a
ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া সাবান ফ্যাক্টরি গলির একটি ভাড়া বাসায় মায়ের সাথে থাকেন ১১ বছরের মোঃ ইমন নামের এক মাদ্রাসার ছাত্র। ২৫ জুলাই(সোমবার) সকালে মা ও মামার সাথে রাগ করে চুনকুটিয়া এলাকা থেকে শরিয়তপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে হাটতে হাটতে কমলাপুর রেলস্টেশনে চলে আসে সে। রেলস্টেশন থেকে শরিয়তপুর যাওয়ার কোন ট্রেন না থাকায় কমলাপুর স্টেশনের পাশে এক বাইক মেকানিকের দোকানে এসে ক্ষুধা লাগছে বলে কান্না করতে থাকে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হবীবুল্লাহ কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈকত চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক
বি এম এম আদিল ভূঁইয়া।
তারা ইমনের কাছ থেকে তার নাম ঠিকানা ও কেন এখানে এসেছে সব তথ্য সংগ্রহ করে। তারপর কেরানীগঞ্জ বাসিন্দা হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য বাদল রহমান তুন্নার সহযোগিতায় ইমনকে তার অসুস্থ মায়ের কাছে পৌছে দিয়ে আসেন। এসময়ে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈকত চৌধুরী ইমনের পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব নেন এবং ইমনকে যেন তার পরিবার ভালো মত দেখভাল করেন খেয়াল রাখেন ও কোন সমস্যা হলে সৈকত চৌধুরীকে জানানোর কথা বলে আসেন।
সেসময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবির আসাদ, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মোঃসাত্তার মজুমদার ও কার্যকারি সদস্য এনামূল হাসান।
হারানো সন্তানকে ফিরে পেয়ে ইমনের মা অশ্রুসিক্ত হয়ে হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দদের ধন্যবাদ ও প্রাণ ভরে দোয়া করেন।
ফাইল ছবি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১৫তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থীর বাবা বেশ কয়েকদিন যাবত COVID-19 এ আক্রান্ত হয়ে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হসপিটালে ভর্তি আছেন। তিনি দীর্ঘ ৮/৯ বছর ধরে হার্টের সমস্যা ভুগছেন।
বর্তমানে উনার ফুসফুস ৫০% নষ্ট হয়ে গেছে, সে জন্য ডাক্তার ২৪ ঘন্টা অক্সিজেন দিয়ে রেখেছেন। ডাক্তার ২০ এপ্রিল (মঙ্গল বার ) বলেছেন তাকে দ্রুত ICU তে নিতে হবে, তা না হলে অবস্থা খারাপের দিকে চলে যাবে।
এমতাবস্থায়, উন্নত চিকিৎসা জন্য জবি শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের পরিবারে বাবা ব্যতীত আয় রোজগারের আর কেউ নেই। যা টাকা ছিল সব কিছুই বাবার চিকিৎসার পেছনে এতদিন খরচ হয়ে গেছে।
এছাড়া কিছুদিন আগে আমার আম্মাও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং তার পেছনেও টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে আমার বাবার উন্নত চিকিৎসার জন্য সবার নিকট সহযোগিতা চাই। জবিয়ান সাবেক ও বর্তমান সকলের কাছে আমার আবেদন রইলো।
সহযোগীতা পাঠানোর মাধ্যমঃ
মোবাইলঃ 01852059425; বিকাশঃ 01852059425; নগদঃ 01852059425
রকেটঃ 017375969091
আমরা এই মহামারীতে যার যেমন সামর্থ্য অসহায় জবিয়ানের এই পরিবারের পাশে দাঁড়াই।
সংগৃহীত ছবি
মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার প্রথম পর্যায়ে ৫০টি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।
যেসব মডেল মসজিদ আজ উদ্বোধন করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে-
ঢাকার সাভার, ফরিদপুরের মধুখালী, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, কুলিয়ারচর, মানিকগঞ্জের শিবালয়, রাজবাড়ী সদর, শরীয়তপুর সদর, গোসাইরহাট, বগুড়ার সারিয়াকান্দি, শেরপুর, কাহালু, পাবনার চাটমোহর, সিরাজগঞ্জ সদর, রাজশাহীর গোদাগাড়ী, পবা, দিনাজপুরের খানসামা, বিরল, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ, রংপুর সদর, পীরগঞ্জ সদর, বদরগঞ্জ।
এছাড়াও তালিকায় রয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিদপুর, জামালপুরের ইসলামপুর সদর, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, তারাকান্দা, ভোলা সদর, ঝালকাঠির রাজাপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, নবীনগর, চাঁদপুরের কচুয়া, চট্টগ্রাম জেলা সদর, লোহাগড়া, মিরসরাই, সন্দ্বীপ, কুমিল্লার দাউদকান্দি, খাগড়াছড়ির পানছড়ি, নোয়াখালীর সুবর্ণচর, খুলনা জেলা সদর, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদর, কুষ্টিয়া জেলা সদর এবং সিলেটের দক্ষিণ সুরমা মসজিদ।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের ইতিহাসে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় একসঙ্গে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাসে কমই আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করতে যাচ্ছেন।