a
ফাইল ছবি
দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন নিয়ে পাঠদান কার্যক্রম শুরু ও আবাসিক হল খুলতে পারবে।
আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের স্কুল-কলেজগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে পাঠদান কর্মসূচি।
ফাইল ফটো:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের অনলাইন ভর্তি আবেদন আজ সোমবার (৮ মার্চ) থেকে শুরু হচ্ছে। যা চলবে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
আজ বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ভর্তি অফিসে অনলাইন ভর্তি আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া উদ্বোধন করবেন। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা বিকাল ৫টা থেকে ৩১ মার্চ রাত ১১ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত https://admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
এ বছর মোট পাঁচটি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সেগুলো হল: ক-ইউনিট, খ-ইউনিট, গ-ইউনিট, ঘ-ইউনিট এবং চ ইউনিট।
ক-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২১ মে, খ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২২ মে, গ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ মে, ঘ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৮ মে এবং চ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান) ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ইউনিটের পরীক্ষা ঢাকাসহ আটটি বিভাগীয় শহরে সকাল ১১ টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীদের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ‘ক’ ইউনিটের জন্য মাধ্যমিক ও সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮.৫ (আলাদাভাবে জিপিএ ৩.৫), ‘খ’ ইউনিটের জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮.০ (আলাদাভাবে ৩.০), ‘গ’ ইউনিটের জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮.০ ( আলাদাভাবে ৩.৫), ‘ঘ’ ইউনিটের জন্য মানবিক শাখার ক্ষেত্রে জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮.০ (আলাদাভাবে ৩.০) ও বিজ্ঞান শাখার ক্ষেত্রে জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮.৫ (আলাদাভাবে ৩.৫) এবং ‘চ’ ইউনিটের জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৭.০ (আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০) থাকতে হবে।
পরীক্ষার মানববণ্ঠন:
‘ক’, ‘খ’, ‘গ’ ও ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। শুধুমাত্র ‘চ’ ইউনিটের পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয় হবে। ‘ক’, ‘খ’, ‘গ’ ও ‘ঘ’ ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ‘চ’ ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন
ফাইল ছবি
গতকাল মঙ্গলবার রাত নয়টায় পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ছেলে হামজা শাহবাজের নিয়োগ ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে রায় দেন সুপ্রিম কোর্ট। এরপর দিবাগত রাত দুইটায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান–সমর্থিত চৌধুরী পারভেজ এলাহি নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। খবর ডন ও জিও নিউজের।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, পাঞ্জাবের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে মরিয়া ছিল কেন্দ্রীয় সরকার।
রায় ঘোষণার পর এক সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে ‘বিচারিক অভ্যুত্থান’ বলে কড়া সমালোচনা করেছেন তথ্যমন্ত্রী মারিয়াম আওরঙ্গজেব। অন্যদিকে, রায় মেনে নিতে পিএমএল-এন জোটের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।
রাত নয়টায় সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণা করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ। পাঞ্জাবের ডেপুটি স্পিকার দোস্ত মুহাম্মদ মাজারির আদেশ বাতিল করে এতে বলা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৩এ(১)(বি) নিয়ে তাঁর জানাশোনা ও বাস্তবায়ন ‘ভুল ও ত্রুটিপূর্ণ’।
গত শুক্রবার পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদে মুখ্যমন্ত্রী পদে ভোটাভুটি হয়। এতে জোটের শরিক পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদের (পিএমএল-কিউ) চৌধুরী পারভেজ এলাহিকে প্রার্থী করে পিটিআই। তিনি পান ১৮৬ ভোট। আর পিএমএল-এন নেতৃত্বাধীন প্রার্থী হামজা শাহবাজ পান ১৭৯ ভোট।
কিন্তু সংবিধানের ৬৩(এ) অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে ডেপুটি স্পিকার পিএমএল-কিউ দলের ১০ সদস্যের ভোট বাতিল করে দেন। কারণ হিসেবে তিনি দাবি করেন, পিএমএল-কিউ প্রধান চৌধুরী সুজাত হোসেন কোনো দলের পক্ষে পার্লামেন্ট সদস্যদের ভোট না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে এক চিঠিতে তাঁকে জানিয়েছেন। ফলে, তিন ভোটে হামজা শাহবাজকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
সংবিধানের ৬৩(এ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে দেওয়া কোনো পার্লামেন্ট সদস্যের ভোট গণনা করা হবে না। এমনকি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ভোট দিলে তাঁদের সদস্য পদও বাতিল বলে গণ্য হবে।
ডেপুটি স্পিকারে সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন পিটিআই নেতা রাজা বাশারাত। তিনি বলেন, পিএমএল-কিউয়ের সংসদীয় নেতা চৌধুরী সাজিদ। তাই এ ক্ষেত্রে সংবিধানের আর্টিকেল ৬৩(এ) প্রযোজ্য হবে না। উল্লেখ্য, এই অনুচ্ছেদের ব্যাখ্যায় ‘পার্লামেন্টারি পার্টির সিদ্ধান্তের’ কথা বলেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট।
একপর্যায়ে অধিবেশন মুলতবি করে পিটিআই ও পিএমএল-কিউ নেতাদের তাঁদের আপত্তি নিয়ে ‘আদালতের দ্বারস্থ হতে বলেন’ ডেপুটি স্পিকার। শেষ পর্যন্ত তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে গতকাল ডেপুটি স্পিকারের রায় অবৈধ ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ।
একই সঙ্গে চৌধুরী পারভেজ এলাহিকে মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ দিয়ে তাঁকে রাত সাড়ে ১১টায় শপথ পড়াতে পাঞ্জাবের গভর্নরকে নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট। যদি কোনো কারণে গভর্নর এলাহিকে শপথ না পড়ান, তাহলে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি তাঁকে শপথ পড়াবেন বলে আদেশে বলা হয়।
পাঞ্জাবের গভর্নর এলাহিকে শপথ পড়াতে অস্বীকৃতি জানালে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী রাত দুইটার দিকে তিনি প্রেসিডেন্ট আলভির কাছে শপথ নেন। জিও নিউজ জানায়, ইসলামাবাদে শপথ অনুষ্ঠানে আনতে এলাহির জন্য বিশেষ উড়োজাহাজ পাঠান প্রেসিডেন্ট।
জাতীয় পরিষদে বিরোধী জোটের আনা অনাস্থা প্রস্তাবে হেরে গত ৯ এপ্রিল বিদায় নেয় ইমরান খানের সরকার। অনাস্থা ভোটের অধিবেশন ঘিরেও ওই দিন রাতভর নাটকীয়তা চলে। ওই সংকট চলাকালে মধ্যরাতে বসেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। সূত্র: প্রথম আলো