a
ফাইল ছবি
লিওনেল মেসির বার্সোলোনার অধ্যায় শেষ হয়েছে কিছুদিন হলো। মেসিকে হারানোর কষ্টকে বুকে নিয়েই এদিন হাজির হয়েছিল দর্শকরা। ২১ বছরের দীর্ঘ সম্পর্ক চুকিয়ে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ে (পেএসজি) নাম লিখিয়েছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। দলের সেরা অস্ত্রকে হারিয়ে ফেলায় কম মাতম হয়নি বার্সেলোনা দলে। তবে সব ভুলে নতুন শুরুতে মন দিতে বলেছিলেন কোচ রোনাল্ড কোয়েমেন। তাতে দারুণ সাড়া মিললো। দাপুটে এক জয়ে মেসিবিহীন অধ্যায়ের শুরু করলো কাতালান ক্লাবটির।
২০২১-২২ মৌসুমে লা লিগা মাঠে গড়িয়েছে গত শনিবার। পরের দিন নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামে বার্সেলোনা। ঘরের মাঠে এদিন ন্যু ক্যাম্পে রিয়াল সোসিয়েদাদকে ৪-২ গোলে হারায় কাতালানরা। বার্সার হয়ে জোড়া গোল করেন মার্টিন ব্রাথওয়েট, একটি করে গোল করেন জেরার্ড পিকে ও সার্জিও রবার্তো।
শেষ দিকের তিন মিনিটে জোড়া গোল করলেও হার এড়াতে পারেনি রিয়াল সোসিয়েদাদ। দলটির পক্ষে একটি করে গোল করেন হুলেন লোবেতো ও মিকেল ওইয়ারসাবাল। কিন্তু দুই গোলের ব্যবধান থেকেই যায়। বাকি কয়েক মিনিটে আর বার্সার জালের ঠিকানা পায়নি তারা। উল্টো যোগ করা সময়ে একটি গোল হজম করতে হয় তাদের। ম্যাচে ৬২ শতাংশ সময় বল নিজেদের পায়ে রাখে বার্সা। তারা গোলমুখে ১৩টি শট নেয়, এর মধ্যে ৮টি ছিল লক্ষ্যে। সোসিয়েদাদের নেওয়া ১১টি শটের ৩টি ছিল লক্ষ্যে।
করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন মাঠে দর্শক প্রবেশ বন্ধ রেখেছিল লা লিগা। এবার নির্দিষ্ট সংখ্যক দর্শক গ্যালারিতে বসে খেলা দেখতে পারছেন। ৫২৬ দিন পর ন্যু ক্যাম্পে প্রিয় দলের খেলা দেখতে এসেছিলেন বার্সা সমর্থকরা। মাঠে ফেরার উচ্ছ্বাস থাকলেও কোথাও যেন বেজে যাচ্ছিল বিষাদের সুর। গ্যালারিতে ক্যামেরা ধরতেই সেটা স্পষ্ট হয়, বিষাদটা মেসিকে ঘিরে।খেলার ১০ মিনিটেই গ্যালারি তে মেসি মেসি চিৎকার করতে থাকতে দর্শকরা। অনেকেই মাঠে এসেছিলেন ক্লাবটির ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ফুটবলার মেসির নাম লেখা জার্সি পরে।
শুরু থেকেই দারুণ ফুটবল খেলতে থাকা বার্সেলোনা ১৯তম মিনিটেই পিকের হেডে গোল পেয়ে যায়। ডান দিক থেকে মেমফিস ডিপাইয়ের ফ্রি কিকে দারুণ হেডে সোসিয়েদারের জালে বল পাঠান জেরার্ড পিকে। রক্ষণভাগের এই খেলোয়াড়ের বার্সার জার্সিতে এটা ৫০তম গোল।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আরও এগিয়ে যায় বার্সা। ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের ক্রসে কোনাকুনি হেড দিয়ে গোল আদায় করে নেন মার্টিন ব্রাথওয়েট। ৫৯ তম মিনিটে দলের তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন এই ডেনিশ ফরোয়ার্ড। সোসিয়েদাদ ৮২ ও ৮৫ মিনিটে গোল করে ব্যবধান কমায়। যোগ করা সময়ে গোল করে বার্সার ৪-২ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করেন রবার্তো।
অন্যদিকে আরেক প্রতিপক্ষ্য রিয়াল মাদ্রিদ ও এটলেটিকো মাদ্রিদ নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় দিয়েই লীগ শুরু করেছে রিয়াল মাদ্রিদ আলাভেসের সাথে জয় পেয়েছে ৪-১ ব্যবধানে আর এটলেটিকো মাদ্রিদ জয় পেয়েছে ২-১ গোলে তারা হারিয়েছে সেল্টা ভিগোকে।
