a
ফাইল ছবি
বাংলাদেশের বিপক্ষে গতকাল প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২৩ রানের হারের পর রাতে ভাল ঘুম হয়নি অস্ট্রেলিয়ানদের। টাইগারদের স্বল্প পূজিঁর বিপক্ষে মাত্র ১০৮ রানে গুড়িয়ে গিয়েছিল। সিরিজে সমতা আনতে আজ দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিংই বেছে নেয় অস্ট্রেলিয়া। টাইগার বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১২১ রানে গুটিয়ে য়ায় অজিদের ইনিংস। আজকের ম্যাচে জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ১২২ রান।
বেশ দেখেশুনে শুরু করেন তাদের দুই ওপেনার অ্যালেক্স কারে আর গ্লেন ফিলিপে। আজ বুধবার মিরপুর শেরে বাংলায় এবারও স্পিন দিয়ে বোলিং শুরু করে বাংলাদেশ। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আক্রমণে নিয়ে আসেন মাহেদি হাসানকে। টাইগার অফস্পিনারের প্রথম ওভার থেকে মাত্র ১ রান তুলতে পারে অস্ট্রেলিয়া।
দ্বিতীয় ওভারেই নাসুম আহমেদের ওপর চড়াও হন কারে, জোড়া বাউন্ডারি হাঁকান। তবে পরের ওভারে এসে এই ওপেনারকে সাজঘরের পথ দেখিয়েছেন মাহেদি। ওভারের তৃতীয় বলে ঘূর্ণি বুঝতে না পেরে কারে (১১ বলে ১১) তুলে দেন মিড অফে। নাসুম নেন সহজ ক্যাচ। ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। মার্শ-হ্যানরিকস জুটি অস্বস্তিতে ফেলেছিল বাংলাদেশকে। ঠিক তখনই ত্রাতা হয়ে আসেন সাকিব আল হাসান। ৩০ রান করা হ্যানরিকসকে বোল্ড করে ফেরালেন সাজঘরে। ১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে স্লগ সুইপ খেলতে চেয়েছিলেন হ্যানরিকস, বল ব্যাট মিস করে তার শরীর স্পর্শ করে ভেঙে দেয় স্ট্যাম্প। ৩টি চার ও ১টি ছয়ে ২৫ বলে ৩০ রান করে হ্যানরিকস।
মোস্তাফিজের স্লোয়ারে বোল্ড হয়ে ফিরলেন জস ফিলিপে। বুঝতেই পারেননি ফিলিপে। খেলতে চেয়েছিলেন লেগ সাইডে কিন্তু ব্যাটে-বল এক করতে পারেননি। দ্য ফিজের স্লোয়ার ভেঙে দেয় ফিলিপের লেগ স্ট্যাম্প। ১৪ বলে ১০ রান করেন ফিলিপে। এর পর বিপদজনক হয়ে ওঠা মার্শকে সাজ ঘরে ফেরান শরিফুল ইসলাম। ৪২ বলে ৪৫ রান করে আউট হন মার্শ।
অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডকে বোল্ড করে ম্যাচে টাইগারদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ। ম্যাথু ওয়েডকে আউটের পর অ্যাশটন আ্যাগারকে আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলে ছিলেন মোস্তাফিজ। টাইগার বোলারদের মধ্যে মোস্তাফিজ ৩টি এবং শরিফুল ইসলাম ২ উইকেট লাভ করেন।
ফাইল ছবি
ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাটের ধুমধাড়াক্কা লড়াই হলো টি-টুয়ান্টি। সেখানে অনেকেই বাংলাদেশকে ছোট দল হিসেবেই গননা করে থাকে কিন্তু সম্প্রতি সময়ে বাংলাদেশ যেন রীতিমতো উড়ছে। টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়ার পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও সংক্ষিপ্ত এই সংস্করণে টাইগারদের জয়রথ চলছেই।
এদিকে, ধারাবাহিক সাফল্যে র্যাংকিংয়েও অবিস্মরণীয় সাফল্য মাহমুদউল্লাহ বাহিনীর। গতকাল শুক্রবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৪১ রান করে বাংলাদেশ। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানে ইনিংস গুটায় নিউজিল্যান্ড। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ৪ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।
টানা দ্বিতীয় জয়ে এবার র্যাংকিংয়ে আরেকধাপ এগোল মাহমুদউল্লাহ বাহিনী। টি-২০ তে এখন অস্ট্রেলিয়ার চেয়েও ভালো দল বাংলাদেশ! কি অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ার কিছুই নেই। আইসিসির সবশেষ র্যাংকিং যে বলছে অজিদের চেয়ে এই মুহূর্তে টাইগাররাই এগিয়ে। ক’দিন আগে ওদের বিপক্ষে ৪-১ এ সিরিজ জয়।
এরপর নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে টানা দুই ম্যাচ জয়ের পুরস্কার এটি। আইসিসি র্যাংকিং হালনাগাদ করা হলেও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ের ২৪১ রেটিং নিয়ে ছয় নম্বরে অবস্থান করছে বাংলাদেশ।
