a
ফাইল ছবি
বিকেএসপিতে আজ (রোববার) সাকিবকে ছাড়াই ওল্ড ডিওএইচএসের মুখোমুখি হয়েছিল মোহামেডান। এ খেলায় বৃষ্টি আইনে ৯ রানে জয় পায় সাদাকালোরা। ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ইরফান শুক্কুরের ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে স্কোর বোর্ডে ১৫৯ রানের সংগ্রহ পায় মোহামেডান। এছাড়া ৫ রান আসে পেনাল্টি থেকে।
এরপর ওল্ড ডিওএইচএসের ইনিংসের ১৪তম ওভারে বৃষ্টি নামলে তাদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬ ওভারে ১২৫ রান। যেখানে ১১৫ রানে থামে ওল্ড ডিওএইচএসের ইনিংস। এতে ৯ রানে জয় পায় মোহামেডান।
প্রসঙ্গত, ডিপিএলের আগে সাত রাউন্ডের মধ্যে নিজেদের প্রথম ৩ ম্যাচে টানা জয় পায় মোহামেডান। এরপর টানা তিন ম্যাচে হয় হার। তারপর সপ্তম রাউন্ডেই বাধে বিপত্তি। তবে আবাহনীর বিপক্ষে সাকিব কাণ্ডের পরেও জয় তুলে নেয় সাদাকালোরা। সে ম্যাচের পরেই নিষিদ্ধ হন সাকিব। আজ তারা ওল্ড ডিওএইচএসের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নামে।
ফাইল ছবি
আগামী সেপ্টেম্বরে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাদা বলের সিরিজের জন্য আজ রবিবার (২২ আগষ্ট) ৩০ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)। যেখানে ৪ নতুন মুখের সাথে লঙ্কান দলে ফিরেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান দীনেশ চান্দিমাল। গত মার্চের ওয়েস্ট সফরে সবশেষ শ্রীলঙ্কার জার্সিতে দেখা গেছিলো ৩১ বছর বয়সী সাবেক লঙ্কান অধিনায়ক দীনেশ চান্দিমাল।
তবে এবারের সিরিজের জন্যও দলে যায়গা হয়নি অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, দিমুথ করুণারত্নে এবং সুরাঙ্গা লাকমালের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেও শ্রীলঙ্কার দলে নেই অভিজ্ঞ ম্যাথিউস। আন্তর্জাতিক অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা দিলশান মধুশঙ্কা, সাহান অরহান্দা, মহেশ থীক্ষনা এবং পুলিনা থারাঙ্গাকেও ৩০ সদস্যের এই স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া কাঁধের ইঞ্জুরি কাটিয়ে দলে ফিরেছেন অভিজ্ঞ উইকেটকিপার-ব্যাটার কুশাল পেরেরা। সর্বশেষ ভারত সিরিজের মতো এ সিরিজেও শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক হিসেবে থাকছেন অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ এবং সমান সংখ্যক ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। যা আগামী ২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মাঠে গড়াবে। সবগুলো ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা দলঃ দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), কুশাল পেরেরা, আভিস্কা ফার্নান্দো, ভানুকা রাজাপাকসে, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, পাথুম নিসঙ্কা, চারিথ আসালঙ্কা, কামিন্দু মেন্ডিস, মিনোদ ভানুকা, দীনেশ চান্দিমাল, আশেন বান্দারা, ভানিন্দু হাসারাঙ্গা, চামিকা করুণারত্নে, সাহান অরহান্দা, নুয়ান প্রদীপ দিলশান মধুশঙ্কা, লাহিরু কুমারা, আকিলা ধনঞ্জয়া, প্রবীণ জয়বিক্রম, মহেশ থীক্ষনা, পুলিনা থারাঙ্গা, রমেশ মেন্ডিস, লক্ষণ সান্দাকান, অসিথা ফার্নান্দো, শান জয়রত্নে, ধনঞ্জয়া লক্ষণ, শিরন ফার্নান্দো, লাহিরু মধুশঙ্কা (ফিটনেস সাপেক্ষে)।
সংগৃহীত ছবি
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রোজ মৃত্যু বাড়ছে। শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও বেড়েই চলেছে। এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ দৈনিক মৃত্যু গতকাল একদিনে ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে কঠোর লকডাউন দিয়েও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। গতকাল ৮৬৬১ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার বেড়ে ২৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
এমতাবস্থায় চলমান সর্বাত্মক লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হতে পারে জানা গেছে। আজ অথবা আগামীকাল মঙ্গলবার লকডাউন বাড়ানোর বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে।
এ বিষয়ে রোববার রাতে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক এম ইকবাল আর্সলান বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা আগেই কমপক্ষে দুই সপ্তাহ লকডাউনের পরামর্শ দিয়েছিলাম। সুপারিশে আমরা বলেছিলাম করোনার সুফল পেতে হলে তিন সপ্তাহ লকডাউন আইডিয়াল, না হলে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ লকডাউন দিতে হবে।’
রোববার চলমান কঠোর লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। সরকার বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক নয়। মৃত্যুর সংখ্যা এখনো একশ’র বেশি। তাই বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও বাড়ানোর বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।’
কতদিন বাড়তে পারে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ৭ দিন বাড়তে পারে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘করোনায় যে হারে মৃত্যু ও আক্রান্ত হচ্ছে, বিধিনিষেধ বাড়ানো ছাড়া সরকারের কাছে অন্য কোনো পথ খোলা নেই।’
কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশের আলোকে ২৮ জুন থেকে ৩০ জুন তিন দিন সীমিত পরিসরে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার।
এরপর ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী শুরু হয় কঠোর বিধিনিষেধ। যা শেষ হবে ৭ জুলাই। নতুন করে ৭ দিন সময় বাড়ানো হলে ১৪ জুলাই পর্যন্ত চলবে এই কঠোর বিধিনিষেধ।
গত ৩০ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে লকডাউনের বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে।
বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী। বিনা প্রয়োজনে বের হলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। গত চারদিনে শুধু ঢাকায়ই সহস্রাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর