a
ফাইল ছবি । আশরাফুল মান্নান
জীবন নদীর পাড় ভাঙে
আশরাফুল মান্নান
----------------------
উথাল-পাথাল ঢেউয়ের তোড়ে
জীবন নদীর পাড় ভাঙে
ঢেউয়ের সাথে আছাড় খেয়ে
বাম পাঁজরের হাড় ভাঙে।
সোঁতের ভেতর ডিগবাজী খাই
কূল-কিনারার নাই দেখা
অথৈ জলে যাচ্ছি ভেসে
কোথায় যে তার পাই দেখা?
বাঁচার মতো বাঁচতে আবার
নিরাশ বুকে সাধ জাগে
উগ্র নদীর বক্ষে যদি
একটু উঁচু বাধ জাগে--
সেথায় গিয়ে ফুরফুরে বায়
একটু খানি শ্বাস ফেলে
নতুন করে রচবো স্বপন
জীবনদাতার পাস পেলে।
তারিখ: ২০ মে ২০২১, মেলান্দহ, জামালপুর
ছবি: সোনিয়া হক
ঝরছে পাপড়ি বইছে দেখ বসন্ত বাতাস
বুকের পাঁজড় ভাঙে তবু বৈরী বাতাস।
কোথা থেকে এলো হঠাৎ কাল বৈশাখী ঝড়
উড়িয়ে নিলো নিমেষে ভালোবাসার ঘর।
সমুদ্রের বুক যখন শান্ত শীতল
কোথা হতে সুনামী এলো পাড় ভাসাতে বল ?
যে নদী দিলো পলি ভরা মাঠ
বেনোজলে তার ভেসে গেলো মাঠ -ঘাট।
সুপ্ত আগ্নেয়গিরী কখন খুলবে তার মুখ
উত্তপ্ত লাভা ছড়িয়ে কেড়ে নেবে সুখ,
খানিক আগেও তো যায়না বোঝা
বুকে তার এত আগুন করেছিলো জমা।
চারিদিকে কেবল বন আর বন
কোথা থেকে জ্বলে গেলো দাউদাও আগুন,
সে আগুন নেভাতে দমকল মানে হার
গাছের জ্বলন দেখে হলো আকাশের বুক ভার।
কান্না হয়ে নেমে এলো বৃষ্টির ফোটায়,
এ ভাবেই আকাশ বনের আগুন নেভায়।
প্রকৃতিতে চলে নিয়ত ভাঙা-গড়ার খেলা
আমার মনে লাগে কেবল ভাঙনের দোলা।
ফাইল ছবি
আজ বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস। ‘প্রজন্মের জন্য নিরাপত্তা ও সুস্বাস্থ্য’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’।
বাংলাদেশে ১৮ বছরের কম বয়সী ছেলে মেয়েদের শিশু বলা হয়। শিশু শ্রম বাংলাদেশের আইনে যেমন গর্হিতকাজ তেমনি বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ। প্রতিবছর ১২ জুন বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৮০টি দেশে আন্তর্জাতিক শিশু শ্রম দিবস পালিত হয়।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইএলও, সেইভ দ্যা চিলড্রেন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন-এর সহযোগিতায় শিশুশ্রম প্রতিরোধে গণসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক আলোচনাসভা, সারা দেশে পোস্টারিং এবং লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয় এই দিবসকে ঘিরে । এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ দেশে প্রায় ৩৪ লাখের ও বেশি শিশু কাজে জড়িত তাদের ভিতর প্রায় ১৭ লাখই শিশু বাকিরা অনুমোদনযোগ্য।
১৯৫৯ সালে জাতিসংঘে শিশু অধিকার সনদ ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ এই সনদে স্বাক্ষর করে। বর্তমান আইনে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। শিশু অধিকার সনদে ৫৪টি ধারা এবং ১৩৭টি উপ-ধারা আছে। এই উপ-ধারাগুলোতে বলা হয়েছে, শিশুদের ক্ষেত্রে কোন ধরনের বৈষম্য করা যাবে না। ২০০৬ সালের বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১ থেকে ১৪ এবং ১৯৭৫ সালের শিশু আইনে বলা হয়েছে, শূন্য থেকে ১৬ বছরের শিশুদের ভারী কাজ করানো যাবে না।
আজকের শিশু আগামীদিনের কর্ণধার, তাই শিশুদেরকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হলে শিশু শ্রমপ্রতিরোধ করতে হবে এ জন্য এগিয়ে আসতে হবে সমাজের সচেতন নাগরিকদের। যেখানে শিশুদের হাতে থাকার কথা খাতা কলম সেখানে শিশুদের হাতে ভারীযন্ত্রপাতির ভার কখনো কাম্য নয় আমাদের সমাজ থেকে।
শিশুশ্রম নিরসনে নিরলস ভাবে যারা কাজ করে যাচ্ছেন তাদের প্রচেষ্টা সফল করতে আমাদের সকলের এগিয়ে আসা একান্ত কর্তব্য। শিশুরা হলো নিস্পাপ ফুলের মতন তাদেরকে দিয়ে ইটভাটা, ইটভাঙা, হোটেলে কাজ করানো, বাসের হেল্পার, লেগুনার হেল্পার হিসেবে কাজ করানোর মত ঝুকি বন্ধ করতে হবে তাহলে অতি শীগ্রই আমরা পাবো একটি সুন্দর সমাজ।