a
ফাইল ছবি
ক্যাম্প নূ তে গতকাল রবিবার দলগত নজরকাড়া পারফরম্যান্সে লেভান্তেকে উড়িয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা। পুরোটা সময় আধিপত্য করে লা লিগার ম্যাচটি তারা ৩-০ গোলে জিতেছে। মেমফিসের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লুক ডি ইয়ং। আর শেষে গিয়ে দল ও সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে ভাসান ফাতি। অসংখ্য সুযোগ নষ্ট না হলে ব্যবধান হতে পারতো অনেক বড়। পুরো ম্যাচে প্রায় ৭০ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ২০টি শট নেয় বার্সেলোনা, যার ১২টি ছিল লক্ষ্যে।
আর প্রথমার্ধে গোলের উদ্দেশ্যে কোনো শট নিতে না পারা লেভান্তে বিরতির পর ছয়টি শট নেয়, যার দুটি লক্ষ্যে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তিন ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পর ঘরোয়া লিগে গত দুই রাউন্ডে ড্র করেছিল রোনাল্ড কুমানের দল। ভীষণ খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলা বার্সেলোনার ম্যাচের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। শুরুর ১৪ মিনিটেই দুবার প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা। ষষ্ঠ মিনিটে মেমফিসের সফল স্পট কিকে এগিয়ে যায় দলটি। বাঁদিক থেকে দুই জনের মধ্যে দিয়ে দারুণভাবে ডি-বক্সে ঢুকে পড়া ডাচ এই ফরোয়ার্ডকে মিডফিল্ডার নেমানিয়া রাদোইয়া ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। চাপ ধরে রেখেই আট মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করে বার্সেলোনা। এই গোলেও আছে মেমফিসের অবদান।
মাঝমাঠ থেকে তার বাড়ানো বল ধরে বাঁদিক দিয়ে আক্রমণে উঠে ডি-বক্সে পাস বাড়ান সের্জিনো দেস্ত। আর ফাঁকায় বল পেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় জোরালো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন লুক ডি ইয়ং। বার্সেলোনার জার্সিতে এটা তার প্রথম গোল। প্রথমার্ধের পুরোটা সময় প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে রেখে আরও কয়েকটি নিশ্চিত সুযোগ তৈরি করে বার্সেলোনা। কিন্তু বিরতির আগে আর ব্যবধান বাড়েনি। ২২তম মিনিটে মেমফিসের দূরের পোস্টে বাড়ানো ক্রসে পা লাগাতেই পারেননি জেরার্দ পিকে। ৩৬তম মিনিটে সতীর্থের থ্রু বল ডি-বক্সে পেয়ে গোলরক্ষককে কাটালেও শট নেওয়ার যথেষ্ট সময় পাননি শুরু থেকে দারুণ খেলা মেমফিস। আর ৪২তম মিনিটে ২৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের হেড কোনোমতে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধেও শুরুতে আবারও প্রতিপক্ষের সীমানায় হানা দেন মেমফিস। এবারও তার প্রচেষ্টা দারুণ নৈপুণ্যে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক আইতর ফের্নান্দেস। ৬৫তম মিনিটে আবারও সাবেক লিওঁ ফরোয়ার্ড মেমফিসের শট ঠেকান স্প্যানিশ এই গোলরক্ষক। ৮১তম মিনিটে স্বাগতিক সমর্থকদের দীর্ঘ অপেক্ষার শেষ হয়। চোট কাটিয়ে ফেরা ফাতিকে বদলি নামান কোচ। গত বছরের নভেম্বরের পর এই প্রথম মাঠে নামলেন ১৮ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। মাঠে নামার একটু পরই ক্ষিপ্র গতিতে ডি-বক্সে ঢুকে ফাতি প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জে পড়ে গেলে পেনাল্টির জোরালো আবেদন ওঠে। রেফারির সাড়া যদিও মেলেনি। অবশেষে যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে মিলে যায় কাঙ্ক্ষিত গোল। ডি-বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ফাতি।
ছয় ম্যাচে তিনটি করে জয় ও ড্রয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে উঠেছে বার্সেলোনা। এক ম্যাচ বেশি খেলা লেভান্তে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ১৭ নম্বরে। সাত ম্যাচ ১৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ। সেভিয়া ও আতলেতিকো মাদ্রিদের পয়েন্ট সমান ১৪ করে; এক ম্যাচ কম খেলা সেভিয়া আছে দুইয়ে। দারুণ এই জয়, সঙ্গে ফাতির দুর্দান্ত ফেরায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ লড়াইয়ের আগে নিশ্চিতভাবেই হারানো আত্মবিশ্বাস অনেকটাই ফিরে পাবে বার্সেলোনা। আগামী বুধবার বেনফিকার মাঠে খেলবে কাতালান ক্লাবটি।
ফাইল ছবি
১১ ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত সফরে বাংলাদেশের আর্জেন্টিনা সমর্থকদের উন্মাদনা কাছ থেকে দেখা না হলেও অল্প যে কজনকে দেখেছেন, তাতেই মুগ্ধ এমিলিয়ানো মার্তিনেজ।
ঢাকায় সংক্ষিপ্ত সফর শেষে সোমবার বিকালে কলকাতার বিমান ধরার আগে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলকিপার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানালেন, ভবিষ্যতে তিনি আবার বাংলাদেশে আসতে চান।
বাংলাদেশে হৃদয়ের একটি অংশ রেখে যাচ্ছেন জানিয়ে ইনস্টাগ্রাম বার্তায় মার্তিনেজ লিখেছেন, ‘নেক্সট ভেঞ্চার্স ও ফান্ডেডনেক্সটের সঙ্গে সম্পৃক্ততায় বাংলাদেশে অসাধারণ এক সফর কাটালাম। এখানকার মানুষ, তাদের ভালোবাসা, যত্ন এবং অতুলনীয় আতিথেয়তায় আমার হৃদয় সত্যিই বিগলিত। নিকট ভবিষ্যতে এই সুন্দর দেশটিতে আবারও আসতে চাই।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পুলিশ, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং আরও অনেকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, যাদের নামও হয়তো জানি না, কিন্তু তাদের প্রয়াসও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। বাংলাদেশের সঙ্গে আমার যে বিশেষ বন্ধনের জন্ম হলো, তা গড়ে তোলায় আপনাদের সবার ভূমিকা আছে। পরের সফরের আগপর্যন্ত আমি আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি। তবে হৃদয়ের একটি অংশ এদেশে রেখে যাচ্ছি। বাংলাদেশের বাজপাখি হয়ে আমি মুগ্ধ।’ সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আইনের শাসনের প্রতি আজীবন শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। জনগণের পক্ষে কথা বলার জন্য তিনি প্রায় ১৩ বছর জেল খেটেছেন। আশ্চর্যজনক বিষয় হলো বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্সের জন্য হাইকোর্ট গেলে হাইকোর্টের সাতজন বিচারপতি বিব্রতবোধ করে এ মামলার শুনানি করতে অপারগতা প্রকাশ করেছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আয়োজিত এক শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যদি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হতেন তাহলে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত না করে বাতিল করতেন ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান তা না করে খুনিদের বিদেশী মিশনে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছেন। আর এরশাদ খুনিদের ফ্রিডম পার্টি গঠনের অনুমতি দিয়েছেন। খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিনা ভোটে নির্বাচন করে বঙ্গবন্ধুর খুনিকে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার আসনে বসান। জগগণের মুখে চপেটাঘাত করার জন্য এসব করা হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রয়োজনে যা কিছু প্রয়োজন বঙ্গবন্ধু তা করে গেছেন। আজকে বাংলাদেশ যে আইনি কাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে আছে তা বঙ্গবন্ধুর তৈরি করে দেওয়া। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ২১ বছর এই আইনি কাঠামো পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো রাস্তায় ঘোরাফেরা করছে। এদের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়েছেন আমরা বাঙালি। তিনি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, সংবিধান দিয়েছেন। বিনিময়ে আমরা তাঁকে হত্যা করেছি। আমরা এ কলঙ্ক কোনদিন মোচন করতে পারবো না। সূত্র: ইত্তেফাক