a
ফাইল ছবি
গত সোমবার ৬ সেপ্টেম্বর নানা নাটকীয় ঘটনার পর ব্রাজিলের সঙ্গে আর্জেন্টিনার আগের ম্যাচটি স্থগিত করা হয়েছিলো। দর্শকরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন কবে পেলের রেকর্ড ভাঙবেন মেসি সে অপেক্ষার অবসান হলো আজ। আজ শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) বলিভিয়ার বিপক্ষে মুখোমুখি হয়ে ৩-০ গোলের জয় পেয়েছে লিও মেসিরা। তিনটি গোলই এসেছে ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসির পা থেকে।
আর্জেন্টিনার হয়ে আজ প্রথম গোল করেই ছুয়ে ফেলেন ফুটবল গ্রেট পেলেকে। কে জানতো আজই হয়ত তাকে ছাড়িয়ে যাবেন মেসি। কারন নাম টা যে মেসি তাই অবিস্বাস্য বলে কিছু রইলো না। মজার বিষয় ছিলো কিছুদিন আগে পেলে বলেছিলেন মেসি ডান পায়ে গোল করতে পারে না কিন্তু আজ তার রেকর্ড এ ভাগ বসানো গোলটি ই এসেছে মেসির ডান পা থেকে।
আর্জেন্টিনার হয়ে মেসির এটি সপ্তম হ্যাটট্রিক। তার অন্য হ্যাটট্রিকগুলো এসেছে সুইজারল্যান্ড, গুয়েতামালা, ব্রাজিল, পানামা, ইকুয়েডর ও হাইতির বিপক্ষে।
আর্জেন্টিনার রিভারপ্লেট স্টিডিয়ামে প্রথম থেকেই বলিভিয়াকে ধরাশায়ী করে রাখে আর্জেন্টিনা। একের পর এক আক্রমণে বিপর্যস্তু হয়ে পড়ে বলিভিয়া শিবির। যেখানে প্রায় একক আধিপত্য দেখিয়েছে মেসি বাহিনী, আরও নির্দিষ্ট করে বললে মেসি। পেরুও আক্রমণ করেছে, তবে তা ছিল আর্জেন্টিনার অর্ধেকেরও কম। মেসি প্রথম গোলটি পান ১৪ মিনিটের মাথায়। ডি বক্সের তার দুর্দান্ত শট ঠেকাতে পারেননি বলিভিয়া গোলরক্ষক কার্লোস লাম্পে। আর্জেন্টিনার লিড তখন ১-০ গোলে।
তাতে পেলেকে ছুয়ে ফেলেন তিনি। জাতীয় দল ব্রাজিলের হয়ে পেলে করেছেন ৭৭ গোল। অনেক দিন ধরেই পেলেকে ধরার হাতছানি ছিল মেসির সামনে। কিন্তু আর্জেন্টিনার হয়ে আগের চার ম্যাচে গোল পাননি তিনি। ফলে ব্রাজিলিয়ান কিংবন্তিকে ছোয়ার অপেক্ষা বাড়ে তার। সেই অপেক্ষা ফুরাল বলিভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে। বিরতির আগে আর্জেন্টিনা আরও একটি গোল পেয়েছিল, তবে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার ক্রস থেকে হওয়া গোলটি রেফারি অফসাইডের কারণে বাতিল করে দেন। এরপর মেসির মতো সুযোগ নষ্ট করেছেন স্কালোনির অন্য শিষ্যরাও। ১-০ গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা শিবির।
বিরতি থেকে ফিরে আগের মতোই চেপে রাখে বলিভিয়াকে। ৬৪তম মিনিটে আরও একটি গোল পায় আর্জেন্টিনা, সেটিও আসে মেসির পা থেকে। লাওতারো মার্টিনেজ পাস দেন মেসিকে, মেসি প্রথম চেষ্টার বল জালে জড়াতে পারেননি। গোলরক্ষক কার্লোস পিএসজি জাদুকরের চেষ্ঠা প্রতিহত করেন। কিন্তু তার কাছ থেকে বল ফিরে আসলে ফিরতি শটে বল জালে জড়ান মেসি। মেসি তৃতীয় গোলটি করেন ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে। আর্জেন্টিনার হয়ে তার গোলসংখ্যা এখন ৭৯টি।
এ জয়ের ফলে কনমেবল অঞ্চলের কাতার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ৮ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট হলো আর্জেন্টিনার। এর মধ্যে তিনটি ম্যাচে ড্র ও পাঁচটি ম্যাচে জয়ে পেয়েছে তারা। খেলা শেষে উদযাপনের পরিবর্তে কান্না ভেঙ্গে পড়েন লিএ মেসি কারন ছিলো করোনা কারনে দীর্ঘ অপেক্ষার পর মাঠে ফিরেছে দর্শকরা তাদের সাথে কোপার চ্যাম্পিয়ন উদযাপন না করতে পেরে আজ ম্যাচ শেষে সে উদযাপন করে নিয়েছে টিম আর্জেন্টিনা।
ফাইল ছবি
ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা, ইতালিকে গুড়িয়ে ফিনালিজিমা জয়ী লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনাকে আসরের ফেবারিট বলেছিলেন সকলে। ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত দলটিতে বাজি ধরা ছিল সহজ। কাতারে প্রথম দুই ম্যাচে চেনা ওই আকাশি-সাদার দেখা মেলেনি। ঘটেছিল অনলাইনে পণ্য অর্ডার করে হতাশ হওয়ার মতো ঘটনা। কিন্তু দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া আর্জেন্টিনা সময় মতোই ফিরেছে। পোল্যান্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় পা রাখতে সক্ষম হয়েছে।
কিছুটা কঠিন সমীকরণ মাথায় নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন লিওনেল মেসিরা। হারলেই আসর থেকে বিদায়। ড্র করলেও নিশ্চিত নয় শেষ ষোলো। অঙ্কের মারপ্যাচে উত্তর মিললেও মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা উড়ন্ত ফ্রান্সের। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ভিন্ন কোন চিন্তা তাই মাথায় নিয়ে নামার সুযোগ ছিল না আলবিসেলেস্তেদের। পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে ও দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল করে মিলিয়ে দিয়েছে দু'বারের চ্যাম্পিয়ন ল্যাতিন দলটি। শেষ ষোলোয় এখন তারা মুখোমুখি হবে ডেনমার্ককে বিদায় করে 'ডি' গ্রুপের রানার্স আপ হওয়া অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার।
ম্যাচের প্রথমার্ধে গোল করার মতো চারটি সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। এর মধ্যে লিওনেল মেসি ৩৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পান। হেড থেকে গোল করার চেষ্টা করলে গোলরক্ষকের গ্লাভস চোখে লাগে লিও'র। ভিএআর চেক করে দেওয়া হয় পেনাল্টি। তবে বিতর্কিত ওই পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার মেসি। গোলশূন্য হতাশার সমতায় প্রথমার্ধ শেষ করতে হয় আর্জেন্টিনার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লিড নেয় আকাশি-সাদা জার্সির দলটি। ম্যাচের ৪৬ মিনিটে গোল করেন মিডফিল্ডার মার্ক এলিস্টার। তাকে দারুণ এক বল বানিয়ে দেন ফুলব্যাক নাহুয়েল মলিনা। এরপর ম্যাচের ৬৭ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পায় হার দিয়ে আসর শুরু করা দলটি। গোল করেন লওতারো মার্টিনেজের বদলে শুরুর একাদশে জায়গা পাওয়া তরুণ স্ট্রাইকার জুলিয়ান আলভারেজ। তার গোলের কারিগর ১৮ বছর বয়সী তরুণ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজ। মেক্সিকোর বিপক্ষে দুর্দান্ত গোল করা এনজোও এই ম্যাচে শুরুর একাদশে ছিলেন।
