a ইভ্যালির ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের টাকা ৩ কৌশলে ফিরতে পারে
ঢাকা সোমবার, ১৪ পৌষ ১৪৩২, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

ইভ্যালির ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের টাকা ৩ কৌশলে ফিরতে পারে


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:৩৬
ইভ্যালির ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের টাকা ৩ কৌশলে ফিরতে পারে

ফাইল ছবি

ইভ্যালির ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য তিনটি পথ খোলা আছে। এর একটি হচ্ছে, ক্ষতিপূরণ চেয়ে দেওয়ানি আদালতে মামলা দায়ের, দ্বিতীয়টি, দাবি আদায়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে অভিযোগ দিতে হবে। তৃতীয়, প্রতারণার জন্য বাংলাদেশ প্রতিযোগী কমিশনে অভিযোগ দিতে হবে গ্রাহকদের। 

একই সঙ্গে তিনটি পথই তাদের অনুসরণ করতে হবে। ই-কমার্স সংক্রান্ত আলাদা কোনো আইন নেই। তাই বিদ্যমান আইনে তাদের সাজা এবং এই তিন কৌশলে টাকা ফেরত পাওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। 

এদিকে রোববার সচিবালয়ে স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ই-কমার্সে যারা প্রতারণা করবেন, তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ইভ্যালির মতো আরও কয়েকটা প্রতিষ্ঠান আছে। তাদের সম্পর্কেও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও এমডির বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

জানতে চাইলে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, গ্রাহকদের টাকা ফেরত চেয়ে আদালতে আবেদন করতে হবে। বিষয়টি আদালতের নজরে আনতে হবে। এরপর হয়তো আদালত বিবেচনায় নেবেন। অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, কেউ প্রতারিত হলে সে দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা করতে পারে। তবে এর আগে একটি আইন করা দরকার। কারণ ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণে পৃথক কোনো আইন আমাদের দেশে নেই। 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

দেশে করোনার মাঝে ১ বছরে সাড়ে ১১ হাজারের বেশি কোটিপতি


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
রবিবার, ২৫ জুলাই, ২০২১, ০৩:০৭
দেশে করোনার মাঝে ১ বছরে সাড়ে ১১ হাজারের বেশি কোটিপতি

ফাইল ছবি

করোনাভাইরাস মহামারীর সময় গত ১ বছরে দেশে কোটিপতি আমানতকারীর ব্যাংক হিসাব বেড়েছে সাড়ে ১১ হাজারেরও অধিক, যা স্বাভাবিক সময়ের চেয়েও বেশি। গত মার্চ শেষে দেশের ব্যাংকগুলোতে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ হাজার ২৭২, যার মধ্যে ৭২ হাজার ৭৮০ জন বা ৭৭ শতাংশই বেড়েছে গত ১২ বছরে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর আগে গত বছরের মার্চ পর্যন্ত দেশে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক কোটিপতি আমানতকারীর হিসাব সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার ৬২৫ জন। চলতি বছরের মার্চ শেষে তা বেড়ে হয়েছে ৯৪ হাজার ২৭২ জন। ফলে করোনার গত ১ বছরে দেশে নতুন কোটিপতি আমানতকারী বেড়েছে ১১ হাজার ৬৪৭ জন। এর মধ্যে চলতি মাসের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) বেড়েছে ৩৮২ জন।

আর স্বাভাবিক সময়ে ২০১৯ সালের মার্চ থেকে ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে কোটিপতি আমানতকারী বেড়েছিল মাত্র ছয় হাজার ৩৪৯ জন। আর ২০২০ সালের পুরো সময়ে বেড়েছিল এক হাজার ৫১ জন। এর মানে করোনাকালেই কোটিপতি আমানতকারীর হিসাবের প্রবৃদ্ধি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। 

অন্যদিকে ২০০৯ সালে দেশে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ২১ হাজার ৪৯২ জন। এ হিসাবে গত ১২ বছরে দেশে নতুন কোটিপতি বেড়েছে ৭২ হাজার ৭৮০ জন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, গত মার্চ শেষে দেশে মোট আমানত হিসাব দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৮৫ লাখ ৫২ হাজার ৩৩৭টি। এসব হিসাবের বিপরীতে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৮৪ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বাংলাদেশের স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতিতে ভারত বরাবরই আধিপত্যবাদ দেখিয়েছে


কর্নেল আকরাম, কলাম লেখক, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ০৫ মার্চ, ২০২৫, ১০:৪৬
 বাংলাদেশের স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতিতে ভারত বরাবরই আধিপত্যবাদ দেখিয়েছে

ছবি সংগৃহীত

একটি দেশের জন্য কৌশল নির্ধারণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি স্বল্পমেয়াদী বা দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে, আবার উন্মুক্ত বা গোপনীয়ও হতে পারে। বড় কিংবা ছোট—সব দেশেই কৌশলের গুরুত্ব অপরিসীম। অনেকে মনে করেন, ক্ষুদ্র ও দরিদ্র দেশগুলোর নিজস্ব কোনো কৌশল থাকে না, তারা সবসময় বৃহৎ ও সমৃদ্ধ দেশগুলোর ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু বাস্তবে, উন্নয়ন কৌশল সব দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই ধারণার সূচনা হলেও, এটি বিশেষভাবে গতি পায় বিগত শতকের শেষার্ধে।  

প্রথমদিকে বিশ্ব দুই ভাগে বিভক্ত ছিল—একদিকে পশ্চিমা ব্লক, যার নেতৃত্বে ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিম ইউরোপ এবং অপরদিকে সমাজতান্ত্রিক ব্লক, যার নেতৃত্বে ছিল সোভিয়েত রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপ। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এ দুটি ব্লকের কোনো একটির ওপর নির্ভর করতো।  

ভূরাজনৈতিক পরিবর্তন ও বাংলাদেশের অবস্থান:
১৯৮৯ সালে সোভিয়েত রাশিয়ার পতনের পর বিশ্ব রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলে যায় এবং তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো মার্কিন সাহায্য এবং জাপান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনৈতিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।  

বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয় ভারতের প্রত্যক্ষ সহায়তায়, যা সোভিয়েত রাশিয়ার সমর্থনপুষ্ট ছিল। তবে ভারত বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল মূলত পাকিস্তানকে বিভক্ত করার স্বার্থে এবং বাংলাদেশকে তার কৌশলগত বলয়ে রাখার জন্য। এখন পরিষ্কার যে, ভারত ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর থেকেই ‌‌'নেহরু মতবাদ' বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে, যার মূল লক্ষ্য ছিল দক্ষিণ এশিয়ার একীকরণ। ফলে, বাংলাদেশ কখনোই স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করতে পারেনি এবং বরাবরই ভারতীয় আধিপত্যের রাজনীতির ছায়ায় থেকেছে।  

১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ সংকট তৈরি করেছিল, কিন্তু ভারত কিংবা সোভিয়েত রাশিয়া কোনো কার্যকর সহায়তা প্রদান করতে পারেনি। এই দুর্ভিক্ষের ফলশ্রুতিতে শেখ মুজিবের জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে হ্রাস পায় এবং এর প্রভাব তার পতনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। অনেকেই মনে করেন, ১৯৭৫ সালের আগস্টে শেখ মুজিবের মৃত্যু তার নিজের এবং বাংলাদেশের জন্য এক ধরনের মুক্তি ছিল।  

বাংলাদেশের স্বাধীন কৌশলের সূচনা:
১৯৭৫ সালের নভেম্বরের সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের উত্থান ঘটে, যা বাংলাদেশের জন্য ভারতের আধিপত্যবাদী রাজনীতি থেকে মুক্তির সুযোগ সৃষ্টি করে। জিয়াউর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ নতুন করে এক স্বাধীন অধ্যায়ে প্রবেশ করে, যেখানে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য নিজস্ব কৌশল নির্ধারণের সুযোগ তৈরি হয়। তার প্রণীত উন্নয়ন কৌশলটি সবচেয়ে স্থিতিশীল হিসেবে বিবেচিত হলেও, এটি তার হত্যার মাধ্যমে বাধাগ্রস্ত হয়।  

