a
ফাইল ছবি
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমানের ফলাফলের ভিত্তিতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি নেওয়া হবে। এবার কোনো ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে না। ভর্তি আবেদন আবার শুরু হবে ২৮ জুলাই। অনলাইনের মাধ্যমে এ আবেদন চলবে আগামী ১৪ আগস্ট পর্যন্ত।
গতকাল শনিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে ভর্তির নির্দেশিকাও প্রকাশ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ভর্তি বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, ২৮ জুলাই বিকেল চারটা থেকে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি আবেদন আবার শুরু হবে। অনলাইনে এ আবেদন চলবে আগামী ১৪ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত।
ভর্তি–ইচ্ছুক প্রার্থীদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ওয়েবসাইটে আবেদন পূরণ করে আগামী ১৬ আগস্টের মধ্যে প্রাথমিক আবেদন ফি বাবদ ২৫০ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রদান করতে হবে। ভর্তির সব কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর অনলাইনে শুরু হবে স্নাতক প্রথম বর্ষের ক্লাস।
ফাইল ছবি
নতুন কারিকুলামে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে পাঠদান চলছে। এ দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে কোনো প্রচলিত পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট হবে না। তবে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) গাইডলাইন অনুযায়ী।
নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, দেশের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বার্ষিক সামষ্টির মূল্যায়ন শুরু আগামী ৫ নভেম্বর, শেষ হবে ২৮ নভেম্বর।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে সামষ্টিক মূল্যায়ন নিয়ে ৬ দফা নির্দেশেনা দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো—
১. ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন পরিচালনার জন্য বিস্তারিত নির্দেশনা ২৯ অক্টোবর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে।
২. নির্দেশনা মোতাবেক সব বিষয়ে বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন পরিচালনা করতে হবে।
৩. বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশনাতে ট্রান্সক্রিপ্ট ও রিপোর্ট কার্ডের ফরমেট এবং পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তরণের নীতিমালা সংযুক্ত থাকবে।
৪. পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার এবং নির্ধারিতসংখ্যক বিষয়ে পারদর্শিতার সমন্বিত ফল বিবেচনা করা হবে।
৫. রিপোর্ট কার্ডে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতার বিস্তারিত বিবরণ উল্লেখ থাকবে।
৬. বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছানোর পর ২ নভেম্বরের মধ্যে অভিভাবক সমাবেশ করে বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন সম্পর্কে অবহিত করে সমাবেশের তথ্য ও ছবি থানা/উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে পাঠাতে হবে।
গত জানুয়ারি থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। আগামী বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু।
এরপর ২০২৫ সালে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে তা চালু হবে। উচ্চমাধ্যমিকে একাদশ শ্রেণিতে ২০২৬ সালে এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০২৭ সালে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। সূত্র: ইত্তেফাক
ছবি সংগৃহীত
নিউজ ডেস্কঃ আজ ঐতিহাসিক এইদিনে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেন দেশের প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনীতিদলের প্রধানগণ। এই স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐক্য ও গণতন্ত্রের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো।
সনদটির উদ্দেশ্য—দেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। তারা একমত হন যে, জাতীয় স্বার্থই সবার ঊর্ধ্বে। প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে বলেন, এই সনদ হবে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার মাইলফলক। রাজনীতিবিদেরা প্রতিশ্রুতি দেন, দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের উন্নয়নে কাজ করবেন তারা।
সনদের ধারাগুলোতে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। এটি জাতিকে বিভেদের বদলে ঐক্যের পথে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে। নেতৃবৃন্দ বিশ্বাস করেন, এই সনদ দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। সামাজিক ন্যায়বিচার, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক সংস্কারের দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত জনগণ আশাবাদী মনোভাব প্রকাশ করেন। তারা মনে করেন, এই উদ্যোগ জাতীয় উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপিত হবে। প্রধান উপদেষ্টা সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
এটি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। গণমাধ্যমে ইতোমধ্যে এ স্বাক্ষরকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলা হচ্ছে। তরুণ সমাজও এ উদ্যোগে নতুন আশার আলো দেখছে। জুলাই সনদ তাই আজ দেশের ইতিহাসে এক স্মরণীয় অধ্যায় হয়ে উঠেছে। এটি জাতীয় ঐক্য ও গণতন্ত্রের এক উজ্জ্বল প্রতীক।