a
সংগৃহীত ছবি
ভারতের মধ্যপ্রদেশের হোশঙ্গাবাদের ঘটনা। সেখানকার কোঠী বাজারের কামাখ্যা গার্ডেনে সম্প্রতি একটি বিয়ের আয়োজন হয়েছিল। থোকা থোকা দামি ফুল, রঙিন কাপড়ে ঢেকে গিয়েছিল অনুষ্ঠানস্থল। সানাইয়ের সুর শোনা যাচ্ছিল সকাল থেকেই। কিন্তু আচমকাই ছন্দপতন। একে একে অতিথিরা যখন ভিড় করছেন, হঠাৎ সেখানে উদভ্রান্ত চেহারার এক তরুণী হাজির হন। ‘বাবু’, ‘বাবু’ বলে কাতর স্বরে কাউকে ডাকতে শুরু করেন তিনি। মূল ফটক টপকে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু কয়েক জন লোক তাঁকে ঠেলে বার করে মূল ফটকটি ভিতর থেকে বন্ধ করে দেন।
তাতেও হাল না ছেড়ে লোহার ফটক ধরে ঝাঁকাতে থাকেন তিনি। কাতর স্বরে বলতে থাকেন, ‘‘এক বার আমার বাবুকে ডেকে দিন। একটি বারের জন্য ডেকে দিন। আমি শুধু এক বার কথা বলতে চাই।’’ হাত ধরে টেনে হিঁচড়ে বেশ কয়েক বার তাঁকে সরানোর চেষ্টা করেন অনেকে। কিন্তু নাছোড়বান্দা তরুণী জানিয়ে দেন, ‘বাবু’র সঙ্গে দেখা না করে একচুলও নড়বেন না তিনি।
ভিতরে জমকালো অনুষ্ঠান চলাকালীন, বাইরে এমন দৃশ্য দেখে থমকে যান পথচলতি মানুষও। তাঁদের ওই তরুণী জানান, যাঁর বিয়েতে এত আয়োজন, তাঁর সঙ্গে চার বছরের সম্পর্ক তাঁর। তিন বছর সহবাসও করেছেন। কিন্তু তাঁকে না জানিয়েই অন্য কারও সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়ছেন তাঁর প্রেমিক।
তরুণীর এই দাবি উড়িয়ে দেন ছেলেটির পরিবারের লোকজন। তাঁকে অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে চলে যেতে বলেন। তাতে কাজ না হওয়ায় পুলিশে খবর দেন। পুলিশই এসে ওই তরুণীকে সরিয়ে নিয়ে যায়। পুলিশকে ওই তরুণী জানান, প্রেমিক অন্য কাউকে বিয়ে করছেন, তাতে আপত্তি নেই তাঁর। কিন্তু সেটা তাঁকে জানানো উচিত ছিল। এত দিনের সম্পর্ক সত্ত্বেও কেন তাঁর সঙ্গে এমন আচরণ করা হল, তিনি শুধু তার উত্তর চান।
হোশঙ্গাবাদ কোতোয়ালি থানার এসআই শ্রদ্ধা রাজপুত ওই তরুণীর বয়ান শোনেন। তাকে আইনি পদক্ষেপ করার পরামর্শও দেন। কিন্তু ওই তরুণী সাফ জানিয়ে দেন, প্রেমিককে থানা-পুলিশের চক্করে ফাঁসাতে চান না তিনি। তার পর নিজে থেকেই বাড়ি ফিরে যান।
তবে ওই তরুণী ভগ্ন হৃদয়ে বাড়ি ফিরে গেলেও, তাকে ভালবাসা উজাড় করে দিয়েছেন নেটপাড়ার বাসিন্দারা। তাদের মতে, কতটা ভালবাসলে মান-সম্মান ভুলে এভাবে ছুটে যাওয়া যায়।
ফাইল ছবি
শীত মৌসুমে খুশখুশে কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা প্রায় লেগেই থাকে। এ জন্য রং চা খাওয়া যেতে পারে। আদা, লবঙ্গ, দারুচিনি, তুলসী, সামান্য লবণ ও মধু দিয়ে তৈরি লাল চা পান করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। একটু সচেতন হলেই এসব সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশিতে ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করে ‘ঠাণ্ডা’কে দূরে রাখা যায়।
মধু: ত্বকের পাশাপাশি শরীরের জন্যও মধু বেশ উপকারী। গলার খুসখুসে ভাব কমিয়ে দ্রুত আরাম দেয়। মধু গরম বলে ঠাণ্ডা প্রতিরোধ করে। হালকা গরম পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এ ছাড়া আঙ্গুরের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে এমন কি চা-এ চিনির পরিবর্তে মধু দিয়ে খেতে পারেন। বয়স্করা মধুর সঙ্গে এক চামচ দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে খেলেও বেশ উপকার পাবেন।
আদা: প্রাচীনকাল থেকেই ঠাণ্ডা, জ্বর, কাশি ও মাথাব্যথার জন্য আদার ব্যবহার হয়ে আসছে। আদা চা গলার কফ পরিষ্কার করে ও খুসখুসে ভাব কমায়। এ ছাড়াও আদা রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে কুসুম গরম করে দিনে তিনবার খান। দ্রুত কাশি নিরাময় হবে।
