a
ফাইল ছবি
করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে আগামী ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এই ৮ দিনের ‘কঠোর লকডাউনে’ দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ব্যাংকের লেনদেন চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন শুরুর আগে শেষ কার্যদিবস হওয়ায় ব্যাংকে লেনদেনে চাপ বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা থেকে সোমবার রাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা যায়।
এদিকে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল ব্যাংক বন্ধ থাকলেও ব্যাংকগুলোর এটিএম বুথ থেকে দিনে এক লাখ টাকা পর্যন্ত নগদ উত্তোলন করা যাবে। এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এদিন রাতে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ছবি সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক: ২০২৫-২০২৬ করবর্ষ থেকে সব স্বাভাবিক ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সোমবার (৩ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি বিশেষ আদেশ জারি করে এনবিআর।
আদেশে বলা হয়, করদাতাদের ওয়েবসাইট www.ctaxnbf.gov.bd এর মাধ্যমে রিটার্ন জমা দিতে হবে। তবে ৪ শ্রেণির করদাতা এতে ছাড় পাবেন।
তারা হলেন-৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রবীণ করদাতা। শারীরিকভাবে অক্ষম বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন করদাতা (প্রমাণসাপেক্ষে)। বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিক মৃত করদাতার পক্ষে আইনগত প্রতিনিধি। আবার এই ৪ শ্রেণির করদাতারাও চাইলে অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।
এনবিআর কর্তৃপক্ষ জানায়, ই-রিটার্ন সিস্টেমে নিবন্ধন সংক্রান্ত সমস্যার কারণে অন্যান্য ব্যক্তি করদাতাদের অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলে সমর্থ না হলে চলতি বছরের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারের কাছে সুনির্দিষ্ট যৌক্তিক কারণসহ আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত/যুগ্মকর কমিশনারের অনুমোদনক্রমে পেপার রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
করদাতারা ব্যাংক ট্রান্সফার, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, রকেট, নগদ অথবা অন্য কোনো মোবাইল ফাইন্যানশিয়াল সার্ভিস অ্যাপ ব্যবহার করে ঘরে বসেই আয়কর পরিশোধ করে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হলে তা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের জন্য রাজস্ব বোর্ডের নিয়োজিত কর্মীরা কল সেন্টার এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সেবা প্রদান করবেন। সূত্র:বিডি প্রতিদিন
সংগৃহীত ছবি
ময়মনসিংহের রিকশাচালক শামীম। তিন সন্তান, স্ত্রী মিলে পাঁচ সদস্যের সংসারে একমাত্র উপার্জনকারী সে। রিকশার পেডেল ঘুরিয়ে সারাদিনে যা পকেটে আসে তা দিয়ে কোনরকম চলে তার সংসার। কিন্তু ভাগ্য খারাপ হলে যা হয় মঙ্গলবার রাতে সেই রিকশা নিয়ে রাত দেড়টায় মহাসড়কে ওঠার অপরাধে তাকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করে মহাসড়কে দায়িত্বরত পুলিশ। রিকশা বাঁচানোর ভয়ে সারাদিনের উপার্জন ৬০০ টাকা ও আগে পকেটে থাকা ১০০ টাকা দিয়ে রিকশা নিয়ে শেষ পর্যন্ত খালি হাতে বাড়িতে ফিরতে হয় শামীমকে।
শামীম ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার গাড়াজান পন্ডিতপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। জীবন জীবিকার তাগিদে পরিবারসহ ভালুকা এমসির বাজার এলাকায় ভাড়া করা খুপরি ঘরে থাকেন শামিম ।
উক্ত ঘটনার পরদিন বুধবার আবার শামীম রিকশা নিয়ে যাত্রীর আশায় যান সিডস্টোর বাসট্যান্ডে। সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভালুকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। যাকে রিকশাওয়ালা শামীম চিনে না। দাঁড়িয়ের থাকার এক পর্যায়ে চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞেস করেন ‘কোথায় যাবেন’। চেয়ারম্যান তাকে জানান, তার নিজস্ব গাড়ি আসবে। তিনি ভালুকায় যাবেন। এ সময় চেয়ারম্যান সাহেব শামীমের লকডাউনের জন্য আয় কেমন হয় তা জিজ্ঞেস করেন। পরে কথা প্রসঙ্গে মঙ্গলবারের ঘটনাটি খুলে বলেন শামীম।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন। ভালুকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম ফেসবুকে মঙ্গলবারের ওই ঘটনাটি পোস্ট দিলে তা দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে। নজরে পড়ে ভালুকা হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো. মশিউর রহমানের।
রিকশাচালক শামীম বলেন, মঙ্গলবার রাতে সিডস্টোর থেকে দুইজন পুলিশ সদস্যকে নিয়ে ভালুকা মডেল থানার সামনে নামিয়ে দিয়ে বাসট্যান্ড এলাকায় গেলে হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম আমাকে সিগন্যাল দেয়। তারা আমার রিকশা নিয়ে যেতে চান। কাকুতি মিনতি করার পর ১ হাজার টাকা জরিমানা চান তারা। কিন্তু ওই রাতে আয়ের ৬০০ টাকা ও পকেটে থাকা ১০০ টাকা দিলে তারা আমাকে ছেড়ে দেন।
আমি ওই দিন বাসায় খালি হাতে ফিরি। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিষয়টি ফেসবুকে প্রকাশের পর হাইওয়ে ওসি তাকে ফোন করেছিলেন বলে জানান শামীম।
এ ব্যাপারে ভালুকা হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো. মশিউর রহমান বলেন, এই বিষয়ে আমার কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়ের ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর আমরা অনুসন্ধান করছি।
আমি ব্যক্তিগতভাবে শামীমকে ফোন দিয়েছিলাম। কে নিয়েছে (টাকা) তাদেরকে সে চিনে না। ওসি সাহেব আশ্বাস দেন আমরা দেখছি ওই রাতে কে ডিউটি করছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভালুকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, রিকশাচালকের টাকা নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত দুঃখজন ঘটনা। এটা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার প্রয়াস। আগামী জেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে এবং অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।