a
ফাইল ছবি
টানা দ্বিতীয়বারের মতো উয়েফার বর্ষসেরা পুরস্কারের তালিকায় নেই সময়ের তিন সেরা ফুটবলার মেসি, রোনালদো, নেইমার। বর্ষসেরা ফুটবলারের জন্য মনোনীতদের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে উয়েফা।
এবারের উয়েফার আয়োজিত দুই টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্সলিগ ও ইউরোর প্রভাব পড়েছে এই তালিকায়। পিএসজির ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার এবার সেরা দশেও জায়গা পাননি।
ইউরোপের শীর্ষ ফুটবল সংস্থার প্রকাশিত তালিকায় প্রথম তিনজনের দু’জনই হলেন চেলসির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্সলিগ জেতা তারকা এনগোলো কান্তে,ইতালিয়ান ফুটবলার জর্জিনহো। অবশ্য কান্তে ইউরোতে তেমন কিছু করতে না পারলেও ইউরোর শিরোপা জিতেছেন জর্জিনহো।
তাদের সঙ্গে সেরা তিনে আছেন ম্যানচেস্টার সিটির তারকা মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইনা। মজার ব্যাপার হলো এবারই প্রথম সেরা তিনজনই মিডফিল্ডার। তবে সবার সেরা কে, তা জানতে চোখ রাখতে হবে আগামী ২৬ আগস্ট তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের ড্র অনুষ্ঠানের দিকে।
গত মৌসুমে চেলসির দুই মিডফিল্ডার জর্জিনহো ও কান্তে ছিলেন অবিশ্বাস্য। প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাজয়ীদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হারিয়ে শিরোপা জেতাতে চেলসির হয়ে বড় অবদান রাখেন তারা। ম্যানসিটির বিপক্ষে ফাইনালে দুজনই ছিলেন প্রথম একাদশে। জার্মানির কাই হাভার্জের প্রথমার্ধের গোল গড়ে দেয় ম্যাচের পার্থক্য। সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালে টানা ম্যাচসেরা হন কান্তে।
থমাস টুখেলের দল লিগ টেবিলের চতুর্থ স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করে আগামী চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলার টিকিটও পেয়ে গেছে। এছাড়া ভিয়ারিয়ালকে হারিয়ে উয়েফা সুপার কাপেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চেলসি।
অন্যদিকে প্রিমিয়ার লিগে ম্যান সিটির শিরোপা জয়ে বড় অবদান ডি ব্রুইনার। যদিও ইনজুরির কারণে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল ও ইউরোতে তার পারফরম্যান্স চোখে পড়েনি খুব একটা।
সংগৃহীত ছবি
কোপার প্রথম সেমিফাইনালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল খেলল দাপটের সাথে। আগের ম্যাচে জয়ের দুই কুশীলবই গড়ে দিলেন ব্রাজিলের ভাগ্য। নেইমারের বাড়ানো বলে লুকাস পাকেতার গোলে পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়েছে সেলেসাওরা। তাতে টানা দ্বিতীয়বারের মতো উঠে গেছে প্রতিযোগিতার ফাইনালেও।
আজকের ম্যাচে দুরন্ত ছিলেন নেইমার, সেকথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। হতে পারে ম্যাচের প্রধমার্ধে ব্রাজিল ১-০ গোলে যায় ব্রাজিল, তবে গোলটার রূপকার যে নেইমার ছিলেন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
৩৫ মিনিটে দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন লুকাস পাকুয়েতা। পেরুর রক্ষণের দরজা অনায়াসেই খুলে দেন নেইমার। রিও দে জেনেইরোর নিল্তন সান্তোস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার ভোরে সেমি-ফাইনালে ১-০ গোলে জিতেছে ব্রাজিল।
এই এক গোলই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয় আর ব্রাজিলকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে নিয়ে যায়। যদিও ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে পেরু ফেরার চেষ্টা করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেলেসাওদের সঙ্গে পেরে ওঠেনি পেরু।
