a সালমান শাহ ঐন্দ্রিলার বড় হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন
ঢাকা শুক্রবার, ৫ পৌষ ১৪৩২, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

সালমান শাহ ঐন্দ্রিলার বড় হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ২৪ আগষ্ট, ২০২৩, ১২:১১
সালমান শাহ ঐন্দ্রিলার বড় হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন

ফাইল ছবি

দীর্ঘ সময় অভিনয় থেকে দূরে আছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা আহমেদ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ অভিনেত্রী জানালেন, নব্বই দশকের সবার জনপ্রিয় সালমান শাহর একটি অজানা ইচ্ছার কথা।

সংবাদ মাধ্যম অনুযায়ী ঐন্দ্রিলা বলেন, “আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন সালমান শাহ আমাকে বলেছিল: ‘তুমি বড় হও আমি তোমার সঙ্গে অভিনয় করব’।”
 
অভিনেত্রী আরও বলেন, শহীদুল হক খান পরিচালিত ‘মহা মৃত্যু’ নামে একটি প্যাকেজ নাটকে শুটিং সেটে এসেছিলেন সালমান শাহ। তখনও তিনি (সালমান শাহ) বলেন, ‘তুমি (ঐন্দ্রিলা আহমেদ) কিন্তু বড় হচ্ছ, তুমি আর একটু বড় হও, আমি তোমার সঙ্গে অভিনয় করব।’
 
নব্বই দশকে চলচ্চিত্রে নতুনত্ব নিয়ে আসেন সালমান শাহ। সবাই যখন অ্যাকশন সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত, তখন রোমান্টিক স্টোরি ভিন্ন আঙ্গিকে সামনে নিয়ে আসেন এ অভিনেতা। এ ছাড়া ১৯৯৩ সালে সালমান শাহ অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ দর্শক মহলে অনেক প্রশংসা পায়। সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বাংলা নববর্ষ উদযাপনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখতে হবে- জাতীয় কবিতা পরিষদ


সাইফুল আলম, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:১৯
বাংলা নববর্ষ উদযাপনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখতে হবে- জাতীয় কবিতা পরিষদ

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাইফুল আলম, ঢাকা:  বাংলা নববর্ষ উদযাপনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জাতীয় কবিতা পরিষদ। আজ ১০ এপ্রিল ২০২৫ সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকায় এই সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় কবিতা পরিষদের নেতৃবৃন্দরা বলেন, আজ আমরা যখন আপনাদের সামনে এই বক্তব্য পেশ করছি তখন সেই মুহূর্তে গাজায় বর্বর ইসরায়েলী হানাদার বাহিনীর বুলেটের আঘাতে হয়তো ঝরে পড়ছে কোন নারী শিশু অসহায় মানুষের প্রাণ। 

ফিলিস্তিনের হাজার হাজার মানুষের আত্মদানের প্রতি গভীর শোক বেদনা সম্মান প্রদর্শন করে আমি আমার বক্তব্য শুরু করছি। বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অগ্রসৈনিক এবং গণমানুষের সার্বিক মুক্তির সাহসী কান্ডারী ‘জাতীয় কবিতা পরিষদ' আয়োজিত আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন, ধন্যবাদ এবং হৃদয়োষ্ণ ভালোবাসা।

আজ আমরা এখানে এক গভীর উদ্বেগ ও সাংস্কৃতিক প্রতিরোধের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত এটি হয়েছি। বাংলাদেশের অন্যতম প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ। এটি শুধুমাত্র একটি ক্যালেন্ডার বছরের সূচনা নয়, হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ঐতিহ্য ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার বহিঃপ্রকাশ। বাংলা নববর্ষ-যেখানে গ্রামের মেলা থেকে নগরের শোভাযাত্রা পর্যন্ত মানুষের ঢল নামে, ব্যবসায়ীরা হালখাতা খোলে, কবিরা নতুন কবিতার প্রাণ- স্পন্দন খুঁজে পায়, শিশু, কিশোর, তরুণ-তরুণী, নর-নারী রঙবেরঙের নতুন পোশাক, ফুলসজ্জায় নদীর ঢেউয়ের মতন রাস্তায় নেমে আসে, সারাদেশে-শহরে নগরে হাটে মাঠে ঘাটে পথে প্রান্তরে স্বতঃস্ফূর্ত মানুষের জোয়ার বয়ে যায়। আর মানুষ জাত-ধর্ম-বর্ণ ভুলে একসঙ্গে একআনন্দে মেতে ওঠে। কিন্তু এই সার্বজনীন আনন্দঘন উৎসব আজ একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের নিশানায়। কিছু গোষ্ঠী-যারা ইতিহাস অস্বীকার করে, যারা সাম্প্রদায়িক মতাদর্শকে সাংস্কৃতিক চেতনার উপর চাপিয়ে দিতে চায়-তারা দীর্ঘদিন ধরে বাংলা নববর্ষকে ‘অইসলামিক' বা ‘বিদেশি সংস্কৃতি'র অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। যা মোটেও সঠিক নয় বরং ইতিহাস বিকৃতি ও ধর্মীয় অপব্যাখ্যা।

মূলতঃ বাংলা নববর্ষের মূল ইতিহাস হচ্ছে মোগল সম্রাট আকবরের আমলে কৃষি ও খাজনা ব্যবস্থার সহজীকরণের উদ্দেশ্যে প্রবর্তিত বাংলা সন। ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ৯৯২ হিজরিতে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় ৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬ থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ‘ফসলি সন' পরে ‘বঙ্গাব্দ' বা ‘বাংলা বর্ষ' নামে পরিচিত হয়। এটা কোনো ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং প্রশাসনিক প্রয়োজন থেকেই উৎসারিত একটি ক্যালেন্ডার ব্যবস্থা। অথচ আজ একশ্রেণির লোক ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এটি হেয় করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে বের হওয়া 'শোভাযাত্রা' আজ একটি ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। কিন্তু কিছু গোষ্ঠী এটিকে ‘মূর্তিপূজা' আখ্যা দিয়ে কটূক্তি করছে। এটি প্রকৃত অর্থে একটি প্রতীকী প্রতিবাদ ও শুভবোধের বহিঃপ্রকাশ, যা বাঙালি সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে বিশ্বমঞ্চে আমাদের পরিচয় তুলে ধরছে। বিভিন্ন ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল ও গোপন গ্রুপে নববর্ষ উদযাপনকে ঘিরে উসকানিমূলক কনটেন্ট ছড়ানো হচ্ছে। এটা শুধু মত প্রকাশ নয়, সাংস্কৃতিক জঙ্গিবাদের সূক্ষ্ম রূপ। অতীতে ২০০১, ২০০৭, ২০১৫ সালের মতো বিভিন্ন সময় এই উৎসবে হামলা ও হুমকির ইতিহাস আছে। এখনো আশঙ্কা থেকেই যায়, বিশেষ করে জনসমাগমকে টার্গেট করে।

জাতীয় কবিতা পরিষদ মনে করে, বাংলা নববর্ষকে লক্ষ্য করে চালানো এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে এখনই রুখে দাঁড়াতে হবে। কারণ এটি কেবল একটি উৎসব রক্ষার লড়াই নয়, এটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ভাষা আন্দোলনের গর্ব ও জাতিসত্তার অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম। আমরা মনে করি, ‘বাংলা নববর্ষ' হলো একটি সাংস্কৃতিক ঐক্যের বাহক। এটি হিন্দু-মুসলিম- বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবার সম্মিলিত উৎসব। বাংলা নববর্ষ জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। এটি বিভাজন নয়, একতা তৈরি করে।

বাংলা নববর্ষের এবারের শোভাযাত্রায় বাঙালি ছাড়াও ২৭টি জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ থাকবে। যা এই ঐক্যকে আরও বৃহৎ, শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ করবে। এই উৎসবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মানেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। এই দেশবিরোধী, স্বাধীনতা, সার্বভৌম বিরোধী গভীর চক্রান্ত- ষড়যন্ত্র এখনই প্রতিরোধ এবং প্রতিহত করতে না পারলে আমাদের হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ধ্বংস ও ধুয়ে মুছে যাবে।
আমাদের তাই দাবি ও আহ্বান:
১. সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান-বাংলা নববর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে যে কোনো ষড়যন্ত্র বা সহিংসতার আশঙ্কা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।
২. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও গণমাধ্যমে বাংলা নববর্ষের ইতিহাস ও তাৎপর্য তুলে ধরা হোক।
৩. ধর্মীয় অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়ানো গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
৪. সংস্কৃতিকর্মীদের অংশগ্রহণে দেশব্যাপী ‘সংস্কৃতি রক্ষা অভিযান' গড়ে তোলা হোক-পথনাটক, কবিতা পাঠ, আলোচনা সভা ও গণসংগীতের মাধ্যমে।
৫. সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান-এই অপপ্রচারের জবাব দিন সাহস ও সচেতনতায়। ঘরে ঘরে গর্জে উঠুক বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির জয়গান।

