a আজ মাস জুড়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু
ঢাকা রবিবার, ৬ পৌষ ১৪৩২, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

আজ মাস জুড়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
রবিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৯:৫০
আজ মাস জুড়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু

ফাইল ছবি

আজ মাস জুড়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হচ্ছে। পূর্বাচল নতুন শহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলার উদ্বোধন করবেন। এ উপলক্ষে গতকাল শনিবার মেলা প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য রপ্তানিকে বহুমুখী করার মাধ্যমে রপ্তানি বাণিজ্য বাড়ানো। গার্মেন্টেস খাতের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেশীয় পণ্যের রপ্তানি বহুমুখীকরণ করা। তিনি বলেন, আমরা এখন পাট এবং চামড়া শিল্পের ওপরে বিশেষ নজর দিচ্ছি। এই দুই খাতে অপার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অপর পাশে বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের প্রতিচ্ছবি রাখা হয়েছে। মেলার সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, মেলায় আগত দর্শনার্থীদের বা ভোক্তারা যেন প্রতারিত না হয় সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ নজরদারি রাখা হবে। পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও র‌্যাব নিয়োজিত থাকবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মেলা প্রাঙ্গণ ও প্রাঙ্গণের বাইরে নিয়মিত টহল দেবে।

উল্লেখ্য, প্রতি বছর ১ জানুয়ারি মেলা শুরু হলেও এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে পিছিয়ে আজ ২১ জানুয়ারি মেলা শুরু হচ্ছে। মেলার আয়োজক বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জানিয়েছে, এবার মেলায়, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, ইরান, ভারত, পাকিস্তানসহ ১৬ থেকে ১৮টি বিদেশি প্যাভিলিয়ন থাকবে। এছাড়া স্থানীয় উদ্যোক্তারাও তাদের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করবেন। সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

ক্ষুদ্র-মাঝারিদের টিকে থাকাই দায়, সংবাদপত্র শিল্প উপেক্ষিত


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
সোমবার, ২২ মার্চ, ২০২১, ১১:২০
ক্ষুদ্র-মাঝারিদের টিকে থাকাই দায়, সংবাদপত্র শিল্প উপেক্ষিত

ফাইল ফটো

করোনার প্রভাব যতই বাড়ছে, ততই উদ্বেগ বাড়ছে ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের। করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা আবারও নতুন করে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনার বিস্তার অব্যাহত থাকলে ক্ষুদ্র ও মাঝারিদের টিকে থাকা কষ্টকর হবে।

ইতিমধ্যে প্রণোদনার নামে ঋণসুবিধা দেওয়া হলেও তা সবাই পায়নি। এমনকি সংবাদপত্রকে শিল্প বলা হলেও এই শিল্পের জন্য কোনো সুবিধাই ঘোষণা করা হয়নি। করোনায় ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাবের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে সংবাদপত্রশিল্পে। করোনায় ঝুঁকি নিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কাজ করলেও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ছিল উপেক্ষিত।

এখানকার কর্মীদের জন্য নতুন ওয়েজবোর্ডও আইনগত কারণে বাস্তবায়ন করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্টরা বলেন, সংবাদপত্রশিল্পের বিনিয়োগও কম নয়। করোনায় অন্যান্য খাতের মতো সংবাদপত্রশিল্পও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব খাতের সমস্যা সংবাদপত্রগুলো সামনে নিয়ে এলেও সংবাদপত্রের সমস্যা সমস্যাই রয়ে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে সংবাদপত্রের কাঁচামালের দামও বেড়েছে। 

একইভাবে অসংগঠিত খাত, ক্ষুদ্র কুটিরশিল্পসহ মাঝারি শিল্পগুলোও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত মাঝে পড়েছে। চাকরি হারিয়ে বেকার জনগোষ্ঠীও অসহায় হয়ে পড়েছে। তাদের হাতে টাকা নেই। বিশ্বের অপরাপর দেশ ব্যক্তি পর্যায়েও টাকা দিয়েছে। শিল্পপ্রতিষ্ঠানকেও নগদ অর্থ দিয়েছে এবং দিচ্ছে। 

বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, করোনার কষাঘাতে স্থবির অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে হলে সমাজের সবার হাতেই টাকার সরবরাহ থাকতে হবে। যেমনটি বিশ্বের অন্যান্য দেশেও করা হচ্ছে। কারণ, শুধু উত্পাদকদের হাতে টাকা গেলে হবে না। উত্পাদিত পণ্য কিনবেন যিনি, তার হাতেও টাকা থাকতে হবে। নইলে পণ্য কিনবেন কে? উত্পাদক-ভোক্তা কাউকে এখানে খাটো করে দেখার কোন রকম সুযোগ নেই।

একইভাবে একজন চা-দোকানি থেকে শুরু করে মাঝারি উদ্যোক্তা পর্যন্ত—সবার প্রতি যত্নশীল হতে হবে। সবাইকে আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প-ব্যবসা খাত শ্রমঘন। প্রচুর কর্মী এসব খাতে কাজ করেন। ফলে শুধু বড় উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহায়তা দিলেই অর্থনীতি ঠিক থাকবে এমন ধারণা ভুল। সব খাতকেই প্রণোদনার আওতায় এনে আর্থিক সহায়তা দিলে সব খাত যখন চাঙ্গা হবে, তখনই বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। 

