a
মুক্তা দাশ
ভালোবাসা !!!
এ বড়ো তপস্যার বিষয় ।
বুঝিবা করেছিনু কিছু পাপ আগের জনমে...
যে তুমি তুমি হয়েও তুমি হয়ে উঠিলে না আর !!
স্বার্থের এ পৃথিবী কেবলি ভোগের, তুচ্ছতাচ্ছিল্যের !
অগ্নি সাক্ষী রেখে যে পরালো গলে মালা
সে-ও কি আপন রয় !??
যে তোমারে করছিনু পণ পাওয়ার আশায় !
তোয়াক্কা করিনি জাত-পাত, সমাজ - সংসার ।
সে তুমিও ফিরে গেলে, ফিরায়ে দিলে ;
তুচ্ছজ্ঞানে করিলে ভালোবাসার অপমান ।
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়
পূর্ণিমার চাঁদ যেনো ঝলসানো রুটি !
ভালোবাসা !
এ বড়ো তপস্যার ধন, অমৃত যেমন।
যতো পাই ততো চাই !
শত পরশেও মিটে না এ মন !!
পাপ -পূণ্যের উর্ধ্বে
লাভ -ক্ষতির হিসেবের বাহিরে,
মোহে কিংবা নির্মোহে...
কেবলি আশা- দুরাশায় কালক্ষেপণ ! তবু্ও
শুধু ই ভালোবাসিবারে চাই আজীবন ।।
ফাইল ছবি
ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়িকা মাহিয়া মাহি স্বামী মাহমুদ পারভেজ অপুর সঙ্গে পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন। এবার বিচ্ছেদ হওয়ার খবর মাহি নিজেই জানিয়েছেন। বিচ্ছেদ নিয়ে নিজের অনুভূতি ও অবস্থান ব্যক্ত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন পারভেজ মাহমুদ অপু।
রোববার রাতে অপুর স্ট্যাটাস হুবহু তুলে ধরা হলা— একটি সম্পর্ক গড়তে গেলে যেসব গুণ থাকে, সেগুলো হলো— সততা, ওয়াদা, বিশ্বস্ততা, বন্ধুত্ব, দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষমতা, বোঝার ক্ষমতা, স্বচ্ছতা ও ভালোবাসা এবং নিজস্ব বিশ্বাস ইত্যাদি।
আর সম্পর্ক হওয়ার পর সেটি পরিবর্তিত হতেই পারে, আমরা বেঁচে আছি সম্পর্ক নিয়ে সম্পর্কের বন্ধনে বন্দি হয়ে। আবার সম্পর্ক কখনও শেষও হয় না, শুধু পরিবর্তিত হয়।
বিচ্ছেদ যে কোনো সম্পর্কে যে কোনো সময় আসতে পারে। যে কোনো বিচ্ছেদই কষ্টদায়ক। কিন্তু প্রত্যেক মানুষের নিজের মতো করে বাঁচার স্বাধীনতা রয়েছে। আর এতে করে তিনি/তারা নিজের মতো করে ভালো থাকতেই পারেন।
সম্পর্কগুলো স্থায়ী হোক এমনটিই সবাই চায়, কিন্তু বাস্তবে তা হয় না। দেখা যায়, সারাজীবন দুজন পাশাপাশি থাকার পরও মৃত্যু এসে একজনকে নিয়ে যায়। বা দুজনের মতের মিল ও বিশ্বাস আলাদা হলে তখন একসঙ্গে থাকার চেয়ে আলাদা থাকতে চাই, এতে দোষের কিছু তো নয়ই; বরং এটা উভয়ের জন্য ভালো।
আমাদের বাঙালি সমাজ এখনও সেভাবে প্রাপ্তবয়স্ক হয়নি। তাই তো ডিভোর্স কথাটা শুনলেই অনেকেরই কান ভোঁ-ভোঁ করে ওঠে। এ কারণেই ডিভোর্সির দিকে কপাল কুঁচকে তাকানোটাই এই সমাজের একটা অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সম্পর্ক তৈরি করার মতন, সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসাও খুব স্বাভাবিক। মানুষের জীবনে অনুভূতির সংকোচন, সম্প্রসারণ হতেই পারে। একসঙ্গে থাকতে না চাওয়ার কারণ জন্মাতে পারে। ভালো না লাগতে পারে। বিশেষ কোনো কারণে আলাদা হওয়ার ইচ্ছা হতে পারে। আবার কেউ কেউ মানিয়ে নিয়েও বেঁচে থাকে।