মাহমুদউল্লাহরা পেছনে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া (২৪০), শ্রীলংকা (২৩৫), আফগানিস্তান (২৩৬) ও ওয়েস্টে ইন্ডিজকে (২৩৪)। সুখবর আরও অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের সামনে। কিউইদের বিপক্ষে তৃতীয় টি-২০ জিতলে আরও তিন রেটিং পয়েন্ট যুক্ত হবে তাদের। জয়ের ধারাবাহিকতা পরের ম্যাচে থাকলে আরও দুই পয়েন্ট পাবে টাইগররা। সেক্ষেত্রে সমান ২৪৬ রেটিং পয়েন্ট হবে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে।
তবে ম্যাচ কম খেলার কারণে সমান পয়েন্টেও প্রোটিয়াদের টপকে পাঁচ নম্বরে উঠে যাবে রিয়াদ বাহিনী। এর আগে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের সাত নম্বরে উঠেছিল বাংলাদেশ। রেটিং পয়েন্টের হিসেবে ওটাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টাইগারদের সবচেয়ে বড় অর্জন ছিল এতদিন। কিন্তু সেটা ছাপিয়ে এবার টি-২০ তে সফলতা পেল সাকিব-মুস্তাফিজরা। ওয়ানডে তাদের পছন্দের ফরম্যাট বলা হলেও শতকরা জয়ের হিসেবে টি-২০’তেই সফলতার হার এখন সবচেয়ে বেশি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকার পথে রওনা হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে তিনি শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে একটি ছবি শেয়ার করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
শেয়ার করা ওই ছবির ক্যাপশনে মোদি লিখেছেন, ‘ঢাকার জন্য রওনা হলাম। এই ভ্রমণ বাংলাদেশ ভারতের বন্ধুত্ব আরও গভীরতর করবে।'
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) এক ভিডিও বার্তায় নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আগামীকাল জাতীয় দিবস উদযাপনে অংশ নেওয়ার জন্য অধীর অপেক্ষায় আছি, যাতে শততম জন্মবার্ষিকীতে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও স্মরণ করা হবে। গত শতাব্দীর অন্যতম শীর্ষ নেতা বঙ্গবন্ধু, যার জীবন ও আদর্শ এখনও লাখ লাখ মানুষকে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছে।’
ওই বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্যও অধীর অপেক্ষার কথা।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘করোনা মহামারির এই সময়ে এমন এক প্রতিবেশী বন্ধু দেশে সফর করতে পেরে আমি আনন্দিত, যার সঙ্গে ভারতের গভীর সাংস্কৃতিক, ভাষাগত এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক বিদ্যমান।’
আরো পড়ুন: জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর পূর্ণাঙ্গ ভাষণ
সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জে মন্দির পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘সাতক্ষীরায় পৌরাণিক যশোরেশ্বরী মন্দিরে মা-কালীর প্রতিও পূজা দিতে চাই আমি। বিশেষ করে ওড়াকান্দিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের সঙ্গেও মিথস্ক্রিয়া করতে চাই আমি, যেখানে শ্রী হরিচরণ ঠাকুর পবিত্র বাণী প্রচার করেছিলেন।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘গত ডিসেম্বরে ভার্চুয়াল বৈঠকের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার বিশেষ আলাপ-আলোচনা হবে। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও অন্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হবে।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাপ্নিক নেতৃত্বে তাৎপর্যপূর্ণ অর্থনৈতিক ও উন্নয়নমূলক অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশকে সাধুবাদ জানানোয় আমার সফর সীমাবদ্ধ থাকবে না; এর সঙ্গে এই অর্জনে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও থাকবে।’
এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি উল্লেখ করে বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতা ও সংহতির বার্তাও সফরে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, মুজিব শতবর্ষে চিরঞ্জীব নেতা জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি ভালোবাসায় ও স্বাধীন বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শুক্রবার (২৬ মার্চ) ঢাকা আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর পাশাপাশি বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তিতে মোদির এ সফর বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে।