a
ফাইল ছবি
দীর্ঘ সময় অভিনয় থেকে দূরে আছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা আহমেদ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ অভিনেত্রী জানালেন, নব্বই দশকের সবার জনপ্রিয় সালমান শাহর একটি অজানা ইচ্ছার কথা।
সংবাদ মাধ্যম অনুযায়ী ঐন্দ্রিলা বলেন, “আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন সালমান শাহ আমাকে বলেছিল: ‘তুমি বড় হও আমি তোমার সঙ্গে অভিনয় করব’।”
অভিনেত্রী আরও বলেন, শহীদুল হক খান পরিচালিত ‘মহা মৃত্যু’ নামে একটি প্যাকেজ নাটকে শুটিং সেটে এসেছিলেন সালমান শাহ। তখনও তিনি (সালমান শাহ) বলেন, ‘তুমি (ঐন্দ্রিলা আহমেদ) কিন্তু বড় হচ্ছ, তুমি আর একটু বড় হও, আমি তোমার সঙ্গে অভিনয় করব।’
নব্বই দশকে চলচ্চিত্রে নতুনত্ব নিয়ে আসেন সালমান শাহ। সবাই যখন অ্যাকশন সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত, তখন রোমান্টিক স্টোরি ভিন্ন আঙ্গিকে সামনে নিয়ে আসেন এ অভিনেতা। এ ছাড়া ১৯৯৩ সালে সালমান শাহ অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ দর্শক মহলে অনেক প্রশংসা পায়। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
গৃহকর্মী নির্যাতন ও মাদকদ্রব্য আইনে করা পৃথক দুই মামলায় চিত্রনায়িকা একার রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল রবিবার (১ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত শুনানি শেষে নায়িকা একাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে শনিবার (৩১ জুলাই) গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রী একাকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে তাকে আটক করার পর রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় নেওয়া হয়। গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাতিরঝিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহিউদ্দিন। তিনি জানান, ‘গৃহকর্মী হাজেরা বেগমকে (৩০) নির্যাতনের অভিযোগে চিত্রনায়িকা একাকে আটকের সময় রামপুরার বন্ধুনিবাসে অবস্থিত তার বাসা থেকে বিদেশি মদ ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। একার বিরুদ্ধে মাদক ও গৃহকর্মী নির্যাতন আইনে দু’টি মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
এর আগে, নায়িকা একা তার গৃহকর্মীকে নির্যাতন করেছেন বলে ৯৯৯-এ অভিযোগ যায়। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশ তাকে বাসা থেকে হাতিরঝিল থানায় নিয়ে যায়। সেখানে বেশকিছু সময় জিজ্ঞাসাবাদের পর একাকে আটক করে পুলিশ।
হাতিরঝিল থানা পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর নায়িকা একার বাসার গৃহকর্মী হাজেরা বেগমকে (৩৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে হাজেরা বেগম থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে ‘রঙিন রাখাল রাজা’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে চিত্রনায়িকা একার। তিনি ১৯৯৯ সালে কাজী হায়াতের ‘ধর’ ও ‘তেজি’ সিনেমা দু’টির মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। দুটিতেই তার নায়ক ছিলেন প্রয়াত মান্না।
এরপর রুবেল, আমিন খান, আলেকজান্ডার বো ও অমিত হাসানের সঙ্গে জুটি বেঁধেও সফলতা পান একা। সর্বশেষ ২০০৮ সালে তাকে ‘বাহাদুর সন্তান’ সিনেমায় দেখা গেছে। এরপর অনেক দিন ধরে নতুন কোনো সিনেমায় দেখা যায়নি নায়িকা একাকে।
ছবি :মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুরো জেলা মাদকে সয়লাভ হয়ে উঠছে। দেশের মানুষ এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে চেনে মাদকের আখড়া হিসেবে। আর মাদকের মাতৃভূমি হিসেবে ইতিমধ্যে আখ্যা পেয়েছে এই জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন।
গত ১২ই এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখে সিঙ্গারবিল ইউনিয়নে মাদক বিরোধী অভিযানে প্রায় ৫০৩ বোতল নিষিদ্ধ ভারতীয় এসকাপ সিরাপ, ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয় এবং কুখ্যাত ও চিহ্নিত ১২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করা হয়। জেলার বিজয়নগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং ২৫ বিজিবি সিঙ্গারবিল বিওপি'র সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স টীম বিজয়নগরে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এই অভিযানে ১২ কুখ্যাত ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মাদকদ্রব্য আইন, ২০১৮ অনুযায়ী মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিদিন বিকেলে ও সন্ধ্যার সময় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মোটর সাইকেল যোগে অনেক যুবক শ্রেণীর মানুষ নলগড়িয়া গ্রামে আসে। তারা ফেন্সিডিল, নিষিদ্ধ ভারতীয় এসকাপ সিরাপ ও গাঁজা সেবন ও ক্রয় করতে আসে। এলাকার রাস্তার পাশের বাগান এবং পবিত্র কবরস্থানে খাবার পর খালি বোতল ফেলে রেখে চলে যায়। এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে বহিরাগত মাদক সেবীদের কারনে। কিন্তু প্রশাসন একদম নিরব ভুমিকা পালন করছেন। অনেকেই মনে করছেন প্রশাসনের নাকের ডগায় চড়ে কিভাবে মাদকসেবীরা দিনের পর দিন এই কাজ করতে পারে?
এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে কোন পোস্টার বা ব্যানার লাগানো যায় না। রাতের আঁধারে ছিঁড়ে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। বিজয়নগর থানা এবং চম্পকনগর পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এলাকার জন্য পুলিশ বা প্রশাসনকেন্দ্র অনেক দূরে। তাই এলাকাবাসী মনে করছেন সিঙ্গারবিল, কাশিনগর, নোয়াবাদি বা মেরাসানির আশেপাশে পুলিশ ফাঁড়ি হওয়া প্রয়োজন।
এর আগে বহুল প্রচারিত দৈনিক মানবজমিন এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর প্রতিনিধি আমিরজাদা চৌধুরীর বরাত দিয়ে জানা যায় আরও ভয়ংকর চিত্র। মানবজমিনে প্রকাশিত হয় মাদক নিয়ে এই এলাকার ভয়ংকর তথ্য চিত্র।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর সীমান্ত দিয়ে দিন দিন বাড়ছে মাদক চোরাচালান। এ অঞ্চলের ৩১ কিলোমিটার সীমান্তের ১৫টি স্পট দিয়ে নিয়মিত মাদক পাচার চলছে। অন্তত ৬ শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী সক্রিয় রয়েছে। অথচ মাদক মামলায় আসামি হয় মাত্র ৩-৪ জন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর তাদের নামে মামলা দিয়েই দায়িত্ব খালাস করছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ভারতের ত্রিপুরার মধুপুর পাহাড়ে উপজাতিরা গাঁজা চাষ করে। সেখান থেকে আগরতলার বামুটিয়া ও বিমানবন্দর থানার বগাদী নারায়ণপুরের ভাগলপুর নরসিংগর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর সিংগারবিল ইউনিয়নের নলগুড়ীয়া, কাশিনগর, নোয়াবাদী, মেরাশানী, বিষনপুরের কালাছড়া, কাশীমপুর, পাহাড়পুর ইউনিয়নের বামুটিয়া, চানপুর, ধোড়ানাল, শিয়ালউড়ী, ছড়ারপাড়, শানিপুর মকন্দপুর কামাল মুড়া, লেজামুড়া দিয়ে মাদক চালান আসে। প্রতি রাতে অন্তত ৫-৭ হাজার কেজি গাঁজা প্রতিকেজি কেনার পর বাংলাদেশি টাকায় ৫০০০ টাকা কেজি।
এসব কর্মকাণ্ড থেকে এলাকাবাসী কবে মুক্তি পাবে সেই প্রশ্নের উত্তরে নীরব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রশাসন। এলাকাবাসী এর আসু প্রতিকার চান।