দুজন মানুষের ভেতর অভ্যন্তরীণ বনিবনা না হলে, একসঙ্গে থেকে তিক্ততা বাড়ানোর কোনো মানেই হয় না। তার চেয়ে দুজন মানুষ আলাদা হয়ে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের জায়গাটুকু বাঁচিয়ে রাখার দৃশ্যই সুন্দর। যে কোনো বিচ্ছেদই কষ্টদায়ক। কিন্তু কোনো সম্পর্কই হয়তো পুরোপুরি শেষ হয় না, সময়ের সঙ্গে বদল আসে দুজনের বোঝাপড়ায়।
আসলে ডিভোর্সের পর সম্পর্কের নাম বদলে যায় শুধু। একে অপরের কথা শেষ হয়ে যায় না, কেউ কারও শত্রু হয়ে যায় না, বন্ধুত্বও শেষ হয়ে যায় না। অনেক চাওয়া-পাওয়া অনেক ভালোবাসা, আকাঙ্ক্ষা ফসলে বৈবাহিক সমন্ধ গড়ে ওঠে। তার ভাঙনকালে যন্ত্রণা হওয়া অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আপনার জীবন সেখানেই শেষ হয়ে গেল। এমনও নয় প্রাক্তনের প্রতি থাকবেই তীব্র বিদ্বেষ!
ডিভোর্স সত্ত্বেও প্রাক্তনের প্রতি সম্মান ধরে রাখা সম্ভব। আর এই সম্মানটা মনের মধ্যে পোষণ করেই নিজেদের মর্যাদা অটুট রেখে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব।
আর আশা করছি, আমাদের পরিচিত পরিজন-শুভাকাঙ্ক্ষীরা আমাদের এই সিদ্ধান্তকে পজিটিভভাবে গ্রহণ করে আমাদের সঙ্গে থাকবেন।
আর একটা অনুরোধ করতে চাই— আদর্শিক পার্থক্য বা নিজের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের কারণে গালাগাল তথা নেতিবাচক মানসিকতা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখুন। এখনও কিছু মানুষ আছে, যারা মূল্যবোধ, দায়বদ্ধতা, শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাস এই শব্দগুলোর মানে বোঝে।
তাই সবার প্রতি অনুরোধ-নিজের আপত্তি বা ক্ষোভ যৌক্তিক ও শোভনীয় ভাষায় তুলে ধরুন।’
ফাইল ছবি
গত কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিন্নধর্মী ঘটনা সারাদেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সেটি হলো লিচু গাছে আম ধরার মতো ব্যতিক্রমী ঘটনা। এই আশ্চর্যজনক ঘটনাটি ঘটে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সিঙ্গিয়া কলোনিপাড়া গ্রামের আবদুর রহমানের বাড়ির একটি লিচু গাছে। গত মঙ্গলবার হঠাৎ সেই আমটি ছিঁড়েও ফেলা হয়।
করোনাভাইরাস লকডাউন, আইডি কার্ড-মুভমেন্ট পাস ইত্যাদি বিষয় মাঝে মানুষের মুখে চাউর ছিল লিচু গাছে আমের কাহিনিটি। কয়েকদিন আগে ঘটে যাওয়া এ বিরল ঘটনার কোনো বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা দিতে পারেননি উদ্যানতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা। শুরু থেকেই বিষয়টি নিয়ে ধোয়াশা থাকলেও পরবর্তীতে জানা যায় এটা ছিল একটা নিছক তৈরি কাহিনী।
ঘটনাটি ছিল কেউ একজন লিচু গাছে আঠাজাতীয় পদার্থ দিয়ে আমটি ডালে লাগিয়ে রাখে। ঘটনা চারিদিক ছড়িয়ে পড়লে আমটি ছিড়ে ফেলা হয়। আমটি যদি সত্যিকার ভাবেই লিচু গাছে ধরত তাহলে আম ছেঁড়ার একদিন বাদে (বুধবার) সেই আমের বোঁটা শুকিয়ে যেত না , তা স্বাভাবিকভাবে আম ছিঁড়ে নেওয়ার পরে বোঁটার মতো নয় এবং কি আঠাজাতীয় পদার্থের উপস্থিতিও রয়েছে সেখানে।
