a কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনলাইনে
ঢাকা শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩২, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনলাইনে


এম.এস প্রতিদিন ডেস্ক:
শনিবার, ২১ আগষ্ট, ২০২১, ০৭:৫৬
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনলাইনে

ফাইল ছবি

করোনা মহামারীতে স্থগিত হওয়া চূড়ান্ত পরীক্ষা অনলাইনে শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। মিডটার্ম ও ক্লাস টেস্ট দিয়ে শুরু হবে অনলাইন পরীক্ষা। গত ১৭ আগস্ট মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।

রেজিস্টার বলেন, করোনার কারণে স্থগিত হওয়া পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিভাগগুলো চাইলে অনলাইনে মিডটার্ম ও ক্লাস টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষা শুরু করতে পারবে। বিভাগ সিদ্ধান্ত নিবে কিভাবে পরীক্ষা নেয়া যাবে। 

চূড়ান্ত পরীক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, অর্ডিন্যান্সে অনলাইনে চূড়ান্ত পরীক্ষার নেয়ার নীতিমালা আছে। অনুষদের ডিনবৃন্দ বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বসে অনুষদ অনুযায়ী এক সপ্তাহের মধ্যে একটি নীতিমালা তৈরি করবে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু করব। পাশাপাশি আইকিউসির মাধ্যমে ট্রেনিং চলবে।

সশরীরে পরীক্ষা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। এখনো করোনার সংক্রমণের হার অনেক বেশি। সবাই ভ্যাকসিন নেয়া শেষ হলে আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিব।
এদিকে প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আনিসুর রহমান ফেসবুকে বলেন, প্রশাসনকে সমালোচনা করতে পারলে, ভালো কাজে সাধুবাদও জানানো উচিত। ধন্যবাদ কুবি প্রসাসনকে অনলাইন পরীক্ষা নেয়ার কার্যক্রম শুরু করা এবং আমাদের টিকার আওতায় আনার জন্য। 

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফুল আলম হৃদয় বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে সব কিছুতেই থমকে আছি আমরা। তবে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পরীক্ষা এবং ক্লাসও হচ্ছে অনলাইনে। তবে কুবি কর্তৃপক্ষ অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাই। এরফলে শিক্ষার্থীদের সেশনজটের আশঙ্কাও কমে আসবে। গত ৯ আগস্ট স্থগিত হওয়া চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলো অনলাইনে নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, সারাদেশে করোনা সংক্রমণের প্রভাবে গত বছরের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। গত বছরের ২০ ডিসেম্বর হতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চূড়ান্ত পরীক্ষা নেয়া শুরু করে। পরে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি চলমান সব পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে ৩ জুন একাডেমিক কাউন্সিলের সভা থেকে পুনরায় ১৩ জুন থেকে সশরীরে পরীক্ষা শুরু হলেও ২৫ জুন স্থগিত করা হয়।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

চিরকুটে ক্ষমা করো লিখে পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা


এম.এস প্রতিদিন ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৭:৪০
চিরকুটে ক্ষমা করো লিখে পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ফাইল ছবি

সুইসাইড নোটে ‘বাবা-মা ক্ষমা করো, গুড বাই’ লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শহরের শালগাড়িয়া মেরিল বাইপাস এলাকার এক ছাত্রাবাস থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই শিক্ষার্থীর নাম তাহমিদুর রহমান জামিল (২২)।

তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শাহীবাগ এলাকার বজলার রহমানের ছেলে। জামিল পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জামিলের কক্ষ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত নোটে লেখা ছিল ‘বাবা-মা ক্ষমা করো, গুড বাই।’

এতে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। সহপাঠীদের বরাত দিয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, শহরের শালগাড়িয়া মেরিল বাইপাস এলাকার সাফল্য ছাত্রাবাসে থাকতেন শিক্ষার্থী তাহমিদুর রহমান জামিল।

পারিবারিক বিষয় নিয়ে কিছুদিন ধরে মানসিক অস্থিরতায় ভুগছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর ছাত্রাবাসে নিজের কক্ষে ফ্যানের হুকের সাথে ব্যাগের বেল্ট গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। তার সাড়া শব্দ না পেয়ে কক্ষের দরজা খুলে তাকে ঝুলতে দেখে থানায় খবর দেন সহপাঠিরা।

পরে পুলিশ গিয়ে তার ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। তিনি বলেন, তার উদ্ধারকৃত সুইসাইড নোট থেকে বোঝা যাচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে। তারপরও ময়না তদন্ত করা হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার সময় কেন প্রতিবাদ হয়নি: প্রধানমন্ত্রী


