a
ফাইল ছবি
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষায় নির্দেশনা ধারাবাহিকভাবে না মানলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আজ মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর ইডেন কলেজে ভবন উদ্বোধন ও মৎস্য পোনা অবমুক্তকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
মাদরাসাগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা কমের বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, আমাদের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর নজরদারি আছে। প্রতিদিন প্রতিবেদন সংগ্রহ করছি। স্থানীয় পর্যায়ে একটি নজরদারি আছে। তবে বিষয়টি যারা প্রতিষ্ঠান চালান তাদের ওপর নির্ভর করে।
আমরা অনেক নজরদারি করতে পারি, কিন্তু তারা যদি সচেতন না হন, নিয়ম না মানার প্রবণতা থাকে এবং ধারাবাহিকভাবে নিয়ম ভঙ্গ করেন, তাহলে সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে। তার কারণ হচ্ছে আমরা এ ঝুঁকি নেব না। একটা স্কুল বা মাদরাসায় ছড়ায় তাহলে সেটি কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠানে সীমাবদ্ধ থাকবে না সেটি কমিউনিটিতে ছড়াবে।
কারণ আমরা সেই ঝুঁকি নিতে পারি না। কাজেই সেই প্রতিষ্ঠান যে পর্যায়ের হোক মাদারাসা, কারিগরি প্রাথমিক মাধ্যমিক সেখানে যদি কোনো অবহেলা থাকে তাহলে সেটি আমরা ঠিক করার চেষ্টা করবো। কেউ যদি বারবার নিয়ম ভঙ্গ বা অবহেলা করে তাহলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এখনও অনেক ইংরেজি মাধ্যম প্রতিষ্ঠান না খোলার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের নির্দেশনা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য। এখানে বাংলা, ইংরেজি মাধ্যম ভাগ নেই। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি না খুলে থাকেন তাহলে আমাদের জানাবেন।
ফাইল ছবি। ডা. দীপু মনি
করোনা মহামারি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে চলতি বছরের নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মন্ত্রী।
যে পদ্ধতিতে হতে পারে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা:
করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে এলে সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রুপ ভিত্তিক তিনটি বিষয়ের ওপর শুধু নৈর্বাচনিক পরীক্ষার মাধ্যমে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে। পূর্ববর্তী ক্লাসে যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর পরীক্ষা না নিয়ে আগের পরীক্ষার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে। চলতি মাস থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ১২ সপ্তাহে ২৪টি অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ৩০টি অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে।
সংক্ষিপ্ত সিলেবাস সম্পন্ন করেই নেওয়া হবে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। অ্যাসাইনমেন্টগুলো নেওয়া হবে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতি হিসেবে। আবশ্যিক বিষয়গুলোর মূল্যায়ন হবে সাবজেক্ট ম্যাকিংয়ের মাধ্যমে। আর যদি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হয়, তবে অ্যাসাইনমেন্ট ও সাবজেক্ট ম্যাকিংয়ের মাধ্যমে মূল্যায়ন হতে পারে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ফাইল ছবি । ড. হাছান মাহমুদ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ৭দিনের মধ্যে অনিবন্ধিত সবগুলো অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া সমীচীন হবে না। এ বিষয়ে আদালতকে অবহিত করা হবে। বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আদালতকে আমরা জানাবো সাতদিনের মধ্যে সবগুলো বন্ধ করে দেওয়া সমীচীন হবে না। অনেকগুলো বন্ধ করবো, আদালতকে জানাবো, আসলে কি প্রক্রিয়ায় রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে।
কিছু গণমাধ্যমকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হয়েছে। বাকিগুলোর বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে-জানতে তিনি বলেন, আবেদনের পর যাচাই-বাছাই করার জন্য আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এগুলো তদন্তকারী সংস্থাকে দেয়। সেটি শেষ করে না আসা পর্যন্ত আমরা দিতে পারি না। এ কারণেই সময় লাগছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখন যেগুলো রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত, সেগুলো ছাড়া আর কোনো অনলাইন ভবিষ্যতে বের হবে না, তেমন নিয়মতো নেই। যেসব অনলাইন সত্যিকার অর্থে গণমাধ্যম হিসেবে কাজ করে না বরং নিজস্ব বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে এবং ব্যাঙের ছাতার মতো এত অনলাইন দেশে প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, যার যেমন ইচ্ছে একটি অনলাইন খুলে বসবে এবং সেটি নিয়ে যেমন ইচ্ছে তেমন সংবাদ পরিবেশন করবে, মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করবে, গুজব রটানোর কাজে ব্যস্ত হবে, অন্যের চরিত্র হনন করবে, ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হবে, কোন ব্যবসায়িক স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য সেখানে লেখালেখি হবে, এটি কখনোই সমীচীন নয়। সেক্ষেত্রে এ আদেশ অবশ্যই একটি সহায়ক আদেশ।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা আদালতের লিখিত কপি পাওয়ার পর যে সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে, সে সময়সীমার মধ্যে অবশ্যই কিছু অনলাইন বন্ধ করবো। তবে ভবিষ্যতেও অনলাইন রেজিস্ট্রেশন দিতে হবে। একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে। আমরা আদালতের কাছে সে বিষয়টি উপস্থাপন করবো। কিছু অনলাইন আমরা বন্ধ করবো।
ইতিমধ্যে কিছু বন্ধও করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আমরা আদালতের নজরে এটিও আনবো, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং যাচাই-বাছাই ছাড়া সবগুলোকে একসঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়, সেটিও কতটুকুক সমীচীন, সেটিও ভাবার বিষয়। সেজন্য আমরা আদালতের নজরে আনবো। সূত্র: বিডি প্রতিদিন