ফাইল ছবি
বেশকিছুদিন ফুটবল থেকে দূরে থাকার পর অবশেষে পিএসজির জার্সিতে অভিষেক হয়ে গেল লিওনেল মেসির। পুরো ফুটবলবিশ্বের নজর থাকা এই ম্যাচের স্কোয়াডে থাকলেও শুরুর একাদশে ছিলেন না তিনি। পরে নেইমারের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন মেসি।
মেসির অভিষেকের ম্যাচে রবিবার দিবাগত রাতে লিগ ওয়ানের ম্যাচে রেইমসের মাঠ থেকে ২-০ গোলে জয় নিয়ে ফিরেছে পিএসজি। তবে তাদের মেসি এবং নেইমারের কেউই গোল পাননি। জোড়া গোল করে ম্যাচের আসল নায়ক ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে।
বার্সেলোনা ছাড়া এই প্রথম অন্য কোনো ক্লাবের হয়ে মাঠে নামেন মেসি। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের সম্ভাব্য অভিষেকের কথা শুনে আগেই সব অগ্রিম টিকিট শেষ হয়ে গিয়েছিল। তবে স্কোয়াডে রাখলেও মেসিকে একাদশে রাখেননি পিএসজি কোচ মাওরিসিও পচেত্তিনো। প্রথমার্ধেও বেঞ্চেই কাটে মেসির। তবে ম্যাচের ৬৬তম মিনিটে নেইমারের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
দর্শকদের তুমুল করতালি আর হর্ষধ্বনির মাধ্যমে মেসির আগমনকে স্বাগত জানান। তবে নতুন ক্লাবে অভিষেক ম্যাচে এত কম সময় মাঠে কাটিয়ে খুব বেশি কিছু করা হয়নি তার। তবে দল টানা চতুর্থ জয় পেয়েছে, এটাও বা কম কিসে! অন্তত 'অভিষেক' ম্যাচটা জয় দিয়ে উদযাপন করলেন আধুনিক ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা। এর আগে ম্যাচের ১৬তম মিনিটেই লক্ষ্যভেদ করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড এমবাপ্পে।
আনহেল দি মারিয়ার বক্সে বাড়ানো ক্রসে দারুণ এক হেডে গোল করেন তিনি। নেইমার-এমবাপ্পে-দি মারিয়াদের মুহুর্মুহু আক্রমণে দিশেহারা রেইমস ৫১তম মিনিটে সমতায় ফিরেছিল। কিন্তু ভিএআর দেখে অফসাইডের সিদ্ধান্তে গোলটি বাতিল করে দেন রেফারি। এরপর ৬৩তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান এমবাপ্পে। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ডান উইং ধরে রেইমসের ব্যাক পোস্টে থাকা ফরাসি ফরোয়ার্ডকে খুঁজে নেন আশরাফ হাকিমি। একদম কাছ থেকে অনায়াসেই বল জালে জড়িয়ে দেন এমবাপ্পে।
সংগৃহীত ছবি
আমাদের শরীর যে খাবারগুলো গ্রহণ করে সেগুলোকে ভাঙ্গতে ইউরিক এসিড তৈরি হয়। শরীরে ইউরিক এসিড বেশি থাকলে তা জয়েন্টগুলোতে বাসা বাঁধতে পারে এবং সব ধরনের অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। ইউরিক এসিডের মাত্রা ৩.৫ থেকে ৭.২ এমজি/ডিএল হলে সহনীয়। এই পরিমাণ থেকে বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণে নিম্নোক্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে।
ইউরিক এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘরে তৈরি কিছু পানীয় পান নিম্নোক্তভাবে করা যেতে পারে।
লেবুপানি
প্রতিদিন সকালে লেবুপানি পান করতে পারেন। এটি ইউরিক এসিড কমাতে সাহায্য করতে পারে। লেবুতে থাকা উচ্চ ভিটামিন ‘সি’ শরীরকে ভাঙতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত ইউরিক এসিড বের করে দেয়। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গরম পানিতে অর্ধেক লেবু ছেঁকে নিন এবং পান করুন।
