a
ফাইল ছবি । ডা. দীপু মনি
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি দেখে চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে মন্তব্য জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে গত রবিবার (১৩ জুন) এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়া সম্ভব না হলে বিকল্প ব্যবস্থার চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি জানান, চেষ্টা করছি সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়ার। এখন সেটিও যদি না হয়, আমরা তার বিকল্প নিয়েও চিন্তা-ভাবনা করছি।
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। চলতি বছরের ১৩ জুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত ছুটি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
ফাইল ছবি
আজ ২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল রোববার (১২ মে) সকাল সোয়া ১০টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেন।
এরপর মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে ১১টায় ফলাফল নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং অনলাইনে একযোগে প্রকাশ করা হয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট পেতে বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন (EIIN) অ্যান্ট্রি করতে হবে। তাহলে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।
ফলাফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবে। ওয়েবসাইটে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর ও শিক্ষা বোর্ড সিলেক্ট করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে ফল জানা যাবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাসার স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ কথা বলা হয়।
এছাড়া মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও ফলাফল জানা যাবে। ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে 16222 নম্বরে। উদাহরণ: SSC Dha 123456 2024, লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে ফলাফল।
২০২৪ সালের এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় ৪৮ হাজার।
এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১২ মার্চ শেষ হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হয় ২০ মার্চ। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিলের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৪ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২১ মার্চ শেষ হয়। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ও ভোকেশনালের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১২ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২১ মার্চ শেষ হয়।
সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১২ মে (রোববার) সকাল ১০টায় গণভবনে চলতি বছরের মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ও পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। সূত্র: ঢাকানিউজ২৪
ফাইল ছবি
বিশ্বের ধনী দেশগুলোর স্বার্থপরভাবে ভ্যাকসিন সরবরাহ নিয়ন্ত্রণকে অনৈতিক এবং অন্যায্য বলেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, দরিদ্র দেশগুলোকে ভ্যাকসিন লাভের সুযোগ না দেয়ায় মহামারির বিরুদ্ধে দেশগুলো সুরক্ষা হ্রাস পাওয়ার ঝুঁকিতেই থাকছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, প্রত্যেক দেশে জনসংখ্যার ৪০ শতাংশের বেশী লোককে টিকাদান করতে হবে। কিন্তু কোভিড-১৯ সংকট কাটাতে কাজ খুব কম হয়েছে। ধনী দেশগুলোকে এসব দরিদ্র দেশে ভ্যাকসিন পৌঁছানোর সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
হু চলতি বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ প্রতিটি দেশের ১০ শতাংশ লোককে ভ্যাকসিন প্রদান সম্পন্ন করার লক্ষ্য ঘোষণা করেছিল, তবে ৫৬ টি দেশে এই লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। হু প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসিস বলেন, এ ক্ষেত্রে এসব দেশের নিজেদের কোন দোষ ছিল না।
সংস্থা বলেছে, প্রতিমাসে ১.৫ বিলিয়ন ভ্যাকসিন তৈরি করা হচ্ছে, অথচ এক সপ্তাহের কম সময়ের উৎপাদন দিয়ে এই ১০ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যেতো।
হু প্রধান টেড্রোসের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, “ভ্যাকসিন সরবরাহে বৈষম্য কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলায় প্রতিবন্ধক হয়ে রয়েছে।”