a
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও চিরঞ্জিত চক্রবর্তী । ফাইল ছবি
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও তৃণমূল প্রার্থী চিরঞ্জিত চক্রবর্তী পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বারাসাত কেন্দ্র থেকে পর পর তিনবার জয়ী হয়ে হ্যাট্রিক করলেন। এই তারকা প্রার্থী ২৩ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন।
তিনি ফল ঘোষণার আগেই জানিয়েছিলেন, 'হান্ড্রেড পার্সেন্ট এবারও আমিই জিতছি। হ্যাট্রিক করছি! গত দশ বছরে মানুষের জন্য যতটুকু কাজ করতে পেরেছি তার ওপর ভিত্তি করেই এই কথা বলতে পারছি। চিরঞ্জিত এখন বারাসাত বিধানসভা আসনের তৃণমূলের বিধায়ক বা এমএলএ।
২০১১ সালে প্রথম এই বারাসাত কেন্দ্র থেকে তিনি তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক হন। ২০১৬ সালের পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনেও তিনি একই কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য বিধায়ক হন। এবারও সেই কেন্দ্র থেকেই নিজ পদে পুনরায় আসীন হলেন এক সময়ের সুপারস্টারখ্যাত নায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী।
ফাইল ফটো
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। আর তাই ‘মিস ইউনিভার্স’ হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মডেল তানজিয়া জামান মিথিলার যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে প্রতিযোগিতা থেকে তার নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। সেইসাথে ‘মিস ইউনিভার্স ২০২০’-এর ওয়েবসাইট থেকে নামিয়ে ফেলা হয়েছে এ প্রতিযোগীর নাম!
‘মিস ইউনিভার্স ২০২০’ প্রতিযোগিতার ৬৯তম আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার কথা ছিল ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২০’ প্রতিযোগিতার বিজয়ী তানজিয়া জামান মিথিলার। সে অনুযায়ী মূল প্রতিযোগিতার ওয়েবসাইটে উঠেছিল তার নাম। ভোট দেওয়ারও সুযোগ ছিল। কিন্তু ১৯ এপ্রিল মিস ইউনিভার্সের ওয়েবসাইট ঘুরে কোথাও মিথিলার নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি।
মূল আয়োজনের ওয়েবসাইট থেকে মিথিলার প্রোফাইল সরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়, ‘লকডাউন এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে আমরা প্রস্তুতি শেষ করতে পারিনি। তাই আমরা এবারের আসরে অংশ নিতে পারছি না। বিষয়টি মূল আয়োজকদের এই সপ্তাহে জানানো হয়েছে।’
এদিকে বাংলাদেশ থেকে ‘মিস ইউনিভার্স ২০২০’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল মিথিলার। কিন্তু বিজয়ী হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন বিতর্ক আবারও শুরু হয় তাকে ঘিরে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য বয়স লুকানো ও পুরুষ হয়রানির বিষয়টি।
বিজয়ী হওয়ার পর ‘মিস ইউনিভার্স’-এর ওয়েবসাইটে উঠেছিল মিথিলার নাম। যেখানে তাকে ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু হঠাৎ তাদের ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো মিথিলার নাম।
কেন সরিয়ে দেওয়া হলো মিথিলাকে? কারণ খুঁজতে গেলে এ প্রতিবেদকের হাতে আসে তিনটি স্ক্রিনশট। একটি বিউটি পেজেন্টদের নিয়ে কাজ করা ‘সাশ ফ্যাক্টর’ নামের অনলাইন ম্যাগাজিনের, আরেকটি ‘মিস ইউনিভার্স আপডেট’ নামের একটি গ্রুপের এবং অন্যটি ‘পেজেন্ট ফেনাটিক’ নামের একটি পেজের।
‘সাশ ফ্যাক্টর’ তাদের পোস্টে মিথিলার বয়স লুকোচুরি এবং যৌন হয়রানির বিষয়টিও তুলে ধরে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২০ তানজিয়া জামান মিথিলাকে ঘিরে অনেক বিতর্ক দেখা যাচ্ছে। অনেক বাংলাদেশি বিউটি পেজেন্টরা মিথিলাকে নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন এবং তাকে মূল প্রতিযোগিতার জন্য সাপোর্ট করছেন না।’
এছাড়া প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী অংশগ্রহণকারীর বয়স ২৮ বছরের কম হতে হবে। অভিযোগ রয়েছে মিথিলার বয়সের সীমা আগেই পেরিয়েছেন।
মিথিলা এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি বয়স নিয়ে কোনও লুকোচুরি করিনি। আমার জন্ম ১৯৯৪ সালের জানুয়ারিতে। সেটি আমার জন্মনিবন্ধন, ভোটার আইডি, পাসপোর্ট সবকিছুতে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু ১৯৯২ হলেও কিন্তু আমি কোয়ালিফাইড। আর মিস ইউনিভার্সের কাছে আমার সব তথ্য রয়েছে।’
ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
স্পেনের সিমাগো ইনস্টিটিউশন র্যাঙ্কিং-২০২২ এর প্রকাশিত ফলাফলে আন্তর্জাতিক মানদন্ডে রসায়ন বিষয়ে গবেষণা সূচকে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এই উপলক্ষে ২৪ জুলাই রোজ রবিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগকে সংবর্ধনা জানান। সিমাগো ইনস্টিটিউশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি গতবছরে বিভিন্ন বিষয়ে ১৯টি সূচকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৪ হাজার ১২৬টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে জরিপ করেছে। জরিপে রসায়ন বিষয়ক গবেষণা সূচকে বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সবার প্রথমে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শামছুন নাহার বলেন, আমাদের এ অর্জন বিভাগের শিক্ষকদের টিম ওয়ার্কের ফসল। সকলের সমন্বয়ে আমাদের গবেষণা কার্যক্রম এগয়ে যাচ্ছে। করোনাকালে বিভাগের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত গবেষণা করেছেন, তাদের ত্যাগই আমদেরকে রসায়নে দেশসেরা করেছে।
এসময় বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, রসায়ন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান বলেন, বিভাগের সাফল্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন আয়োজনে আমি আবেগতাড়িত হয়ে গেছি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি যখন নিযুক্ত হই, বিভাগের শিক্ষকদের বসার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা ছিলনা, গবেষণার সুযোগ ছিলনা বললেই চলে। সেখান থেকে আমরা এখন দেশে রসায়নে প্রথম।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. কামালউদ্দীন আহমদ জানান, জবির সাবেক উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বলেছিলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার দিক থেকে সবচেয়ে ভালো বিভাগ হচ্ছে রসায়ন বিভাগ। আপনারা স্যারের কথা প্রমাণ করে চলছেন। তিনি আরো বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থী তাদের কর্মক্ষেত্রে বা খেলাধুলায় এরকম সাফল্য দেখলে আমি আবেগ নিয়ন্ত্রন করতে পারিনা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউজিসি অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবীর বলেন, ২০১৯ সালে আমি যখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম তখন জাবি রসায়নে দেশসেরা ছিল, বর্তমানে আমি জবির রসায়ন বিভাগের সাথে যুক্ত আছি, এখন জবির রসায়ন বিভাগ দেশসেরা এজন্য আমি গর্বিত। এ বিভাগের তরুণ শিক্ষকরা গবেষণা প্রবণ এটা আশার আলো দেখায়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. ইমদাদুল হক রসায়ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকে উজ্জ্বল করেছেন। আপনাদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কৃতজ্ঞ। এসময় আগামীতে দেশসেরা হওয়ার জন্য বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণা কাজকে তরান্বিত করার আহ্বান জানান।