তদুপরি, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ভোগব্যয়ের ওপর অধিকতর নির্ভরশীল। ভোগব্যয় বাড়াতে হলে ক্রেতাশ্রেণির হাতে অর্থ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে বিশাল এক কর্মীবাহিনী। ইতিমধ্যে অনেকেই আয়ের সংস্থান না থাকায় শহর থেকে গ্রামমুখী হয়েছেন। সব দিক বিবেচনা করেই সরকারকে সুবিধা প্রদান করতে হবে।

এদিকে, অনেকেই ব্যাবসায়িক মন্দায় ব্যাংকের কিস্তি দিতে পারছেন না। অনেকে একটু নাড়াচাড়া দিলেও করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় ঝুঁকিতে পড়ে গেছেন। এ অবস্থায় ঋণ পরিশোধে সময় বর্ধিতকরণের দাবি জানিয়ে উদ্যোক্তারা বলেছেন, অতীতেও ক্ষেত্রেবিশেষে ঋণ পরিশোধে লম্বা সময় দেওয়া হয়েছিল। অনেক উদ্যোক্তাই এই সুবিধা নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে কিস্তি পরিশোধ করেছেন। ঋণ পরিশোধে সময়সীমা বাড়িয়ে দিলে উদ্যোক্তা যেমন বাঁচবেন, ব্যাংকও আটকা পড়বে না। ব্যাংকের বিনিয়োগের টাকা ফেরতে এটিই হতে পারে কার্যকর পদক্ষেপ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের কিস্তি প্রদানে শিথিলতা ছিল। পরে মার্চ পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে বাড়ানো হলেও সবাই এই সুবিধা নিতে পারেননি। তাই আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধের সময় বৃদ্ধি করার জোর দাবি উঠেছে।

এই দাবিকে যৌক্তিক বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এই সময়ে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ে নমনীয় হতে হবে। ব্যবসায়ীদের সুযোগ দিতে হবে, যাতে কলকারখানা চালু রাখা যায়। কর্মসংস্থান ঠিক রাখা যায়। সবকিছু কঠিন করে ফেললে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাতে করে প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা পূরণ হবে না।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে "মার্চ ফর প্যালেস্টাইন" কর্মসূচি পালিত


মুন্না শেখ, জবি প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:৪৮
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্চ ফর প্যালেস্টাইন কর্মসূচি পালিত

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

মুন্না শেখ, জবি প্রতিনিধি : জায়নবাদী ইসরাইলের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ বন্ধ ও বিশ্ব মানবতাকে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে আজ ১০ এপ্রিল ২০২৫ ( বৃহস্পতিবার)  "মার্চ ফর প্যালেস্টাইন" কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এ পদযাত্রা ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব দূতাবাস এবং বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে অগ্রসর হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে শুরু হওয়া এ পদযাত্রাটি নয়াবাজার পর্যন্ত যাওয়ার পর সরকার ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দের অনুরোধে এবং দেশে চলমান এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে সীমিত পরিসরে কর্মসূচি পালন করা হয়।

পরবর্তীতে, জবি শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মার্কিন দূতাবাস ও সৌদি আরব দূতাবাসে বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ভাষায় প্রণীত স্মারকলিপি জমা দেন।

পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা ‘নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার’, ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘তুমি কে আমি কে প্যালেস্টাইন প্যালেস্টাইন’, ‘ফিলিস্তিনে গণহত্যা, বন্ধ কর বন্ধ কর’, ‘মুসলিম উম্মাহ এক করো, ওআইসি হাল ধরো’, ‘ফ্রি ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি-প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর-ইসরাইল নো মোর’ সহ নানাবিধ স্লোগানের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন। এছাড়াও, তারা ইসরাইলি পণ্য বর্জন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপের দাবি জানান।

পদযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ মোশাররাফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ রইছ উদ্‌দীন এর সঞ্চালনায় এ সমাবেশে বক্তারা গাজায় ইসরাইলি বর্বরতার তীব্র নিন্দা জানান। তারা ফিলিস্তিনি নিরীহ নারী-শিশু ও বেসামরিক জনগণের ওপর ইসরাইলি হামলা বন্ধে বিশ্ব নেতাদের জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান।

সমাবেশে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তিনদফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন:

পূর্বে ঘোষিত ইসরাইলি পণ্য আমৃত্যু পুনরায় বর্জনের আহ্বান, ফিলিস্তিনিদের জন্য নামাজ পড়ে দোয়া অব্যাহত রাখা এবং স্মারকলিপি জমাদান পরবর্তী ফলোআপ প্রত্যক্ষ না করা গেলে জাতিসংঘের বাংলাদেশ অফিস ঘেরাও করা।

 সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, ছাত্র সংগঠন, সাংবাদিক সংগঠন এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। শেষে গাজায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও ফিলিস্তিনিদের জন্য শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

এ কর্মসূচির মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও  কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - অর্থনীতি