪ টি ফেরি চলছে। কিন্তু যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপে হিমশিম খেতে হচ্ছে ঘাটের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের। একটি ফেরি ঘাটে বেড়ানোর সাথে সাথেই সকল যাত্রী সেখানেই উঠার চেষ্টা করছেন। কোনোভাবেই তাদের ফেরি থেকে নামানো যাচ্ছে না বা স্বাস্থ্যবিধি মানার যে দূরত্ব তা কোনভাবেই রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছেনা।
ফাইল ছবি
বছর ঘুরে অফুরন্ত রহমত নিয়ে ফিরে এলো মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজান। রমজান আসে আমাদের অন্তরজগৎ প্রস্তুত করতে। যেন সেখানে খোদাভীতি জায়গা করে নিতে পারে।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। পৃথিবীজুড়ে থাকা মুসলিমদের রমজান মাসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম , সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল।
‘পবিত্র এই রমজান মাসে মহান আল্লাহ যেন সবার কষ্ট কমিয়ে দেন, রহমত নাজিল করেন এবং জীবনকে সমৃদ্ধ করেন। সবাইকে রমজান মোবারক,’ নিজের ফেসবুক পেইজে লেখেন মুশফিক।
তামিম লেখেন, ‘সকলকে পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা। সবাই সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন।’
নিজের ফেইসবুক পেইজে সাকিব লেখেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের প্রয়োজন ধৈর্য ও সহানুভূতি। একমাত্র আল্লাহ তায়ালা আমাদের এই কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার শক্তি দিতে পারেন। আসুন পবিত্র রমজান মাসে আমরা সবাই মিলে আমাদের দেশ ও জনগণের মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করি। সবাইকে রমজানুল মোবারক।’
তিন জনের কেউই অবশ্য এই মুহূর্তে দেশে নেই। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে শ্রীলঙ্কায় কোয়ারেন্টিনে আছেন তামিম ও মুশফিক। অন্যদিকে আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলতে ভারতে আছেন সাকিব আল হাসান।
এছাড়া রমজানের শুভেচ্ছা জানালেন, রুবেল হোসেন-তাসকিন আহমেদও। পেসার রুবেল তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লিখলেন, আলহামদুলিল্লাহ, রমজানের চাঁদ দেখা গিয়েছে সবাইকে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।