a
ফাইল ছবি
দীর্ঘ সময় অভিনয় থেকে দূরে আছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা আহমেদ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ অভিনেত্রী জানালেন, নব্বই দশকের সবার জনপ্রিয় সালমান শাহর একটি অজানা ইচ্ছার কথা।
সংবাদ মাধ্যম অনুযায়ী ঐন্দ্রিলা বলেন, “আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন সালমান শাহ আমাকে বলেছিল: ‘তুমি বড় হও আমি তোমার সঙ্গে অভিনয় করব’।”
অভিনেত্রী আরও বলেন, শহীদুল হক খান পরিচালিত ‘মহা মৃত্যু’ নামে একটি প্যাকেজ নাটকে শুটিং সেটে এসেছিলেন সালমান শাহ। তখনও তিনি (সালমান শাহ) বলেন, ‘তুমি (ঐন্দ্রিলা আহমেদ) কিন্তু বড় হচ্ছ, তুমি আর একটু বড় হও, আমি তোমার সঙ্গে অভিনয় করব।’
নব্বই দশকে চলচ্চিত্রে নতুনত্ব নিয়ে আসেন সালমান শাহ। সবাই যখন অ্যাকশন সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত, তখন রোমান্টিক স্টোরি ভিন্ন আঙ্গিকে সামনে নিয়ে আসেন এ অভিনেতা। এ ছাড়া ১৯৯৩ সালে সালমান শাহ অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ দর্শক মহলে অনেক প্রশংসা পায়। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
৭৪তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের সিনেমা ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ প্রদর্শনের পর হলভর্তি দর্শকের করতালিতে অভিভূত হয়ে আনন্দ অশ্রুতে ভেসেছেন আজমেরী হক বাঁধন। ভাষাগত দূরত্ব ছাপিয়ে দর্শকদের মাঝে কেউ কেউ পর্দার রেহানার মাঝে নিজেকে আবিষ্কার করেছেন।
সিনেমাটি দেখে আবেগে আপ্লুত হয়েছেন অনেক ফরাসি নারী দর্শক। সিনেমাটি দেখে এক ফরাসি নারী দর্শক হলের ভেতরে বাঁধনকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। সেই মুহূর্তে জোর চেষ্টায়ও নিজের কান্না লুকাতে পারেননি বাঁধন। এ সময় তাকে অঝোরে কান্না করতে দেখা যায়।
‘রেহানা মরিয়ম নূর’ ছবিটি কানের ডবসি থিয়েটারে বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ৩টা ১৫ মিনিট) প্রদর্শনী শুরু হয়। প্রায় পৌনে ২ ঘণ্টা ব্যাপ্তির এই সিনেমাটির শুরু থেকে শেষ অবধি হলভর্তি দর্শক দেখেছেন পিনপতন নীরবতায়। শেষ হওয়ার পর দর্শক দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করেন এবং হাততালিতে মুখরিত করেন ডবসি থিয়েটার।
চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনের পর ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয়কারী আজমেরী হক বাঁধনকে নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক রেহানা মরিয়ম নূরকে কেন্দ্র করেই নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।
হল থেকে বেরিয়েও কেউ কেউ চরিত্র হিসেবে রেহানার প্রতি ও বাঁধনের অভিনয়ের প্রতি মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন।
প্রদর্শনী শেষে বুধবার লাঞ্চের ফাঁকে এক বিদেশি পরিচালক বাঁধনের অভিনয়ের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘ইউ আর অ্যামাজিং’।
ডিনার থেকে ফেরার পথে এক ফরাসি নারী বাঁধনকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেছেন, ‘তুমি তো রেহানা, তোমার ছবিটি দেখেছি। দুর্দান্ত। আমি কি তোমায় একটু ছুঁয়ে দেখতে পারি?’
বাঁধন বলছেন, এমন ঘটনার মুখোমুখি হয়ে তিনি বোকা বনে গিয়েছিলেন। তাকে এভাবে কেউ চিনবে সেটি জীবনে কল্পনা করার সাহসই পাননি।
আগামী ১৮ জুলাই অভিনেত্রীসহ পুরো টিম দেশে ফিরবেন বাঁধন। অভিনেত্রীর এই ছবিটি শুরু থেকে বেশ আলোচনায়। এই ছবিটির জন্য বাঁধনকে বেশ চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে বলেও জানান।
তার ভাষ্য, এই ছবির জন্য দেড় বছর আমি অন্য কোনো কাজ করিনি। এই ছবির কাজের দেড় বছর আমার জন্য মূল্যবান সময় ছিল। এখানে কাজ করতে গিয়ে নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেছি। চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমি এই কাজটি করেছি। যে সময় সবার একটাই কথা ছিল আমি হারিয়ে যাচ্ছি। আমার ক্যারিয়ার শেষ। ঠিক সেই সময়ে আমি এই কাজ শুরু করি। অবশেষে আমার পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ফটো:
আজ মহিমান্বিত রাত শবে মেরাজ। মুসলমানদের জন্য এ রাত বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর্যের মাঝে এ রাত মুসলিম বিশ্বে পালিত হয়ে থাকে।
বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই রাতে মহান আল্লাহর সঙ্গে দেখা করেছেন। তার মেরাজে গমনের ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত রজনী উপলক্ষে দেশব্যাপী আলোচনা সভা ও দোয়া-মোনাজাতের আয়োজন করা হয়ে হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আজ এ উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি যিনি তাঁর বান্দাকে রাতের বেলা মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত যে জায়গার আশপাশে তিনি বরকত দান করেছেন-ভ্রমণ করালেন, যাতে তিনি তাকে তাঁর নিদর্শনগুলো দেখাতে পারেন, নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা’। (সূরা বনি ইসরাইল : ১)
আল্লাহপাক তাঁর হাবিব (সা.)কে বিশেষ অভ্যর্থনায় মেরাজে নিয়ে যে সম্মাননা দিয়েছেন তার বর্ণনা কালামে পাকে বিবৃত হয়েছে এভাবে : ‘তখন তিনি ঊর্ধ্ব জগতে। তারপর তিনি তাঁর কাছাকাছি হলেন, আরও অনেক কাছে। তখন তাদের মধ্যে দুই ধনুক পরিমাণ বা এর চেয়েও কম পরিমাণ ব্যবধান ছিল। তখন আল্লাহপাক তাঁর প্রতি যা প্রত্যাদেশ করার করলেন।
তিনি যা দেখেছেন তা বিশ্বাস করতে অস্বীকার করেননি। তিনি যা দেখেছেন, তোমরা কি তাঁর সঙ্গে এ বিষয়ে তর্ক করবে? নিশ্চয়ই তিনি তাঁকে আরেকবার দেখেছিলেন। প্রান্তবর্তী সিদরা গাছের কাছে। যার কাছে জান্নাতুল মাওয়া অবস্থিত। যখন গাছটি আচ্ছাদিত ছিল যা দিয়ে তা আচ্ছাদিত হওয়ার ছিল। তাঁর দৃষ্টিবিভ্রম হয়নি, তাঁর দৃষ্টি লক্ষ্যবিচ্যুত হয়নি। তিনি তাঁর রবের মহান নিদর্শনাবলি দেখেছেন। (সূরা আন নাজম)
বিভিন্ন বর্ণনা মতে, বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নব্যুয়ত লাভের একাদশ বর্ষে ২৬ রজব দিবাগত রাতে চান্দ্র মাস বিবেচনায় ২৭ রজব মেরাজ সংঘটিত হয়েছিল। আরবি ভাষায় মেরাজ অর্থ হচ্ছে সিঁড়ি। আর ফারসি ভাষায় এর অর্থ ঊর্ধ্ব জগতে আরোহণ। পবিত্র কুরআনে আরবের মক্কা নগরী থেকে ফিলিস্তিনের বায়তুল মুকাদ্দাস (মসজিদে আকসা) পর্যন্ত ভ্রমণকে পবিত্র ‘ইসরা’ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। হাদিসে বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত উপনীত হওয়া ও আরশে আজিমে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের মহিমান্বিত ঘটনাকে মেরাজ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
একই সময়ে মেরাজে মহানবী (সা.) সৃষ্টি জগতের সব কিছুর রহস্য অবলোকন করেন। মেরাজ থেকে আল্লাহর রাসূল উম্মতে মোহাম্মদির জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে ফিরে আসেন।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে পবিত্র এ রাতটি পালন করে থাকেন। কুরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকার, নফল নামাজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, খানকা ও বাড়িতে মিলাদ এবং গুনাহ মাফের জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করে থাকেন।
ইসলামে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব আছে, কেননা এ মেরাজের মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ অর্থাৎ নামাজ মুসলমানদের জন্য অত্যাবশ্যক (ফরজ) করা হয় এবং এ রাতেই দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ মুসলমানদের জন্য নিয়ে আসেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। সূত্র: দৈনিক যুগান্তর