a
মুক্তা দাশ
ভালোবাসা !!!
এ বড়ো তপস্যার বিষয় ।
বুঝিবা করেছিনু কিছু পাপ আগের জনমে...
যে তুমি তুমি হয়েও তুমি হয়ে উঠিলে না আর !!
স্বার্থের এ পৃথিবী কেবলি ভোগের, তুচ্ছতাচ্ছিল্যের !
অগ্নি সাক্ষী রেখে যে পরালো গলে মালা
সে-ও কি আপন রয় !??
যে তোমারে করছিনু পণ পাওয়ার আশায় !
তোয়াক্কা করিনি জাত-পাত, সমাজ - সংসার ।
সে তুমিও ফিরে গেলে, ফিরায়ে দিলে ;
তুচ্ছজ্ঞানে করিলে ভালোবাসার অপমান ।
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়
পূর্ণিমার চাঁদ যেনো ঝলসানো রুটি !
ভালোবাসা !
এ বড়ো তপস্যার ধন, অমৃত যেমন।
যতো পাই ততো চাই !
শত পরশেও মিটে না এ মন !!
পাপ -পূণ্যের উর্ধ্বে
লাভ -ক্ষতির হিসেবের বাহিরে,
মোহে কিংবা নির্মোহে...
কেবলি আশা- দুরাশায় কালক্ষেপণ ! তবু্ও
শুধু ই ভালোবাসিবারে চাই আজীবন ।।
ফাইল ফটো: মুক্তা দাশ
- মুক্তা দাশ
আমার মতো করে কিছু চাওয়ার অধিকার হারিয়েছি!
বহু বছর হলো ...
সেই যে,, যেদিন শাঁখার শেকলে হাত বেঁধেছি,
যেদিন সিঁদুরে লাল রাজটীকা কপালে এঁকেছি,
যেদিন মাতৃত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ সিঁথিতে
সিঁদুর রাঙিয়েছি !
গোত্রান্তরিত হয়ে নাম লিখিয়েছি নতুন গোত্রে।
নিজের মতো করে তোমাকে পাবার আশা
কেবলি দুরাশা...! অভ্যস্ত হয়ে গেছি
তোমার মতো করে তোমাকে পেতে।
আমার সব আমিগুলো গঙ্গার ঘাটে বিসর্জনের আরতীতে প্রতিনিয়ত ব্যতিব্যস্ত।
তবুও অবশিষ্ট আছে আজও,
"এক টুকরো আমি।"
ভাঙা আয়নায়
কাচের টুকরোর মতোন...!! "আমি"।
তাতানো রোদের আলো ঠিকরে পরে
টুকরো টুকরো আয়নার পরে,
সকাল সন্ধ্যা আমি নিজেকে দেখি
কাঁচ ভাঙা আয়নার প্রতিবিম্বের গভীরে।
দ্যুতি ছড়ায় টুকরো টুকরো ভাঙা " আমি "!
সম্পুর্ণ নতুন আমি হয়ে উঠার স্বপ্ন
মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে...
পরক্ষণেই মিলিয়ে যায়, খোলা জানালায়
লোহার শিকে মোড়া খড়কুটো জীবনে।
স্নান সেড়ে সিঁদুরে সিঁথি রাঙাই ,
কপালে এঁকে দিই রক্তাক্ত রাজটীকা
স্বচ্ছ জলের পরে মুখোমুখি হই নিজের
রাতের সব অন্ধকার ...!
মুছে দেই ভোরের আলোয়।
আনমনে স্বপ্নের জাল বুনি
আমার "আমি" হয়ে পথচলার ।।
........... ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
ফাইল ছবি
আজ বগুড়ায় (বুধবার) মৌসুমের সর্বোচ্চ ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। অসহনীয় ভ্যাপসা গরমে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ১৫ জুলাইয়ের আগে ভালো খবর পাওয়ার সম্ভবনা কম।
বগুড়া আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আশিকুর রহমান জানান, গত কয়েকদিন ধরে এ জেলায় তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। বুধবার জেলার সর্বোচ্চ ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
গত ১ জুলাই থেকে ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে চলতি মৌসুমে এটি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৪ শতাংশ। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি।
তিনি আরও জানান, ১৫ জুলাইয়ের আগে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। তাই তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর বৃষ্টি হলে তাপ কমবে।
এদিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করায় প্রচণ্ড গরমে জনগণ বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি কষ্ট পাচ্ছেন। পাশাপাশি বিদ্যুতের লোডশেডিং জনদুর্ভোগ আরো বেড়ে গেছে। এসব গরম আবহাওয়ার কারণে বাড়িতে বাড়িতে সর্দি-জ্বরে ভুগছেন অনেকে। সূত্র: যুগান্তর