দুই গোলের জয়কে জয় নিশ্চিত করে আজেন্টিনা। পেনাল্টি বাদে অন্তত আরও তিনটি গোল পেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকতো না। সব মিলিয়ে ম্যাচে গোল পোস্টেই কেবল ১২টি শন নিয়েছে লিওনেল স্কালোনির দল। লক্ষভ্রষ্ট সাতটি আক্রমণের কথা তো বাদই থাকলো। বিপরীতে লেভারা গোলে একটি শটও নিতে পারেনি। তবে হতাশার হারের পরও মেক্সিকোর সমান পয়েন্ট নিয়ে পোল্যান্ড গোল ব্যবধানে শেষ ষোলোয় চলে গেছে। কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে তারা খেলবে ফ্রান্সের বিপক্ষে। সূত্র: সমকাল
ফাইল ছবি
আজ শুক্রবার (১১ জুন) চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) মুখোমুখি হয়েছিল আবাহনী বনাম মোহামেডান। সেই ম্যাচেই আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে খুশি না হতে পেরে রাগে লাথি মেরে স্ট্যাম্প ভেঙেছেন টাইগার অলরাউন্ডার ও মোহামেডানের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকে সাকিবকে বেশ আগ্রাসী দেখা গিয়েছিল। ব্যাট হাতে নিজের সর্বোচ্চটা নিঙড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। তার ব্যাটে চেপেই আবাহনীকে ১৪৬ রানের লক্ষ্য দেয় মোহামেডান। সেই টার্গেট টপকাতে নেমে বিপাকে পড়ে আবাহনী।
৩ উইকেট শুরুতেই হারিয়ে বসে। ইনিংসের প্রথম ওভারে মূল ঘটনা। প্রথমারের মতো বল করতে আসেন সাকিব নিজেই। ওভারের শেষ বলে মুশফিকের বিপক্ষে লেগ বিফোরের আবেদন করেন মোহামেডান অধিনায়ক। সেটি নাকচ করে দেন আম্পায়ার ইমরান পারভেজ। এতেই ক্ষিপ্ত হন সাকিব। লাথি দিয়ে ভাঙেন স্টাম্প। এতে উত্তেজনা ছড়াল ম্যাচে। ভিডিও ফুটেজে অবশ্য স্পষ্ট। আউট ছিলেন মুশফিক।
সেখানেই থামেনি ঘটনা। ম্যাচের শুরু থেকেই বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। আবাহনীর ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে হালকাপাতলা বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। আম্পয়ায়ার চাইলেই ওভার শেষ করতে পারতেন, তবে ১ বল বাকি থাকতেই উইকেট ঢেকে ফেলার সিদ্ধান্ত জানালেন ফিল্ড আম্পয়ায়ার। তখন আরও ক্ষিপ্ত দেখা গেল সাকিবকে। এগিয়ে এসে ৩টি স্টাম্প উপড়ে ফেলে মাটিতে আছড়ে মারলেন তিনি। সেই উত্তাপ পৌছাল দুই দলের ড্রেসিংরুম পর্যন্ত।
সাকিব আল হাসানের মেজাজ এমনিতেই চড়া ছিল। ড্রেসিং রুমে যাওয়ার পথে তিনি আরও একবার হলেন ক্ষিপ্ত। তার সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের। দুজনের একজনও মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি।
ছবিতে দেখা গেছে আঙুল উঁচিয়ে শাসাচ্ছেন সুজনকে। আবাহনী কোচও ক্ষিপ্ত হয়ে ছুটে যেতে চাচ্ছেন সাকিবের দিকে। যদিও এতটুকুতেই ঘটনা থেমে গেছে। ঘটেনি গায়ে হাত দেওয়ার মতো অপ্রীতিকর ঘটনা। মোহামেডানে সাকিবের সতীর্থ শামসুর রহমান শুভ ও বেশ কয়েকজন স্টাফ মিলে শান্ত করেন সুজনকে। সাকিবকেও ঠাণ্ডা করেন অন্য স্টাফরা।