a
বহুল প্রতীক্ষিত করোনার টিকা ফেব্রুয়ারীতে দেশে আসার কথা থাকলেও চট্টগ্রামে সেটা মিলতে পারে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে। ইতিমধ্যে চট্টগ্রামে ২ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৮ জনের জন্য পাঁচ লাখ ডোজ টিকা চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে ঢাকায়।
এদিকে চট্টগ্রামে করোনার ভ্যাকসিন প্রদান ও সংরক্ষণের ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের সকল ধরনের প্রস্তুতি আছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
তিনি বলেন,সরকারি গাইডলাইন মেনে করোনা ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। করোনার ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য চসিকের মোট সাতটি স্টোর ও পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য এবং ইপিআই কর্মী রয়েছে। করোনা ভ্যাকসিন প্রদানের ব্যাপারে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি ছড়াবেন না।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুসারে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলায় নিয়োজিত স্বাস্থ্য কর্মী, সম্মুখ সারির কর্মী, রোগ প্রতিরোধহীন ও ক্ষমতাহীন জনগোষ্ঠী এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য,অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং আ্যাস্ট্রোজেনেকা কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে প্রস্তুতকৃত করোনার ভ্যাকসিন বংলাদেশে সরবরাহ করবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। এ লক্ষে বাংলাদেশ সরকার, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এবং ভ্যাকসিনটি উৎপাদনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর আওতায় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস বাংলাদেশ সরকারকে ৩ (তিন) কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে।
ছবি: সংগৃহীত
স্বাধিকার, স্বাধীনতা ও স্বকীয়তার চেতনায় মোড়ানো মাস ফেব্রুয়ারি। জাতীয় চেতনা স্ফুরণের মাস ফেব্রুয়ারি। ভাষা রাষ্ট্রের জন্ম দিতে পারে, এই উদাহরণ সৃষ্টির মহিমায় মোড়া এই মাস। এ মাসের আগমনী সুরে বদলে যায় জাতীয় মন ও মানস। গোটা জাতি বাঁধা পড়ে যায় এক সূত্রে। এক ভাষা, এক সুর, এক চেতনায় বিলীন হয়ে যায় ধর্মীয় ও জাতিগত ভেদাভেদ।
ছোট বড় সকলে এক সারিতে এসে দাঁড়ায় এই মাসে। জাতীয় ঐক্যতানের এক অপূর্ব রঙধনু দ্যুতি ছড়ায় এই মাসে। ভাষাকে কেন্দ্র করে রকমারি আয়োজনের মধ্যে হারিয়ে যায় বাংলা ভাষা আন্দোলনের গোড়ার কথা। হারিয়ে যায় ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্রসঙ্গ, বাংলা ভাষার বর্তমান অবস্থানের স্বপ্নদ্রষ্টা যিনি। আমরা কুণ্ঠাবোধ করি অধ্যাপক আবুল কাসেম এবং তমদ্দুন মজলিসের কথা স্মরণ করতে। আমাদের স্মৃতির মোহনা থেকে হারিয়ে যায় কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ডের অবদানের কথা। অথচ এই টুকরো টুকরো অধ্যায়গুলো বাংলা ভাষার অবস্থানকে বর্তমান পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। ভাষার মাসে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি তাদের। তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয় জীবনের এক অবিস্মরণীয় ঐতিহাসিক ঘটনা। এটি আমাদের জাতীয় স্বাতন্ত্র্য ও চেতনাবোধকে শাণিত করেছে। উদ্দীপ্ত করেছে, উজ্জীবিত করেছে। এক সূত্রে গেঁথেছিল তৎকালীন পাকিস্তানের বাংলা ভাষাভাষীদের। পাকিস্তানের প্রভাব বলয়ের ভেতরে ধীরে ধীরে পল্লবিত হয়ে এক সময় বিরাট মহীরুহে রূপান্তরিত ভাষা আন্দোলন ভবিষ্যৎ স্বাধীনতার ভিত্তি রচনা করেছিল।
একই সাথে তৎকালীন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার বিচারপতি এস এম মোর্শেদকে সভাপতি করে কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ড গঠন করে। উদ্দেশ্য ছিল যথোপযুক্ত পরিভাষা তৈরি, প্রয়োজনীয় বই রচনা, শিক্ষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জাতীয় ভাষায় পাঠদান প্রক্রিয়া চালুকরণ।
কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বাংলায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান, রসায়নশাস্ত্র, পদার্থবিদ্যা, প্রভৃতি বই রচনায় সাফল্য দেখায়। সাথে সাথে নজরুল রচনাবলী (চার খণ্ড), ইসমাইল হোসেন সিরাজী রচনাবলী, ড. জি সি দেবের বিখ্যাত গ্রন্থ ‘তত্ত্ব বিদ্যাসার’ প্রকাশ করে। প্রকাশ করে পাকিস্তানের লোককাহিনী। কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ড একই সাথে মধ্যযুগের বাংলা পাণ্ডুলিপি ও প্রাচীন বইপত্র সংগ্রহ, মানসম্মত বাংলা মুদ্রণযন্ত্র উদ্ভাবন ও উন্নয়ন, সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশ এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উন্নয়নের জন্য আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার মতো কিছু মৌলিক কার্যক্রম গ্রহণ করে। এ ক্ষেত্রে সমন্বিতভাবে কাজ করেছিলেন ড. মমতাজউদ্দীন আহমেদ (সাবেক ভিসি, রাবি), মো: শামসুল হক (ডিপিআই, ইপি), ড. কাজী মোতাহার হোসেন, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, অধ্যাপক মু. আ: হাই, কবি জসিম উদ্দীন, কবি গোলাম মোস্তফা, ড. সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁ, ড. মুহম্মদ এনামুল হক। বোর্ড পাঠ্যপুস্তক রচনা ও প্রকাশের সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বাংলা পাঠ্যক্রম তৈরিতে অভ‚তপূর্ব সাফল্য দেখায় বোর্ড। পদার্থবিদ্যা, রসায়নশাস্ত্র, সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের বাংলা পরিভাষায় বই রচনায় তাদের অবদান আজো শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে হয়।
তালপাতায় লেখা পুঁথি ও অসংখ্য দুর্লভ বই সংগ্রহ করে এক সমৃদ্ধ সংগ্রহশালা তৈরি করেছিল কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ড যা পরবর্তী সময়ে বাংলা একাডেমির সাথে একীভূত হয়ে যায়। বোর্ডের অর্থায়নে ও পৃষ্ঠপোষকতায় অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর বাংলা কি-বোর্ডের (মুনীর অপটিমা) আধুনিকায়ন বোর্ডের একটি অনন্য অবদান। একই সাথে বাংলা একাডেমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, এশিয়াটিক সোসাইটিকে বাংলা ভাষায় সাহিত্য সাময়িকী, বিজ্ঞানবিষয়ক পত্রিকা, ইতিহাস সম্পর্কিত গবেষণা ও প্রকাশনার জন্য আর্থিক সহযোগিতা প্রদান এক অভ‚তপূর্ব কর্মচাঞ্চল্য তৈরি করে। বোর্ডের পৃষ্ঠপোষকতায় পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘ভাষা সাহিত্য সপ্তাহ’ বাংলা ভাষা চর্চার ক্ষেত্রে অন্যরকম আরেকটি মাইলফলক। প্রদর্শনীতে বাংলা সাহিত্যের ক্রমবিবর্তন; চর্যাপদ থেকে শুরু করে ক্রমধারায় নজরুলকে ধারণ করে তালপাতার পুঁথি, তুলোট কাগজে লেখা দুর্লভ বইপত্র প্রদর্শন করা হয়। আয়োজন করা হয় কয়েক প্রস্থ সেমিনারের, প্রাচীন বাংলা সাহিত্য, মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য, আধুনিক বাংলা সাহিত্য প্রসঙ্গে আলোচনা উপস্থাপন করেছিলেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, ড. এনামুল হক ও সৈয়দ আলী আহসান। আলোচকমণ্ডলীর ভেতর ছিলেন অধ্যাপক আহমদ শরীফ, ড. নীলিমা ইব্রাহিম, অজিত গুহ, মুনীর চৌধুরী ও সৈয়দ মুর্তজা আলী। বাংলা ভাষা উন্নয়ন ও চর্চার ক্ষেত্রে এ ধরনের আয়োজন আর হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। বোর্ডের আরেকটি মহতী উদ্যোগ ছিল ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস’ রচনার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগকে আর্থিক মঞ্জুরি- যদিও কার্যত ইতিহাস রচনার কাজ সম্পাদিত হয়নি।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলা একাডেমি এবং বাংলা উন্নয়ন বোর্ডকে একীভূত করা হয় ড. মযহারুল ইসলামকে একই সাথে উভয় প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক নিয়োগের মাধ্যমে। উচ্চশিক্ষা, অফিস আদালতে বাংলা ভাষা প্রচলনের ক্ষেত্রে বোর্ডের কার্যক্রম আজো প্রশংসার দাবিদার। স্বল্প সময়ে ৩৫ হাজার ৮৭টি দুর্লভ বিভিন্ন ভাষার বই, পত্র-পত্রিকা, সাময়িকী ছাড়াও বিভিন্ন মানচিত্র এবং মুদ্রা সংগ্রহ করে এক বিশাল ভাণ্ডার গড়ে তোলা হয়েছিল ভবিষ্যতে বাংলা ভাষার বিস্তারের লক্ষ্যে। বাংলা একাডেমির লাইব্রেরিতে পুরোনো বইয়ের সংগ্রহ তালিকায় বোর্ডের সংগৃহীত বই তাদের ঐকান্তিক একনিষ্ঠ চেষ্টার কথা, সফলতার কথা সগৌরবে ঘোষণা করছে। সূত্র: নয়াদিগন্ত
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পটভূমির দিকে যদি তাকাই, তাহলে দেখতে পাই যে, আমাদের শিক্ষার্থীদের মেধা ও যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন স্বল্পতার কারণে তারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছিল না। এ কারণে আমাদের শিক্ষার্থীদের একটি বিরাট অংশ পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিভিন্ন দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য গমন করতো। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে যে, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা মানসম্মত বলে বিবেচিত হয়নি। এমনকি শিক্ষার্থীরা অনেক ক্ষেত্রে প্রতারণার শিকার হয়েছিল। এই পরিস্থিতি একদিকে যেমন আমাদের মেধার অপচয় করছিল অন্যদিকে তেমনি দেশ থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা বের হয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ সংখ্যা প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। সুতরাং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উল্লেখিত পরিস্থিতিতে সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমতি প্রদান করে এবং এই লক্ষ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন প্রণীত হয়। সরকারের এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসেন। তখন কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের অনুমোদন নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তাদের কার্যক্রম শুরু করে। কিন্তু সেই সময় যে কয়টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তাতে এমন একটি ধারণার সৃষ্টি হয়েছিল যে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা একটি বিশেষ শ্রেণীর মধ্যে সীমাবদ্ধ। এরকম ধারণার কারণ ছিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের অত্যন্ত ব্যয়বহুল টিউশন ফি স্ট্রাকচার। যে কারণে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে একটি ধারণার জন্ম হয় যে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ স্বল্প আয়ের লোকদের পক্ষে সম্ভব নয়।
এরকম একটি অবস্থার মধ্যে ১৯৯৬ সালের ৪ জানুয়ারি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ তার যাত্রা শুরু করে। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, যা দ্বৈত পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি লাভ করে। অর্থাৎ দূরশিক্ষণ এবং অন ক্যাম্পাস ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুভূতি লাভ করে| বিশ্ববিদ্যালয়টি সব শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে টিউশন ফি স্ট্রাকচার , পাঠ্যসূচি নির্ধারণ এবং বিষয়সমূহ চালু করে যা স্বল্পমূল্যে মানসম্মত উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পথ প্রশস্ত করে। ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং সাধারণের নাগালের বাইরে’- বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এই অচলায়তন ভেঙে দেয়| এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সরকারি বেসরকারি খাতে কর্মরত বিভিন্ন পেশাজীবীদের স্বল্প ব্যয়ে মানসম্মত উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।
একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখন বাস্তবতা। প্রচুর শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ে কর্মক্ষেত্রে যোগ দিচ্ছেন। দেশের অর্থনীতিতে তাদের অবদানও যোগ হচ্ছে। ৩৪তম বিসিএসে মেধা তালিকায় সবার সেরা হয়েছিলেন ওয়ালিদ। এই ওয়ালিদ কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বিসিএসের ইতিহাসে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে প্রথম হওয়ার গৌরবও এই ওয়ালিদের হাতে।
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা কোনোভাবেই অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। বরং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভালোমানের শিক্ষার্থী তৈরির ব্যাপারে ভূমিকা রাখছে।
বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষা বিস্তারে এবং জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ নির্মাণে যেসকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে তারমধ্যে অন্যতম হলো এশিয়ান ইউনিভারিসিটি অব বাংলাদেশ। আসন্ন ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে এ বিদ্যাপীঠ রজত জয়ন্তী উৎসব পালন করবে নব চেতনায়, তার সুবিশাল নিজস্ব ক্যাম্পাসে।
বাংলাদেশের ইতিহাস ,ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরার জন্য এটিই প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে বাংলা বিভাগ চালু করা হয় |এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার পাশাপাশি সামাজিক, কলা ও মানবিক বিষয় সমূহকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে| এইউবি শুরু থেকেই শিক্ষাক্রম এমনভাবে নির্ধারণ ও চালু করেছে, যাতে একজন শিক্ষার্থী পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় দুই লক্ষ শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষা কার্যক্রম শেষে দেশে ও বিদেশে সাফল্যের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
রজতজয়ন্তী তথা ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জাতির প্রত্যাশা, বিশ্ববিদ্যালয়টি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণে তার কার্যক্রম সাফল্যের সাথে অব্যাহত রাখবে।
গবেষক ও লেখক
সহযোগী অধ্যাপক, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