a
ফাইল ছবি । ইব্রাহীম রাইসি
ইব্রাহীম রাইসি, যিনি ২০১৭ সালে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হাসান রুহানির কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। এবারের নির্বাচনেও তিনি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। তবে এবার তাকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। বিভিন্ন জরিপে তার নাম উঠে আসছে যে, দেশটির আগামীর প্রেসিডেন্ট তিনিই হতে যাচ্ছেন।
বর্তমান ইরানের প্রধান বিচারপতি এই ইব্রাহিম রাইসি। ৬০ বছর বয়সী রাইসি দেশটির ক্ষমতাসীন সরকারের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অন্যতম।
ইরানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এবং রাইসির জন্ম একই স্থানে, অর্থাৎ দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় শহর মাশহাদে। খামেনির মতো না হলেও দেশটির সংখ্যাগুরু শিয়া সম্প্রদায়ের কট্টরপন্থীমহলে তার জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা ব্যাপক।
খামেনির মতো রাইসিরও দাবি, বিশ্বনবী হযরত মুহম্মদের (সঃ) বংশধর তিনি। বিশ্বনবীর রক্তসম্পর্কিত উত্তরাধিকার হওয়ার কারণে সবসময় কালো রঙের পাগড়ি পরেন তিনি। তবে ইরানের গণতন্ত্রপন্থী বলয়ে তার জনপ্রিয়তা তেমন নেই।
২০১৯ সালে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্থা আস্তান কুদস রাজাভি ফাউন্ডেশনের প্রধান হিসেবে রাইসিকে নিয়োগ দেন খামেনি। এরপর ২০১৯ সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান পদে নিয়োগ দেন খামেনি। এ পদে থাকার সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ায় দেশের অভ্যন্তরে জনপ্রিয়তা কিছুটা বাড়ে রাইসির।
রাইসি রাজনৈতিক দিক থেকে শিয়া ইসলামি কট্টরপন্থার সমর্থক। দেশের গণতন্ত্রপন্থীদের পাশাপাশি তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্য দেশগুলোরও কঠোর সমালোচক। তবে সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের অর্থনীতি খারাপ হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্যের বিষয়ে সুর নরম বলে ধারণা করা হয়। সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট
ছবি: সংগৃহীত
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ হেলিকপ্টারের সব যাত্রী মারা গেছেন।
কয়েকজন সহযোগীসহ আজারবাইজান সফরে শনিবার (১৮ মে) যান প্রেসিডেন্ট রাইসি। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সাথে একটি অনুষ্ঠান শেষে ফিরে আসার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
প্রেসিডেন্ট রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ানের পাশাপাশি হেলিকপ্টারটিতে ইরানের আরও বেশ কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তা ছিলেন।
তারা হলেন, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, পূর্ব আজারবাইজানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলি আলে-হাশেম ও প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রধান মেহেদি মুসাভি। এছাড়া হেলিকপ্টারের পাইলট, কো-পাইলট ও ক্রু মারা যান।
আল জাজিরা জানিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ান ও আরও কয়েকজনকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি পুড়ে গেছে।
ফাইল ছবি
অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক এবং উৎসবমুখর নির্বাচনের যে অনুকূল পরিবেশের প্রত্যাশা করা হয়েছিলো সেটি এখনো হয়ে উঠেনি বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গণমাধ্যমের সম্পাদকদের বরাবর পাঠানো এক ধারণাপত্রে এই কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
ধারণাপত্রে বলা হয়েছে, প্রত্যাশিত সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে মতভেদ নিরসন হয়নি। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধানতম দলগুলো স্ব স্ব সিদ্ধান্ত ও অবস্থানে অনড়। রাজপথে মিছিল, জনসমাবেশ ও শক্তি প্রদর্শন করে স্ব স্ব পক্ষে সমর্থন প্রদর্শনের চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু ওতে প্রত্যাশিত মীমাংসা বা সংকটের নিরসন হচ্ছে বলে কমিশন মনে করে না। নির্বাচনই হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রাণ ও বাহন। নির্বাচন আয়োজনে যদি সংকট নিরবচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত থাকে তাহলে গণতন্ত্র বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।
আগামী ২৬ অক্টোবর গণমাধ্যম সম্পাদকদের নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করেছে ইসি।
‘আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: গণমাধ্যমের ভূমিকা, জাতির প্রত্যাশা’ শীর্ষক কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে আলোচনার জন্য ধারণাপত্রটিও পাঠানো হয়েছে। ৩৮ জন সম্পাদক ওই কর্মশালার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সূত্র: ইত্তেফাক