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
মঙ্গলবার, ১৬ আগষ্ট, ২০২২, ০৯:০৭
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার সময় কেন প্রতিবাদ হয়নি: প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার সময় কেন প্রতিবাদ হয়নি সে প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জাতির পিতা তো অনেককে ফোনও করেছিল কোথায় ছিলেন তারা? ১৫ আগস্ট ৩২ নম্বর ওই ধানমন্ডিতে লাশগুলো তো পড়ে ছিল। একটি মানুষ ছিল না সাহস করে এগিয়ে আসার? একটি মানুষ ছিল না প্রতিবাদ করার? কেন করতে পারেনি। এতো বড় সংগঠন এতো লোক কেউ তো একটা কথা বলার সাহসও পায়নি। কত স্লোগান। বঙ্গবন্ধু তুমি আছো, যেখানে আমরা আছি সেখানে, অমুক তমুক অনেক স্লোগান, ছিল কোথায় সেই মানুষগুলো।

আজ মঙ্গলবার বিকালে বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস স্মরণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবাইকে হারিয়ে বেঁচে আছি। এ বাঁচা কত যন্ত্রণার বাঁচা যারা বাঁচে তারাই জানে। আমাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছিল। যদি ৯৬ সালে সরকারে আসতে না পারতাম। যদি ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করতে না পারতাম এই হত্যার বিচার হতো না। বার বার বাধা এসেছে। এমন কি বিচারের কথা বলতে যেয়ে বাধা পেয়েছি। বিচারের কথা বললে নাকি কোনো দিন ক্ষমতায় যেতে পারবো না। আমি বাধা মানি নাই দেশে-বিদেশে জনমত সৃষ্টি করেছি। সর্বপ্রথম এই হত্যার প্রতিবাদ করে বক্তব্য দিয়েছে আমার বোন রেহানা।’

তিনি বলেন, ‘কত অপপ্রচার চালানো হয়েছে আমার বাবা, মা-ভাইয়ের নামে। কত অপপ্রচার, কোথায় সেগুলো? কত রকমের মিথ্যা অপপ্রচার দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তারপরও যখন দেখে বাংলাদেশের মানুষের মন থেকে জাতির পিতাকে মুছে ফেলা যায়নি। তখন হত্যা করা হয় জাতির পিতাকে। বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে জাতির পিতার নাম মুছে ফেলা হলো।’

প্রধানমন্ত্রী দলের নেতাদের উদ্দেশে বলেন, একটি মানুষ ছিল না সাহস করে এগিয়ে আসার? একটি মানুষ ছিল না প্রতিবাদ করার। কেন করতে পারেনি? এতো বড় সংগঠন, এতো লোক কেউ তো একটা কথা বলার সাহসও পায়নি।

১৫ আগস্ট থেকে ১৬ আগস্ট ওই লাশ পড়েছিল। ১৬ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে গেল টুঙ্গিপাড়ায়। কারণ দুর্গম পথ যেতে ২২ থেকে ২৪ ঘণ্টা লাগবে তাই কেউ যেতে পারবে না। তাই সেখানে নিয়ে মা-বাবার কবরের পাশে মাটি দিয়ে আসে। সেখানকার মৌলভী সাহেব আপত্তি করেছিলেন যে গোসল করাবো, কাফন দাফন করাবো। জাতির পিতা কিছু নিয়ে যাননি শুধু দিয়ে গেছেন। একটা দেশ দিয়ে গেছেন একটা জাতি দিয়ে গেছেন, পরিচয় দিয়ে গেছেন। আত্মপরিচয় দিয়ে গেছেন। বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তুলে উন্নয়নের পথে যাত্রা শুরু করে দিয়েছেন, কিছুই নিয়ে যাননি বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের গরীব মানুষের রিলিফের কাপড় তিনি দিতে পারতেন সেই রিলিফের কাপড়ের পার ছিঁড়ে সেটা দিয়েই তাকে কাফন দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে কিছুই নিয়ে যাননি। মা-বা-ভাই-বোন কিছুই নিয়ে যাননি। ১৬ তারিখ বনানীতে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। মুসলমান হিসেবে এতোটুক দাবি থাকে জানাজা পড়ার সেটাও তো পড়েনি।

তিনি বলেন, কাফনের কাপড় সেটাও দেয়নি। ৭৫ এর ঘাতকরা বাংলাদেশকে ইসলামিক রাষ্ট্র করার ঘোষণা দিয়েছিল ইসলামের কোনো বিধি তারা মানেনি। আমার প্রশ্ন জাতির পিতা তো অনেককে ফোনও করেছিলেন, কি করেছিলেন, কোথায় ছিলেন তারা? বেঁচে থাকতে সবাই থাকে, মরে গেলে যে কেউ থাকে না তার জীবন্ত প্রমাণ।

এজন্য আমি কিছু আশা করি না। আমার একটাই কথা জাতির দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন। সব সহ্য করে নীল কণ্ঠ হয়ে অপেক্ষা করেছি কবে ক্ষমতায় যেতে পারবো। দেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো তাহলেই হত্যার প্রতিশোধ নেয়া হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - শিক্ষা