রসুন: রসুনে রয়েছে আলিসিন ও অন্যান্য অর্গানোসালফার উপাদান যা সংক্রমণকারী ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিনাশ করে। গলা বসে গেলে রসুন থেঁতো করে তাতে গরম পানি দিয়ে শরবত করে নিন। পাঁচ মিনিট পর মিশ্রণটি পান করুন, অতি দ্রুত ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
লেবু: লেবুতে রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা ঠাণ্ডার ভালো ওষুধ। লেবু চা খেতে পারেন। কুসুম গরম পানিতে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে খেয়েই দেখুন ভালো ফল পাবেন। গলাব্যথা বা গলা বসে গেলে গরম পানিতে লেবুর রস ও সামান্য লবণ দিয়ে গড়গড়া করুন। এভাবে দিনে বেশ কয়েকবার করুন।
গোলমরিচ: গরম পানিতে এক চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ার সঙ্গে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। গোলমরিচের দানা নিচে জমা হলে ধীরে ধীরে পান করুন। অতি দ্রুত ঠাণ্ডা থেকে মুক্তি পাবেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
পিয়াজের রস : পিয়াজের রস কাশি নিরাময় করে, এটি অনেকেরই অজানা। পিয়াজ রস করে তাতে মধু দিয়ে খেতে পারেন। এ ছাড়াও খাবারের সঙ্গে খেতে পারেন কাঁচা পিয়াজ।
লবঙ্গ : কয়েক টুকরা লবঙ্গ সেদ্ধ পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে কুসুম গরম থাকতে খেয়ে নিন। এটি ভীষণ উপকারী। এ ছাড়াও লবঙ্গ ও আদা পানিতে ১৫ মিনিট সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গড়গড়া করলেও উপকার পাবেন।
হলুদ মিশ্রিত দুধ : হলুদে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান যা বিভিন্ন ভাইরাসজনিত ইনফেকশন সারাতে কার্যকর। গরম দুধের সঙ্গে খানিকটা হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে পান করলে সর্দি ও গলা ব্যথা থেকে অতি দ্রুত মুক্তি পাবেন।
ফাইল ছবি
মুসলমানদের জন্য পবিত্র রমজানে মাস উপলক্ষে সাবেক জার্মান তারকা মেসুত ওজিল সারা বিশ্বের মুসলিমদের জন্য খাদ্য সহায়তা দেবে বলে তুর্কিসংবাদ মাধ্যম নিশ্চিত করেছে। ওজিলের খাদ্য সহায়তার অংশ বিশেষ বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শিশুদের খাদ্য সহায়তা দেবেন সাবেক বনে যাওয়া জার্মানির তারকা ফুটবলার মেসুত ওজিল।
তুর্কি সংবাদ মাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, পবিত্র রমজান মাসে দুস্থ ও অসহায় শিশুদের জন্য তার্কিশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে ১ লাখ ২০ হাজার ৭৭০ ডলার দান করেছেন জার্মান মিডফিল্ডার ওজিল।
এই অর্থ খরচ করা হবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ইফতারের খাবার কেনার জন্য। যার একটি অংশ আসবে বাংলাদেশেও। ‘দ্য তার্কিশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি’ জানিয়েছে, ৭৫০টি খাবারের পার্সেল আসবে বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গা মুসলিম শিশুদের হাতে।এ ছাড়া তুরস্কে ২৮০০ জনের মাঝে তুলে দেওয়া হবে খাবার। পাশাপাশি ১ হাজার খাবারের প্যাকেট পাঠানো হবে ইন্দোনেশিয়ায়।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, ওজিলের পাঠানো ইফতারের খাবার সিরিয়ার ইদলিবে এবং সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুতেও পাঠানো হবে।
তুর্কিশ রেড ক্রিসেন্টের প্রেসিডেন্ট ড. ক্রেম কিনিক বলেন, অনেক বছর ধরে ওজিল বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার শিশুর মুখে হাসি ফোটানোর কাজ করছেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।
ওজিল তুর্কিশ-জার্মান পেশাদার ফুটবলার। তিনি আগে আর্সেনাল ফুটবল ক্লাবের হয়ে খেলতেন।
বর্তমানে ওজিল তুর্কির একটি ক্লাবে খেলছেন পাশাপাশি মুসলিম বিশ্বের নির্যাতিত নিষ্পেষিত শিশুদের পাশে প্রায়ই দেখা যায় এই তারকাকে।