আম ছিঁড়ার ঘটনা জানার পর (বুধবার) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ঠাকুরগাঁও কার্যালয় ওই ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেছে। এর আগে সোমবার থেকে দুই কর্মকর্তা আম ধরার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছিলে।
ঠাকুরগাঁওয়ের উপ-পরিচালক আবু হোসেন এক বিবৃতিতে বলেন, হয়তো এটি কেউ আঠা দিয়ে ইচ্ছা করে লাগিয়ে দিয়েছিল। অথবা অন্য কোনো কৌশলে করা হয়েছিল। তিনি বলেন, লিচুর বোঁটাটি লম্বা হলেও আমেরটি বোটাটি স্বাভাবিকের তুলনায় খুব খাটো ছিল। এগুলো দেখেই প্রথম থেকেই বিষয়টি অন্যরকম লাগতেছিল। আম ছিঁড়ে ফেলার কারণে সে বিষয় এখন পরিস্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে।
অপরদিকে এ ঘটনার কোনো বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা দিতে অক্ষম হয়েছেন উদ্যানতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা। ফলে প্রথমে এটি একটি অলৌকিক ঘটনা মনে করা হচ্ছিল। তবে প্রথম থেকেই কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলে আসছিলেন, যে কেউ আঠা দিয়ে লিচুর ডালে আমটি লাগিয়েও দিতে পারে। ফলে এটা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন। ঘটনাটি পর্যবেক্ষণের জন্য কয়েক দিন অপেক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কারণ আমটি কোনো কৌশলে লাগানো হলে তা ঝরে পড়ে যাবে বা শুকিয়ে যাবে।
এছাড়া কয়েকজন কৃষি কর্মকর্তা বিষয়টিকে এভাবে বলেছেন যদি আমটি আসল হয় তাহলে আসতে আসতে বড় হবে তখন এ নিয়ে গবেষনা করা যাবে। কিন্তু পরদিনই আকস্মিকভাবে আমটি ছিঁড়ে ফেলা হয়।
এদিকে বুধবার বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এক গাছে অন্য ফল শুধু গ্রাফটিংয়ের মাধ্যমে সম্ভব। তবে লিচু ও আমের ক্ষেত্রে এটা করা যাবে না। লিচু ও আমের টিস্যু সিস্টেম এক নয়। এদিকে লিচু গাছটির মালিক আবদুর রহমানের দাবি ছিল, এটা কোনো পদ্ধতি নয়। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে আম ধরেছে।
গত শনিবার সকালে তার নাতি হৃদয় ইসলাম এসে তাকে জানায়, লিচুগাছে একটা আম ধরেছে। তৎক্ষনাত সেখান গিয়ে লিচুর একপাশে একটি আম দেখে অবাক হয়ে যাই। এ খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে বহু মানুষ এটি দেখতে ভিড় করেন।
এরপর সোমবার বিষয়টি দেশের অধিকাংশ গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। আবদুর রহমানের অভিযোগ ছিল গত মঙ্গলবার এলাকার সাবেক মেম্বার সিকিম লিচুগাছ থেকে আমটি ছিঁড়ে ফেলেছেন। অভিযুক্ত মেম্বার প্রথমদিকে আমটি ছিঁড়ে ফেলার কথা স্বীকার করলেও পরে বিষয়টি অন্যভাবে উপস্থাপন করেন ।
মেম্বার নিজে বলেন, মিডিয়াতে এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় অনেক দূর থেকে মানুষ এসে এলাকায় ভিড় করছে এবং এ ঘটনা দেখতে আসার প্রাক্কালে সোমবার তার ভাতিজা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হন। তাছাড়া স্বাস্থ্যবিধিও মানা হচ্ছিল না, করোনার ঝুঁকি বেড়ে যাবে এসব কথা গাছের মালিক আবদুর রহমানকে বলতে গিয়েছিলাম তখন হয়ত কেউ আমটি ছিঁড়ে ফেলেছে।