a
সংগৃহিত ছবি
বার্সেলোনা সাথে দীর্ঘ ২১ বছরের সম্পর্কের ইতি টেনে গতকাল বিদায়ী সংবাদ সম্মেলন করেছেন লিওনেল মেসি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের অধিকাংশ ফুটবলার। সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রাণভোমরাকে বিদায়ের প্রায় ৯ ঘন্টা পরেই মাঠে নেমে পড়েছে বার্সার ফুটবলাররা। মেসির বিদায়ের দিনেই রোলানদোর জুভেন্টাসকে ৩ঃ০ গোলে হারিয়ে গাম্পার ট্রফি জিতল বার্সেলোনা।দলের হয়ে গোল করেছে সদ্য দলে যোগ দেওয়া মেমফিস ডিপাই ও ড্যানিশ তারকা মার্টিন ব্রাথওয়েট এবং বার্সা ওয়ান্ডারবয় রিকি পুইগ।
ম্যাচের শুরু থেকেই জুভেন্টাসের উপর দাফট দেখাতে থাকে বার্সেলোনা। যার ফলে শুরুতেই এগিয়ে যায় রোনাল্ড কোম্যানের শিষ্যরা। ম্যাচের তিন মিনিটে জুভেন্টাস ডিফেন্ডারদের ভুলে গোল করেন মেমফিস ডিপাই। ম্যাচে পিছিয়ে পরে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরা। ১৪ মিনিটে রোনালদোর ডান পায়ের জোরালো শট জায়গায় দাঁড়িয়ে ফিরিয়ে দেন বার্সা গোলরক্ষক নেতো। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে ডি বক্সের বাম পাশ থেকে আলভারো মোরাতার জোরাোল শট দুই হাত দিয়ে রক্ষা করে ফিরিয়ে দেন কিপর নেতো।
৪৩ মিনিটে আবারও নেতোর বিশ্বস্ত হাত জুভেন্টাসকে গোল থেকে বঞ্চিত করে, মোরাতার নেওয়া মাটি ঘেষা শট মাটিতে শুয়ে রক্ষা করেন নেতো। বিরতিতে যাবার ঠিক আগ মুহুর্তে আরো একবার দারুণ সেইভ দেন নেতো, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ফ্রিকিক থেকেও গোল পায়নি জুভেন্টাস।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর ৫ মিনিটেই সমতায় ফিরতে পারত জুভেন্টাস কিন্তু আবারও বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় সেই নেতো। ডি বক্সের বাইরে থেকে চিয়েসার নেওয়া শট ঝাপিয়ে পরে হাতের স্পর্শে বাইরে ঠেলে দেন। ৫৭ মিনিটে বার্সেলোনাকে দ্বিতীয় গোল এনে দেন মার্টিন ব্রাথওয়েট। কর্ণার থেকে আসা বল দূর থেকে দোড়ে এসে জোরালো হেডে বল জলে জড়ান এই ড্যানিশ ফুটবলার।
নির্ধারিত নব্বই মিনিট শেষে যোগ করা দুই মিনিটে মাথায় বার্সেলোনাকে তৃতীয় গোল এনে দেন রিকি পুইগ। সেই সাথে টানা নবম বারের মত গাম্পার ট্রফি জয় করে বার্সেলোনা।
উল্লেখ্য বার্সেলোনা ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, সাবেক খেলোয়াড় এবং সভাপতি জুয়ান গাম্পেরের নামানুসারে মৌসুমের শুরুতে এই ম্যাচের আয়োজন করে বার্সেলোনা। এবার এই ট্রফির ৫৬তম সংস্করণ আয়োজিত হয়েছে। এদিকে আগামী ১৬ আগষ্ট লা লিগা মিশনে নামছে বার্সেলোনা, প্রথম ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকছে রিয়াল সোসিয়াদাদ।
ফাইল ছবি: মেসি
কী জানি কী হয়! উত্তেজনা ও উৎকণ্ঠা লিওনেল মেসির চোখে মুখে। পারবেন কি ইন্টার মায়ামিকে প্রথম শিরোপাটা এনে দিতে? কিছুই তখন তাঁর হাতে ছিল না। নিজের কাজটা আগেই সেরে রেখেছিলেন। নির্ধারিত সময়ে করেছেন নান্দনিক এক গোল। টাইব্রেকারে দলের প্রথম শটটি নিয়েও করেছেন গোল।
এরপরই শুরু টেনশন! তবে মেসিকে নিরাশ করেননি তাঁর সতীর্থরা। ম্যারাথন পেনাল্টি শুটআউটে দুই দল ১০টি করে শট নিয়ে ফেলেছে, টাইব্রেকারে তখন ৯-৯ এ সমতায়। শট নিতে এলেন গোলরক্ষকেরা। দারুণ শটে গোল করলেন ইন্টার মায়ামির গোলরক্ষক ড্রেক ক্যালেন্ডার। এরপর প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের শট ঠেকিয়ে দলকে এনে দেন শিরোপাও। ১-১ গোলে সমতায় থাকার পর ইন্টার মায়ামি টাইব্রেকারে ম্যাচ জিতে নেয় ১০-৯ গোলে।
গত বছরের ডিসেম্বরে বিশ্বকাপ জিতে সপ্তম স্বর্গে আরোহণ করেছিলেন মেসি। ফুটবল থেকে নিজের আর চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই বলে নিজেই একাধিকবার বলেছেন। কিন্তু নিজের জন্য নয়, যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন তলানিতে থাকা ইন্টার মায়ামিকে ভালো কিছু উপহার দেবেন বলে। সেই লক্ষ্যে প্রথম ধাপেই সফল আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। লিগস কাপের মধ্য দিয়ে মায়ামিকে এনে দিলেন প্রথম শিরোপা।
