a
ওবায়দুল কাদের
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) নিয়ে কবিতা আবৃত্তি করলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
কবিতাটির আবৃত্তি একটি ভিডিও শুক্রবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদেরের কবিতাটি নিচে তুলে ধরা হলো-
সুনামির মতো বিধ্বংসী আলোড়ন তুলে
করোনা এসেছে পৃথিবীজুড়ে
কোভিডে কাঁপছে আজ সারা পৃথিবী
কাঁপছে আমেরিকা, কাঁপছে লাতিন আমেরিকা
কাঁপছে আফ্রিকা, কাঁপছে এশিয়া
ভারত কাঁপছে, কাঁপছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ
জীবনের এক অচিন্তনীয় অবিশ্বাস্য কঠিন লড়াই
জরুরি শয্যার জন্য দুনিয়াজুড়ে হাহাকার
সম্মুখসারির যোদ্ধারা সামাল দিতে হিমশিম
দেশে দেশে সংক্রমণ কেবল বাড়ছেই
বাড়ছে মৃত্যুর হার
কত আপন মানুষ এরই মধ্যে
করোনার কালগ্রাসে চিরদিনের মতো বিদায় নিয়েছে
এই আলোছায়ার সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে
সন্তান হারানোর কান্না
স্বামী হারানো বধূর ফরিয়াদে
বোন হারা ভাইয়ের আর্তনাদে
সারা পৃথিবীর আকাশ ভারী
নতুন নতুন ধরন এসে ভয়ংকর রূপ নিয়েছে করোনা
এইতো সেদিন আমাদের কাছের মানুষ
মতিন খসরুর শেষবিদায়ের বিষাদ সংবাদ পেলাম
এক দিনেই সর্বোচ্চ ৯৬ জন চলে গেল মৃত্যুর মিছিলে
সকালে ঘুম ভাঙলেই নতুন নতুন মৃত্যুর সংবাদ আর সংক্রমণ খবর
জীবনে যারা এত কাছের মানুষ
প্রাণঘাতী প্যান্ডেমিক তাদের কত দূরে সরে নিয়ে যায়
এ রোগীদের কাছে আসতে ভয়
ফুল জোটে না কফিনে
মৃতের সৎকারেও আপন মানুষেরা কাছে ভেড়ে না
দূর থেকে কেবল নিশ্চিত শূন্যতায় হৃদয় ভারাক্রান্ত হয়
করোনা প্রতিরোধে সারা দুনিয়ায় আজ লকডাউন চলছে
চলছে রাত্রিকালীন কারফিউ
পৃথিবীজুড়ে গরিব আরও গরিব হচ্ছে
বাড়ছে নিঃস্ব মানুষ, ভাসমান মানুষ
বাড়ছে কর্মহীন বেকারদের দীর্ঘ মিছিল
বাংলাদেশে লকডাউন মানতে চায় না মানুষ
মাস্ক পরতেও নিদারুণ অনাগ্রহ
স্বাস্থ্যবিধির প্রতি সাংঘাতিক অবহেলা
ভ্যাকসিনেও হার মানছে না করোনা
এ ভয়ংকর ভাইরাসকে হারাতেই হবে
স্বাস্থ্যবিধির শাণিত হাতিয়ারই কেবল হারাতে পারে প্রাণঘাতী করোনাকে
করোনা দিনে দিনে হয়ে উঠছে আরও হিংস্র
আরও প্রতিশোধপরায়ণ
তবু মানুষ সর্বত্রই বেপরোয়া
আর হাটেবাজারে ফেরিঘাটে
বেপরোয়া মানুষের ছুটন্ত মিছিল চোখে পড়ে প্রতিদিন
সরকারি বিধিনিষেধ পুরোপুরি মানছে না মানুষ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক আহ্বানেও উপেক্ষা
নানা ফাঁকফোকরে শহর থেকে গ্রামের দিকে অনিশ্চিত অভিযাত্রা
যেন বিরাম নেই
অপ্রয়োজনীয় ঘোরাঘুরির প্রবণতাও অপ্রতিরোধ্য
আসুন আমরা অদৃশ্য এই শত্রু করোনার বিরুদ্ধে
ঘরে ঘরে সচেতনতার দুর্গ গড়ে তুলি
সম্মিলিত শক্তি দিয়ে আসুন আমরা প্রতিহত পরাজিত করি
প্রাণঘাতী করোনাকে
সময়ের সাহসী কাণ্ডারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজয়ী হই
ভুলে গেলে চলবে না
সরকারকে ফাঁকি দিলেও করোনাকে ফাঁকি দেওয়া যায় না
সামান্য উদাসীনতায় এ সংক্রমণে অকালমৃত্যু অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে
করোনা এখন তরুণদেরও ছাড়ছে না
করোনার করাল গ্রাস থেকে ধনী দরিদ্র, বড় ছোট কারও রেহাই নেই
এখন আর কোনো রাজনীতি নয়
এখনকার রাজনীতি হচ্ছে সচেতনতার দুর্গ গড়ে তোলা
করোনাকে প্রতিরোধ করা
আসুন আমরা দলবল শ্রেণি পেশা নির্বিশেষে
আমাদের সকলেই সুরক্ষার স্বার্থে
প্রাণঘাতী করোনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে অবতীর্ণ হই
জয় আমাদের হবেই ইনশাআল্লাহ
সংগৃহীত ছবি
আঙ্গ এডা ডাঙ্গাবিল
আশরাফুল মান্নান
-------------------------------
আঙ্গ বাড়ি ফুলকোচা গাঁও
মধ্যে ডাঙ্গাবিল
বিলের পানি ফকফকা খুব
করতাছে ঝিলমিল।
মেল্লা রহম মাছ দেহা যায়
মেল্লা ট্যাহা দাম
হেই ট্যাহাতে আঙ্গ জাগার
অয়না কোন কাম ।
বিল নিয়া অয় জগরা-ক্যাসাল
মাথাত পরে বাশ
বিপক্ষরে শিক্ষা দিতে
মাইরা ভাসায় লাশ।
হামলা চলে মামলা চলে
আপনারাও অয় পর
অন্যবাড়িত মাছ চইল্যা যায়
সামাল দিতে ঘর।
আঙ্গ মধে নাইক্যা পেলেন
নাইক্যা মতের মিল
আঙ্গ বিলের মাছ ধইরা খায়
ভিন্ গেরামের চিল।
এমন এডা বিল যদি পাই
আঙ্গ ঠ্যাহা কী
পল্লীনগর গড়তে পারুম--
নাগব না এম.পি ।
ফাইল ছবি । অভিনেতা দিলীপ কুমার
উপমহাদেশের কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমার মারা গেছেন। আজ বুধবার (৭ জুলাই) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। খবর এনডিটিভির।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। শেষ সময়ে স্ত্রী সায়রা বানু পাশে ছিলেন তার। এদিকে বর্ষীয়ান এই অভিনেতার মৃত্যুতে ভারতের চলচ্চিত্র জগতে শোকের ছায়া নেমেছে।
দীর্ঘ দিন ধরেই বয়সজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন দিলীপ। মুম্বাইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন। গত ৩০ জুন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েক দিন আগেই তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে টুইটারে জানিয়েছিলেন স্ত্রী সায়রা।
এর আগেও গত ৬ জুন হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল দিলীপকে। ফুসফুসে অতিরিক্ত ফ্লুইড জমার সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। তবে সফল প্লিউরাল অ্যাসপিরেশন প্রক্রিয়ায় তার সেই সমস্যার সমাধান হয়েছিল। ৫ দিন পরে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে যান দিলীপ।
দিলীপ কুমারের জন্ম ১৯২২ সালের ১১ ডিসেম্বর। তার প্রকৃত নাম মোহাম্মদ ইউসুফ খান। রূপালি পর্দায় ক্যারিয়ার শুরুর সময় নাম পাল্টান তিনি। ছয় দশকের অভিনয় জীবনে ‘মধুমতি’, ‘দেবদাস’, ‘মুঘল-এ-আজম’, ‘গঙ্গা যমুনা’, ‘রাম অউর শ্যাম’, ‘কর্ম’র মতো অসংখ্য ধ্রুপদী সিনেমায় দেখা গেছে তাকে।
সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে ‘কিলা’ সিনেমাতে অভিনয় করেন তিনি। ছয় দশকের অভিনয় জীবন তার। বলিউডে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘ট্র্যাজেডি কিং’ নামে। ৬৫টিরও বেশি ফিল্মে অভিনয় করেছেন তিনি।
ভারত সরকারের কাছ থেকে ‘পদ্মবিভূষণ’ খেতাব পেয়েছেন দিলীপ কুমার। ১৯৯১ সালে তাকে খেতাব দেওয়া হয় ‘পদ্মভূষণ’।