a
ফাইল ছবি
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ পাবে কি না- সে বিষয়ে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আইএমএফের প্রতিনিধিদের বৈঠক শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জিএম আবুল কালাম আজাদ।
আবুল কালাম আজাদ জানান, আইএমএফের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আজ (বুধবার) মিটিং করেছে। আগামী ৩০ ও ৩১ অক্টোবর এবং ২ ও ৮ নভেম্বর আবারও বৈঠক হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, বিকাল ৩টা পর্যন্ত তিনটি বৈঠক হয়েছে। আরও তিনটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। প্রথম পর্বের বৈঠকে বাংলাদেশকে ৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার বিষয়ে আইএমএফ আশ্বাস দিয়েছে, সেটি নিয়ে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনায় ঋণ দেওয়ার বিষয়ে আইএমএফ কোনো শর্ত দেয়নি। তবে আর্থিক খাতের সংস্কার, নীতি ও ব্যাংকিং খাতের শৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ডলারের বিনিময় হার প্রসঙ্গ নিয়েও কথা হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: শিশু-কিশোর ও তরুণদের ধূমপানে নিরুৎসাহিত করতে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সিগারেটের নিম্ন ও মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে প্রতি শলাকার সিগারেটের সর্বনিম্ন খূচরা মূল্য ৯ টাকা করার দাবি জানিয়েছে তরুণরা। তারা জানায়, দাবি অনুযায়ী দাম বাড়ালে তরুণেরা সিগারেট সেবনে নিরুৎসাহিত হবে; দীর্ঘমেয়াদে প্রায় ৯ লক্ষ তরুণের তামাকজনিত অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে এবং সরকারের বাড়তি রাজস্ব আদায় হবে ২০ হাজার কোটি টাকা যা আগের বছরের তুলনায় ৪৩ শতাংশ বেশি।
বৃহস্পতিবার সকালে (২০ মার্চ’২৫) জাতীয় প্রেসক্লাবে আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিয়িং আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানায় তারা। আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিয়িং-এর সমন্বয়ক মারজানা মুনতাহার সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনটির অন্য সদস্য তাসনিম হাসান আবির।
তরুণরা জানায়, নিম্ন এবং মধ্যম স্তরের সিগারেটের দাম কাছাকাছি হওয়ায় ভোক্তারা যে কোন একটি স্তরের সিগারেট বেছে নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে। সিগারেটের নিম্ন ও মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে দাম বাড়ালে স্বল্প আয়ের জনগোষ্ঠী এবং তরুণ প্রজন্ম ধূমপানে নিরুৎসাহিত হবে।
তাই, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে প্রতি ১০ শলাকার নিম্ন ও মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে খুচরা মূল্য ৯০ টাকা, উচ্চ স্তরে খুচরা মূল্য ১৪০ টাকা, প্রিমিয়াম স্তরের খূচরা মূল্য ১৯০ টাকা নির্ধারণ এবং বিড়ির প্রতি শলাকার দাম অন্তত ১ টাকা করার দাবি জানায় তরুণরা।
সুপারিশ অনুযায়ী তামাক পণ্যের বিদ্যমান কর কাঠামো সংস্কার করা গেলে সিগারেটের ব্যবহার ১৫.১ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ১৩.৩ শতাংশে নেমে আসবে। প্রায় ২৪ লক্ষ প্রাপ্তবয়ষ্ক ধূমপান থেকে বিরত থাকবে এবং প্রায় ১৮ লক্ষ কিশোর-তরুণকে নতুন করে সিগারেট ব্যবহারে নিরুৎসাহিত হবে। এবং সরকারের বাড়তি রাজস্ব আয় হবে ২০ হাজার কোটি টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে আলোচক হিসেবে উপস্তিত ছিলেন, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি, উন্নয়ন সমন্বয়ের গবেষণা পরিচালক আবদুল্লাহ নাদভী, ঢাকা আহছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ।
এ সময় রাশেদ রাব্বি বলেন, আগামী প্রজন্মকে তামাকের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করতে এবং নতুন তামাকসেবী সংখ্যা কমাতে হলে কর ব্যবস্থাকে সহজ করে মূল্যস্ফীতি ও আয়বৃদ্ধির তুলনায় বেশি হারে তামাকপণ্যে করারোপ করতে হবে।
ইকবাল মাসুদ জানান, বিগত কয়েক বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম যে হারে বেড়েছে, সেই অনুপাতে বাড়েনি তামাকপণ্যের দাম ফলে দরিদ্র জনগোষ্ঠী এবং তরুণদের কাছে সহজলভ্য হয়েছে তামাকপণ্য। এমনকি, বাংলাদেশে তামাকজাত দ্রব্যের কর বৃদ্ধির হার পাশ্ববর্তী দেশেরগুলোর চাইতে তুলনামূলক অনেক কম। তাই তামাক কর বাড়াতে সক্ষম হলে দীর্ঘমেয়াদে ১৭ লক্ষ ১৩ হাজার অকাল মৃত্যুর রোধ করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ বিশ্বের ২য় বৃহত্তম তামাক ব্যবহারকারি দেশ। প্রতিবছর তামাকপণ্য বিক্রি থেকে যে রাজস্ব আসে, তা তামাকজনিত স্বাস্থ্য ব্যায়ের মাত্র ৭৫ শতাংশ। প্রস্তাবনা অনুসারে কর বাড়ালে সিগারেট বিক্রি থেকে রাজস্ব আসতে পারে ৬৮ হাজার কোটি টাকা যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৪৩ শতাংশ বেশি বলে জানান আবদুল্লাহ নাদভী।
ফাইল ছবি
পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জাররাহ এলাকার বাসিন্দা ফিলিস্তিনি আন্দোলনকর্মী সেই দুই ভাই-বোনকে মুক্তি দিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি পুলিশ। আটকের কয়েক ঘণ্টা পর ইসরায়েলি পুলিশ তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য দেয়। খবর আল-জাজিরার
খবরে বলা হয়, ২৩ বছর বয়সী দুই আন্দোলনকর্মীর নাম মুনা আল-কুরদ ও মোহাম্মদ আল কুরদ। তারা শেখ জাররাহতে চলমান ফিলিস্তিনি আন্দোলনের সম্মুখসারির কর্মী।
ইসরায়েলি পুলিশ হেফাজত থেকে মুক্তির পর মুনা আল-কুরদ বলেন, ‘আমাদের আতঙ্কিত করতে এবং ভয় দেখাতে দখলদাররা যাই করুক না কেন এবং যতোবার গ্রেফতার করুক, তাতে আমরা ভীত নয়। আমরা আমাদের বাড়িতে থাকব এবং আমাদের জন্ম ও বেড়ে ওঠার ভূমি রক্ষায় প্রতিরোধ আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
মুনার ভাই মোহাম্মদ আল কুরদ বলেন, ‘আমরা মোটেও ভীত নয়। আমরা সব অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলে যাব এবং আমাদের বাড়ি ও ভূমি রক্ষায় আরও তৎপর থাকব।’
এর আগে রোববার (৬ জুন) মুনা ও মোহাম্মদকে আটক করে নিয়ে যায় ইসরায়েলি পুলিশ। শেখ জাররাহ আন্দোলনের পেছনে তাদের উস্কানি রয়েছে বলে অভিযোগ করে দখলদার ইসরায়েলি পুলিশ।
মুনা আল-কুরদকে আটকের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায় মুনাকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি পুলিশ। এসময় মুনা তার পরিবারকে ভয় না পেয়ে আরও শক্ত হতে বলতে শোনা যায়।