a
ফাইল ছবি
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলমান সপ্তম আসরে নাজেহাল অবস্থা ভারতের। প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে ধরাশায়ী হয় বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন দলটি।
ভারতকে ১৫১ রানে আটকে দিয়ে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পায় পাকিস্তান। বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে এই প্রথম ভারতের বিপক্ষে জয় পেল পাকিস্তান।
পাকিস্তানের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও ছন্নছাড়া ব্যাটিং ভারতের। কিউইদের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যাওয়া ভারত ইনিংস থামায় ৭ উইকেটে ১১০ রানে।
১১১ রানের মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে ৩৩ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয় পায় নিউজিল্যান্ড। দলের জয়ে ৩৫ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন ওপেনার ড্যারিল মিচেল। ৩১ বলে তিনটি বাউন্ডারিতে ৩৩ রান করে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
টানা দুই ম্যাচে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে কঠোর সমালোচনা মুখে পড়েছে বিরাট কোহলিরা।
ভারতের বিপক্ষে টার্গেট তাড়া করতে নেমে দলীয় ২৪ রানে ফেরেন মার্টিন গাপটিল। তিনি জসপ্রিত বুমরাহর শিকার হওয়ার আগে ১৭ বলে করেন ২০ রান।
এরপর তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে সঙ্গে নিয়ে ৫৪ বলে ৭২ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান ড্যারিল মিচেল। ৩৫ বলে ৪৯ রান করেন।
এরপর ডেভন কনওয়েকে সঙ্গে নিয়ে ১৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জয় নিশ্চিত করেন কেন উইলিয়ামসন।
রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপর্যয়ে পড়ে যায় ভারত। ট্রেন্ট বোল্টের গতির বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওপোনার ইশান কিশান।
সুরাইয়া কুমার যাদবের পরিবর্তে সুযোগ পেয়ে ওপেনিংয়ে নেমে মাত্র ৮ বলে ৪ রান করে ফেরেন ইশান। তার বিদায়ে ২.৫ ওভারে ১১ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত।
ইশান কিশান দলে ফেরায় ওপেনিং পজিশন ছাড়েন রোহিত শর্মা। তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমেই ইশান কিশানের মতো ট্রেন্ট বোল্টের বলে ক্যাচ তুলে দেন রোহিত শর্মাও। লংঅনে ফিল্ডিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এডাম মিলনির হাতে বলটি পড়ে। কিন্তু সহজ ক্যাচটি তার হাত ফসকে পড়ে যায়। শূন্য রানে লাইফ পান ভারতীয় এ তারকা ওপেনার।
৫.৫ ওভারে দলীয় ৩৫ রানে টিম সাউদির বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন অন্য ওপেনার লোকেশ রাহুল। দলীয় ৪০ রানে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন শূন্য রানে ক্যাচ তুলে দেওয়া রোহিত শর্মা। সাজঘরে ফেরার আগে ১৪ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ১৪ রান করেন তিনি।
রোহিত আউট হওয়ার পর উইকেটে বেশি সময় স্থায়ী হতে পারেননি অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ইস সৌদির বলে ট্রেন্ট বোল্টের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তিনি। তার আগে ১৭ বলে মাত্র ৯ রান করার সুযোগ পান কোহলি।
দলীয় ৭০ রানে ফেরেন ঋষভ পন্থ। অ্যাডাম মিলনির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন এ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। ১৯ বলে মাত্র ১২ রান করার সুযোগ পান তিনি।
এরপর ১৯তম ওভারে দলীয় ৯৪ রানে আউট হন হার্দিক পান্ডিয়া ও শার্দুল ঠাকুর। দলকে সম্মানজনক স্কোর উপহার দিতে শেষ দিকে চেষ্টা করে যান রবিন্দ্র জাদেজা। তিনি ১৯ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।
ফাইল ফটো
চলতি বছর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) অষ্টম আসর বসছে না। বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ব্যস্ত থাকায় আসরটি আগামী বছরের জানুয়ারিতে মাঠে গড়াবে। শনিবার বিপিএল গর্ভনিং কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয়।
২০২১-২০২২ মৌসুমের ঘরোয়া ক্রিকেটের সূচী ঘোষণা করেছে বিসিবি। সেখানে বিপিএলের নেই কোন উইন্ডো। বিপিএলের গর্ভনিং কাউন্সিলের সেক্রেটারি ইসমাইল হায়দার চৌধুরী জানান, নভেম্বরে পাকিস্তান সফরের কারণে বিপিএল আয়োজন করা হলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের পাওয়া যাবে না, এজন্য বিপিএল হচ্ছে না।
ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই আসরটি ২০২২ সালের ১৪ জানুয়ারি শুরু হবে এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে এবং পরবর্তী বছরে আসর বসবে জানুয়ারির শুরুতে।
ইসমাইল হায়দার আরও জানান, বিপিএলের জন্য আমাদের সামনে কয়েকটি উইন্ডো খোলা ছিল। নভেম্বর তার মধ্যে একটি। কিন্তু ওই সময়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ আছে। আবার ডিসেম্বরে আয়োজন করা যেত, তখন নিউজিল্যান্ড দল সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসবে। সেসব কারণে আমাদের আগামী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত আসরটি স্থগিত রাখা হয়।
ফাইল ছবি: মিখাইল গর্বাচেভ
সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বশেষ নেতা মিখাইল গর্বাচেভ আর নেই। মঙ্গলবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
রুশ সংবাদ সংস্থার বরাতে বিবিসি ও রয়টার্স গর্বাচেভের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছে। রাশিয়ার সেন্ট্রাল ক্লিনিকাল হাসপাতাল এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘গুরুতর ও দীর্ঘকালীন অসুখে ভুগে মিখাইল গর্বাচেভ আজ মারা গেলেন।’
রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, গর্বাচেভের মৃত্যুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শোক জানিয়েছেন।
মিখাইল গর্বাচেভ বিশ্বে নন্দিত ও নিন্দিত দুটোই। এক সময়ের কমিউনিস্ট নেতা ছিলেন গর্বাচেভ। রাশিয়ায় দীর্ঘসময় ধরে চলা সমাজতন্ত্রের পতন হয়েছিল তার নেতৃত্বেই। ওই পতনের মধ্য দিয়ে বিশ্বে স্নায়ুযুদ্ধের অবসান ঘটে।
তাই সমাজতন্ত্রবাদীদের কাছে নিন্দিত গর্বাচেভ স্নায়ুযুদ্ধের অবসান ঘটানোর জন্য অনেকের কাছে নন্দিত। অনেক রুশ গর্বাচেভকে ঘৃণা করেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, পরাশক্তি থেকে রাশিয়াকে দুর্দশাগ্রস্ত দেশের কাতারে নিয়ে আসার জন্য অনেক রুশ এখনও গর্বাচেভকে ক্ষমা করতে পারেন নাই।
সোভিয়েত পতনের পর নিজেও ক্ষমতা হারান গর্বাচেভ। এর পর পশ্চিমা দেশগুলোতে বক্তৃতা দিয়েই সময় পার করেছেন। ১৯৯৯ সালে স্ত্রী রাইসা গর্বাচেভের মৃত্যুতে অনেকটাই ভেঙে পড়েন তিনি।
১৯৯৬ সালে পরিবর্তিত রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন গর্বাচেভ, তবে ভোট পেয়েছিলেন মাত্র ৫ শতাংশ।
রাশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক সময় কড়া সমালোচক ছিলেন গর্বাচেভ। তবে ২০১৪ সালে পুতিনের নির্দেশে যখন ক্রিমিয়া দখল করে রাশিয়া, তখন তার পক্ষেই ছিলেন তিনি। গত বছর গর্বাচভের ৯০তম জন্মদিনে তাকে আবার প্রশংসায় ভাসিয়েছিলেন স্বয়ং পুতিন। সূত্র: যুগান্তর