a
ফাইল ছবি
শীত মৌসুমে খুশখুশে কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা প্রায় লেগেই থাকে। এ জন্য রং চা খাওয়া যেতে পারে। আদা, লবঙ্গ, দারুচিনি, তুলসী, সামান্য লবণ ও মধু দিয়ে তৈরি লাল চা পান করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। একটু সচেতন হলেই এসব সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশিতে ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করে ‘ঠাণ্ডা’কে দূরে রাখা যায়।
মধু: ত্বকের পাশাপাশি শরীরের জন্যও মধু বেশ উপকারী। গলার খুসখুসে ভাব কমিয়ে দ্রুত আরাম দেয়। মধু গরম বলে ঠাণ্ডা প্রতিরোধ করে। হালকা গরম পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এ ছাড়া আঙ্গুরের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে এমন কি চা-এ চিনির পরিবর্তে মধু দিয়ে খেতে পারেন। বয়স্করা মধুর সঙ্গে এক চামচ দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে খেলেও বেশ উপকার পাবেন।
আদা: প্রাচীনকাল থেকেই ঠাণ্ডা, জ্বর, কাশি ও মাথাব্যথার জন্য আদার ব্যবহার হয়ে আসছে। আদা চা গলার কফ পরিষ্কার করে ও খুসখুসে ভাব কমায়। এ ছাড়াও আদা রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে কুসুম গরম করে দিনে তিনবার খান। দ্রুত কাশি নিরাময় হবে।
রসুন: রসুনে রয়েছে আলিসিন ও অন্যান্য অর্গানোসালফার উপাদান যা সংক্রমণকারী ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিনাশ করে। গলা বসে গেলে রসুন থেঁতো করে তাতে গরম পানি দিয়ে শরবত করে নিন। পাঁচ মিনিট পর মিশ্রণটি পান করুন, অতি দ্রুত ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
লেবু: লেবুতে রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা ঠাণ্ডার ভালো ওষুধ। লেবু চা খেতে পারেন। কুসুম গরম পানিতে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে খেয়েই দেখুন ভালো ফল পাবেন। গলাব্যথা বা গলা বসে গেলে গরম পানিতে লেবুর রস ও সামান্য লবণ দিয়ে গড়গড়া করুন। এভাবে দিনে বেশ কয়েকবার করুন।
গোলমরিচ: গরম পানিতে এক চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ার সঙ্গে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। গোলমরিচের দানা নিচে জমা হলে ধীরে ধীরে পান করুন। অতি দ্রুত ঠাণ্ডা থেকে মুক্তি পাবেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
পিয়াজের রস : পিয়াজের রস কাশি নিরাময় করে, এটি অনেকেরই অজানা। পিয়াজ রস করে তাতে মধু দিয়ে খেতে পারেন। এ ছাড়াও খাবারের সঙ্গে খেতে পারেন কাঁচা পিয়াজ।
লবঙ্গ : কয়েক টুকরা লবঙ্গ সেদ্ধ পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে কুসুম গরম থাকতে খেয়ে নিন। এটি ভীষণ উপকারী। এ ছাড়াও লবঙ্গ ও আদা পানিতে ১৫ মিনিট সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গড়গড়া করলেও উপকার পাবেন।
হলুদ মিশ্রিত দুধ : হলুদে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান যা বিভিন্ন ভাইরাসজনিত ইনফেকশন সারাতে কার্যকর। গরম দুধের সঙ্গে খানিকটা হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে পান করলে সর্দি ও গলা ব্যথা থেকে অতি দ্রুত মুক্তি পাবেন।
ফাইল ছবি
ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশে পালাক্রমে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে হেমন্ত কাল। জলবায়ুর পরিবর্তন এবং প্রকৃতির খেয়ালে বাংলাদেশে কয়েক দশক থেকে ষড়ঋতুর মধ্যে চারটি ঋতু উপলব্ধি করা যাচ্ছে। হেমন্ত এবং বসন্তের প্রকৃত রুপ প্রকৃতি থেকে হারিয়েই যেতে বসেছে। তাই উত্তরে হেমন্তেই শুরু হয়েছে শীতের আমেজ।
হেমন্তের পরে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয় শীতকালের। আনুষ্ঠানিকভাবে শীতের বাকি রয়েছে দুই মাস থাকলেও তা আগেই কড়া নাড়ছে প্রকৃতিতে। সকালের শিশির ভেজা ঘাস আর হালকা কুয়াশায় প্রকৃতি সিক্ত হচ্ছে। ফুটপাত থেকে আরম্ভ করে অভিজাত বিপণী বিতানগুলোতে এখন শোভা পেতে শুরু করেছে শীতের পোশাক। ভোরে ধানের ডগায় ফোঁটা ফোঁটা শিশির বিন্দু পথচারীদের আকৃষ্ট করছে।
শুধু ধানের ডগায় শিশির বিন্দু নয় ফুলের রাজ্যে গন্ধরাজ, মল্লিকা, শিউলি, কামিনী, হিমঝুরি,বকফুলসহ আরও অনেক প্রজাতির ফুল হেমন্তের প্রকৃতিকে মুগ্ধ করছে। সব মিলিয়ে বলা যায় হেমন্ত ঋতুতে চলছে শীত-গরমের লুকোচুরি খেলা। মফস্বল শহরের অনেকেই মধ্যরাতে ফ্যান বন্ধ রাখছেন। এদিকে ভোরে কুয়াশার কারণে যানবাহন চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। সবমিলিয়ে বলা যায় উত্তরাঞ্চলের অনেক স্থানেই হেমন্তে শীতের আবহ সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর বিভিন্নস্থানে শীতে পিঠা বিক্রির ধুম পড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে কার্তিকেই শীত জেকে বসতে পারে উত্তরাঞ্চলে। প্রতিদিন কমতে শুরু করেছে এসব অঞ্চলের তাপমাত্রা।
আবাহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার এই অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার ছিল ২৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি এবং এর আগের দিন রবিবার ছিল ২৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ভিপিএন ব্যবহার হয় ভারতে। এরফলে ভিপিএন নিষিদ্ধ করতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। তারা বলছেন, ভিপিএন অ্যাপ ব্যবহার করে অপরাধীরা নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে অনলাইনে থাকছেন। তাই এটা বন্ধ করা অতীব জরুরী।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, অ্যাটলাস ভিপিএন-এর মতে বিশ্বে সবচেয়ে ভিপিএন ব্যবহার হয় ভারতে। দেশটিতে পাবজি গেম নিষিদ্ধের পরে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠে ভার্চ্যুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ‘ভিপিএন’। এই অ্যাপ ও টুলের সহায়তা নিয়ে অনেকেই চলে যাচ্ছেন নিষিদ্ধ হওয়া ওয়েবসাইটে। জনপ্রিয় ভিপিএন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে অন্যতম নর্ড ভিপিএন, এক্সপ্রেস ভিপিএন ও আইপি ভ্যানিশ।
রাজ্যসভায় জমা দেওয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিপিএন ব্যবহার করে দেশের সাইবার নিরাপত্তার সমস্ত বিধিনিষেধ এড়িয়ে যাচ্ছেন অপরাধীরা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে এর মাধ্যমে বড় ধরনের অপরাধ হতে পারে।
ভিপিএন পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা সম্ভব কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে দেশটির বিশেষজ্ঞরা জানান, অবশ্যই সম্ভব। কিন্তু সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য ভিপিএন নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ কিংবা হ্যাকারদের কাছ থেকে কি তা নিরাপদ হবে? সেটাই এখন ভাবনার বিষয়।