a
ফাইল ছবি
করোনা মহামারীতে স্থগিত হওয়া চূড়ান্ত পরীক্ষা অনলাইনে শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। মিডটার্ম ও ক্লাস টেস্ট দিয়ে শুরু হবে অনলাইন পরীক্ষা। গত ১৭ আগস্ট মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।
রেজিস্টার বলেন, করোনার কারণে স্থগিত হওয়া পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিভাগগুলো চাইলে অনলাইনে মিডটার্ম ও ক্লাস টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষা শুরু করতে পারবে। বিভাগ সিদ্ধান্ত নিবে কিভাবে পরীক্ষা নেয়া যাবে।
চূড়ান্ত পরীক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, অর্ডিন্যান্সে অনলাইনে চূড়ান্ত পরীক্ষার নেয়ার নীতিমালা আছে। অনুষদের ডিনবৃন্দ বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বসে অনুষদ অনুযায়ী এক সপ্তাহের মধ্যে একটি নীতিমালা তৈরি করবে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু করব। পাশাপাশি আইকিউসির মাধ্যমে ট্রেনিং চলবে।
সশরীরে পরীক্ষা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। এখনো করোনার সংক্রমণের হার অনেক বেশি। সবাই ভ্যাকসিন নেয়া শেষ হলে আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিব।
এদিকে প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আনিসুর রহমান ফেসবুকে বলেন, প্রশাসনকে সমালোচনা করতে পারলে, ভালো কাজে সাধুবাদও জানানো উচিত। ধন্যবাদ কুবি প্রসাসনকে অনলাইন পরীক্ষা নেয়ার কার্যক্রম শুরু করা এবং আমাদের টিকার আওতায় আনার জন্য।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফুল আলম হৃদয় বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে সব কিছুতেই থমকে আছি আমরা। তবে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পরীক্ষা এবং ক্লাসও হচ্ছে অনলাইনে। তবে কুবি কর্তৃপক্ষ অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাই। এরফলে শিক্ষার্থীদের সেশনজটের আশঙ্কাও কমে আসবে। গত ৯ আগস্ট স্থগিত হওয়া চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলো অনলাইনে নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, সারাদেশে করোনা সংক্রমণের প্রভাবে গত বছরের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। গত বছরের ২০ ডিসেম্বর হতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চূড়ান্ত পরীক্ষা নেয়া শুরু করে। পরে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি চলমান সব পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে ৩ জুন একাডেমিক কাউন্সিলের সভা থেকে পুনরায় ১৩ জুন থেকে সশরীরে পরীক্ষা শুরু হলেও ২৫ জুন স্থগিত করা হয়।
ফাইল ছবি
করোনার সংক্রমণের কারণে দীর্ঘসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শেষনজটের কবলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। যা তাদের শিক্ষাজীবনকে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন করে তুলেছে অনেকে আছেন স্নাতক/স্নাতকোত্তর শেষ বর্ষের পরীক্ষার জন্য আটকে আছেন।
এসব বিষয় চিন্তা করে এবার অনলাইনে বিশেষ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানালো ইউজিসি। আজ ৬ মে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সঙ্গে ইউজিসির এক সভায় আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইনে পরীক্ষা নেবে। তবে কোন পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেবে, সেটা নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আলোচনা করে ঠিক করবে।
এ বিষয়ে তাঁরা একটি গাইড লাইন তৈরি করেছেন। সেটা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর মন্ত্রণালয় সেটা পরিপত্র আকারে জারি করলে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পাঠানো হবে।
এর আগে গতকাল ৫ মে বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, করোনা পরিস্থিতি কোন উন্নতি না হলে আগামী ১ জুলাই থেকে অনলাইনে সকল বর্ষের চূড়ান্ত (ফাইনাল) পরীক্ষাগুলো নেওয়া হবে। ইউজিসির কোনো কোনো সদস্য মনে করছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তের ফলে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও উৎসাহী হবে।
ফাইল ছবি
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আণবিক সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসির নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার একটি প্রতিনিধি দল জাপোরিঝিয়া নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট পরিদর্শনে যায়। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা আরআইএ নভোস্তির কাছে রাফায়েল গ্রোসি বলেছেন, যতক্ষণ তার দল প্লান্টে ছিল এই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অসংখ্য তথ্য সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়েছেন তারা।
তিনি আরও বলেছেন, গুরুত্বপূর্ণ যে জিনিস দেখার দরকার ছিল সেটি তারা দেখেছেন। আরআইএ নভোস্তি জানিয়েছে, পরিদর্শন শেষে প্লান্ট ছেড়ে চলে গেছেন রাফায়েল গ্রোসি। তবে ওই সময় জানা যায়নি তার পুরো দলই প্লান্ট ছেড়ে চলে গেছে কিনা। পরবর্তীতে জানা যায় আণবিক সংস্থার অন্তত পাঁচজন প্লান্টে রয়ে গেছেন। তারা ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবেন।
এদিকে এর আগে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকালে প্রতিনিধি দলকে নিয়ে প্লান্টের দিকে রওনা দেন গ্রোসি। কিন্তু প্লান্ট থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর একটি চৌকিতে তাদের তিন ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। তাদের বলা হয় জাপোরিঝিয়ায় গোলাবর্ষণ হয়েছে; সেখানে যাওয়া নিরাপদ হবে না।
কিন্তু রাফায়েল গ্রোসি জানান ঝুঁকি থাকলেও তিনি প্লান্টে যাবেনই। সূত্র: সিএনএন, আল জাজিরা