বাংলা নববর্ষ আমাদের গর্ব, আমাদের আত্মপরিচয়। এই উৎসব বাঁচলে বাঁচবে আমাদের সংস্কৃতি, বাঁচবে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। জাতীয় কবিতা পরিষদ এই মঞ্চ থেকে ঘোষণা করছে-অন্ধকারের অপশক্তি যে যেভাবেই যে ষড়যন্ত্রই করুক না কেন, বাংলা নববর্ষ উদযাপন চলবে, আরও জাঁকজমকভাবে, আরও ব্যাপকভাবে। কারণ এটাই আমাদের প্রতিরোধ, এটাই আমাদের উত্তরাধিকার। চলুন, আমরা শব্দ বর্ণে ছন্দ অলংকারে-কবিতায়, কণ্ঠে, কলমে, শিল্পে চেতনার মশাল জ্বেলে রুখে দাঁড়াই, বলি-বাংলা নববর্ষের ওপর কোনো আঘাত আমরা মেনে নেব না। আমাদের ভাষা এবং সংস্কৃতি রক্ষায় এদেশের প্রগতিশীল কবিরা সব সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে আজও তা করতে তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। জাতীয় কবিতা পরিষদের কবি ও কর্মীরা প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও মাতৃভাষা ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করবে। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের ঐতিহ্যকে ধরে রাখবে। এটাই আমাদের আজকের দৃপ্ত ঘোষণা।

আপনারা জাতির বিবেক, আপনারা জাতির পথপ্রদর্শক, আপনারা মানুষের স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষার বাহক, তাই আজ আমরা জাতীয় কবিতা পরিষদের পক্ষ থেকে আপনাদের একান্ত অনুরোধ জানাই-আপনারা দেশেবিদেশে সর্বত্র আমাদের এই বক্তব্য, আমাদের এই চাওয়া, আমাদের এই দাবি তুলে ধরে, পৌঁছে দিয়ে আপনার-আমার-আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জাতিসত্তার পরিচয়, ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি সুরক্ষার মহান দায়িত্ব পালনে আন্তরিক ও অকৃপণ হবেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে সভাপতি মোহন রায়হান উপস্থিত সকলকে শুভ বাংলা নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা জানান।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

দেশের উত্তরাঞ্চলে হেমন্তেই শীতের আমেজ!


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৩, ০৫:৫৮
দেশের উত্তরাঞ্চলে হেমন্তেই শীতের আমেজ!

ফাইল ছবি

ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশে পালাক্রমে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে হেমন্ত কাল। জলবায়ুর পরিবর্তন এবং প্রকৃতির খেয়ালে বাংলাদেশে কয়েক দশক থেকে ষড়ঋতুর মধ্যে চারটি ঋতু উপলব্ধি করা যাচ্ছে। হেমন্ত এবং বসন্তের প্রকৃত রুপ প্রকৃতি থেকে হারিয়েই যেতে বসেছে। তাই উত্তরে হেমন্তেই শুরু হয়েছে শীতের আমেজ।

হেমন্তের পরে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয় শীতকালের। আনুষ্ঠানিকভাবে শীতের বাকি রয়েছে দুই মাস থাকলেও তা আগেই কড়া নাড়ছে প্রকৃতিতে। সকালের শিশির ভেজা ঘাস আর হালকা কুয়াশায় প্রকৃতি সিক্ত হচ্ছে। ফুটপাত থেকে আরম্ভ করে অভিজাত বিপণী বিতানগুলোতে এখন শোভা পেতে শুরু করেছে শীতের পোশাক। ভোরে ধানের ডগায় ফোঁটা ফোঁটা শিশির বিন্দু পথচারীদের আকৃষ্ট করছে।

শুধু ধানের ডগায় শিশির বিন্দু নয় ফুলের রাজ্যে গন্ধরাজ, মল্লিকা, শিউলি, কামিনী, হিমঝুরি,বকফুলসহ আরও অনেক প্রজাতির ফুল হেমন্তের প্রকৃতিকে মুগ্ধ করছে। সব মিলিয়ে বলা যায় হেমন্ত ঋতুতে চলছে শীত-গরমের লুকোচুরি খেলা। মফস্বল শহরের অনেকেই মধ্যরাতে ফ্যান বন্ধ রাখছেন। এদিকে ভোরে কুয়াশার কারণে যানবাহন চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। সবমিলিয়ে বলা যায় উত্তরাঞ্চলের অনেক স্থানেই হেমন্তে শীতের আবহ সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর বিভিন্নস্থানে শীতে পিঠা বিক্রির ধুম পড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে কার্তিকেই শীত জেকে বসতে পারে উত্তরাঞ্চলে। প্রতিদিন কমতে শুরু করেছে এসব অঞ্চলের তাপমাত্রা।

আবাহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার এই অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার ছিল ২৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি এবং এর আগের দিন রবিবার ছিল ২৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - বিনোদন