শেষ পর্যন্ত ব্রাজিল ১-০ গোলেই সন্তোষ্ট থাকতে হয় পেরুর বিরুদ্ধে।
ফাইল ছবি
বনেদী ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট হচ্ছে টি-টুয়েন্টি যেখানে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার রাজত্ব বহু পুরনো। কিন্তু পরাজয় যেন পিছু ছাড়ছে না অজিদের, ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে সীমিত পরিসরের সিরিজের হার চলমান রয়েছে বাংলাদেশেও এ নিয়ে হতাশায় দিন কাটছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট প্রেমিদের মনে। তাদের এ হতাশা বহুগুনে বাড়িয়ে দিচ্ছে সরাসরি খেলা দেখতে না পারার আক্ষেপ। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় দীর্ঘ ২৭ বছর পর জাতীয় দলের ম্যাচ দেখতে না পেরে ক্ষিপ্ত দেশটির ক্রিকেট ভক্তরা।
গত ২৭ বছরে এই প্রথম জাতীয় দলের কোন ম্যাচ দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্বদেশী দর্শকরা। বিষয়টি নিয়ে একরকম রসিকতা করেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে পোস্ট করে সঠিক লিংক চেয়েছেন অজি মারকুটে ব্যাটসম্যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
তিনি তার পোস্টে বলেন আমি কি বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের লিংক পেতে পারি? তার সেই টুইটের কমেন্ট সেকশনে তখন জমা হতে শুরু করে অসংখ্য অবৈধ স্ট্রিমিং লিংক।
অস্ট্রেলীয় দলের ১৯৯৪ সালের পাকিস্তান সফর ছিল সর্বশেষ সিরিজ যেটা কোন টিভি চ্যানেলে দেখতে পারেনি স্বদেশী দর্শকরা। গত ২৭ বছরে অস্ট্রেলিয়ার সিংহভাগ ক্রিকেট ম্যাচই সম্প্রচার করেছে টেলিভিশন কোম্পানি ফক্সটেল। সম্প্রচারের বেলায় বলতে গেলে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের মেরুদণ্ডই ফক্স।
২০১৮ সালে ১১৮ কোটি ডলারের বিশাল এক চুক্তিতে ৬ বছরের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সকল হোম সিরিজ এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের সত্ত্ব কিনে নেয় ফক্সটেল। এই চুক্তির পর থেকেই বাইরের সিরিজগুলোর জন্য একটু হিসেব করে খরচ করা শুরু করে তারা। প্রতিটি সফরের আগেই আয়োজক দেশের বোর্ডের সাথে একরকম দামাদামিতে লিপ্ত হয় ফক্সটেল। কম হাইপ থাকা সিরিজগুলোয় সেই দামাদামি একেবারে চূড়ান্ত রূপ ধারণ করে।
মে মাসে এই সিরিজের সূচি ঘোষিত হওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ফক্সটেলের কাছে সিরিজ সম্প্রচার বিষয়ক চুক্তির জন্য নিজে থেকে প্রস্তাব পেশ করে। তাদের সেই প্রস্তাবকে একদম পাত্তাই দেয়নি ফক্স।
বাংলাদেশে আসার আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করে এসেছে অজিরা। সেই সিরিজের চুক্তির সময়ও একইরকম গড়িমসি করেছে ফক্স। সিরিজের প্রথম ম্যাচ শুরু হওয়ার মাত্র দুইদিন আগে উইন্ডিজ বোর্ডের সাথে সম্মতিতে আসে তারা।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া পরবর্তী সময়ে এই সিরিজ ইউটিউবে সম্প্রচারিত হবে এরকম ইঙ্গিত দিলেও গতকাল অস্ট্রেলিয়ার কোথাও ইউটিউবেও স্ট্রিম হয়নি এই ম্যাচটি। অস্ট্রেলিয়ায় ২৭ বা তারচেয়ে কম বয়সী কোন ক্রিকেট ভক্তই এর আগে এরকম ব্ল্যাকআউটের শিকার হয়নি।
এমন আক্ষেপের দিনে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষিপ্ত অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ ক্রিকেট ভক্তরা। গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ভালোই ক্ষোভ ঝেড়েছেন তারা। সম্প্রচারকদের এমন বিলাসিতার সমালোচনা করেছে কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রও।