হলুদ দুধ
হলুদ মেশানো দুধ খেলে শুধু আরামই মেলে না, সেই সঙ্গে এটি প্রদাহের সঙ্গে লড়াই করতে এবং ইউরিক এসিডের মাত্রা কমাতে কাজ করে। হলুদে পাওয়া জাদুকরী যৌগ কারকিউমিন অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। ঘুমানোর আগে এক গ্লাস হালকা গরম দুধে এক চিমটি হলুদ দিয়ে নাড়ুন এবং পান করুন। উপকারিতা নিজেই টের পাবেন।
শসার রস
শসা মানেই শীতলতা ও সতেজতা। শসায় থাকে ৯০% পানি। এটি ইউরিক এসিডসহ টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এতে পিউরিনের পরিমাণ খুব কম, যার মানে এটি সমস্যা বাড়াবে না। অল্প পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে গরমের দিনে এটি উপভোগ করুন।
আদা চা
এটি এমন লোকদের জন্য যারা আদা চায়ের উষ্ণতা পছন্দ করেন। আদা শুধু মসলাদার স্বাদই যোগ করে না, সেই সঙ্গে এটি প্রদাহবিরোধী উপকারিতায়ও পূর্ণ। এটি ইউরিক এসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। আদার কয়েকটি টুকরা পানিতে সেদ্ধ করুন এবং চা তৈরি করতে একটু মধু যোগ করুন। এটি জয়েন্টগুলোর জন্য বিস্ময়কর কাজ করে।
ডার্ক চকলেট
এই চকলেটে থেওব্রোমাইন থাকে। এই যৌগ রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা হ্রাস করে। চকলেট খেলেই শরীরের ক্ষতি হয়, এমনটা কিন্তু নয়।
যেহেতু অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড কিডনির মাধ্যমে নির্গত হয়, তাহলে অনেক ক্ষেত্রে এটি কিডনিতেও জমতে পারে। এই ক্ষেত্রে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। এছাড়াও এমনটা ঘটলে পিঠে বা কোমরে ব্যথা শুরু হতে পারে। অনেক সময় প্রস্রাবের মাধ্যমে রক্তপাতও ঘটে। এগুলো শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ।
সাধারণত ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। অনেক ক্ষেত্রে এই সমস্যার কোনও লক্ষণ দেখা যায় না। এই ক্ষেত্রে প্রথম থেকে জীবনধারাকে নিয়ন্ত্রণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। ডায়েটে সামান্য পরিবর্তন আনলে চট করে বাড়ে না ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা। কিন্তু এর জন্য আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। সবুজ শাক-সবজি, ফল বেশি করে খান। সাইট্রাস ফল অর্থাৎ লেবুর রস বেশি করে খান। এর পাশাপাশি শরীরকে সক্রিয় রাখুন। নিয়মিত ৪০ মিনিট ব্যায়াম করুন। এতে শরীরও সুস্থ থাকবে এবং ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও সহজে বাড়বে না।
যেসব বিষয় এড়িয়ে চলবেন-
ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকলে ধূমপান করা যাবে না। পালংশাক, পুঁইশাক, ফুলকপি, মিষ্টিকুমড়া, ঢ্যাঁড়স, টমেটো না খাওয়াই ভালো। পাশাপাশি অতিরিক্ত প্রোটিন যেমন- খাসির মাংস, সামুদ্রিক মাছ এড়িয়ে চলুন। বিভিন্ন রকম ডাল খাওয়াও ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের জন্য ভালো নয়। শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকলে ওষুধের ওপর নির্ভর করতেই হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন