a
ফাইল ছবি
২০১৯ সাল থেকে ইউটিউবে একের পর এক গান করে যাচ্ছিলেন ‘মানিকে মাগে হিথে’ গেয়ে ভাইরাল হওয়া শ্রীলঙ্কান গায়িকা ইয়োহানি ডি সিলভা। তবে ভাগ্য খুলল ২০২১ সালে এসে। এক গানেই হয়ে গেলেন সুপারহিট। তবে শুধুই কি সুপারহিট! ভাইরাল কন্যা ইয়োহানির ব্যাংক ব্যালেন্স এখন হিংসা করার মতো। তাও আবার শুধুই ইউটিউব থেকে যা রোজগার করছেন ইয়োহানি, তা নাকি খুব শীঘ্রই রেকর্ড গড়বে!
তথ্য বলছে, ইউটিউব থেকে আগস্ট মাসে ইয়োহানি আয় করেছেন ৬৯ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৫৮ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। তবে ইয়োহানির ইউটিউবের রোজগারের খাতাটা মোটেই এরকম ছিল না। শুরুতে খুব কম টাকাই রোজগার করেছেন তিনি। তবে মে মাস থেকে ইয়োহানির রোজগার বাড়তে থাকে। আগস্ট মাসে ইউটিউব থেকে সবচেয়ে বেশি রোজগার করেন তিনি।
মে মাসেই প্রথম মুক্তি পায় ইয়োহানির ‘মানি কে মাগে হিথে’। প্রথমে এই গান জনপ্রিয় না হলেও, ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে এই গান। তথ্য বলছে, জুলাইয়ের শেষ এবং আগস্টেই ভারত ও বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ার পর জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে যায় এই গান। জুলাইয়ে ইউটিউব থেকে ইয়োহনির আয় ৭.৫২ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে ৬ লাখ।
তথ্য বলছে, গত ৭ দিনে ইউটিউব থেকে ইয়োহানি আয় করেছেন ৩৫.৫ হাজার ডলার।
বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩০ লাখ ২৫ হাজার টাকা মতো। গত ৩০ দিনে ইয়োহানি আয় করেছেন ৮৯ লাখ ২৩ হাজার টাকার বেশি। গত নব্বই দিনে ইয়োহানির রোজগার ১ কোটি ১৮ লাখ ২৭ হাজার টাকা মতো।
‘মানিকে মাগে হিথে’ গান থেকে দুম করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে গেলেও মিষ্টি গায়িকা ইয়োহানি ডি’ সিলভা বহুদিন ধরেই ইউটিউব স্টার। নিজেই লেখেন গান, নিজেই দেন সুর। উইকিপিডিয়া বলছে, ইয়োহানির বয়স ২৮। অনেক আগে থেকেই শ্রীলঙ্কার র্যাপার হিসেবে জনপ্রিয় তিনি। শ্রীলঙ্কার ভিতরেই বহু স্টেজ শো করে থাকেন ইয়োহানি। তবে ‘মানিকে মাগে হিথে’ তার প্রথম গান নয়, যা ভাইরাল হয়। এর আগে ডেভিয়াঙ্গে বারে গানটি গেয়ে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়েছিলেন ইয়োহানি।
তারপর থেকেই ইউটিউবে লাইক ও সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা বেড়ে যায় ইয়োহানির। এখন তো তিনি শ্রীলঙ্কার ‘র্যাপ প্রিন্সেস’। ইয়োহানির সঙ্গে এই গানে সঙ্গ দিয়েছেন, শ্রীলঙ্কার আরেক জনপ্রিয় র্যাপার সথীশন রথনায়কা। সথীশনই প্রথমে এই গানটি গেয়েছিলেন। তারপর মে মাসে এই গানটি নতুন করে রেকর্ড করা হয় ইয়োহানির গলায়। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
আরাফাত, বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা: গতকাল রাজধানীর রামপুরায় সুইড বাংলাদেশের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রামপুরা শাখার সভাপতি ডঃ মনির আল দ্বিন সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুইড বাংলাদেশের সভাপতি ডা. শাহনেওয়াজ চৌধুরী, মেনটর মো. মামুনুর রশিদ, সুইড বাংলাদেশের যুগ্ন সম্পাদক ইমলদা হোসেন দিপা, আসিফ ইকবাল প্রমুখ।
সভার দ্বিতীয় পর্বের সাধারণ সভায় তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ,টি,এম, মমতাজুল করিম, এডঃ মোশাররফ হোসেন মনির ও অধ্যাপক মোহা: খোরশেদ আলম।