এদিন ন্যাশভিলের মাঠ জিওডিস পার্কে শুরু থেকেই বল পায়ে রেখে আক্রমণ তৈরির চেষ্টা করে ইন্টার মায়ামি। ৪ মিনিটের মাথায় লং বলে সুযোগ তৈরির চেষ্টা করেছিলেন মেসি। যদিও সেই সুযোগ পরিণতি পায়নি। ইন্টার মায়ামি বলের দখল রেখে খেলায় ন্যাশভিলে এ সময় চেষ্টা করছিল প্রতি-আক্রমণ থেকে সুযোগ তৈরির।
দুই-একবার ওপরেও ওঠে এসেছিল তারা। যদিও তা গোল আদায়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। বিপরীতে ইন্টার মায়ামিও অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে খুব একটা জায়গা পাচ্ছিল না। কড়া পাহারার কারণে হতাশ হতে হচ্ছিল তাদের। কিন্তু কড়া পাহারায় কি আর মেসিকে আটকে রাখা যায়! ন্যাশভিলেও পারেনি।
২৩ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে ইন্টার মায়ামিকে এগিয়ে দেন মেসিই। ন্যাশভিলের ডি-বক্সের কাছাকাছি জায়গায় রবার্ত টেলরের বাড়ানো বল প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় ঠিকভাবে বিপদমুক্ত করতে পারেননি। বল চলে আসে বক্সের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা মেসির কাছে। কয়েক পা এগিয়ে শরীরের ঝাঁকুনিতে দুজন ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে বাঁ পায়ের জোরাল শটে গোল করেন মেসি। মেসির সেই গোল তাঁর আশপাশে থাকা ন্যাশভিলের ৫ খেলোয়াড়ের চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। এ নিয়ে ইন্টার মায়ামির হয়ে টানা ৭ ম্যাচে ১০ গোল করলেন মেসি।
বিরতির পরও ন্যাশভিলে চেষ্টা করে ম্যাচে ফেরার। অন্যদিকে ইন্টার মায়ামির চোখ ছিল ব্যবধান বাড়ানোয়। একাধিক আক্রমণ থেকে মেসিরা ব্যবধান বাড়াতে ব্যর্থ হন। ৫৭ মিনিটে সমতা ফেরায় ন্যাশভিলে। দলকে গোল এনে দেন ফাফা পিকাল্ট। কর্নার থেকে আসা বলে নিচু করে হেড নেন ফাফা। বল লাইনে দাঁড়ানো বেঞ্জামিন ক্রেমাশ্চির গায়ে লেগে ফিরে আসছিল। সেই সময় সামনে দাঁড়িয়ে থাকা গোলরক্ষকের গায়ে লেগে আবার জালে জড়ায় বল।
ম্যাচে সমতা ফেরার পর দুই পক্ষই এগিয়ে যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। ৭০ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে আরেকটি ট্রেডমার্ক শটে দলকে প্রায়ই এগিয়েই দিয়েছিলেন মেসি! কিন্তু এবার মেসির মাটি কামড়ানো শটে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় গোল পোস্ট। ৭৭ মিনিটে স্যাম সারিডগে ইন্টার মায়ামি গোলরক্ষক ড্রেক ক্যালেন্ডারকে ফাঁকি দিতে পারলে ব্যবধান বাড়াতে পারত ন্যাশভিলে।
শেষ দিকে আরও দুটি দারুণ সেভ করে ইন্টার মায়ামিকে বাঁচান ক্যালেন্ডার। যোগ করা সময়ে গোল পেতে পারত মায়ামিও। কিন্তু তারাও পারেনি বল জালে জড়াতে। এরপর নির্ধারিত সময়ে দুই দলই চেষ্টা করেছিল গোল আদায়ের। কিন্তু পায়নি কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা। ম্যাচ চলে যায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারের প্রথম শটটি নিতে আসেন মেসিই। ঠান্ডা মাথায় গোলরক্ষককে উল্টো দিকে পাঠিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। তবে এরপর দুই দলই একটি করে পেনাল্টি মিস করে। ৫ শটের পর সমতা থাকে ৪-৪ এ। এরপর ম্যারাথন পেনাল্টি শুটআউটে জয় পায় মায়ামি। সূত্র: প্রথম আলো
ফাইল ছবি। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। তবে পরিস্থিতি প্রতিকূল থাকলে মানুষের স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে না।
এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে শনিবার (২৯ মে) এমন মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোনো আন্দোলনের মুখেই জনগণের জীবন নিয়ে অবহেলা করবে না সরকার।
এসময় ডা. দীপু মনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের সব প্রস্তুতি নেওয়া আছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে যথাসময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা এক নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে আগামী ১৩ জুন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা এবং শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।