২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব ও নতুন কৌশলের প্রয়োজনীয়তা:
২০২৪ সালের 'জুলাই বিপ্লব' বাংলাদেশকে আবারও শান্তি ও উন্নয়নের টেকসই কৌশল গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে। ড. ইউনূসের দূরদর্শী ও গতিশীল নেতৃত্বের ওপর আমাদের আস্থা রাখা উচিত এবং তাকে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও অবাধ নির্বাচনের সুযোগ দিতে হবে।  

বাংলাদেশকে এখনই নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও টেকসই শান্তির জন্য কার্যকর কৌশল গ্রহণ করতে হবে। নিশ্চিতভাবেই ভারত আমাদের অগ্রযাত্রায় বাধা সৃষ্টি করবে। তাই কৌশল নির্ধারণের সময় এটি বিবেচনায় রাখতে হবে, যাতে ভারত ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে না পারে। যদি ভারত বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র করে, তাহলে আমাদেরও উচিত তাদের 'সেভেন সিস্টার্স' (ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যসমূহ) নিয়ে কৌশলগত পদক্ষেপ নেওয়া। এটি আমাদের তাস, যা সঠিক সময়ে ব্যবহার করতে হবে, কোনো ছাড় দেওয়া চলবে না।  

সুরক্ষিত কৌশল ও কূটনৈতিক সম্পর্কের গুরুত্ব:
বাংলাদেশের টেকসই কৌশল নির্ধারণের ক্ষেত্রে কূটনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের অবশ্যই পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে এবং একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। কোনো দেশই ভালো বন্ধু ছাড়া টেকসই কৌশল বাস্তবায়ন করতে পারে না।  

প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও কৃষি বিপ্লব:
- তিস্তা নদীর পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং চীনকে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নের অনুমতি দিতে হবে। এটি শুধু উত্তরবঙ্গের পানি সংকট সমাধান করবে না, বরং স্থানীয় জনগণের অর্থনৈতিক জীবনও উন্নত করবে।  
- পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য একটি কার্যকর উন্নয়ন কৌশল গ্রহণ করা জরুরি।  
- রোহিঙ্গা সমস্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি পরিপক্কতা ও কৌশলের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।  
- কৃষির উন্নয়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে এবং সমবায় আন্দোলনকে পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে। আমাদের সামনে সবুজ বিপ্লব ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

একটি নতুন বাংলাদেশের জন্য কৌশলগত ঐক্য:  
আমাদের হাতে সময় নেই। *শিগগিরই একটি স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী জাতীয় কৌশল নির্ধারণ করতে হবে।* সকল রাজনৈতিক দলকে জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, নতুবা ভারতীয় আধিপত্যবাদী রাজনীতি আবারও বাংলাদেশে প্রবেশের সুযোগ পাবে।  

গণমাধ্যমের দায়িত্ব:
এখনই সময় বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও সংবাদ মাধ্যমগুলোর কৌশলগত ভূমিকা নেওয়ার। ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচার মোকাবিলা করতে আমাদের নিজস্ব মিডিয়াকে শক্তিশালী হতে হবে। জনগণকে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সচেতন করতে হবে।  

রাজনৈতিক ঐক্য ও প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি:
বিএনপি, জামাত ও নবগঠিত এনসিপিকে পরস্পরের বিরুদ্ধে শুধু ক্ষমতার জন্য লড়াই না করে জাতীয় স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। রাজনৈতিক সংঘাত নয়, প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।

টেকসই উন্নয়ন কৌশলই ভবিষ্যতের মূল চাবিকাঠি:  
সঠিক ও টেকসই উন্নয়ন কৌশলের মাধ্যমেই জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব। আমাদের ভবিষ্যৎ কৌশল এমন হতে হবে, যা একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনে সহায়ক হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে সঠিক কৌশল গ্রহণ এবং নেতৃত্বের দূরদর্শিতা অপরিহার্য। আমরা কি প্রস্তুত?

 

লেখক: প্রফেসর, মিলিটারি হিস্ট্রি জার্নালের সম্পাদক এবং আইন ও ইতিহাসের অধ্যাপক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - অর্থনীতি