উপস্থিত সাধারণ সদস্যদের মধ্যে থেকে পুর্ন প্যানেলে সভাপতি - ডঃ মনির আল দ্বিনসহ সভাপতি - কামাল উদ্দিন আহমেদ, আব্দুর রশিদ, আবদুল বারেককে সহ- সভাপতি, বকুল চন্দ্র মহন্তকে নির্বাহী সচিব, মোঃ শহীদুল ইসলামকে যুগ্ম সচিব, এজানুর রহমানকে অর্থ সচিব, রমেশ ব্যাপারীকে সাংগঠনিক সচিব, পংকজ কুমার দাশকে ক্রিড়া সচিব, আরিফ চৌধুরী পলাশ সাংস্কৃতিক সচিব, হাফিজুর রহমানকে প্রচার সম্পাদক, আরিফা আক্তার কাকন কল্যান সম্পাদক , শান্তি জান্নাত, মামুনুর রশীদ, রেখা রানি বিশ্বাস ও তৌহিদুল ইসলামকে নির্বাহী সদস্য নির্বাচিত করে ২০২৫-২৭ অর্থ বছরের কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়।
বার্ষিক সাধারণ সভা ও ২০২৫-২০২৭ কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচনের পর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ফাইল ছবি
মিয়ানমারের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সশস্ত্র যোদ্ধারা এখন দেশটির অনেক এলাকা নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করছে। মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের উত্তরাঞ্চলের এক শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইরত আরাকান আর্মি। রাখাইনের সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রাজ্যের উত্তরাঞ্চলীয় শহর মিনবিয়ায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর শেষ দুটি ব্যাটালিয়নের ঘাঁটি মঙ্গলবার দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি।
আরাকান আর্মি জানিয়েছে, প্রায় এক মাস অবিরাম আক্রমণ চালানোর পর তারা মঙ্গলবার মিনবিয়া শহরের বাইরে জান্তা সরকারের পদাতিক বাহিনীর দুই ব্যাটালিয়নের (লাইট ইনফ্যানট্রি ব্যাটালিয়ন ৩৭৯ ও লাইট ইনফ্যানট্রি ব্যাটালিয়ন ৫৪১) সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
এ সময় মিয়ানমার বাহিনীর কয়েক ডজন সদস্য ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা আরাকান আর্মির যোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি মিনবিয়া শহরের একই এলাকায় পদাতিক বাহিনীর আরেকটি ব্যাটালিয়নের (লাইট ইনফ্যানট্রি ব্যাটালিয়ন ৩৮০) সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল আরাকান আর্মি। জান্তা সরকার ওই এলাকায় বিমান ও গানবোট মোতায়েন করলেও বিদ্রোহীদের রুখতে পারেনি।
মিয়ানমার সরকার জানুয়ারিতে মিনবিয়ায় বড় আকারে সেনাবাহিনীর শক্তি বাড়ায়। বার্জে করে সেনা সদস্যদের সেখানে পাঠানো হয়। কিন্তু আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় তারা পরাস্ত হয়েছে। জানুয়ারির শেষ দিকে জান্তা ওই এলাকায় উড়োজাহাজ থেকে প্যারাস্যুটের মাধ্যমে গোলাবারুদ ও খাবার পাঠায়। সেগুলোও দখলে নিয়েছিলেন আরাকান আর্মির যোদ্ধারা।
মিনবিয়ায় ঘাঁটিগুলো রক্ষায় ব্যর্থ হয়ে জান্তা বাহিনী স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথ থেকে মিনবিয়া শহর ও আশপাশের গ্রামগুলোয় ব্যাপকভাবে বোমাবর্ষণ করে। গতকাল রাখাইনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে যে মিনবিয়া শহর এখন সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে মুক্তাঞ্চল হয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো